ইসলামে স্তন্যদান
অবয়ব
ইসলাম ধর্মে স্তন্যদান বা বুকের দুধ খাওয়ানোকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়। কুরআনে এটিকে মা ও সন্তানের মধ্যে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ইসলামি আইন অনুযায়ী, স্তন্যদানের মাধ্যমে দুধ আত্মীয়তা সম্পর্ক সৃষ্টি হয় যা পারিবারিক আইনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের মধ্যে স্তন্যদানের বিভিন্ন প্রথা রয়েছে।
উক্তি
[সম্পাদনা]- আর মায়েরা তাদের সন্তানদেরকে পূর্ণ দু’বছর দুধ পান করাবে, (এটা) তার জন্য যে দুধ পান করাবার সময় পূর্ণ করতে চায়। আর পিতার উপর কর্তব্য, বিধি মোতাবেক মাদেরকে খাবার ও পোশাক প্রদান করা। সাধ্যের অতিরিক্ত কোন ব্যক্তিকে দায়িত্ব প্রদান করা হয় না। কষ্ট দেয়া যাবে না কোন মাকে তার সন্তানের জন্য, কিংবা কোন বাবাকে তার সন্তানের জন্য। আর ওয়ারিশের উপর রয়েছে অনুরূপ দায়িত্ব। অতঃপর তারা যদি পরস্পর সম্মতি ও পরামর্শের মাধ্যমে দুধ ছাড়াতে চায়, তাহলে তাদের কোন পাপ হবে না। আর যদি তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে অন্য কারো থেকে দুধ পান করাতে চাও, তাহলেও তোমাদের উপর কোন পাপ নেই, যদি তোমরা বিধি মোতাবেক তাদেরকে যা দেবার তা দিয়ে দাও। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ তোমরা যা কর, সে সম্পর্কে সম্যক দ্রষ্টা।
- আল-কোরআন,২:২৩৩
- তোমাদের জন্য অবৈধ করা হয়েছে - তোমাদের মাতৃগণ, কন্যাগণ, ভগ্নিগণ, ফুফুগণ, খালাগণ, ভ্রাতৃকন্যাগণ, ভগ্নির কন্যাগণ, তোমাদের সেই মাতৃগণ যারা তোমাদেরকে স্তন্য দান করেছে, তোমাদের দুগ্ধ ভগ্নিগণ, তোমাদের স্ত্রীদের মাতৃগণ, তোমরা যাদের অভ্যন্তরে উপনীত হয়েছ সেই স্ত্রীদের যে সকল কন্যা তোমাদের ক্রোড়ে অবস্থিত; কিন্তু যদি তোমরা তাদের মধ্যে উপনীত না হয়ে থাক তাহলে তোমাদের জন্য কোন অপরাধ নেই; এবং ঔরসজাত পুত্রদের পত্নীগণ; এবং যা অতীত হয়ে গেছে, তদ্ব্যতীত দুই ভগ্নিকে একত্রে বিয়ে করা; নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়।
- আল-কোরআন,৪:২৩
- যেদিন তোমরা তা দেখবে সেদিন প্রত্যেক স্তন্য দানকারিনী আপন দুগ্ধপোষ্য শিশুকে ভুলে যাবে এবং প্রত্যেক গর্ভধারিণী তার গর্ভপাত করে ফেলবে, তুমি দেখবে মানুষকে মাতাল সদৃশ, অথচ তারা মাতাল নয়। তবে আল্লাহর আযাবই কঠিন।
- মূসার লালন-পালন, আল-কোরআন,২২:২
- আমি মূসার মায়ের অন্তরে ইংগিতে নির্দেশ করলামঃ শিশুটিকে তুমি স্তন্য দান করতে থাক; যখন তুমি তার সম্পর্কে কোন আশংকা করবে তখন তাকে দরিয়ায় নিক্ষেপ কর এবং ভয় করনা, দুঃখ করনা; আমি তাকে তোমার নিকট ফিরিয়ে দিব এবং তাকে রাসূলদের একজন করব।
- আল-কোরআন,২৮:৭
- আগে থেকে আমি তাকে ধাত্রী-স্তন্য পান থেকে বিরত রেখেছিলাম। মূসার বোন বলল- ‘আমি কি তোমাদেরকে এমন একটা পরিবারের খোঁজ দেব যারা তাকে তোমাদের পক্ষে লালন পালন করবে আর তারা হবে তার হিতাকাঙ্ক্ষী।’
- মূসার লালন-পালন, আল-কোরআন,২৮:১২
- (ইদ্দাতকালে) নারীদেরকে সেভাবেই বসবাস করতে দাও যেভাবে তোমরা বসবাস কর তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী, তাদেরকে সংকটে ফেলার জন্য তাদেরকে জ্বালাতন করো না। তারা যদি গর্ভবতী হয়ে থাকে, তবে তারা সন্তান প্রসব না করা পর্যন্ত তাদের ব্যয়ভার বহন কর। অতঃপর তারা যদি তোমাদের সন্তানকে দুধ পান করায়, তবে তাদেরকে তাদের পারিশ্রমিক দাও। (দুধ পান করানোর ব্যাপারে) ন্যায়সঙ্গতভাবে নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করে লও। আর (দুধ পান করানোর ব্যাপার নিয়ে) তোমরা যদি একে অপরের প্রতি কড়াকড়ি করতেই থাক, তাহলে (এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য) অপর কোন স্ত্রীলোক সন্তানকে দুধ পান করাবে।
- আল-কোরআন,৬৫:৬
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
উইকিপিডিয়ায় ইসলামে স্তন্যদান সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।