বিষয়বস্তুতে চলুন

খুতবা

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে
মসজিদে এসে খুতবা শ্রবন করা জুমার নামাজের অপরিহার্য অংশ।

খুতবা বা খুৎবা (Arabic: خطبة khuṭbah, তুর্কি: hutbe) হল মসজিদে মুসল্লিদের সামনে প্রদত্ত ধর্মীয় বক্তৃতা যা সার্বভৌম শাসকের অধীনতা স্বরূপ তাঁর নামে প্রকাশ্যে ধর্মউপদেশ পাঠ। জুমার নামাজ ও দুই ঈদের নামাজে খুতবা পড়া হয়। খুতবা প্রদানকারী ব্যক্তিকে বলা হয় খতিব। সাধারণত খুতবা আরবি ভাষায় প্রদান করা হয়। তবে কিছু স্থানে স্থানীয় ভাষায় খুতবা দেয়ার প্রচলন রয়েছে। পূর্বে শাসকের সার্বভৌমত্বের প্রকাশ হিসেবে খুতবায় তার নাম উচ্চারণ করা হত।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • যখন ইমাম খুতবার জন্য বের হবেন, তখন নামাজ পড়বে না, কথাও বলবে না।
    • মেশকাত: ৩/৪৩২
  • যেসব কর্ম নামাজের মধ্যে হারাম, তা খুতবা চলাকালীন সময়ও হারাম। যেমন- কথাবার্তা বলা, পানাহার করা ইত্যাদি।
    • ফাতাওয়ায়ে শামি: ৩/৩৫
  • হজরত জাবের ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) দাঁড়িয়ে খুতবা প্রদান করতেন।
    • মুসলিম শরিফ: ১/২৮৩
    • হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন মিম্বরে দাঁড়াতেন, তখন আমরা তার সম্মুখ হয়ে বসতাম।
    • সুনানে তিরমিজি: ১/১১৪
  • হজরত আম্মার (রা.) বলেন, আমি হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি, কোনো ব্যক্তির নামাজের দীর্ঘতা এবং খুতবার সংক্ষিপ্ততা তার সূক্ষ্ম জ্ঞানের পরিচায়ক। সুতরাং তোমরা নামাজকে দীর্ঘ করবে এবং খুতবাকে সংক্ষেপ করবে।
    • সহিহ মুসলিম শরিফ: ১/২৮৬
    • হজরত জাবের ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) দুইটি খুতবা পাঠ করতেন এবং উভয় খুতবার মাঝখানে বসতেন। তিনি কোরআন তেলাওয়াত করতেন এবং লোকদের উপদেশ দিতেন।
    • সহিহ মুসলিম শরিফ: ১/২৮৩
  • সুতরাং জুমার আগে দুই খুতবা দেওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা। তাই এক খুতবা দিয়ে জুমার নামাজ পড়ালে জুমার নামাজ শুদ্ধ হয়ে গেলেও তা মাকরুহ হবে।
    • আদ্দুররুল মুখতার : ২/১৪৮; হেদায়া : ১/১৪৮; ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া : ৩/৩৮৫)
  • জাবির বিন সামুরা (রা.) বলেন, আমি নবী (সা.)-এর সঙ্গে নামাজ আদায় করতাম, তাঁর নামাজ ছিল পরিমিত, তাঁর খুতবা ছিল পরিমিত।
    • সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ১৫৮২
  • আমি কোরআন মাজিদের যা কিছু শিখেছি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মুখে শুনে শুনে শিখেছি। কেননা তিনি প্রত্যেক জুমায় মিম্বারে উঠে খুতবা দিতে গিয়ে কোরআন পড়তেন।
    • উম্মে হিশাম বিনতে হারিসা বর্ণনা করেন, জাদুল মাআদ, পৃষ্ঠা-১২০
  • তবে নবীজি (সা.) বৃষ্টির জন্য দোয়া প্রার্থনার আগে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতেন এবং ঈদের খুতবার শুরুতে তাকবির পাঠ করতেন।
    • জাদুল মাআদ, পৃষ্ঠা-১২০
  • জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন খুতবা দিতেন তখন তাঁর চক্ষুদ্বয় রক্তিম বর্ণ ধারণ করত, কণ্ঠস্বর জোরাল হতো এবং তাঁর রাগ বেড়ে যেত, এমনকি মনে হতো, তিনি যেন শত্রু বাহিনী সম্পর্কে সতর্ক করছেন আর বলছেন : তোমরা ভোরেই আক্রান্ত হবে, তোমরা সন্ধ্যায়ই আক্রান্ত হবে।
    • সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৮৯০
  • আল্লামা ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেন, নবীজি (সা.)-এর মিম্বারের তিনটি ধাপ ছিল। যখন তিনি খুতবার জন্য সেখানে উঠে সবার দিকে ফিরে বসতেন, তখন মুয়াজ্জিন দাঁড়িয়ে আজান দিত।
    • জাদুল মাআদ, পৃষ্ঠা-১২২
  • আমি নবী (সা.)-এর সঙ্গে নামাজ আদায় করতাম, তাঁর নামাজ ছিল পরিমিত, তাঁর খুতবা ছিল পরিমিত।
    • সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ১৫৮২
  • জাবির বিন সামুরা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দুটি খুতবা দিতেন। উভয় খুতবার মধ্যে (খুতবায়) কোরআন পড়তেন এবং জনগণকে উপদেশ দিতেন।
    • সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৮৬৩,

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]