বিষয়বস্তুতে চলুন

কমলা হ্যারিস

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

কমলা দেবী হ্যারিস (ইংরেজী: Kamala Devi Harris), জন্মঃ ২০ অক্টোবর, ১৯৬৪ একজন আমেরিকান রাজনীতিবিদ এবং অ্যাটর্নি, যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৯তম ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি মার্কিন ইতিহাসে প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট, একই সাথে তিনি প্রথম আফ্রিকান আমেরিকান এবং প্রথম এশিয়ান আমেরিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট।[] তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির একজন সদস্য। তিনি ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর হিসেবে কাজ করেছেন। ২০২১ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে পরাজিত করে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

তুমি যেখানে বাস করো এবং তোমার আগে যা ঘটেছে তার সবকিছুর প্রেক্ষাপটেই তোমার অস্তিত্ব আছে।

উক্তি

[সম্পাদনা]
আমি তোমাদের বলছি বন্ধুরা, এখন সাধারণ সময় নয়। আর এখানে কোনো সাধারণ নির্বাচন হবে না। এটা আমাদের আমেরিকা
  • এই সমস্যাটি যতই অগ্রহণযোগ্য হোক না কেন -- আমি জানি আমরা এটি ঠিক করতে পারব। সান ফ্রান্সিসকোতে, আমরা স্কুল থেকে বেরিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের বাবা-মাকে মামলার হুমকি দিয়েছিলাম, এবং স্কুল থেকে বের হওয়ার হার ৩২ শতাংশ কমে গেছে। তাই, আমরা বাবা-মায়েদের নোটিশ দিচ্ছি
  • দেশজুড়ে ICE অভিযানের ফলে মায়েদের তাদের সন্তানদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। অভিযানগুলিতে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে,এগুলি ভয় ছড়াচ্ছে এবং জননিরাপত্তার ক্ষতি হচ্ছে। পরিবার ভেঙে ফেলা এবং বাচ্চাদের তাদের বাবা-মায়ের থেকে আলাদা করা ভুল। আমরা নির্মম না হয়েও আমেরিকাকে নিরাপদ রাখতে পারি। আমাদের আরও ভালো কাজ করতে পারি।
  • এটা নৈতিকভাবে ভুল, যখন আমরা সবাই খুশির সুরে গাইছি, 'মেরি ক্রিসমাস' এবং একে অপরকে 'মেরি ক্রিসমাস' এর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই বাচ্চারা মেরি ক্রিসমাস উদযাপন করতে পারবে না। 'মেরি ক্রিসমাস' বলার সাহস আমাদের কীভাবে হয়? আমাদের কীভাবে সাহস হয়? তাদের বড়দিনের আনন্দ হবে না, তারা জানে না যে তারা আর কয়েকদিন, সপ্তাহ বা মাসের মধ্যে এখানে থাকবে কিনা। ৫ সেপ্টেম্বর থেকে, ১২,০০০ এরও বেশি মানুষ তাদের স্ট্যাটাস হারিয়েছে... আর সেই কারণে, আমাদের এটা করতে হবে, এবং এই বছর শেষের আগেই এটা করতে হবে। জানুয়ারী নয়, ফেব্রুয়ারি নয়, মার্চ নয়, এখনই করতে হবে।
  • আমাদের জেগে থাকতে হবে। সবাইকেই জেগে থাকতে হবে। আর তুমি সবচেয়ে বেশি জেগে আছো নাকি শুধু জেগে আছো তা নিয়ে কথা বলতে পারো, কিন্তু কম জেগে থাকার চেয়ে বেশি জেগে থাকো।
তুমি কি তোমার চেহারা এবং শব্দ নিয়ে চিন্তিত হবে? না, কারণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তুমি কী জানো সেটা সবাইকে জানানো, কারণ তাদের জানা উচিত তুমি যা জানো।
  • টিকটক-এ বারবার প্রচারিত একটি ক্লিপে, হ্যারিস — যিনি বৃহস্পতিবার রাতে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিয়েছিলেন — কিশোর-কিশোরীদের একটি দলকে বলছেন যে ভয়কে জয় করার মূল চাবিকাঠি হল এটা বোঝা যে “এটা তোমার সম্পর্কে নয়।”
    বরং, সে বলে, কল্পনা করো তুমি টাইটানিক জাহাজে আছো এবং তুমিই একমাত্র ব্যক্তি যে জানো জাহাজটি ডুবে যেতে চলেছে।
    “তখন তুমি কি তোমার চেহারা এবং শব্দ নিয়ে চিন্তিত হবে? না, কারণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তুমি কী জানো সেটা সবাইকে জানানো, কারণ তাদের জানা উচিত তুমি যা জানো।” হ্যারিস বলেন।
    “তাই যখন তুমি তোমার বক্তৃতা দেবে, তখন তুমি জানো যা তোমাকে মানুষের সাথে ভাগ করে নিতে হবে, যা তাদের জানা দরকার।”

শীতকাল ২০১৯

[সম্পাদনা]
  • আন্টি মেরির পাশাপাশি আন্টি লেনোর ছিলেন আমার মায়ের সবচেয়ে কাছের বিশ্বাসী মানুষ।
    আমার মায়ের একজন পরামর্শদাতার স্মৃতিও আমি এখনও মনে করি।
    হাওয়ার্ড, একজন মেধাবী এন্ডোক্রিনোলজিস্ট যিনি তাকে তার তত্ত্বাবধানে রেখেছিলেন।
    আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন সে আমাকে একটা মুক্তোর হার দিয়েছিল, যেটা সে জাপান ভ্রমণ থেকে এনেছিল।
    (মুক্তা তখন থেকেই আমার প্রিয় গয়নাগুলির মধ্যে একটি।!)
  • আমি সবার জন্য মেডিকেয়ার, ইউনিভার্সাল প্রি-কে, ঋণমুক্ত কলেজ এবং আরও অনেক কিছুর জন্য লড়াই করতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।
  • কারোরই যৌনতা বা ত্বকের রঙের কারণে জীবনের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। আমাদের এই ঘৃণার মুখোমুখি হতে হবে।
২০২০ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা (২০১৯)
[সম্পাদনা]
আমরা এখানে এসেছি এই জেনে যে, আমরা আমাদের বিশ্বের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি। আমরা আমাদের দেশের ইতিহাসের এক মোড়বদলের সময়ে আছি। আমরা এখানে এসেছি কারণ আমেরিকান স্বপ্ন এবং আমাদের গণতন্ত্র আজ হুমকির মুখে—যেমনটা আগে কখনও হয়নি।
ওকল্যান্ড, ক্যালিফোর্নিয়া (২৭ জানুয়ারী ২০১৯)
  • আমরা এখানে এসেছি এই জেনে যে, আমরা আমাদের বিশ্বের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি। আমরা আমাদের দেশের ইতিহাসের এক মোড়বদলের সময়ে আছি। আমরা এখানে এসেছি কারণ আমেরিকান স্বপ্ন এবং আমাদের গণতন্ত্র আজ হুমকির মুখে—যেমনটা আগে কখনও হয়নি।
    আমরা এই মুহূর্তে এক মৌলিক প্রশ্নের জবাব খুঁজতে এসেছি: আমরা আসলে কারা? আমরা আমেরিকান হিসেবে কী?
    চলুন, আমরা এই প্রশ্নের জবাব দিই। সারা বিশ্বের কাছে, এবং একে অপরের কাছে—এই মুহূর্তেই, এখানেই।
    আমেরিকা, আমরা এর চেয়ে অনেক ভালো।
    যখন আমাদের নেতা মিথ্যা বলেন, ভয় দেখান, স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে আক্রমণ করেন, আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করে তোলেন—এটা আমাদের আমেরিকা নয়।
    যখন শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীরা শার্লটসভিলে মিছিল করে এবং হত্যাকাণ্ড চালায়, বা পিটসবার্গের এক উপাসনালয়ে নিরপরাধ উপাসকদের হত্যা করে—এটা আমাদের আমেরিকা নয়।
    যখন শিশুরা খাঁচায় বন্দি থাকে, মায়ের বা বাবার জন্য কাঁদে—তখন আপনি একে ‘সীমান্ত নিরাপত্তা’ বলতে পারেন না, এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন, এবং এটা আমাদের আমেরিকা নয়।
    যখন আমাদের নেতা সরকারি বিদ্যালয়গুলিকে আক্রমণ করে এবং শিক্ষককে অপমান করে—এটাও আমাদের আমেরিকা নয়।
    যখন ব্যাংকাররা, যারা আমাদের অর্থনীতি ধ্বংস করেছিল, বোনাস পায়, কিন্তু যারা কঠোর পরিশ্রম করে দেশকে ঘুরে দাঁড় করিয়েছে তারা ন্যায্য বেতনও পায় না—এটাও আমাদের আমেরিকা নয়।
    আর যখন আমেরিকান পরিবারগুলো কোনোভাবে মাস শেষ করে বাঁচে, তখন এই প্রশাসনের জবাব কী? তাদের উত্তর হলো—কোটি কোটি পরিবারের কাছ থেকে স্বাস্থ্যসেবা কেড়ে নেওয়া।
    তাদের উত্তর হলো—দেশের সবচেয়ে বড় কর্পোরেশনগুলিকে এক ট্রিলিয়ন ডলার দিয়ে দেওয়া।
    তাদের উত্তর হলো—আমাদের সব সমস্যার জন্য অভিবাসীদের দায়ী করা।
    এবং বন্ধুরা, আমাদের বুঝতে হবে আসলে কী ঘটছে: যারা ক্ষমতায় আছে তারা আমাদের বোঝাতে চাইছে যে আমেরিকার গল্পে খলনায়ক আসলে আমরাই একে অপরে। কিন্তু এটাই আমাদের সত্য নয়। আমরা এমন নই। এটা আমাদের আমেরিকা নয়।
    আমাদের "যুক্তরাষ্ট্র" মানে আমরা বনাম তারা নয়। এর মানে হলো—আমরা, জনগণ।

    এবং এই মুহূর্তে আমাদের সবাইকে সত্য বলতেই হবে।
    সত্যকে খুঁজে নিতে হবে, বলতে হবে, এবং সত্যের জন্য লড়াই করতে হবে।
  • আমি এমন একটি আমেরিকার জন্য লড়ব যেখানে আমরা আমাদের কথা রাখি, এবং আমাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করি। কারণ সেটাই আমাদের আমেরিকা। সেটাই সেই আমেরিকা, যেটিতে আমি বিশ্বাস করি।
    এবং সেটাই আমেরিকা, যেখানে আমরা সবাই বিশ্বাস করি।
    এই প্রচারণা শুরু করতে গিয়ে আমি আপনাদের একটি কথা বলতে চাই: আমি নিখুঁত নই। ঈশ্বর জানেন, আমি নিখুঁত নই। কিন্তু আমি সবসময় ভদ্রতা ও নৈতিক স্পষ্টতা বজায় রেখে কথা বলব এবং সবাইকে সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে আচরণ করব। আমি সততার সঙ্গে নেতৃত্ব দেব। আর আমি সত্য বলব।
    এবং হ্যাঁ, আমরা জানি—এটা সহজ হবে না বন্ধুরা। এটা সহজ হবে না।
  • অনেক বছর আগে রবার্ট কেনেডি বলেছিলেন, “শুধুমাত্র যারা ব্যর্থ হওয়ার সাহস রাখে, তারাই বড়কিছু অর্জনের আশা করতে পারে।”
    তিনি আরও বলেছিলেন, “আমি হালকাভাবে বলছি না যে, একজন বর্তমান প্রেসিডেন্টকে চ্যালেঞ্জ জানানো কঠিন নয় বা এতে ঝুঁকি নেই, কিন্তু এটি সাধারণ সময় নয় এবং এটি কোনো সাধারণ নির্বাচন নয়।” তিনি বলেছিলেন, “এখানে শুধু আমাদের দলের বা এমনকি দেশের নেতৃত্বই প্রশ্নের মুখে নেই। প্রশ্নের মুখে রয়েছে এই গ্রহের নৈতিক নেতৃত্বে আমাদের অধিকার।”
    তাই আজ আমি আপনাদের বলছি, বন্ধুরা—এটি সাধারণ সময় নয়। এবং এটি কোনো সাধারণ নির্বাচনও হবে না। কিন্তু এটিই আমাদের আমেরিকা।
    আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—এটা আমাদের উপর নির্ভর করছে।
    এটা আমাদের উপর। আমাদের প্রত্যেকের উপর।
    তাই চলুন মনে রাখি—এই লড়াইয়ে আমাদের আছে জনগণের শক্তি।
    আমরা আমাদের বাবা-মা আর দাদাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারি।
    আমরা আমাদের দেশকে সুস্থ করে তুলতে পারি।আমরা আমাদের সন্তানদের সেই ভবিষ্যৎ দিতে পারি, যা তারা প্রাপ্য।
    আমরা আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য আমেরিকান স্বপ্নকে পুনরুদ্ধার করতে পারি।আমরা এই পৃথিবীতে আমেরিকার নৈতিক নেতৃত্বকে আবার ফিরিয়ে আনতে পারি।
    তাহলে চলুন, আমরা এটা করি।
    আর একসাথে করি।
    এখনই শুরু করি।
    ধন্যবাদ। ঈশ্বর আপনাদের আশীর্বাদ করুন। এবং ঈশ্বর যুক্তরাষ্ট্রকে আশীর্বাদ করুন।

