ওমর আব্দুল্লাহ
অবয়ব
ওমর আব্দুল্লাহ (উচ্চারণⓘ; জন্ম ১০ মার্চ ১৯৭০) একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ যিনি বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পূর্বে ২০০৯ এবং ২০১৪ সালের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্সের বর্তমান সহ-সভাপতি, এই পদে তিনি ২০০৯ সাল থেকে অধিষ্ঠিত আছেন।
উক্তি
[সম্পাদনা]- আমি একজন মুসলিম এবং আমি একজন ভারতীয়, এবং আমি উভয়ের মধ্যে কোন পার্থক্য দেখতে পাই না। আমি জানি না কেন আমার পারমাণবিক চুক্তিকে ভয় করা উচিত। এটি দুটি দেশের মধ্যে একটি চুক্তি যা, আমি আশা করি, ভবিষ্যতে দুটি সমান হয়ে উঠবে। ভারতীয় মুসলমানদের শত্রু আমেরিকা বা এই জাতীয় চুক্তি নয়। শত্রুরা দরিদ্র সকলের শত্রুর মতোই - দারিদ্র্য, ক্ষুধা, উন্নয়নের অভাব এবং কোনও কণ্ঠস্বরের অনুপস্থিতি।
- ২২ জুলাই ২০০৮, লোক সভায়, গিব আস অ্যা ভয়েস, বলেছেন এনসির ওমর আবদুল্লাহ, নিজস্ব বাড়ীতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ২৩ জুলাই ২০০৮।
- কোনও বিচক্ষণ কাশ্মীরি ন্যায়বিচার পাননি। এখানে সংখ্যালঘুদের নিরাপদ করার জন্য আমাদের আরও বড় দায়িত্বের প্রয়োজন।
- দুর্ভাগ্যজনক বিষয় ছিল যে আফজল গুরুর ফাঁসির সাথে জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের কোনও সম্পর্ক ছিল না।" "অন্যথায়, রাজ্য সরকারের অনুমতি নিয়েই আপনাকে এটি করতে হত, যা আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে আসন্ন হত না। আমরা তা করতাম না। আমি বিশ্বাস করি না যে তাকে ফাঁসি দিয়ে কোনও উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে।
- ওমর আবদুল্লাহ, হিস ফ্যামিলি সফট অ্যাবাউট টেরোরিস্ট': আফজল গুরুর ফাঁসির বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ওমর আবদুল্লাহর উপর বিজেপির তীব্র নিন্দা, মিন্ট; নতুন দিল্লি, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- এই ফাঁসির বিরুদ্ধে কিছুটা ক্ষোভ রয়েছে। কিছু লোক আছে যারা তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক সুবিধার জন্য সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে এবং জনগণের অসুবিধা আরও বাড়াবে।আমরা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি এবং কিছু শহর ও জেলায় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। মকবুল ভাটের ক্ষেত্রে ভিন্ন, জম্মু ও কাশ্মীর সরকারকে আফজাল গুরুর মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা স্বাক্ষর করতে হয়নি কারণ রাজ্যে তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি।
- ওমর আবদুল্লাহ, পার্লামেন্ট টেরোর কনভিক্ট আফজাল গুরু হ্যাঙ্গড, মিন্ট; নতুন দিল্লি, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- এই ঘটনা গোটা দেশকে প্রভাবিত করেছে। আমরা অতীতেও অনেক হামলা দেখেছি। কিন্তু এমন বড় মাপের হামলা গত ২১ বছরে দেখা যায়নি বৈসরনে। আমি জানি না মৃতদের পরিবারের কাছে কী ভাবে ক্ষমা চাইব। আয়োজক হিসাবে পর্যটকদের নিরাপদে বাড়ি ফেরানো আমার কর্তব্য ছিল। কিন্তু আমি পারিনি। ক্ষমা চাওয়ার কোনও ভাষা আমার কাছে নেই, আদিল নিজের জীবনের কথা না-ভেবে অনেক পর্যটকের প্রাণ রক্ষা করেছেন। পালিয়ে যাওয়ার বদলে তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে পর্যটকদের রক্ষা করতে নিজের প্রাণ দিয়েছেন।
- দেশকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করতে চাইছেন মোদী। এমন সব মন্তব্য হচ্ছে, যাতে একে অপরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে বিভেদকে তুলে ধরে বিবাদ বাঁধানোর চেষ্টা চলছে। দেশের অন্যান্য জায়গায় ওরা বলে বেড়াচ্ছে, হিন্দুরা অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে। দেশে হিন্দু জনসংখ্যার হার ৮০ শতাংশ। আর মুসলিম মাত্র ১৪ শতাংশ। তাহলে ১৪ শতাংশ জনসংখ্যার কাছ থেকে কী ধরনের ভয় পাচ্ছে ওরা? আপনারা একটা প্রমাণ দেখান তো যেখানে কোনও মুসলিম তাঁর অধিকারের বাইরে কোনও বাড়তি সুবিধা চেয়েছেন? আমরা কোনওদিন আমাদের অধিকারের বাইরে কিছু চাইনি। ভারতের সংবিধানিক অধিকারের বাইরে কোনও মুসলিম বাড়তি সুবিধা চেয়েছেন দেখান আমাকে।
- কাশ্মীরের মানুষ যে রেগে গিয়েছে, তা তো স্বাভাবিক। স্থানীয় সংস্কৃতি এবং বাসিন্দাদের ভাবাবেগের কোনওরকম পরোয়া না করেই ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তা-ও আবার পবিত্র রমজান মাসে! কেন এবং কারা ওই ফ্যাশন শোয়ের আয়োজন করেছিলেন? তার অনুমতিই বা কে দিয়েছিল?
- আগেও বলেছি, আবার বলছি, ভারতের জোটশরিকদের এক সঙ্গে বসতে হবে, ভবিষ্যতের কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। এ ভাবে আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে তা দেশের জন্য ভাল হবে না।
- তিনি বলেছিলেন, আমরা পুরোপুরি সফল না হলেও সংসদে বিরোধী জোটকে অনেকটাই মজবুত করতে পেরেছি। এই পরিস্থিতিতে আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে তা ভাল হবে না।
তার সম্পর্কে
[সম্পাদনা]- এই ছবিতে আমি ওমরকে চিনতেই পারিনি। আমার ভীষণ খারাপ লাগছে। দুর্ভাগ্য আমাদের গণতান্ত্রিক দেশে এখন এটাই চলছে। এর শেষ কবে?
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
উইকিপিডিয়ায় ওমর আব্দুল্লাহ সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।