বিষয়বস্তুতে চলুন

কালো

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

কালো বা কৃষ্ণবর্ণ হলো একটি রঙ বা বর্ণ, যা দৃশ্যমান আলোর অনুপস্থিতি বা সম্পূর্ণ শোষণের ফলে হয়। কালো সবচেয়ে ঘন রঙ। এটি প্রায়শই অন্ধকারকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য প্রতীকী বা রূপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি বর্ণহীন রঙ। মধ্যযুগ থেকে কালো গাম্ভীর্য এবং কর্তৃত্বের প্রতীকী রঙ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বহু শতাব্দী ধরে কালো রঙ প্রায়শই মৃত্যু, মন্দ, ডাইনি এবং যাদুবিদ্যার সাথে যুক্ত ছিল। এই রঙটি শিল্পে ব্যবহৃত প্রথম রংগুলোর মধ্যে একটি।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • মজিল মন-ভ্রমরা, কালীপদ নীল-কমলে।
    যত বিষয়-মধু তুচ্ছ হৈল, কামাদি কুসুম সকলে॥
    চরণ কালো ভ্রমর কালো, কালো কালোয় মিশে গ্যালো;
    দ্যাখো সুখদুখ সমান হোলো, আনন্দসাগর উথলে॥
    • কমলাকান্ত-পদাবলি- কমলাকান্ত ভট্টাচার্য, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দ (১২৯২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৫৭
  • আমাদের রঙ কালো, তোমাদের রঙ সাদা। আমাদের বসন সাদা, তোমাদের বসন কালো। তোমরা শ্বেতাঙ্গ ঢেকে রাখো, আমরা কৃষ্ণদেহ খুলে রাখি। আমরা খাই সাদা জল, তোমরা খাও লাল পানি।
    • প্রমথ চৌধুরী, আমরা ও তোমরা, বীরবলের হালখাতা - প্রমথ চৌধুরী, প্রকাশক বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, প্রকাশস্থান-কলকাতা, প্রকাশসাল ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দ (১৩২৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৯
  • পাতলা ছায়া, ফোক্‌লা ছায়া, ছায়া গভীর কালো—
    গাছের চেয়ে গাছের ছায়া সব রকমেই ভালো।
    • সুকুমার রায়, ছায়াবাজি, সুকুমার সমগ্র রচনাবলী, প্রথম খণ্ড, সম্পাদনা- পুণ্যলতা চক্রবর্তী ও কল্যাণী কার্লেকর, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৭ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৩০
  • তুমি বসন্তের কোকিল, বেশ লোক। যখন ফুল ফুটে, দক্ষিণ বাতাস বহে, এ সংসার সুখের স্পর্শে শিহরিয়া উঠে, তখন তুমি আসিয়া রসিকতা আরম্ভ কর। আর যখন দারুণ শীতে জীবলোকে থরহরি কম্প লাগে, তখন কোথায় থাক, বাপু? যখন শ্রাবণের ধারায় আমার চালাঘরে নদী বহে, যখন বৃষ্টির চোটে কাক চিল ভিজিয়া গোময় হয়, তখন তোমার মাজা মাজা কালো কালো দুলালি ধরণের শরীরখানি কোথায় থাকে? তুমি বসন্তের কোকিল, শীত বর্ষার কেহ নও।
  • গভীর কালো মেঘের পরে রঙিন ধনু বাঁকা,
    রঙের তুলি বুলিয়ে মেঘে খিলান যেন আঁকা!
    সবুজ ঘাসে রোদের পাশে আলোর কেরামতি,
    রঙিন বেশে, রঙিন ফুলে রঙিন প্রজাপতি!
    • সুকুমার রায়, অন্ধ মেয়ে, সুকুমার রায় সমগ্র রচনাবলী, দ্বিতীয় খণ্ড, সম্পাদনা- পুণ্যলতা চক্রবর্তী ও কল্যাণী কার্লেকর, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৭ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৪৯

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]