গ্রীষ্ম ২০১৯

[সম্পাদনা]
  • একটি HBCU-তে, একজন তরুণকে দেখানো হয় যে তারা যেকোনো কিছু হতে পারে।
    তুমি সংখ্যালঘু থেকে বেরিয়ে এসে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যাবে।
    সবকিছুই আপনাকে ঠিক তাই বলে যা Aretha (Franklin) আমাদের বলেছেন : তুমি তরুণ, প্রতিভাবান এবং কৃষ্ণাঙ্গ। তুমি যেমন আছো তেমনই আসতে পারো এবং যেমন হতে চাও তেমন ভাবেই চলে যেতে পারো। (জুন ২০০৯)
টুইটার (২৭ জুন ২০১৯)
[সম্পাদনা]
স্বাস্থ্যসেবা প্রতিটি আমেরিকানের অধিকার হওয়া উচিত, কেবল তাদের জন্য নয় যারা এটি বহন করতে সক্ষম। ট্রাম্পের অভিবাসী-বিরোধী এজেন্ডা এর থেকে আর স্পষ্ট হতে পারে না। সে পরিবারগুলোকে আলাদা করে দিয়েছে। শিশুদের খাঁচায় বন্দী করে রেখেছে। তার সীমান্ত প্রাচীরের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করার চেষ্টা করেছে, যা একটি অসার প্রকল্প ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা আমাদের মূল্যবোধের প্রতিফলন নয় এবং এর অবসান ঘটাতে হবে।
  • ক্যালিফোর্নিয়ায় একটা ছোট্ট মেয়ে ছিল যে বাসে করে স্কুলে যেত। সেই ছোট্ট মেয়েটি ছিলাম আমি। #DemDebate
  • এই নির্বাচন আপনার, আপনার আশা, আপনার স্বপ্ন, আপনার ভয় এবং ভোর ৩টায় আপনাকে যে চিন্তা জাগিয়ে তোলে তার সম্পর্কে। এটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং এর জন্যই আমি লড়াই করছি।
  • রাত জাগিয়ে রাখে যে সমস্যাগুলো, তার সমাধান করতে চাই, আমি যাকে বলি ভোর ৩টার এজেন্ডা। এর অর্থ হলো আমেরিকানদের বেতন বৃদ্ধি করা, নারীদের কাজের জন্য সমান বেতন দেওয়া, আবাসন সাশ্রয়ী করা এবং আমাদের শিক্ষকদের তাদের মূল্য পরিশোধ করা।
  • আমাদের একজন রাষ্ট্রপতি আছেন যিনি কল্পবিজ্ঞান-এ বিশ্বাস করেন। আমি বিজ্ঞান-তথ্য বিশ্বাস করি। জলবায়ু পরিবর্তন বাস্তব এবং আমরা একটি জলবায়ু সংকটের মধ্যে আছি। আমাদের একটি #GreenNewDeal দরকার এবং রাষ্ট্রপতি হিসেবে, প্রথম দিনেই, আমেরিকা প্যারিস চুক্তি-তে পুনরায় যোগ দেবে।
  • স্বাস্থ্যসেবা প্রতিটি আমেরিকানের অধিকার হওয়া উচিত, কেবল তাদের জন্য নয় যারা এটি বহন করতে সক্ষম। ট্রাম্পের অভিবাসী-বিরোধী এজেন্ডা এর থেকে আর স্পষ্ট হতে পারে না। সে পরিবারগুলোকে আলাদা করে দিয়েছে। শিশুদের খাঁচায় বন্দী করে রেখেছে। তার সীমান্ত প্রাচীরের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করার চেষ্টা করেছে, যা একটি অসার প্রকল্প ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা আমাদের মূল্যবোধের প্রতিফলন নয় এবং এর অবসান ঘটাতে হবে। #DemDebate
  • রাষ্ট্রপতি হিসেবে, আমি অবিলম্বে DACA পুনঃস্থাপন ও সম্প্রসারণ করব এবং ড্রিমারদের নাগরিকত্বের পথ প্রদানের জন্য নির্বাহী পদক্ষেপ নেব। আমরা ড্রিমার এবং তাদের পরিবারের কাছে কাজ করার জন্য ঋণী।
  • কোনও বাবা-মায়েরই তাদের সন্তান অসুস্থ বলে নিঃস্ব হওয়ার দুশ্চিন্তা করা উচিত নয়। এজন্যই আমাদের সবার জন্য মেডিকেয়ার প্রয়োজন। #DemDebate

শরৎ ২০১৯

[সম্পাদনা]
  • তারা [এল পাসোর লোকেরা] বলল, 'আপনারা কি মনে করেন যা ঘটেছে তার জন্য ট্রাম্প দায়ী?' আর আমি বললাম, 'দেখো। স্পষ্টতই সে ট্রিগারটি টেনে দেয়নি, কিন্তু সে অবশ্যই গোলাবারুদটির ব্যবস্থা করছে।'
  • এইযে অন্যজন এখানে।
    • 21 November 2019 after Joe Biden described Carol Mosley Braun as "the only bl– African-American woman that ever been elected to the United States Senate"
      • (জবাবে, বাইডেন উত্তর দিলেন "আমি প্রথম বলেছিলাম")

ফেব্রুয়ারী ২০২০

[সম্পাদনা]
  • আমার মা আমার বোন মায়া এবং আমাকে শক্তিশালী, কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে মানুষ করার ব্যাপারে খুব নিশ্চিত ছিলেন। তিনি তার নাগরিক কর্তব্য এবং নির্ভীকতার শিক্ষাকে কর্মের সাথে সংযুক্ত করেছিলেন, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল বৃহস্পতিবার রাতে আমাদের বাড়ির কাছে একটি কৃষ্ণাঙ্গ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রেইনবো সাইনে নিয়ে যাওয়া।
  • আমার পরিচিত এমন কোনও কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ নেই, সে আত্মীয়, বন্ধু, অথবা সহকর্মী হোক না কেন, যিনি কোনও ধরণের প্রোফাইলিং বা বৈষম্যের শিকার হননি।

এপ্রিল ২০২০

[সম্পাদনা]
  • অনেকেই ভোটদানের ঐতিহ্যকে উপভোগ করেন, এবং আমি তা পুরোপুরি বুঝি—বিশেষ করে তাদের জন্য, যাদের ইতিহাসে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল—আফ্রিকান আমেরিকান, নারী... এদের অনেকেই জানেন, মানুষ এই ভোটাধিকার পাওয়ার জন্য লড়েছেন, প্রাণ দিয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন।
    আমাদের এখন এমন নতুন পদ্ধতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে যা ভোট দেওয়া আরও সহজ করে তোলে, কারণ প্রকৃত দেশপ্রেমের সবচেয়ে বড় অভিব্যক্তি, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো—ভোট দেওয়া।
    এটা সম্ভব। আর আমি মনে করি, সঙ্কটের এই মুহূর্তগুলো আমাদের সাহস ও উৎসাহ দেয় নতুন কিছু চেষ্টা করার, যা হয়তো আমাদের আগের পদ্ধতির চেয়েও ভালো হতে পারে।
    • কমলা হ্যারিসের নির্বাচন বাঁচানোর পরিকল্পনা, জামিল স্মিথের লেখা, রোলিং স্টোন, (১৬ এপ্রিল ২০২০)
  • আমাদের মধ্যে যারা জনগণের কার্যালয়ে নেতৃত্বের ভূমিকা গ্রহণ করি — নির্বাচিত হই, নিয়োগপ্রাপ্ত হই, বা যেভাবেই এখানে এসে পৌঁছাই — এই মুহূর্তে সেটি এই দায়িত্বগুলোর গুরুত্বকে তুলে ধরে, যেগুলো জনগণের আস্থার ওপর প্রতিষ্ঠিত। আর এর মানে হলো, এই কার্যালয়গুলোর যে ক্ষমতা থাকে, তা এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে যেন তা জনগণের কল্যাণে, জনগণের সেবা করার জন্য, এবং তাদের প্রয়োজনের সঙ্গে সংযোগ রাখে। মানুষের অবস্থাকে উন্নত করা, মানসিকভাবে তাদের উত্তরণ ঘটানো, তাদের মনোবল বাড়ানো — এমনকি সহানুভূতির মনোভাব রাখা ও তাদের কষ্ট বোঝা, এবং সেই কষ্ট লাঘবে নিজের দায়িত্ববোধ থেকে কিছু করার ইচ্ছা থাকা — এসবই এর অন্তর্ভুক্ত।

আগস্ট ২০২০

[সম্পাদনা]
  • নির্বাচিত পদে কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিনিধিত্ব কম ছিল এবং নভেম্বরে আমাদের কাছে এটি পরিবর্তন করার সুযোগ রয়েছে। আসুন কাজে নেমে পড়ি।
  • সিভিল রাইটস বা নাগরিক অধিকার আন্দোলন জো বাইডেনের জন্য নতুন কিছু নয়। এই কারণেই তিনি জনসেবায় এসেছিলেন। এই কারণেই তিনি ভোটাধিকার আইন পুনরায় অনুমোদনে সাহায্য করেছিলেন এবং বেকারত্ব ও কর্মসংস্থানে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আইন পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রেখেছিলেন। এবং আজ, তিনি আমেরিকার সাম্য ও ন্যায়ের দিকে এগিয়ে চলার চলমান ইতিহাসে নিজের অবস্থান নিচ্ছেন— একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে, যিনি প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ রাষ্ট্রপতির পাশে থেকে কাজ করেছেন এবং প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারীকে নিজের সহপ্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
  • জ্যাকব ব্লেক: দিনের আলোয়, তার তিন ছোট ছেলের সামনে, পেছন থেকে তাকে সাতবার গুলি করা হয়।
    সাতবার, পেছন থেকে, দিনের আলোয়, তার তিন ছোট ছেলের সামনে।
    যেমনটা ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছিলেন, মি. ব্লেকের ওপর চালানো গুলির সেই শব্দ আমাদের জাতির আত্মায় বিদ্ধ হয়েছিল।
    এটি দেখে মন বিষণ্ন হয়ে যায়। এটা খুবই পরিচিত দৃশ্য। এবং এটা বন্ধ হতে হবে।
    সৌভাগ্যক্রমে, তিনি এখনো বেঁচে আছেন। কিন্তু তিনি জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন—যা তার করা কথা ছিল না।

অক্টোবর ২০২০

[সম্পাদনা]
  • অর্থনীতির বিষয়ে, আমি মনে করি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জো বাইডেনের মধ্যে এর চেয়ে বড় মৌলিক পার্থক্য আর হতে পারে না। জো বাইডেন বিশ্বাস করেন, আমেরিকার অর্থনীতির সুস্থতা ও শক্তিমত্তা মাপা উচিত আমেরিকান শ্রমিক ও আমেরিকান পরিবারের সুস্থতা ও শক্তিমত্তার উপর ভিত্তি করে। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প অর্থনীতির শক্তি মাপেন ধনী লোকেরা কেমন আছেন তার উপর ভিত্তি করে। সে কারণেই তিনি এমন একটি কর আইন পাশ করিয়েছিলেন যা শীর্ষ ১% ধনী ও আমেরিকার সবচেয়ে বড় কর্পোরেশনগুলোর উপকারে এসেছে, যার ফলে তৈরি হয়েছে ২ ট্রিলিয়ন ডলারের ঘাটতি — যা আমেরিকান জনগণকেই বহন করতে হবে। জো বাইডেন প্রথম দিনেই সেই কর আইন বাতিল করবেন। তিনি সেটা বাদ দেবেন। আর সেই টাকাটা তিনি আমেরিকান জনগণের ওপর বিনিয়োগ করবেন...
  • আমেরিকার জনগণ জানে আমি কী বলতে চাইছি। আপনারাও জানেন। আমি বিশ বছর বয়সীদের কথা ভাবছি — আমাদেরও একজন বিশ বছরের মতো তরুণ আছে — যারা এখন হাইস্কুল ও কলেজ থেকে বেরিয়ে আসছে, আর ভাবছে, "আমার জন্য কোনো চাকরি থাকবে তো?" আমরা এমন মানুষদের দেখছি, যারা চিন্তিত যে মাসের শেষে কীভাবে ভাড়া মেটাবে। প্রায় অর্ধেক আমেরিকান ভাড়াটিয়াই উদ্বিগ্ন যে তারা মাসের শেষে ভাড়া দিতে পারবে কিনা। আমেরিকায় এখন অর্থনীতির অবস্থা এমনই। আর এর কারণ হলো এই প্রশাসনের নেতৃত্বের ব্যর্থতা ও বিপর্যয়।

ডিসেম্বর ২০২০

[সম্পাদনা]

জানুয়ারী ২০২১

[সম্পাদনা]
  • জলবায়ু পরিবর্তনের মূলে থাকা বিজ্ঞান কোনও প্রতারণা নয়। COVID-19 এর মূলে থাকা বিজ্ঞান পক্ষপাতমূলক নয়। আর নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন এবং আমি কেবল বিজ্ঞানের কথা শুনব না - আমরা এই বিষয়ে এবং পরবর্তী প্রজন্মের বিজ্ঞানীদের জন্য বিনিয়োগ করব।

ফেব্রুয়ারী ২০২১

[সম্পাদনা]
  • আমাদের অর্থনীতি পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করা যাবে না যদি না নারীরা পুরোপুরি অংশগ্রহণ করতে পারে। আমি বিশ্বাস করি, আমি মনে করি আমরা সবাই বিশ্বাস করি, এটি একটি জাতীয় সমস্যা। — এই সংখ্যায় নারীদের কর্মক্ষেত্র ত্যাগ করা একটি জাতীয় সমস্যা, যার জন্য জাতীয় সমাধানের প্রয়োজন।

মে ২০২১

[সম্পাদনা]

জুন ২০২১

[সম্পাদনা]

জানুয়ারী ২০২২

[সম্পাদনা]
  • এখন সময় এসেছে আমাদের সেই কাজগুলো করার, যা আমরা করে আসছি প্রতিটি দিন। প্রতিদিনই সময় এসেছে এই ব্যাপারে একমত হওয়ার যে আমাদের হাতে কিছু উপায় ও সরঞ্জাম আছে, যেগুলো ব্যবহার করে আমরা এই বিষয়টির গতি কমাতে পারি।
    এবং এখনো আমরা জানি, এখনও লাখ লাখ আমেরিকান আছেন যারা এখনো টিকা নেননি, অথচ তারা টিকা নিতে পারেন — এবং আমরা তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা টিকা নেন, কারণ এটা তাদের জীবন বাঁচাতে পারে।
  • আমাদের কাছে বিশ হাজারটি স্থানে ফ্রি টেস্টিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে, যেখানে মানুষ যেতে পারে। আমি সবাইকে অনুরোধ করছি—আপনি গুগল বা যেকোনো সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে খুঁজে দেখতে পারেন, কোথায় কোথায় এই ফ্রি টেস্টিং সাইটগুলো উপলব্ধ রয়েছে।
  • যদি আপনি জানতে চান কীভাবে শহরের অন্য প্রান্তে শোনা কোনো ভালো রেস্টুরেন্টে যেতে পারবেন —তাহলে সাধারণত আপনি গুগলে খোঁজেন সেটা কোথায়।
    সুতরাং, সহজভাবে বললে, এটা হলো মানুষকে একটি উপায় দেওয়া, যাতে তারা তাদের প্রয়োজনীয় কিছু খুঁজে পেতে পারে।

