বিষয়বস্তুতে চলুন

আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী (উর্দু: امیر عبداللہ خان نیازی‎‎; ১৯১৫ – ২ ফেব্রুয়ারি ২০০৪) ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রাক্তন লেফট্যানেন্ট জেনারেল। পূর্ব পাকিস্তানে তিনি সর্বশেষ গভর্নর ও সামরিক আইন প্রশাসক এবং পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক হাই কমান্ডের সর্বশেষ কমান্ডার। নিয়াজী ও রিয়ার এডমিরাল মুহাম্মদ শরীফ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৭১ এ পূর্বাঞ্চলে সেনাদের দায়িত্বে ছিলেন। আত্মসমর্পণের জন্য তাকে পাকিস্তানে "বাংলার শৃগাল" বলা হয়। তার সামরিক পদক ও সম্মান প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছিল। ১৯৭১ সালে নিয়াজী তার ৫ ডিভিশন সেনাসহ মুক্তি বাহিনী ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। যুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত থাকার জন্য তাকে অভিযুক্ত করা হয়।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • এই হারামজাদা জাতি (বাঙালি) জানে না আমি কে? আমি তাদের জাত বদলে দেব।
    • জেনারেল নিয়াজি [১]
  • বন্ধু, এসব নিয়ে শঙ্কিত হয়ো না, আমি পরিস্থিতি সামাল দেব। এখন তুমি আমাকে তোমার বাঙালি বান্ধবীদের টেলিফোন নম্বরগুলো দাও।
    • কীভাবে যুদ্ধ মোকাবিলা করতে হবে, সে সম্পর্কে খাদিম হুসেন নিয়াজিকে বোঝাতে চেষ্টা করলে নিয়াজী এই জবাব দেন। [২]

নিয়াজী সম্পর্কে উক্তি

[সম্পাদনা]
  • ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে একটা ছোট টেবিল আর দুটো চেয়ার রাখা ছিল। ওই দুটোতে জেনারেল অরোরা আর জেনারেল নিয়াজি বসেছিলেন। আমি, এয়ার মার্শাল দেওয়ান, জেনারেল সগত সিং, জেনারেল জেকব - সবাই তাদের পিছনে দাঁড়িয়েছিলাম। আত্মসমর্পনের দলিলের ৬টা প্রতিলিপি বানানো হয়েছিল। সেগুলো বেশ মোটা কাগজে টাইপ করা ছিল। প্রথমে জেনারেল নিয়াজি দলিলে সই করেন, তারপরে জেনারেল অরোরা। জানি না, জেনারেল নিয়াজি জেনেশুনেই করেছিলেন না-কি খেয়াল করেননি ব্যাপারটা, তবে তিনি নিজের পুরো নাম সই করেননি - শুধু এ. কে. লিখেছিলেন। আমার নজরে পড়তেই জেনারেল অরোরাকে বললাম ব্যাপারটা। অরোরা তখনই নিয়াজিকে অনুরোধ করেন যে পুরো নাম সই করতে। যেই নিয়াজি পুরো নাম সই করলেন, সেই মুহুর্তেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেল।
    • অ্যাডমিরাল কৃষ্ণান তাঁর আত্মজীবনী 'আ সেইলার্স স্টোরি'তে [৩]
  • পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ এ কে নিয়াজি রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ না করে সেনানিবাসে তাঁর সদর দপ্তরেই আত্মসমর্পণের ব্যাপারে চাপাচাপি করছিলেন। সেটা যে কেবল জনসমক্ষে অবমাননা এড়ানোর জন্য, তা নয়। এর পেছনে নিজেদের পিঠ বাঁচানোর চিন্তাও কাজ করেছিল।
    • ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল জে এফ আর জ্যাকব তাঁর স্যারেন্ডার অ্যাট ঢাকা: বার্থ অব আ নেশন বইয়ে।[৪]
  • ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা আর নিয়াজিকে বহনকারী গাড়ি যখন লাখ লাখ জনতার ভিড় ঠেলে রেসকোর্স ময়দানের দিকে এগোচ্ছিল, তখন একাধিকবার সেই বহরের গতি রুদ্ধ হয়ে যায়। ক্ষিপ্ত জনতা নিয়াজিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তারা বলছিল, ‘নিয়াজিকে আমাদের হাতে দাও। ও খুনী। ও আমাদের লক্ষ লক্ষ লোক মেরেছে, আমরা ওর বিচার করব।
    • কাদের সিদ্দিকী তার স্বাধীনতা ’৭১ বইয়ে লিখেছেন। [৫]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]