বিষয়বস্তুতে চলুন

ইসলামি স্বর্ণযুগ

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

ইসলামের স্বর্ণযুগ হচ্ছে ইসলামের ইতিহাসে অষ্টম থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দী পর্যন্ত সময়কালকে হিসেবে অভিহিত করা হয়। এই সময়ে মুসলিম বিশ্ব ব্যাপক বৈজ্ঞানিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতি সাধন করেছিল।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • ইসলামি স্বর্ণযুগের অন্যতম কেন্দ্র ছিল ইরাকের বাগদাদ। ১২৫৮ সালে বাগদাদ অবরোধ করে মোঙ্গল সেনানায়ক হালাকু খানের বাহিনী। ১৩ দিনের অবরোধের পর ১৩ ফেব্রুয়ারি পতন ঘটে বাগদাদ শহরের। হালাকু খানের হাতে শহরটিতে ব্যাপক রক্তপাত হয়। প্রাণ যায় হাজারো মানুষের। অবসান হয় ইসলামি স্বর্ণযুগের।
  • এটা ছিল আদর্শ কাল ও আদর্শ স্থান, কারণ এটা ছিল মহান শাসক হারুন আল-রশিদের শাসনামল।
  • আমাদিগকে তাঁহাদের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করিতে হইবে এবং সেই প্রেরণা, সেই অবাধ সত্যানুসন্ধান, সেই জাতিদেশনির্বিশেষে উন্মুক্ত চিত্তে জ্ঞানাহরণ, যাহা ইসলামকে তাহার উচ্চ স্থান প্রদান করিয়াছিল, সেইভাবে আমাদিগকে বিভোর হইতে হইবে।
    • প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, ১৯৩২ সালে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে সভাপতির অভিভাষণে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় ইসলামের কীর্তির প্রসঙ্গে। [৩]
  • সপ্তম শতাব্দীতে পশ্চিম ইউরোপের পতন হচ্ছিল, অন্যদিকে বাইজেন্টাইন ও পারস্য সাম্রাজ্য পরস্পরের ধ্বংসে তৎপর ছিল। একইভাবে, ভারতবর্ষও অত্যন্ত বিভক্ত ছিল। তবে চীন অবিচলভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছিল এবং মধ্য এশিয়ার তুর্কিরা চীনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে আগ্রহী ছিল। এই সময়ে, ইসলামী সভ্যতার উত্থানের মাধ্যমে বিশ্ব রক্ষা পেয়েছিল।
  • একসময় পৃথিবীতে সর্বোৎকৃষ্ট একটি সভ্যতা ছিল। বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ছিল এ সভ্যতার চালিকাশক্তি। এ সভ্যতার গণিতজ্ঞগণ বীজগণিত ও এলগোরিদম উদ্ভাবন করেছিলেন যা কম্পিউটার নির্মাণ এবং সাংকেতিক বার্তা লিখনে সহায়ক হয়েছিল। এ সভ্যতার ডাক্তারগণ মানব দেহ পরীক্ষা এবং রোগ নিরাময়ে নতুন নতুন ওষুধ আবিষ্কার করেছিলেন। এ সভ্যতার জ্যোতির্বিজ্ঞানীগণ গ্রহ নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ এবং তারকার নামকরণ করেছিলেন। তারা মহাকাশ যাত্রা ও অনুসন্ধানের পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। যে সময় অন্যান্য জাতি নতুন নতুন ধ্যান ধারণায় ভীত ছিল তখন এ সভ্যতা তাতে সমৃদ্ধি লাভ করছিল এবং সেগুলো জীবিত রেখেছিল। যে সময় পরীক্ষকগণ অতীত সভ্যতার জ্ঞান নির্মূলের হুমকি দিচ্ছিলেন তখন এ সভ্যতা জ্ঞানকে সজীব রেখেছিল এবং অন্যদের কাছে এসব জ্ঞান স্থানান্তর করেছিল। আধুনিক পশ্চিমা সভ্যতায় তার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকায় আমি সেই সভ্যতা নিয়ে আলোচনা করতে চাই। এ সভ্যতা হলো অষ্টম থেকে ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত ইসলামী বিশ্ব। অটোমান সাম্রাজ্য, বাগদাদের রাজদরবার, দামেস্ক, কায়রো এবং মহান সুলায়মানের মতো আলোকিত শাসকগণ এ সভ্যতার অন্তর্ভুক্ত। এ সভ্যতার কাছে আমাদের ঋণ সম্পর্কে আমরা কখনো কখনো অসচেতন হলেও তার আর্শীবাদ আমাদের উত্তরাধিকারের অংশ। আরব গণিতজ্ঞদের অবদান ছাড়া প্রযুক্তি শিল্প টিকে থাকতো না।

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]