ফেব্রুয়ারী ২০২২

[সম্পাদনা]
  • তাহলে এই প্রেক্ষাপটে বলা যায় যে জানালাটি এখনো খোলা আছে, যদিও সেটি ক্রমশ সঙ্কুচিত হচ্ছে—তবুও কূটনৈতিক পথ এখনো উন্মুক্ত আছে। এই প্রেক্ষাপটে আমরা বিশ্বাস করি যে প্রতিরোধমূলক প্রভাব বা deterrence effect-এর একটি যথেষ্ট মূল্য ও গুরুত্ব রয়েছে।
    • যখন জিজ্ঞাসা করা হয় in Munich রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুতিনের ইউক্রেনে কথিত অগ্রগতি রোধ করবে কিনা (২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২)

মার্চ ২০২২

[সম্পাদনা]
  • আমরা এটাও স্বীকার করি যে, যেমনটি যুক্তরাষ্ট্রে হয়েছে, জ্যামিকার ক্ষেত্রেও মহামারি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছে, যার প্রভাব অর্থনৈতিক দিক থেকে গভীরভাবে পড়েছে। সেই প্রেক্ষিতে, আজ আমরা ঘোষণা করছি যে, আমরা জ্যামিকাকে কোভিড পুনরুদ্ধারে সহায়তা করব — জ্যামিকার পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তা করব, যেগুলো আমি বিশ্বাস করি কেবল জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেই নয়, বরং অর্থনীতিকেও শক্তিশালী করার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
  • তাহলে আমি এটা বলতে চাই: এটি একটি বিষয় যা জোসি আসলে গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেছিলেন — এই বিষয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে। গভর্নর আর আমি এবং আমরা সবাই এখানকার গ্রন্থাগার ঘুরে দেখছিলাম এবং সময়ের অতিক্রমণের তাৎপর্য নিয়ে কথা বলছিলাম। ঠিক আছে? সময়ের অতিক্রমণের গুরুত্ব।
    তাই যখন আপনি এটা ভাবেন, তখন দেখবেন, এই তারগুলো বসানো, এই চাকরিগুলো তৈরি করার জন্য আমাদের যা কিছু করতে হবে, সেই প্রক্রিয়ায় সময়ের অতিক্রমণের একটি বড় তাৎপর্য আছে। আর যখন আমরা আমাদের সন্তানদের প্রতিদিনকার জীবন নিয়ে ভাবি, তখনও সময়ের অতিক্রমণের বিশাল গুরুত্ব রয়েছে — কারণ সেটিই নির্ধারণ করে দেয় আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ, নির্ভর করে তারা তাদের ঈশ্বরপ্রদত্ত প্রতিভা বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ পাচ্ছে কি না তার উপর।
    • সাশ্রয়ী মূল্যের ব্রডব্যান্ড অ্যাক্সেস সম্পর্কে মন্তব্য, ২১ মার্চ, ২০২২

এপ্রিল ২০২২

[সম্পাদনা]
  • তাই আমি এখানে আছি কারণ এটি মিসিসিপি ডেল্টার একটি সম্প্রদায় যা আমেরিকার ইতিহাসের সাথে একটি দীর্ঘ সময় ধরে যুক্ত, যার মধ্যে রয়েছে এদের উদ্দেশ্যে পূরণ করা উচিত এমন চাহিদাগুলিও।

মে ২০২২

[সম্পাদনা]
“মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা সম্পর্কে ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিসের মন্তব্য” (২৩ মে, ২০২২)
[সম্পাদনা]

“Remarks by Vice President Harris on Mental Health and Wellness”, Whitehouse.gov, (May 23, 2022)

  • আমি বিশ্বাস করি, আপনারা যারা এই কমিউনিটির এবং আমাদের দেশের শিশু ও পরিবারগুলোর জন্য কাজ করেন, আপনাদের কাজ সত্যিই অসাধারণ।
    এই হাসপাতালে যারা আসেন, তাদের অনেকের জন্য এটি জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়গুলোর একটি।
    আর চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য স্টাফ হিসেবে, আপনারা শুধু জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসা দেন না, বরং এমন এক সময়ে সান্ত্বনাও দেন যখন তা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়।
    আমি সত্যিই বিশ্বাস করি, আপনাদের সহানুভূতি অনেক সময় অন্ধকারের মধ্যে একটুকু আলো হয়ে ওঠে। আপনারা আপনার রোগীদের যত্ন নেন তাদের সবচেয়ে প্রয়োজনের সময়ে—আর এই কারণেই আমি এখানে এসেছি, আপনাদের বলতে: আমাদের আরও ভালোভাবে আপনাদের যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব আছে।
  • কোভিড-১৯ মহামারি, স্বাভাবিকভাবেই, আমাদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় কর্মরতদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি নতুন করে মনোযোগ এনেছে। এই শেষ দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা আপনাদের কাছে অনেক কিছু চেয়েছি।
    আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ মৃত্যুপথযাত্রী রোগীদের হাতে হাত রেখেছেন তাঁদের প্রিয়জনদের পক্ষ থেকে।
    আপনারা সবাই নিরলসভাবে কাজ করেছেন, তখনও যখন আমরা জানতাম না কোভিড-১৯ কীভাবে ছড়ায় বা এটি শরীরে কী প্রভাব ফেলে। এমনকি যখন আপনারা টিকা পাননি, বা প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জামও হাতে ছিল না — তবু আপনারা দিন-রাত এই কাজ করে গেছেন।
    আপনারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়েছেন জানালাহীন ঘরে, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে না পেরে, বা কেবলমাত্র খুব অল্প কিছু মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছেন, যারা সত্যিই বুঝতে পেরেছে আপনি কী পার করছেন। তবুও, আপনারা সেই কাজ করে গেছেন।
    তাই আমি বিশ্বাস করি, এখন এক জরুরি প্রয়োজন দেখা দিয়েছে — এই সবকিছুর মোকাবিলা করা এবং এর ফলাফলগুলোকে গুরুত্ব সহকারে দেখা: সেই চাপ, ক্লান্তি, আর মানসিক স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ, যেগুলো আপনারা সম্প্রতি মহামারির কারণে ভোগ করেছেন।


  • এই বার্নআউট বা মানসিক ধকলের সমস্যা আসলে মহামারির আগেও ছিল। আমি এখানে উপস্থিত ইউনিয়নগুলোর কথা বিশেষভাবে স্বীকার করতে চাই এবং তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, কারণ তারা এই বিষয়টিতে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দিয়েছে ও কণ্ঠস্বর তুলেছে।
    আপনারা জানেন, “বার্নআউট” শব্দটি প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল ১৯৭০-এর দশকে এক মনোবিজ্ঞানীর দ্বারা, যিনি নিজের মানসিক প্রভাবগুলো বর্ণনা করতে গিয়ে এটি ব্যবহার করেছিলেন—তাঁর ক্লিনিকে কাজ করার সময় তিনি যেসব অভিজ্ঞতা পেয়েছিলেন, তার প্রেক্ষিতে।
    মানুষকে সাহায্য করার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করা নিঃসন্দেহে এক মহৎ সিদ্ধান্ত। কিন্তু প্রায়শই এই সিদ্ধান্তের জন্য আপনাকে নিজেকে অনেক বেশি ত্যাগ করতে হয়।
    ২০১৯ সালে, সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি বলেছিলেন যে তারা বার্নআউট অনুভব করেছেন। আর এটা ছিল মহামারিরও আগে।
    আপনারা প্রত্যেকে অসম্ভব পরিস্থিতির মধ্যে জীবন বাঁচানোর জন্য বিশাল ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এই কারণেই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও আমি চেষ্টা করছি মানসিক স্বাস্থ্য কীভাবে বোঝা হয়, গ্রহণ করা হয় এবং চিকিৎসা করা হয়—এই সবকিছুর একটি রূপান্তর ঘটাতে, বিশেষ করে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য।
    আপনারা মানসিক স্বাস্থ্যসেবার যে প্রয়োজন, তার পূর্ণ অধিকার রাখেন। যখন আপনি মানসিক চাপে ভুগছেন, তখন সহায়তা ও বোঝাপড়ার অধিকার আপনাদের রয়েছে। আর আপনাদের এমন কর্মপরিবেশ প্রাপ্য, যা আপনাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে।
  • দেখুন, আসল কথা হলো এটা—মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়ে ভাবার একটি উপায় হতে পারে যেমন: যদি আপনি এমন কাউকে চিনতেন যার হাত ভেঙেছে, আপনি নিশ্চয়ই তাকে সাহায্য করতেন। আপনি নিশ্চিত করতেন সে যেন হাসপাতালে গিয়ে প্লাস্টার করাতে পারে। আর সে যখন বাড়ি ফিরত—বা ফেরার পথে—আপনি সম্ভবত তার জন্য দরজা খুলে দিতেন, তাকে সাহায্য করতেন যাতে সে ব্যথার সময়টুকু পার করে সেরে উঠতে পারে।
    আমাদেরও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে একইরকমভাবে আচরণ করতে হবে। আমি মনে করি, অনেক বেশি সময় ধরে আমাদের ব্যবস্থা এই বিষয়ের গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা যখন স্বাস্থ্যসেবার কথা ভাবি, তখন অনেক সময় এমন আচরণ করি যেন শরীরটা শুধু গলা থেকে নিচেই শুরু হয়, কিন্তু এটা বোঝা দরকার যে আমাদের গলা থেকে ওপরের দিক—অর্থাৎ মানসিক স্বাস্থ্য—নিয়েও সমানভাবে যত্ন নিতে হবে।
    তাই যদি আপনি কোনো মানসিক কষ্টে ভুগে থাকেন, দয়া করে জানবেন আপনি একা নন, আপনাকে দেখা হচ্ছে, এবং আপনি যেই সাহায্য পাওয়ার আশা করেন, এবং যেটার প্রয়োজন আপনার—আপনি সেটার যোগ্য।
    প্রেসিডেন্ট এবং আমি কাজ করছি যেন প্রতিটি আমেরিকান মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশাধিকার পায়, কারণ সবাই এমন সহায়তা পাওয়ার অধিকার রাখে যা তাদের উন্নতির জন্য প্রয়োজন।

জুন ২০২২

[সম্পাদনা]
  • সুতরাং, "জবাবদিহিতা থাকা উচিত" বলা এক কথা, কিন্তু যখন আমরা খারাপ কর্মকর্তা এবং খারাপ কাজের উপর ভিত্তি করে "জবাবদিহিতা" সম্পর্কে চিন্তা করি এবং সংজ্ঞায়িত করি, আমাদের বিচার ব্যবস্থার একটি অংশ আমাদের বলে যে, হ্যাঁ, এর গুরুতর, দ্রুত এবং কঠোর পরিণতি হওয়া উচিত, কিন্তু আমাদের অবশ্যই তাদের দিকে তাকাতে হবে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং জিজ্ঞাসা করতে হবে, "আমরা কি তাদের সেই ক্ষতি থেকে পুনরুদ্ধারের সুযোগ দেওয়ার জন্য যথেষ্ট করছি?"

জুলাই ২০২২

[সম্পাদনা]
  • আমার মনে হয়, আপনার সাথে খুব সৎভাবে কথা বলতে গেলে, আমি - আমি বিশ্বাস করি যে আমাদের সঠিকভাবে বিশ্বাস করা উচিত ছিল, তবে আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করেছি যে কিছু বিষয় সবেমাত্র নিষ্পত্তি হয়েছে। কিছু সমস্যা সমাধান করা হয়েছে।
  • আমি কমলা হ্যারিস, আমার সর্বনাম হল সে(স্ত্রী) এবং তার, এবং আমি টেবিলে বসে থাকা নীল স্যুট পরা একজন মহিলা।
    • [১] ক্যাটলিন ক্যারেল, ডেইলিমেইল, (২৬ জুলাই ২০২২)

মার্চ ২০২৩

[সম্পাদনা]

মে ২০২৩

[সম্পাদনা]
আমার মা মাঝে মাঝে আমাদের কড়া কথা শোনাতেন, আর বলতেন, “আমি বুঝি না, তোমাদের এই তরুণ প্রজন্মের কী হয়েছে। তোমরা ভাবো বুঝি, নারকেল গাছ থেকে হঠাৎ করে তোমরা পড়েছ? ~ ১০ মে ২০২৩
যখন ছোট শিশুরা তাদের মতো দেখতে কাউকে দেখে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখে, তারা নিজেদেরকে দেখে এবং তারা পরে কী হতে পারে তা দেখে
  • আমার মা মাঝে মাঝে আমাদের কড়া কথা শোনাতেন, আর বলতেন, “আমি বুঝি না, তোমাদের এই তরুণ প্রজন্মের কী হয়েছে। তোমরা ভাবো বুঝি, নারকেল গাছ থেকে হঠাৎ করে তোমরা পড়েছ?” (হাসি) তুমি এমন এক প্রেক্ষাপটে আছো, যা তোমার চারপাশের সবকিছুর সঙ্গে জড়িত—এবং তোমার আগের যাদের অস্তিত্ব ছিল, তাদের সঙ্গেও।

জুলাই ২০২৩

[সম্পাদনা]

অক্টোবর ২০২৩

[সম্পাদনা]
  • একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, হামাস, একটি কনসার্টে শত শত তরুণ-তরুণীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। অধিকাংশ অনুমান অনুযায়ী কমপক্ষে ১৪০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে—এ নিয়ে কোনো প্রশ্নই নেই। তবে, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে হামাস ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে যেন গুলিয়ে ফেলা না হয়। ফিলিস্তিনিদেরও নিরাপত্তা, আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং মর্যাদার সমান অধিকার প্রাপ্য।আমরা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলেছি যে যুদ্ধের নিয়ম-কানুন মেনে চলা আবশ্যক এবং মানবিক সাহায্য যেন প্রবাহিত হতে পারে, তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

ডিসেম্বর ২০২৩

[সম্পাদনা]
  • ছোটবেলায়, কোয়ানজা সবসময়ই আমাদের সংস্কৃতি, সম্প্রদায় এবং পরিবার উদযাপনের জন্য এক বিশেষ সময় ছিল।

