আকাশগঙ্গা ছায়াপথ
অবয়ব
আকাশগঙ্গা একটি ছায়াপথ। রাতের আকাশে দুধের মতো যে হালকা সাদা আলোর রেখা দেখা যায়, সেখান থেকেই এর নামকরণ। অসংখ্য নক্ষত্রের এই আলোকে খালি চোখে আলাদা করা যায় না বলেই এমন রেখার মতো দেখা যায়। আকাশগঙ্গা একটি সর্পিলাকার ছায়াপথ, যার কেন্দ্রে একটি দণ্ডের মতো অংশ আছে। এর ব্যাস প্রায় ২৬.৮ ± ১.১ কিলোপারসেক (৮৭,৪০০ ± ৩,৬০০ আলোকবর্ষ), তবে সর্পিলাকার বাহুগুলোর বেধ মাত্র ১০০০ আলোকবর্ষের মতো। সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, অদৃশ্য ডার্ক ম্যাটার-সহ কিছু নক্ষত্রের সমন্বয়ে এর ব্যাস প্রায় ২০ লক্ষ আলোকবর্ষ (৬১৩ কিলোপারসেক) পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। আকাশগঙ্গার বেশ কয়েকটি ছোট উপছায়াপথ রয়েছে। এটি নিজেও স্থানীয় গোষ্ঠী নামক ছায়াপথ স্তবকের অংশ, যেটি আবার ভার্গো মহাস্তবকের একটি অংশ। পুরো সুপারক্লাস্টারটি আবার লানিয়াকেয়া মহাস্তবকের একটি উপাদান।
উক্তি
[সম্পাদনা]- আমরা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি বলি কেন?
বিশ্বজগৎ নিয়ে গবেষণা করতে গেলে বিভিন্ন গ্যালাক্সির দিকে মনোযোগ দেওয়ার প্রবণতা আছে আমাদের। কারণ, গ্যালাক্সি আসলেই নজর কেড়ে নেওয়ার মতো। আমাদের নিজেদের গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের নাম মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি (বাংলা আকাশগঙ্গা ছায়াপথ)। এর আকৃতি সর্পিলাকার বা স্পাইরাল। পৃথিবীর রাতের আকাশে একে দেখে মনে হয় যেন দুধ ছলকে পড়েছে। সে কারণে এ ছায়াপথের নাম এমন। আসলে গ্যালাক্সি শব্দটির উৎপত্তি গ্রিক শব্দ গ্যালাক্সিয়াস (Galaxias) থেকে, যার অর্থ মিল্কি বা দুধেল।- অ্যাস্ট্রোফিজিকস : সহজ পাঠ – নীল ডিগ্র্যাস টাইসন ও গ্রেগরি মোন, ভাষান্তর – আবুল বাসার।
- সঙ্গবিহীন চিরন্তনের
বিরহগান বিরাট মনের
শূন্যে করে নিঃশবদের
বিষাদ বিস্তার।
তুমি আমার লীলার কর্ণধার
তারার ফেনা ফেনিয়ে তোল
আকাশগঙ্গার।- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কর্ণধার
- আজ পাখির ডাক, আজ ফুলের ডাক,
আজ আকাশগঙ্গায় ঘুরপাক–
আসে বৈশাখ, এলো বৈশাখ।- মুহম্মদ নূরুল হুদা, 'আকাশগঙ্গায় ঘুরপাক' কবিতায়। [১]
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
উইকিপিডিয়ায় আকাশগঙ্গা ছায়াপথ সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।