ফেব্রুয়ারী ২০২৪

[সম্পাদনা]
বিচ্ছিন্নতা কোনও অন্তরকতা নয়। আসলে আমেরিকা যখন নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে, তখন হুমকি কেবল বেড়েছে।

জুলাই ২০২৪

[সম্পাদনা]
গত এক বছর ধরে, আমি দেশ ভ্রমণ করেছি, আমেরিকানদের সাথে এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে স্পষ্ট পছন্দ সম্পর্কে কথা বলেছি। এবং আগামী দিন এবং সপ্তাহগুলিতে আমি এটাই করে যাব। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি - এবং আমাদের জাতিকে একত্রিত করার জন্য আমি আমার ক্ষমতার অধীনে থাকা সবকিছু করব - ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার চরম Project 2025 এজেন্ডাকে পরাজিত করার জন্য।
জো বাইডেনের ২০২৪ সালের নির্বাচন থেকে সরে আসার পরের মন্তব্য (২১ জুলাই ২০২৪)
[সম্পাদনা]
এক্স/টুইটার-এ বিবৃতি (২১ জুলাই ২০২৪) · cited in ""বাইডেন দৌড় থেকে সরে আসার পর কমলা হ্যারিস বলেছেন যে তিনি 'এই মনোনয়ন অর্জন এবং জিততে' চান", অ্যাডাম চিটউড, দ্য র‍্যাপ-এ (২১ জুলাই ২০২৪) · এছাড়াও উদ্ধৃত "কমলা হ্যারিসের পছন্দের হিসেবে আবির্ভাব, ডেমোক্র্যাটরা নতুন কৌশলের জন্য তাড়াহুড়ো করছে", দ্য গার্ডিয়ান (২২ জুলাই ২০২৪)
  • আমেরিকান জনগণের পক্ষ থেকে আমি জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানাই, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার অসাধারণ নেতৃত্বের জন্য এবং আমাদের দেশের প্রতি তার কয়েক দশকের নিষ্ঠাবান সেবার জন্য। তার অসাধারণ কৃতিত্বের ধারা আধুনিক আমেরিকান ইতিহাসে অতুলনীয়—এমনকি এমন অনেক প্রেসিডেন্ট, যারা দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের চেয়েও এগিয়ে।
    তার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আমার জন্য এক গর্বের বিষয়, এবং আমি প্রেসিডেন্ট, ড. বাইডেন ও পুরো বাইডেন পরিবারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
    আমি প্রথম জো বাইডেনকে চিনতে শুরু করি তার ছেলে বো বাইডেনের মাধ্যমে। আমরা নিজ নিজ রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে একসঙ্গে কাজ করতাম এবং আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।
    আমাদের কাজের সময় বো প্রায়ই তার বাবার গল্প বলত—তিনি বাবা হিসেবে কেমন ছিলেন এবং কেমন মানুষ ছিলেন।
    বো যেসব গুণকে তার বাবার মধ্যে শ্রদ্ধাভরে দেখত—ঠিক সেই গুণাবলি, সেই মূল্যবোধ আমি প্রতিদিন জো বাইডেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নেতৃত্বের মধ্যে দেখতে পাই: তার সততা ও নৈতিকতা, তার উদার হৃদয় ও বিশ্বাস এবং পরিবারের প্রতি তার অঙ্গীকার, এবং আমাদের দেশ ও জনগণের প্রতি তার নিঃস্বার্থ ভালোবাসা।
  • এই নিঃস্বার্থ ও দেশপ্রেমমূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট বাইডেন আবারও প্রমাণ করলেন, তিনি সারাজীবন যেভাবে দেশের সেবা করে গেছেন, সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন—সবকিছুর ঊর্ধ্বে রেখে আমেরিকান জনগণ ও আমাদের দেশকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
    প্রেসিডেন্টের সমর্থন পাওয়া আমার জন্য এক গর্বের বিষয়, এবং আমার লক্ষ্য হলো এই মনোনয়ন প্রাপ্তির যোগ্যতা অর্জন ও তা জেতা।
    গত এক বছরে আমি সারা দেশে ভ্রমণ করেছি, আমেরিকানদের সঙ্গে কথা বলেছি এই ঐতিহাসিক নির্বাচনে স্পষ্ট একটি পছন্দের বিষয়ে।
    আগামী দিন ও সপ্তাহগুলোতেও আমি এই কাজই করে যাব। আমি সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করব ডেমোক্রেটিক পার্টিকে ঐক্যবদ্ধ করতে — এবং জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে — ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার চরমপন্থী "প্রজেক্ট ২০২৫" এজেন্ডাকে পরাজিত করার জন্য।
    নির্বাচন দিবস পর্যন্ত আমাদের হাতে রয়েছে ১০৭ দিন। আমরা একসঙ্গে লড়ব। এবং একসঙ্গে বিজয় অর্জন করব।

আগস্ট ২০২৪

[সম্পাদনা]
  • They are directly speaking to millions and millions of people without any level of oversight or regulation. And that has to stop.
ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনে মূল ভাষণ (২২ আগস্ট ২০২৪)
[সম্পাদনা]
ডেমোক্র্যাটিক নেশন কনভেনশনে মূল ভাষণ (২২ আগস্ট ২০২৪) · PBS Video
  • আমার মা ছিলেন একজন অসাধারণ, পাঁচ ফুট লম্বা বাদামী রঙের নারী, যাঁর কথা বলার ধরনে ছিল একটি উচ্চারণ স্পষ্ট ছিল। আর আমি যেহেতু বড় মেয়ে ছিলাম... আমি দেখেছি, এই পৃথিবী কখনো কখনো তাঁর সাথে কীভাবে ব্যবহার করেছে। কিন্তু আমার মা কখনো ধৈর্য হারাননি। তিনি ছিলেন দৃঢ়, সাহসী, নারীদের স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে আন্দোলনের একজন পথিকৃৎ। তিনি আমাকে ও মায়াকে একটি শিক্ষা দিয়েছিলেন—যেটি মিশেলও অন্য রাতে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি আমাদের শিখিয়েছিলেন, অন্যায়ের অভিযোগ করে বসে থেকো না, বরং কিছু একটা করো। কিছু একটা করো।
  • আমি বিশ্বাস করি, প্রত্যেকেরই নিরাপত্তা, মর্যাদা এবং ন্যায়বিচারের অধিকার আছে।
    একজন সরকারি উকিল হিসেবে যখন আমার কোনো মামলা থাকত, আমি তা দায়ের করতাম কেবল ভুক্তভোগীর পক্ষে নয়, বরং জনগণের পক্ষ থেকে। এর পেছনে একটি সহজ কারণ আছে: আমাদের বিচার ব্যবস্থায় একজনের বিরুদ্ধে সংঘটিত অন্যায়, সবার বিরুদ্ধে অন্যায় হিসেবে বিবেচিত।
    আমি প্রায়ই এই ব্যাখ্যাটি দিতাম অপরাধের শিকারদের সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য—তাদের মনে করিয়ে দিতাম, কাউকে একা লড়তে হবে না। আমরা সবাই একসাথে আছি।
    আর প্রতিদিন আদালতের কক্ষে আমি গর্বের সঙ্গে বিচারকের সামনে দাঁড়িয়ে বলতাম এই শব্দগুলি: “কমলা হ্যারিস, জনগণের পক্ষে।”
  • আমার পুরো কর্মজীবনে, আমি কেবল একটাই ক্লায়েন্ট পেয়েছি: জনগণ।
    আর তাই আজ,
    জনগণের পক্ষ থেকে;
    প্রতিটি আমেরিকান—দল, জাতি, লিঙ্গ বা পূর্বপুরুষের ভাষা যাই হোক না কেন—সবার পক্ষ থেকে;
    আমার মায়ের পক্ষ থেকে, আর তাদের পক্ষ থেকে, যারা নিজের অদ্ভুত ও অসম্ভব পথচলায় সাহসী হয়েছিল;
    তাদের পক্ষ থেকে, যাদের সঙ্গে আমি বড় হয়েছি—যারা কঠোর পরিশ্রম করে, স্বপ্নকে তাড়িয়ে বেড়ায়, আর একে অপরকে আগলে রাখে;
    তাদের পক্ষ থেকে, যাদের জীবন কেবল পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ এই দেশেই লেখা সম্ভব—আমি গর্বের সঙ্গে গ্রহণ করছি আমার মনোনয়ন — মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য।
  • এই নির্বাচন আমাদের জাতির জন্য এক মূল্যবান, ক্ষণিক সুযোগ —
    একটা নতুন পথ বেছে নেওয়ার সুযোগ, অতীতের তিক্ততা, অবিশ্বাস আর বিভক্তিকে পেছনে ফেলে;
    একটি নতুন আমেরিকা গড়ার সুযোগ — যেখানে আমরা কেবল কোনো দলের সদস্য নই, বরং আমেরিকান।
    আর আমি জানি, আজকের এই বক্তব্য অনেক ভিন্ন মতের মানুষ দেখছেন।
    আপনাদের আমি এটা বলতে চাই —
    আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমি হবো সকল আমেরিকানের প্রেসিডেন্ট।
    আপনারা আমার উপর ভরসা করতে পারেন — আমি সবসময় দল বা নিজের চেয়ে দেশের কথাই আগে ভাবব।
    আমি সংবিধানের মৌলিক নীতিগুলোকে পবিত্র মনে করব - আইনের শাসন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, আর শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর।
  • আমি যখন এক তরুণ প্রসিকিউটর ছিলাম ওকল্যান্ডে,
    আমি দাঁড়িয়েছিলাম—মেয়েদের ও শিশুদের পক্ষে—তাদের বিপক্ষে যারা তাদের নিপীড়ন করত।
    আমি যখন ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলাম,
    আমি লড়েছি বড় ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে — মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য ২০ বিলিয়ন ডলার আদায় করেছি যারা ঋণগ্রস্ত হয়ে ঘর হারাতে বসেছিল।
    আমি গৃহঋণ গ্রহীতাদের অধিকার রক্ষায় আইন প্রণয়ন করিয়েছি — সারা দেশে যেটি ছিল প্রথম দিককার একটি।
    আমি লড়েছি সেই ছাত্র ও প্রবীণদের পক্ষ থেকে, যাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছিল। আমি লড়েছি সেই শ্রমিকদের পক্ষে, যাদের প্রকৃত মজুরি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছিল। আমি লড়েছি সেই চক্রের বিরুদ্ধে, যারা অস্ত্র, মাদক, আর মানুষ পাচার করে — যারা আমাদের সীমান্ত ও কমিউনিটির নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে।
    আর আমি আপনাদের এটা বলি —এই লড়াইগুলো সহজ ছিল না, ঠিক যেমন সহজ ছিল না সেই নির্বাচনগুলো যেগুলোর মাধ্যমে আমি দায়িত্ব পেয়েছিলাম।
    আমাদের সবসময় অবহেলা করা হয়েছে —
    কিন্তু আমরা কখনো হার মানিনি।
    কারণ ভবিষ্যৎ সবসময়ই লড়াইয়ের যোগ্য।
    আর আজও আমরা সেই একই লড়াইয়ের মুখোমুখি — আমেরিকার ভবিষ্যতের জন্য।
  • আমেরিকার নাগরিকগণ, এই নির্বাচন শুধু আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন নয়, এটি আমাদের জাতির ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহূর্ত।
    বিভিন্ন দিক থেকে দেখলে, ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যক্তি।
    কিন্তু, তাঁকে আবার হোয়াইট হাউজে বসানোর পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হতে পারে।
    ভাবুন — শুধু তাঁর শাসনকালের বিশৃঙ্খলা ও বিপর্যয়ের কথাই নয়, বরং তিনি নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর যা ঘটেছে, তার গুরুত্বের কথাও চিন্তা করুন।
    ডোনাল্ড ট্রাম্প আপনাদের ভোট বাতিল করার চেষ্টা করেছিলেন। ব্যর্থ হয়ে তিনি একটি সশস্ত্র জনতাকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে পাঠিয়েছিলেন, যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
    তাঁর নিজ দলের রাজনীতিকেরা যখন তাঁকে ওই জনতাকে থামাতে ও সাহায্য পাঠাতে অনুরোধ করেছিল, তিনি ঠিক উল্টোটা করেছিলেন—তিনি আগুনে ঘি ঢেলেছেন।
    এবং এখন, সম্পূর্ণ ভিন্ন অপরাধে, তিনি প্রতারণার দায়ে সাধারণ নাগরিকদের একটি জুরির রায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন—এবং আলাদাভাবে—যৌন নিপীড়নের অভিযোগেও দায়ী হয়েছেন।
    ভাবুন তো, তিনি আবার ক্ষমতায় এলে কী করতে পারেন। ভাবুন, তিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি ক্যাপিটলে হামলাকারী চরমপন্থীদের মুক্তি দেবেন; তিনি সাংবাদিক, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও নিজের শত্রু বলে বিবেচিত যে কাউকে কারাবন্দি করতে চান; এমনকি আমেরিকার নিজস্ব নাগরিকদের বিরুদ্ধে সক্রিয় সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে চান।
    ভাবুন, সুপ্রিম কোর্ট যখন ঘোষণা করেছে যে প্রেসিডেন্ট অপরাধমূলক মামলায় দায়মুক্ত হতে পারেন, তখন ট্রাম্পের হাতে কতটা ক্ষমতা থাকবে।
    একবার কল্পনা করুন—যদি ডোনাল্ড ট্রাম্পের আর কোনো রক্ষাকবচ না থাকে, তাহলে কী হতে পারে।
    তাঁর হাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সির বিপুল ক্ষমতা থাকলে তিনি তা ব্যবহার করবেন না আপনাদের জীবন উন্নত করতে, না জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করতে—তিনি তা ব্যবহার করবেন কেবল একজন ব্যক্তির জন্য: নিজের জন্য।
    আমরা জানি—আমরা জানি দ্বিতীয়বার ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে তা কেমন হবে। তা বিস্তারিতভাবে লেখা আছে “প্রোজেক্ট ২০২৫”-এ, যা তাঁর ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টারাই রচনা করেছেন।
    এবং এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমেরিকাকে অতীতের দিকে টেনে নেওয়া।
    কিন্তু আমেরিকা—
    আমরা পেছনে ফিরছি না।
    আমরা কখনোই পেছনে ফিরব না।
  • আমরা পেছনে ফিরব না — সেই সময়ের দিকে, যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প চেয়েছিলেন সোশ্যাল সিকিউরিটি আর মেডিকেয়ার কাটছাঁট করতে।
    আমরা ফিরব না — যখন তিনি চেয়েছিলেন অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট (ওবামাকেয়ার) বাতিল করতে, যার ফলে যাদের আগে থেকেই অসুস্থতা ছিল, তাদের বিমা পাওয়ার অধিকার নষ্ট হতো।
    আমরা তাকে অনুমতি দেব না শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিলুপ্ত করতে — সেই প্রতিষ্ঠানকে, যা আমাদের সরকারি স্কুলগুলোর জন্য তহবিল জোগায়।
    আমরা তাকে অনুমতি দেব না ‘হেড স্টার্ট’-এর মতো প্রোগ্রাম বন্ধ করে দিতে — যে প্রোগ্রাম আমাদের শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা আর চাইল্ড কেয়ারের সুযোগ দেয়।
  • আমেরিকা, আমরা পেছনে ফিরছি না।
    আমরা সামনে এগোচ্ছি —
    একটি নতুন ভবিষ্যতের দিকে, যেখানে শক্তিশালী ও সম্প্রসারিত মধ্যবিত্ত শ্রেণি থাকবে।
    কারণ আমরা জানি — আমেরিকার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি বরাবরই মধ্যবিত্ত শ্রেণি।
    আর এই শ্রেণিকে গড়ে তোলাই হবে আমার প্রেসিডেন্সির একটি মুখ্য লক্ষ্য।
    আর আমি বলি, এটা আমার কাছে ব্যক্তিগত।
    আমি নিজেই এই মধ্যবিত্ত শ্রেণির সন্তান।
    আমার মা সব সময় কড়াভাবে বাজেট করতেন।
    আমরা আয় অনুযায়ী চলতাম, তবে আমাদের চাহিদা খুব কম ছিল।
    তিনি আমাদের বলতেন সুযোগের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করতে, আর কৃতজ্ঞ থাকতে —
    কারণ, সুযোগ তো সবাই পায় না।
    তাই, আমরা গড়ব একটি “সুযোগ-ভিত্তিক অর্থনীতি” — Opportunity Economy - যেখানে সকলের জন্য প্রতিযোগিতা ও সাফল্যের সুযোগ থাকবে, হোক না তা কোনো গ্রামে, ছোট শহরে বা বড় নগরে।
  • এবার ট্রাম্পের সঙ্গে তুলনা করুন —
    আমার বিশ্বাস, এখানে উপস্থিত সবাই জানেন — ট্রাম্প কখনোই মধ্যবিত্তের জন্য লড়েননি।
    তিনি লড়েন শুধু নিজের জন্য, আর তার কোটিপতি বন্ধুদের জন্য।
    আর তিনি আবারও তাদের জন্য ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের ট্যাক্স ছাড় দিতে চান, যা আমাদের জাতীয় ঋণ বাড়াবে।
    এদিকে, তিনি পরিকল্পনা করছেন এক ধরনের জাতীয় বিক্রয় কর চালু করতে — আমি বলি, এটা “ট্রাম্প ট্যাক্স”।
    যার ফলে মধ্যবিত্ত পরিবারের খরচ বছরে প্রায় $৪,০০০ বেড়ে যাবে।
    আমরা এই ট্রাম্প ট্যাক্স চাই না। বরং, আমরা পাশ করাবো একটি মধ্যবিত্ত করছাড় — যা ১০ কোটির বেশি আমেরিকানের উপকারে আসবে।
    আমি বিশ্বাস করি — আমেরিকা সত্যিকারের সমৃদ্ধ হতে পারে কেবল তখনই, যখন প্রতিটি মানুষ নিজের জীবন সম্পর্কে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে — বিশেষ করে হৃদয় আর ঘরসংসারের বিষয়ে।
    কিন্তু আজকের আমেরিকায়, অসংখ্য নারী সেই অধিকার হারিয়ে ফেলেছে।
    এবং স্পষ্ট করে বলা দরকার, আমরা এই অবস্থায় পৌঁছেছি কিভাবে।
    ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজ হাতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নির্বাচন করেছিলেন —
    যাতে তারা নারীদের গর্ভপাতের অধিকার কেড়ে নেয়।
    আর এখন তিনি সেই কাজ নিয়ে গর্ব করেন।
    তিনি বলেছেন — “আমি এটা করেছি, এবং আমি গর্বিত এটা করতে পেরে।”
  • আমি বিশ্বাস করি, আমেরিকা কখনই সত্যিকারের সমৃদ্ধ হতে পারবে না, যদি আমেরিকানরা নিজেদের জীবন সম্পর্কে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে না পারে — বিশেষ করে হৃদয়ের ও ঘরসংসারের বিষয়গুলোয়।
    কিন্তু আজ রাতেও, আমেরিকায় বহু নারী সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার হারিয়ে ফেলেছে।
    এবং চলুন পরিষ্কারভাবে বলি — আমরা এখানে কীভাবে পৌঁছেছি।
    ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজ হাতে এমন বিচারপতিদের মনোনয়ন দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে, যাঁরা নারীদের প্রজনন অধিকার কেড়ে নিয়েছেন।
    আর এখন তিনি সেটা নিয়ে গর্ব করেন।
    তিনি নিজ মুখে বলেছেন: “আমি এটা করেছি, এবং আমি গর্বিত এটা করতে পেরে।”
  • আমি বলছি, গত দুই বছরে আমি সারা দেশ ঘুরেছি।
    নারীরা তাঁদের গল্প বলেছেন আমাকে।
    স্বামীরা আর বাবারাও তাঁদের অনুভূতি ভাগ করেছেন।
    কেউ বলেছেন — কোনো নারীর গর্ভপাত হয়েছে পার্কিং লটে, চিকিৎসা না পেয়ে তিনি সেপসিসে আক্রান্ত হয়েছেন, এমনকি সন্তান ধারণের ক্ষমতা চিরতরে হারিয়েছেন — শুধু এই ভয়ে যে ডাক্তাররা হয়তো জেলে যাবেন যদি তাঁরা সাহায্য করেন।
    অনেক দম্পতি — যারা কেবলই তাঁদের পরিবার গড়ার চেষ্টা করছিলেন — তাঁদের ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (IVF) হঠাৎ থেমে গেছে।
    বাচ্চা মেয়েরা, যারা যৌন সহিংসতা থেকে কোনোক্রমে বেঁচে গেছে, তাদের হয়তো এখন সেই গর্ভধারণ বহন করতে বাধ্য হতে হচ্ছে।
    এই হলো বাস্তবতা — এই হলো ট্রাম্পের নীতির ফল।
    আর বুঝে নিন — ট্রাম্প এখানেই থামবেন না।
    তার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে, তিনি ও তার মিত্ররা জন্মনিয়ন্ত্রণের সুযোগ সীমিত করবেন, ঔষধ দ্বারা গর্ভপাত নিষিদ্ধ করবেন, আর কংগ্রেস থাক বা না থাক — গোটা দেশে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করবেন।
    আর শুনুন, আরও কী পরিকল্পনা তার —
    তিনি গঠন করতে চান একজন জাতীয় ‘অ্যান্টিঅ্যাবরশন কোঅর্ডিনেটর’ —
    যার কাজ হবে প্রত্যেক রাজ্য থেকে নারীদের গর্ভপাত ও গর্ভপাতজনিত ঘটনার রিপোর্ট সংগ্রহ করা।
  • একবার জিজ্ঞেস করতেই হয়: তারা নারীদের বিশ্বাস করেন না কেন?
    কিন্তু আমরা নারীদের বিশ্বাস করি। আমরা নারীদের বিশ্বাস করি।
    আর যখন কংগ্রেস একটি বিল পাশ করবে নারীদের প্রজনন স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের জন্য, তখন আমি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে, গর্বের সাথে তাতে স্বাক্ষর করব — এটিকে আইনে পরিণত করব।
    এই নির্বাচনে আরও অনেক মৌলিক স্বাধীনতা ঝুঁকিতে রয়েছে —
    বিদ্যালয়ে, সমাজে, উপাসনালয়ে নিরাপদে বেঁচে থাকার স্বাধীনতা;
    যাকে ভালোবাসেন, তাঁকে গর্বের সাথে ভালোবাসার স্বাধীনতা;
    পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়া, বিশুদ্ধ পানি পান করা এবং জলবায়ু সংকটজনিত দূষণ থেকে মুক্তভাবে বাঁচার স্বাধীনতা;
    আর যে স্বাধীনতা সবকিছুর ভিত্তি — তা হলো ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা।
    আইন প্রয়োগকারী হিসেবে বহু দশকের অভিজ্ঞতায় আমি জানি — নিরাপত্তা ও সুরক্ষার গুরুত্ব কতখানি, বিশেষ করে আমাদের সীমান্তে।
  • গত বছর, জো বাইডেন এবং আমি ডেমোক্র্যাট ও রক্ষণশীল রিপাবলিকানদের একত্রিত করে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী সীমান্ত নিরাপত্তা বিল তৈরি করেছিলাম।
    বর্ডার প্যাট্রোল সেটির সমর্থন করেছিল।
    কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, একটি সীমান্ত চুক্তি তাঁর প্রচারাভিযানকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, তাই তিনি কংগ্রেসে তাঁর মিত্রদের নির্দেশ দেন বিলটি বাতিল করতে।
    আমি নিরাপত্তার প্রশ্নে রাজনীতি খেলতে রাজি নই।
    আর এটাই আমার অঙ্গীকার:
    প্রেসিডেন্ট হিসেবে, আমি সেই দ্বিদলীয় সীমান্ত নিরাপত্তা বিলটি আবার ফিরিয়ে আনব — এবং তাতে স্বাক্ষর করব, সেটিকে আইনে পরিণত করব।
  • আমি জানি, আমরা পারি আমাদের গৌরবময় অভিবাসন ঐতিহ্যকে সম্মান জানাতে, আমাদের ভেঙে পড়া অভিবাসন ব্যবস্থাকে সংস্কার করতে।
    আমরা পারি নাগরিকত্বের জন্য উপার্জিত পথ তৈরি করতে এবং সীমান্ত নিরাপদ রাখতে।
    আর আমেরিকা, আমাদের উচিত —
    আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও আমাদের নিরাপত্তা ও মূল্যবোধ অটুট রাখা।
    ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি জাতীয় নিরাপত্তার হুমকির মুখোমুখি হয়েছি, বিদেশি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি, আমাদের মিত্রতা মজবুত করেছি এবং বিদেশে সাহসী সৈনিকদের সঙ্গে যুক্ত থেকেছি।
    কমান্ডার ইন চিফ (সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান) হিসেবে আমি নিশ্চিত করব, আমেরিকার সশস্ত্র বাহিনী হবে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী, সবচেয়ে প্রাণঘাতী বাহিনী।
    আর আমি আমাদের সৈনিক ও তাঁদের পরিবারের প্রতি আমাদের পবিত্র দায়িত্ব পালন করব — সর্বদা তাঁদের সেবা ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানাবো, অবমাননা নয়।
  • আমি নিশ্চিত করব, আমরাই বিশ্বকে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব — মহাকাশ গবেষণা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়ে।
    আমেরিকা, চীন নয়, ২১শ শতকের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হবে — আর আমরা আমাদের বৈশ্বিক নেতৃত্বকে শক্তিশালী করব, তা থেকে পিছু হটব না।
    অন্যদিকে, ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন নেটো থেকে সরে আসতে।
    তিনি পুতিনকে উৎসাহ দিয়েছিলেন আমাদের মিত্রদের আক্রমণ করতে। বলেছিলেন, রাশিয়া চাইলে, উক্তি অনুযায়ী, “যা খুশি তাই করতে পারে।”
  • আমি কখনো দ্বিধা করব না ইরান ও ইরান-সমর্থিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমাদের বাহিনী ও স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে।
    আমি ট্রাম্পের মতো স্বৈরাচারী ও একনায়কদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাব না — কিম জং উনের মতো, যারা ট্রাম্পের পক্ষে।
    কারণ, আপনি জানেন, ওরা জানে — ওরা জানে, চাটুকারিতা আর কিছু সুবিধার বিনিময়ে ট্রাম্পকে সহজে প্রভাবিত করা যায়।
    ওরা জানে, ট্রাম্প স্বৈরশাসকদের জবাবদিহির আওতায় আনবেন না, কারণ তিনি নিজেই একজন স্বৈরশাসক হতে চান।
    আর প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি কখনোই পিছু হটব না আমেরিকার নিরাপত্তা ও আদর্শ রক্ষায়। কারণ গণতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্রের চিরন্তন লড়াইয়ে আমি জানি আমি কোথায় দাঁড়িয়ে আছি — আর আমেরিকা কোথায় থাকা উচিত।
  • আমি হৃদয়ের সমস্ত ভালোবাসা দিয়ে আমাদের দেশকে ভালোবাসি।
    আমি যেখানেই যাই — যাঁদেরই সঙ্গে দেখা করি — আমি দেখতে পাই একটি জাতিকে, যারা আগাতে প্রস্তুত, যারা আমেরিকার এই অসাধারণ যাত্রার পরবর্তী ধাপের জন্য প্রস্তুত।
    আমি এমন একটি আমেরিকাকে দেখি যেখানে আমরা দৃঢ়ভাবে সেই সাহসী বিশ্বাস আঁকড়ে ধরি,
    যা আমাদের দেশ গড়ে তুলেছে এবং বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করেছে — যে এই দেশেই সবকিছু সম্ভব, কিছুই হাতের বাইরে নয়।
    যেখানে আমরা একে অপরের খেয়াল রাখি, পাশে দাঁড়াই, এবং বুঝি — আমাদের মধ্যে মিল অনেক বেশি, বিভাজনের চেয়ে।
    যেখানে একজনের ব্যর্থতা অপরিহার্য নয় অন্যের সফলতার জন্য। আর ঐক্যেই আমাদের শক্তি।
  • আমাদের এই নির্বাচনে প্রতিপক্ষরা প্রতিদিনই আমেরিকাকে ছোট করে কথা বলছে, বলছে সবকিছু কতটা ভয়াবহ।
    কিন্তু আমার মা আমাকে আরেকটা শিক্ষা দিয়েছিলেন:
    "কখনো কারো বলতে দিও না তুমি কে; তুমি নিজেই তাদের দেখিয়ে দাও তুমি কে।"
    আমেরিকা, আসুন আমরা একে অপরকে এবং গোটা বিশ্বকে দেখাই আমরা কে, এবং আমরা কীসে বিশ্বাস করি —
    স্বাধীনতা, সুযোগ, সহমর্মিতা, মর্যাদা, ন্যায়বিচার এবং অসীম সম্ভাবনায়।
  • আমরা সেই মহান গণতন্ত্রের উত্তরাধিকারী, যা পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ।
    আমাদের সন্তানেরা, নাতি-নাতনিরা, এবং তারা যারা আমাদের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন —
    তাদের প্রতি সম্মান জানাতে এখন আমাদের দায়িত্ব এই মুহূর্তের যোগ্য হয়ে ওঠা।
    এখন আমাদের পালা —
    যেমনটা আগের প্রজন্ম করেছে, আশাবাদ ও বিশ্বাসকে সঙ্গী করে,
    আমাদের ভালোবাসার দেশের জন্য লড়াই করা,
    আমাদের মূল্যবোধকে আঁকড়ে ধরা,
    আর সেই অসাধারণ দায়িত্ব পালন করা,
    যা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গৌরব — একজন আমেরিকান হওয়ার গর্ব — তা বহন করে।
    তাই আসুন,
    চলুন আমরা এগিয়ে যাই, লড়াই করি।
    চলুন আমরা এগিয়ে যাই, ভোট দিই।
    আর একসাথে লিখে ফেলি পৃথিবীর সবচেয়ে অনন্য কাহিনির পরবর্তী মহান অধ্যায়।
    ধন্যবাদ। ঈশ্বর আপনাদের আশীর্বাদ করুন।
    আর ঈশ্বর যেন যুক্তরাষ্ট্রকে আশীর্বাদ করতে থাকেন।

সেপ্টেম্বর ২০২৪

[সম্পাদনা]
  • ডগ এবং আমি এশিয়ান আমেরিকানদের এবং Mid-Autum Festival উদযাপনকারী সকলের জন্য সমৃদ্ধি এবং আনন্দে ভরা ছুটির শুভেচ্ছা জানাই।.

অক্টোবর ২০২৪

[সম্পাদনা]
  • তুমি আর আমি দুজনেই জানি আমি কী বলছি। তুমি আর আমি দুজনেই জানি আমি কী বলছি।
    • ব্রেট বেয়ারের প্রতি, যিনি উত্তর দিয়েছিলেন "আমি আসলে তা করি না।" তুমি কি বলছো?" (October 16,2024)
  • ডোনাল্ড ট্রাম্প অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। তিনি অ্যাডলফ হিটলারের মতো একটি সেনাবাহিনী চান, যারা তার প্রতি অনুগত থাকবে, আমাদের সংবিধানের প্রতি নয়।
    তিনি বিকারগ্রস্ত, অস্থির, এবং দ্বিতীয় মেয়াদ পেলে, তার সবচেয়ে খারাপ আগ্রহ পূরণ করা থেকে তাকে থামানোর কেউ থাকবে না।

কমলা হ্যারিস সম্পর্কে উক্তি

[সম্পাদনা]
হ্যারিসের আলফা কাপ্পা আলফা সরোরিটির সাথে একটি সংযোগ হিসেবে মুক্তা একটি বিশেষ প্রতীক ধারণ করে। আফ্রিকান আমেরিকান ঐতিহ্যের কলেজ মহিলাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত প্রথম আন্তঃকলেজ গ্রীক-অক্ষরের সরোরিটি, সরোরিটির সদস্যরা "মুক্তা" নামে পরিচিত। হ্যারিস প্রতিটি মাইলফলকে মুক্তো পরেছেন, তার স্নাতকোত্তর ছবি থেকে শুরু করে তার সাম্প্রতিক ভোগ কভার পর্যন্ত, সেগুলিকে সংহতির নিদর্শন হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, সম্পদের প্রদর্শনের চেয়ে। ~ জেস কার্টনার-মর্লি
বাইডেনের সাথে তার প্রথম প্রচারণা অনুষ্ঠানে, হ্যারিস বলেন "আমার আগেকার সকল বীর এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী নারীদের স্বীকৃতি জানাই যাদের ত্যাগ, দৃঢ় সংকল্প এবং স্থিতিস্থাপকতা আজ এখানে আমার উপস্থিতিকে সম্ভব করে তুলেছে"...লিঞ্চিং-বিরোধী ক্রুসেডিং সাংবাদিক ইডা বি. ওয়েলস, শ্রমিক সংগঠক লুসি পার্সনস, নাগরিক অধিকার নেত্রী ফ্যানি লু হ্যামার, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী শার্লি চিশলম, কংগ্রেস সদস্য বারবারা জর্ডান এবং অগণিত অন্যান্য আফ্রিকান আমেরিকান মহিলা নেত্রীর পথ কমলা হ্যারিস এখন অনুসরণ করেছেন, প্রায়শই বড় ঝুঁকির মধ্যে এবং স্বীকৃতি বা পুরষ্কার ছাড়াই। ~ অ্যামি গুডম্যান এবং ডেনিস ময়নিহান
Alphabetically by author
  • কমলা আজ রাতে শুধু কিছু মুহূর্ত উপভোগ করছে না। সে-ই সেই মুহূর্ত। বাহ!
    ওহ ভগবান! বাইডেন ভেঙে পড়েছেন। তিনি এতটাই ক্ষুব্ধ যে কেউ তাকে প্রশ্ন করার সাহস পাচ্ছেন। আমার মনে পড়ছে যে @cenkuygur আজ আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে বাইডেনের মুখোশ উন্মোচিত হবে।... ঈশ্বর... কমলা এইমাত্র বাইডেনকে নিশ্চিহ্ন করে দিল।
  • আমার মনে হয় সেনেটর হ্যারিস অর্থনৈতিক অযথাযথতার বিষয়টি তুলে ধরতে অত্যন্ত চমৎকার কাজ করেছেন, কিন্তু এক জিনিস আমি বলব, আমাদের করোনা পূর্ববর্তী সময়টা নিয়ে বলতে থাকা বন্ধ করতে হবে। এটা এমন যেন আমরা তা ট্রাম্প ও পেন্সের কাছে তুলে দিচ্ছি। বাস্তবতা হলো, ওয়াল স্ট্রিট ভাল ছিল। বাস্তবতা হলো, যারা তার কর ছাড় পেয়েছিল তারা ভাল ছিল। বাস্তবতা হলো, তবে, করোনা পূর্বে তারা স্বাস্থ্যসেবা বাতিল করার চেষ্টা করছিল। করোনা পূর্বে, তারা জীবিকার উপযুক্ত মজুরি আটকাচ্ছিল। করোনা পূর্বে, আমরা দরিদ্র এবং নিম্ন-আয়ের মানুষের সমস্যা সমাধান করছিলাম না...
    বাইডেন-হ্যারিস পরিকল্পনা সম্পর্কে যা আমি পছন্দ করি তা হলো, তারা এক নম্বরে, মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নেওয়ার কথা বলছেন না। ট্রাম্প-পেন্স পরিকল্পনা এমনই বলছে: “আমাদের নির্বাচন করুন, আমরা আপনার স্বাস্থ্যসেবা কেড়ে নেব।” বাইডেন-হ্যারিস পরিকল্পনা মানুষের জীবিকার মজুরি $১৫ প্রতি ঘণ্টা বাড়ানোর কথা বলছে। ট্রাম্প-পেন্স পরিকল্পনা বলছে ধনীদের আরও টাকা দেওয়ার কথা। আসলে, ট্রাম্প-পেন্স-ম্যাককোনেল পরিকল্পনা, তারা স্টিমুলাস বিল পাস করতে অস্বীকার করছে কারণ তারা আরেকটি $২০০ বিলিয়ন কর ছাড় চাচ্ছে, তারা একটি যুদ্ধে ব্যবহৃত জেটের জন্য টাকা চাচ্ছে, এবং তারা চাইছে যাতে কোম্পানিগুলো করোনাভাইরাসের থেকে তাদের কর্মচারীদের সুরক্ষা না দেওয়ার পরও তাদের থেকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়... যদিও বাইডেন এবং হ্যারিস হয়তো পুরোপুরি 'পুওর পিপলস ক্যাম্পেইন' এর মতো নয়, তারা আরও কিছু করতে চায় এমন পৃথিবীতে আছেন। তারা বাড়ানোর দিকে যেতে চান। তারা নিশ্চিত করতে চান যে মানুষের যা প্রয়োজন তা তারা পাবে, শুধুমাত্র ধনী এবং লোভীদের সুরক্ষিত করার বদলে।
    তিনি আসলে রাজনীতির মিশ্রণ ছিলেন। তিনি একটি প্রধান টিকিটে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়া দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা ছিলেন, এবং প্রথমে মঞ্চে বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন। আপনি জানেন, আমি নিজেকে একেবারে বইটির এক্সোডাস অংশে যেতে সাহায্য করতে পারলাম না, যেখানে বলা হয়েছিল, “যদি তুমি আমার জনগণকে মুক্তি না দাও, আমি ত্রাস সৃষ্টি করব, যা ভুলের চিহ্ন হবে। তবে আমি ত্রাসকে মানুষের ওপর পড়তে দেব না, কিন্তু ত্রাস হবে একটি প্রতীক যে তুমি স্রেফ ভুল। তুমি মিথ্যা বলছ। আমার জনগণকে মুক্তি দাও।” আর ট্রাম্প ও পেন্সকে জনগণকে মুক্তি দিতে হবে। তারা দরিদ্র এবং নিম্ন-আয়ের মানুষকে, অপরিহার্য কর্মীদের হোস্টেজ বানিয়ে রেখেছে। এই দেশে পরিবর্তনের সময় এসেছে।
  • মিস হ্যারিস — যিনি মার্কিন সিনেটে একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ নারী — "আমেরিকায় জননিরাপত্তা নতুনভাবে কল্পনা করার" কথা বলেছেন... তিনি নিজেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় পূর্বের ভূমিকায় "প্রগতিশীল প্রসিকিউটর" ও "শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা" হিসেবে বর্ণনা করেছেন, তবে তার রেকর্ড লিবারাল ও রক্ষণশীল উভয় গোষ্ঠীতেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে... তিনি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার যুগান্তকারী 'অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট' (সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা আইন) সমর্থনে কাজ করেছেন... আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কোর্তেজের সঙ্গে একটি 'ক্লাইমেট ইকুইটি বিল' প্রস্তাব করেছেন, যা পরিবেশ সংক্রান্ত আইনের নিম্ন-আয়ভুক্ত জনগোষ্ঠীর ওপর প্রভাব মূল্যায়নের চেষ্টা করে... তিনি ফ্র্যাকিং-এর বিরোধিতা করেন... জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পের বিরুদ্ধে ফেডারেল আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন... ২০৪৫ সালের মধ্যে নিট শূন্য কার্বন নিঃসরণ অর্জনের লক্ষ্যে একটি ১০ ট্রিলিয়ন ডলারের জলবায়ু পরিকল্পনার রূপরেখা দিয়েছেন...
    হোয়াইট হাউসের জন্য প্রার্থী হওয়ার সময়, মিস হ্যারিস নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কঠোর বন্দুক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন... তিনি বন্দুক প্রস্তুতকারকদের ওপর বেশি নিয়ন্ত্রণ, বাধ্যতামূলক ব্যাকগ্রাউন্ড চেক, আইনি ফাঁকফোকর বন্ধ করা এবং অ্যাসল্ট অস্ত্র নিষিদ্ধ করার পক্ষে ছিলেন... ব্যক্তিগত বা চিকিৎসাজনিত কারণে — যার মধ্যে পারিবারিক সহিংসতার বিষয়ও রয়েছে — সকল কর্মীকে ছয় মাসের বেতনসহ ছুটি দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন... তার মতে, বড় কোম্পানিগুলোর ‘সমান মজুরির সার্টিফিকেশন’ বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত, না হলে জরিমানা আরোপ করা উচিত...
    তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ অনিবন্ধিত অভিবাসীদের নাগরিকত্বের পথ উন্মুক্ত করার অঙ্গীকার করেছিলেন... তিনি সীমান্তে অনিবন্ধিত অভিবাসীদের প্রবেশকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা না করার ও কাগজপত্র ছাড়া প্রবেশকারীদের জন্য করদাতাদের অর্থে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের পক্ষে ছিলেন... তিনি তখন রক্ষণশীলদের ক্ষুব্ধ করেন যখন তিনি কু ক্লাক্স ক্লান এবং ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) — যা যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের একটি সংস্থা — এর মধ্যে তুলনা টানেন।
  • যদি তুমি লক্ষ্য করো, কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ে আমাকে সমর্থনকারী আরও অনেক লোক আছে যারা আমার জন্য ঘোষণা করেছে, কারণ তারা আমাকে চেনে
    "একমাত্র" আফ্রিকান-আমেরিকান নারী যিনি কখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে নির্বাচিত হয়েছেন...
    ...না, আমি বলেছি "প্রথম"! আমি বলেছি "প্রথম" আফ্রিকান-আমেরিকান নির্বাচিত! "প্রথম" আফ্রিকান... তাহলে আমার বক্তব্য হল...
  • আমি জানি বিউ, কমলা এবং তার কাজকে কতটা সম্মান করতেন। তা আমার কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, সত্যি কথা বলতে হলে এই সিদ্ধান্ত আমার
  • আজ সকালে, সারা দেশ জুড়ে, ছোট মেয়েরা জেগে উঠল, বিশেষ করে ছোট কালো এবং বাদামী মেয়েরা, যারা প্রায়শই তাদের সম্প্রদায়ে অবহেলিত এবং অবমূল্যায়িত বোধ করে। কিন্তু আজ হয়তো তারা প্রথমবারের মতো নিজেদেরকে নতুনভাবে দেখতে পাচ্ছে: রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতিদের মতো স্থানে।
  • হ্যারিসের আলফা কাপ্পা আলফা সরোরিটির সাথে একটি সংযোগ হিসেবে মুক্তা একটি বিশেষ প্রতীক ধারণ করে। সোরোরিটির সদস্যরা, আফ্রিকান আমেরিকান ঐতিহ্যের কলেজ মহিলাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত প্রথম আন্তঃকলেজ গ্রীক-অক্ষর সরোরিটি, "মুক্তা" নামে পরিচিত। হ্যারিস তার স্নাতকোত্তর ছবি থেকে শুরু করে তার সাম্প্রতিক ভোগ প্রচ্ছদ পর্যন্ত প্রতিটি মাইলফলকে মুক্তো পরেছেন, তিনি সম্পদের প্রদর্শনের পরিবর্তে, ভ্রাতৃত্ব এবং সংহতির নিদর্শন হিসেবে এগুলোকে উপস্থাপন করেছেন।
  • এক কথায়, হ্যারিস হলেন বামপন্থীদের আদর্শিকভাবে পরিচালিত পরিচয়মূলক এজেন্ডার একজন টোটেম, যাকে ধর্মীয়ভাবে ঝোঁকযুক্ত বামপন্থীরা প্রায়শই "সামাজিক ন্যায়বিচার" হিসাবে উপস্থাপন করে।
  • [ডোনাল্ড ট্রাম্প] মিথ্যা ও সহিংসতা ব্যবহার করে নিজেকে ক্ষমতায় ধরে রাখার জন্য গত নির্বাচনে চুরি করার চেষ্টা করেছিলেন ভোটাররা তাকে প্রত্যাখ্যান করার পর। আর কখনও তার হাতে ক্ষমতা দিয়ে বিশ্বাস করা যাবে না।
    নাগরিক হিসেবে, আমাদের দায়িত্ব হলো আমাদের দেশকে এই পরিস্থিতি থেকে সুরক্ষিত রাখা। সেই কারণেই আমি ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস-কে ভোট দেব।
  • যদিও অনেকেই অনুমান করেছেন যে তারা RBG-এর সাথে যুক্ত, এগুলো আসলে ভ্রাতৃত্ব সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।
    সেনের আসল অর্থ এবং প্রতীকবাদের জন্য পড়ুন। হ্যারিস মুক্তা—এবং আলফা কাপ্পা আলফা সোরোরিটি, ইনকর্পোরেটেডের সাথে তাদের সংযোগ।
    কিন্তু যারা কিছুদিন ধরে তার স্টাইলের দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন তারা লক্ষ্য করবেন যে মুক্তা তার পোশাকের একটি নিয়মিত অংশ— এবং সম্ভবত তার সোরোরিটি, আলফা কাপ্পা আলফা সোরোরিটি, ইনকর্পোরেটেডের প্রতি একটি সম্মতি।
  • জ্যাকব জুনিয়র সিনেটর হ্যারিসকে বলেছিলেন যে তিনি তার জন্য গর্বিত, এবং সিনেটর জ্যাকবকে বললেন যে তিনিও তার জন্য গর্বিত যে সে কীভাবে তার যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে কাজ করছে।
    জ্যাকব জুনিয়র তাকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে তিনি তার সন্তানদের জন্য জীবন ত্যাগ করবেন না।
  • AKA-র প্রতি সিনেটরের শ্রদ্ধাঞ্জলি দলের প্রতি তার স্নেহকে তুলে ধরে। আসলে, এই সোরোরিটির সাথে তার মানসিক সংযোগ এত গভীর যে সে তার বোনদের সমর্থনে একটি প্রতীক পরিধান করে—তার গ্রহণযোগ্যতার ভাষণে আকোয়া এবং দক্ষিণ সাগরের মুক্তো দিয়ে সজ্জিত ৩৪ ইঞ্চি লম্বা একটি নেকলেস।
  • হ্যারিসের মুক্তোর প্রতি ভালোবাসা কোনো রাজনৈতিক স্টাইলিস্টের সাজানোর ব্যাপারের থেকে অনেক গভীর। তিনি গর্বের সঙ্গে একটি একসারি মুক্তোর মালা ও ঝুলন্ত দুল পরেছেন ১৯৮৬ সালে হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার ছবিতে, যেখানে তিনি আলফা কাপা আলফা সোররিটির সদস্য ছিলেন। AKA — যা প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ গ্রীক-অক্ষর সোররিটি — তাদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও অন্তর্ভুক্তিকারীদের “টোয়েন্টি পার্লস” নামে উল্লেখ করে একটি কিংবদন্তির অংশ। প্রতিটি নতুন সদস্যকে অন্তর্ভুক্তির সময় ২০টি মুক্তা দ্বারা সাজানো একটি বিশেষ ব্যাজ দেওয়া হয়।
  • উপ-রাষ্ট্রপতি কামালা হ্যারিস, যিনি হোয়াইট হাউসে যোগ দেওয়ার আগে ক্যালিফোর্নিয়ার একজন প্রথমবার নির্বাচিত সেনেটর ছিলেন, তাকে এমন কোনো বিশেষ অভিজ্ঞতা বা দীর্ঘমেয়াদী উচ্চ-প্রোফাইল দায়িত্ব দেওয়া হয়নি যা তার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা আরও গভীর ও বিস্তৃত করতে পারত — এমনভাবে, যা সাধারণ আমেরিকান নাগরিকরা স্পষ্টভাবে দেখতে ও মূল্যায়ন করতে পারত।
  • মিস হ্যারিস নিয়মিত নেতিবাচক সংবাদের লক্ষ্য হয়েছেন — যেমন কর্মীদের বিশৃঙ্খলা ও পদত্যাগ, হোয়াইট হাউসের কর্মীরা তার প্রবেশে উঠে না দাঁড়ানো নিয়ে বিরক্তি, কিংবা কিছু গণমাধ্যম সাক্ষাৎকারে তার অস্বস্তির মতো বিষয় নিয়ে। তাকে যেভাবে দেখা হয় এবং বিচার করা হয়, সেখানে দ্বৈত মানদণ্ডের শিকার হয়েছেন — যেমনটা বহু নারী এবং বর্ণবাদিতার শিকার ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ঘটে, বিশেষ করে যখন তারা কোনো পদে প্রথম হন। তবে তিনি একমাত্র ভাইস প্রেসিডেন্ট নন যিনি সমালোচনার মুখে পড়েছেন বা একটি এমন দায়িত্বে বিরক্তি অনুভব করেছেন, যার সাংবিধানিক কাজ মূলত সিনেটের সভাপতিত্ব করা এবং নির্বাচনী ভোট গণনা করা।
  • নির্বাচনের আর মাত্র ১৩ দিন বাকি, কমলা হ্যারিস বুধবার সন্ধ্যায় একটি সরাসরি টাউন হল অনুষ্ঠানে ভোটারদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন। এই ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করবে সিএনএন পেনসিলভানিয়া থেকে — এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য, যা হ্যারিস ও ট্রাম্প উভয়েরই হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করতে হাতে রাখা প্রয়োজন।
    এর আগে সিএনএন অক্টোবর মাসে একটি বিতর্ক অনুষ্ঠানের জন্য হ্যারিস ও ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানায়, ট্রাম্প অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান কিন্তু হ্যারিস স্বীকৃতি জানান।
  • বাইডেনের সঙ্গে তার প্রথম প্রচারমূলক অনুষ্ঠানে কামালা হ্যারিস স্বীকার করেন, “আমার আগে ছিলেন বহু বীর এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী নারী, যাদের আত্মত্যাগ, দৃঢ়সংকল্প এবং সহনশীলতাই আজ এখানে আমার উপস্থিতিকে সম্ভব করে তুলেছে”...বর্ণবৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ও লিঞ্চিং বিরোধী সংগ্রামী আইডা বি. ওয়েলস, শ্রমিক সংগঠক লুসি পারসনস, নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেত্রী ফ্যানি লু হ্যামার, প্রেসিডেন্ট প্রার্থী শার্লি চিশলম, কংগ্রেস সদস্য বারবারা জর্ডান এবং অসংখ্য আফ্রিকান-আমেরিকান নারী নেত্রী সেই পথ তৈরি করে গেছেন, যেই পথে আজ কামালা হ্যারিস হাঁটছেন — প্রায়ই প্রচণ্ড ঝুঁকি নিয়ে এবং স্বীকৃতি বা পুরস্কার ছাড়াই।
  • গত রাতের ঘটনাটি ইতিহাসে একটি নতুন রেকর্ড। একটি সীমা ভেঙে গেল। সেনেটর কমলা হ্যারিস ইতিহাস সৃষ্টি করলেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে কোনো রাষ্ট্রপতি বা ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে একজন শ্বেতাঙ্গ পুরুষের সঙ্গে বিতর্কে অংশ নিয়ে। তিনি প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী, প্রথম ভারতীয়-আমেরিকান নারী।
    রেভারেন্ড বারবার, বিতর্ক চলাকালে একসময় ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্সের মাথায় একটি মাছি প্রায় আড়াই মিনিট ধরে বসে ছিল, অনলাইনে ব্যাপক মন্তব্য ও হাস্যরসের জন্ম দেয়। ‘হাউ টু বি অ্যান্টিরেসিস্ট’ বইয়ের জনপ্রিয় লেখক অধ্যাপক ইব্রাম এক্স. কেন্ডি টুইট করেন: “যেই মুহূর্তে পেন্স প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করতে শুরু করলেন, মাছিটি তাকে ধরল!”
    এবং আমরা আবার বলছি, গত রাতে একটি ইতিহাস রচিত হয়েছে, একটি সিলিং ভাঙা গেছে। সেনেটর কমলা হ্যারিস প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী, প্রথম ভারতীয়-আমেরিকান নারী হিসেবে এমন একটি বিতর্কে অংশ নিয়েছেন। এর তাৎপর্য কী — শেষ ২০ সেকেন্ডে?
    এটি এমন এক মুহূর্ত যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দেখাবে, নেতৃত্ব কারও বর্ণ বা জাতির সীমার মধ্যে বাঁধা নয়। এটি প্রমাণ করে, যারা আগে অদৃশ্য ছিল, তারা এখন দৃশ্যমান — এবং তারা ইতিহাস গড়ছে।
  • অনেকের মধ্যে প্রচণ্ড হতাশা রয়েছে যে এমন একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যিনি ‘জো বাইডেন ক্রাইম বিল’ নামে পরিচিত একটি আইন প্রণয়নের জন্য পরিচিত — এবং তার সঙ্গে আবার এমন একজন রানিং মেট বেছে নেওয়া হয়েছে যিনি ক্যালিফোর্নিয়ার ‘টপ কপ’ (শীর্ষ আইনপ্রয়োগকারী কর্মকর্তা) হিসেবে পরিচিত, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ কারাবন্দি রয়েছে।
    এর পাশাপাশি, কামালা হ্যারিস এমন একজন, যাকে শুরু থেকেই এই ধরনের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে — বিশেষত তার প্রচারাভিযানের শুরুতে। এবং বহু অধিকারকর্মী ও অ্যাকটিভিস্টের মতে, তিনি তার অতীত অবস্থান নিয়ে মানুষের উদ্বেগ প্রশমিত করার জন্য খুব বেশি কিছু করেননি বা তেমন কোনো বড় রকমের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেননি, যা তারা প্রত্যাশা করেছিলেন।
  • কমলা হ্যারিসের পরিচায়ক মুক্তোর গয়না এমনকি সামাজিক সচেতনতামূলক আন্দোলনেরও অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে — যেমন ফেসবুকের “ওয়ার পার্লস অন ২০ জানুয়ারী ২০২১” এবং “ইউনাইটেড বাই পার্লস” নামের গ্রুপ, যাদের প্রত্যেকটির সদস্যসংখ্যা কয়েক লাখ।
    কমলার স্বতন্ত্র স্টাইল একই সঙ্গে রুচিসম্মত এবং ব্যবহারিক, আধুনিক হলেও চিরন্তন এক আবহ বহন করে। মুক্তো তার ফ্যাশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, এবং এটির রাজনীতি ও ক্ষমতার জগতে দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
  • ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটি (ডিএনসি) এবং তাদের মিডিয়া সহযোগীরা উপ-রাষ্ট্রপতি কামালা হ্যারিসের জন্য জনপ্রিয়তার একটি ঢেউ তৈরি করেছে — কোনো নীতিমালা, সাক্ষাৎকার বা বিতর্ক ছাড়াই; শুধুই ধোঁয়া, প্রতিচ্ছবি আর বেলুনে ভরা একটি অতিমাত্রায় পরিকল্পিত শিকাগোর সার্কাসমঞ্চে।
  • আমি প্রতিদিনই সাক্ষাৎকার দিই। যিনি অনুরোধ করেন, তিনিই সাক্ষাৎকার পান। কখনও কখনও দিনে ১০টা পর্যন্ত দিই। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও অনেক সাক্ষাৎকার দেন। তাহলে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি কীভাবে এমন একজন প্রার্থীকে বেছে নিতে পারে, যিনি সাক্ষাৎকার দিতেই অস্বীকৃতি জানান?
  • সান ফ্রান্সিসকোতে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি এবং পরে ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল — অর্থাৎ রাজ্যের শীর্ষ আইনপ্রয়োগকারী কর্মকর্তা হিসেবে কামালা হ্যারিসের রেকর্ড ২০২০ সালের প্রাইমারির আগে যথেষ্টভাবে পর্যালোচনার মুখে পড়ে। তিনি নিজেকে "প্রগতিশীল প্রসিকিউটর" হিসেবে পরিচয় দেন এবং মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতার প্ল্যাটফর্মে প্রথমবার ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি হিসেবে নির্বাচিত হন।
    পদে বসার কিছুদিন পরই হ্যারিস ঘোষণা দেন, তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড চাইবেন না।
    প্রচারে এবং ২০১৬ সালের সেনেট নির্বাচনের সময় হ্যারিস জোর দিয়ে বলেন, কীভাবে তিনি দেশের পাঁচটি বৃহৎ মর্টগেজ কোম্পানি — যেমন জেপিমরগ্যান চেজ ও সিটি গ্রুপ — এর সঙ্গে কঠিন দরকষাকষির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, এবং কীভাবে তিনি হাউজিং ঋণের ফাঁদে পড়া মানুষদের সুরক্ষা দিতে চেষ্টা করেছিলেন, যদিও ফল মিশ্র ছিল।
    ২০১১ সালে যখন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলরা ব্যাংকগুলোর সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি করতে যাচ্ছিলেন, তখন হ্যারিস ক্যালিফোর্নিয়াকে সেই আলোচনায় থেকে প্রত্যাহার করে নেন, যুক্তি দেখিয়ে যে ওই চুক্তি ব্যাংকগুলোর প্রতি যথেষ্ট কঠোর নয়।
    ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট প্রাইমারির সময় হ্যারিসের অপরাধবিচার সংক্রান্ত রেকর্ড — বিশেষ করে সান ফ্রান্সিসকোতে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি থেকে শুরু করে ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল পর্যন্ত — বামপন্থীদের সমালোচনার মুখে পড়ে।
    এই উদ্বেগ আরও জোরালো হয় যখন ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে হ্যারিস একটি বিশাল আয়োজনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন, যেখানে ২০,০০০ মানুষের উচ্ছ্বসিত সমাগম হয় ওকল্যান্ড, ক্যালিফোর্নিয়ায়। তার প্রচারাভিযান ছিল ইতিহাসে কোনো কৃষ্ণাঙ্গ নারীর দ্বারা পরিচালিত সবচেয়ে ব্যাপক প্রচার।
    শার্লি চিশলমের ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার বহু বছর পর, কামালা হ্যারিস মাত্র ১১ মাসে ৩৫ মিলিয়নেরও বেশি ডলার সংগ্রহ করেন— যা এমন এক পরিস্থিতিতে ছিল, যেখানে কৃষ্ণাঙ্গ নারী প্রার্থীদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা বরাবরই কঠিন।
  • কমলা আক্ষরিক অর্থেই একজন কমিউনিস্ট। তিনি কেবল সমান সুযোগই চান না, সমান ফলাফলও চান।
  • উপ-রাষ্ট্রপতি কামালা হ্যারিস মুক্তোর প্রতি তার ভালবাসা প্রদর্শন করেন একটি খুবই নির্দিষ্ট কারণে।
    এটি কেবল একটি স্টাইল স্টেটমেন্ট নয়, বরং এটি তার সোররিটি বোনদের প্রতি তার নিরবিচার আনুগত্যের প্রতীক — সেই নারীরা, যারা তার রাজনৈতিক জীবনের পুরোটা জুড়ে তার সবচেয়ে সোচ্চার সমর্থকদের অন্যতম ছিলেন। এটি সম্ভবত তার সবচেয়ে স্পষ্ট এবং সবচেয়ে হৃদয়গ্রাহী শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ।
    আজকের অভিষেক অনুষ্ঠানে তার গলায় থাকা মুক্তোর হারটি হয়তো দেখতে সাধারণ মনে হতে পারে, কিন্তু এই গহনার মধ্যে রয়েছে গভীর প্রতীকী তাৎপর্য। এটি তার হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটির সোররিটি ‘আলফা কাপা আলফা’ (Alpha Kappa Alpha বা AKA)-র প্রতিনিধিত্ব করে — যা ছিল প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান গ্রিক-লেটার সোররিটি। এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যাদের "টোয়েন্টি পার্লস" (বিশটি মুক্তো) নামে অভিহিত করা হয়।
    সম্মান এবং ভ্রাতৃত্বের নিদর্শন হিসেবে, হ্যারিস কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ জীবনের মুহূর্তে মুক্তোর হার পরিধান করে এসেছেন।
  • মিশেল আর আমি আপনাকে সমর্থন করি এবং এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আপনাকে ওভাল অফিসে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা যা কিছু করতে পারি তার জন্য গর্বিত।
  • কমলা হ্যারিস একজন কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা: এটা জটিল কিছু নয়
    কমলা হ্যারিস প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে পারেন। এবং সে একজন কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা।
    তাকে কালো বললে তার তামিল শিকড় মুছে যাবে না। হ্যাঁ, সে জ্যামাইকা এবং ভারত থেকে আসা অভিবাসীদের মেয়ে। তার গভীরতা স্বীকার করুন। আরও মনে রাখবেন, হ্যারিস তার হিন্দু মায়ের কথা লিখেছেন যে তিনি তাকে এবং তার বোনকে গর্বিত, কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন।
  • নবনির্বাচিত ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের জন্য এই গয়নাটির প্রতীকী অর্থ রয়েছে।
    ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের আগে, যা প্রথমবারের মতো একজন নারী এবং একজন ভিন্ন বর্ণের ব্যক্তিকে আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত করবে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা মুক্তো পরা নিজেদের ছবি পোস্ট করছেন, "উদ্বোধনের দিনে মুক্তা পরুন" এই বাক্যাংশটি ট্রেন্ডে চলে এসেছে
তিনি এত স্পষ্ট এবং ব্যপ্তিশীল ভাবে হাসেন যে এর অর্থ হল তার জীবনে সবকিছু ঠিক আছে। - ভ্লাদিমির পুতিন
  • কমলা হ্যারিসের মুক্তার গানটি আলফা কাপ্পা আলফার প্রতি ইঙ্গিত করে, দেশের প্রাচীনতম ঐতিহাসিকভাবে কৃষ্ণাঙ্গ সমাজ, যেখানে হ্যারিস হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় যোগ দিয়েছিলেন। সোরোরিটির প্রতিষ্ঠাতারা টুয়েন্টি পার্লস নামে পরিচিত, এবং হ্যারিস তার বোনদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে মুক্তো পরেন।
  • প্রভাবশালী ডেমোক্র্যাটরা চান না যে বাইডেন অবসর গ্রহণ করুন কারণ তারা জানেন যে হ্যারিস ২০২৪ সালে জিততে পারবেন না। কিন্তু তিনি তাকে পুনর্নির্বাচনের প্রচারণা থেকে বাদ দিতে পারবেন না, টাইমস যাকে "প্রধান গণতান্ত্রিক নির্বাচনী এলাকা" বলে অভিহিত করে, তাতে ক্ষোভের সৃষ্টি হওয়ার ভয়ে।
  • হ্যারিসের নির্বাচনের মাধ্যমে বাধা ভেঙে ফেলার কথা ছিল। কিন্তু, তার উত্তরাধিকার পরিচয় রাজনীতির বোকামিকে তুলে ধরার জন্যও হতে পারে।
  • আমি আসলে রাজনীতিতে যাই না, কিন্তু রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা, জেনা এলিস, শুধু বললেন যে কমলা হ্যারিস আমার মতোই শোনাচ্ছে। লিসা বললেন, তিনি এটা প্রশংসা হিসেবে বলছেন না। যদি তাই হয়, তাহলে একজন সাধারণ শহরতলির গৃহিণী হিসেবে, আমি একটু অসম্মানিত বোধ করতে শুরু করছি। আমি আমার বাচ্চাদের শেখাই, জেনা, নাম ধরে ব্যাঙ্গ করবে না। আমি বলছি যে আমি রেগে আছি, কিন্তু আমার ভয় হচ্ছে ওরা হয়তো ফুঁপিয়ে উঠবে..
    • Marge Simpson, Twitter, (14 August 2020)
  • ক্যালিফোর্নিয়ার জুনিয়র সেনেটর কামালা হ্যারিস বৃহস্পতিবার "ভোটসেফ অ্যাক্ট অব ২০২০" নামে একটি বিল উত্থাপন করেন, যার পরিমাণ ৫ বিলিয়ন ডলার। এই আইনটি এমনভাবে প্রণীত হয়েছে, যা নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও অধিকারকর্মীদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলোর জন্য জরুরি নির্বাচনী সংস্কার বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় তহবিল পূরণ করতে পারে। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের সেক্রেটারি অব স্টেটদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে হ্যারিস এমন একটি বিল তৈরি করেছেন, যা আগাম সরাসরি ভোটগ্রহণের সময়কালকে মান্যতা দেবে — এতে বলা হয়েছে, প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে ন্যূনতম ২০ দিন আগাম ভোটগ্রহণের সুযোগ থাকতে হবে নভেম্বর ৩ তারিখের সাধারণ নির্বাচনের আগে। এই বিলের মাধ্যমে আরও বলা হয়েছে, কোনো অজুহাত ছাড়াই ডাকযোগে অনুপস্থিত ভোট (mail-in absentee voting) দেওয়ার সুযোগ সব নাগরিকের জন্য উন্মুক্ত থাকবে — অর্থাৎ কোনো ব্যাখ্যা না দিয়েও যে কেউ এইভাবে ভোট দিতে পারবেন। এছাড়াও, বিলটি প্রতিটি ভোটারের জন্য ন্যূনতম প্রক্রিয়াগত সুরক্ষার (due process protections) নিশ্চয়তা দেয়।
    • Jamil Smith, Kamala Harris’ Plan to Save the Election, Rolling Stone (16 April 2020)
  • ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর কমলা হ্যারিস, যিনি শুনানিতে দূরবর্তীভাবে অংশ নিয়েছিলেন, যুক্তি দেন যে বিচারপতি অ্যামি কোনি ব্যারেটের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে অবস্থান পরিষ্কার। এক পর্যায়ে হ্যারিস ব্যারেটকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সেই বক্তব্য শুনেছেন যেখানে তিনি বলেন, এমন একজন সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি নিয়োগ দেবেন যিনি Roe v. Wade এবং ACA (Affordable Care Act) বাতিল করবেন? হ্যারিস আরও উল্লেখ করেন যে, ট্রাম্প বিচারপতি ব্যারেটকে আপিল আদালতের বিচারপতি হিসেবে মনোনীত করেন সেই ঘটনার সাত মাস পর, যখন ব্যারেট একটি প্রবন্ধ লেখেন যেখানে তিনি বিচারপতি জন রবার্টসের ACA-কে বহাল রাখার রায়কে সমালোচনা করেন। হ্যারিসের যুক্তি ছিল, এই ঘটনাগুলো প্রমাণ করে যে ট্রাম্প ব্যারেটকে উচ্চপদে উন্নীত করেছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক এই আইন বাতিল করার উদ্দেশ্যে।
  • এই দানবটি যে মাইক পেন্স-এর সাথে মঞ্চে ছিল, যে গত রাতে তাকে ধ্বংস করেছিল, কিন্তু এই দানব, সে বলে না, না, ফ্র্যাকিং হবে না, সে যা বলেছে সবই মিথ্যা।
  • সে বুঝতেই পারবে না কী ঘটেছে। এটা হবে যেন একজন গ্র্যান্ড দাবা মাস্টার একজন শিক্ষানবিসের সাথে খেলছেন। আমরা আমাদের দেশ হারাবো অথবা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে লিপ্ত হবো।
    এটাও হতে পারে যে, সে বিরক্ত হয়ে যাবে বলে। সে কোনভাবেই তাকে সামলাতে পারবে না। সে একজন উগ্র ব্যক্তি।”
  • আমার মনে হয়, এই বিতর্কে একটি আরও গভীর ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে, আর তা হলো — কমলা হ্যারিস মূলত একের পর এক ফাঁপা কথার পুনরাবৃত্তি করে গেছেন। আমেরিকার জনগণ কেবল এই ধরনের কথাবার্তা দিয়ে তাদের বাজার খরচ চালাতে পারে না। তারা তাদের সন্তানদের মাথা গোঁজার জায়গা দিতে পারে না কেবল এসব ফাঁকা স্লোগান দিয়ে। হ্যারিস অনেক কিছু বললেও, প্রকৃতপক্ষে খুব কমই ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে তিনি কীভাবে মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনবেন, সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন, কিংবা দেশের মধ্যে আবাসন আরও সুলভ করবেন। তিনি সাড়ে তিন বছর ধরে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তিনি নিজের কার্যকলাপ বা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ওপর ভর করে প্রচার চালাতে পারছেন না — কারণ তা মূলত স্লোগাননির্ভর, বাস্তব পদক্ষেপে ঘাটতি রয়েছে।
  • গর্ভপাত নিয়ে আলোচনায় হ্যারিসের সান্ত্বনা এবং উৎসাহ আরও তরুণ মহিলা ভোটারদের একত্রিত করতে সাহায্য করতে পারে, যারা কেবল বাইডেনের উপরই নয়, প্রজনন অধিকার পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনার উপরও বিশ্বাস হারাচ্ছিলেন।
  • এটা সবসময়ই সত্য ছিল যে গর্ভপাত ইস্যুতে কামালা হ্যারিস একজন অধিক শক্তিশালী ও প্রভাবশালী বার্তাবাহক হবেন। এর একটি অংশ হলো মানুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষমতা। আরেকটি অংশ হলো তার ব্যক্তিগত জীবনযাপন ও অভিজ্ঞতা। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, তিনি এই বিষয়টি যেভাবে উপস্থাপন করেন এবং যেভাবে কথা বলেন — সেটাই তাকে আলাদা করে তোলে। তিনি নিজে থেকে প্ল্যানড প্যারেন্টহুড-এর মতো প্রতিষ্ঠানে যান, চিকিৎসক ও রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি রিপাবলিকানদের অবস্থান নিয়ে দৃঢ়ভাবে বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ, এবং এই অবস্থানই তাকে একটি জোরালো ও বিশ্বাসযোগ্য কণ্ঠে পরিণত করেছে।
  • তিনি প্রথম ব্যক্তি ছিলেন যিনি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। তিনিই প্রথম ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে সমর্থন করেন। গাজায় যে ধ্বংসযজ্ঞ চলছে এবং সেখানে জনগণের দুর্ভোগ—এ নিয়ে তিনি অত্যন্ত শক্তিশালী ভাষায় কথা বলেন।
    এটি স্পষ্ট যে, এই বিষয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন এবং তিনি তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। সব কিছু না জানালেও এমন কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, যা বলে দেয়—তারা (প্রশাসন) এখানে নতুন দিক পরিবর্তনের ইচ্ছা রাখে। ভাষাগত দিক থেকে তারা ইতোমধ্যেই একটি দরজা খুলে দিয়েছে, এবং ধারণা করা যায় যে, শিগগিরই সেই ভাষার পর নীতিগত পরিবর্তনও আসবে।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Kalita, S. Mitra (আগস্ট ১২, ২০২০)। "Kamala Harris' Indian roots and why they matter"CNN। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০