চড়ুই
অবয়ব

“কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই?
আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে
তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে!”
—রজনীকান্ত সেন
চড়ুই বা চড়াই প্যাসারিডি গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত যেকোন লোকালয়ের আশেপাশে একটি সুপরিচিত পাখি। এরা জনবসতির মধ্যে থাকতে ভালোবাসে। খড়কুটো, শুকনো ঘাস পাতা দিয়ে এরা কড়িকাঠে, কার্নিশে বাসা বাঁধে। এরা পোকামাকড় শস্য খুঁটে খায়। বিশ্বের কোথাও চড়ুইদের অবস্থা আশংকাজনক নয়। পরিবর্তিত পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গে তারা সহজেই মানিয়ে নিতে পারে। পৃথিবীতে মোট ৪৮ প্রজাতির চড়ুই দেখতে পাওয়া যায়।
উক্তি
[সম্পাদনা]- কে ডাকে করুণ সুরে—শুনিস না তুই?
খাবার খুঁজিয়া ফেরে চপল চড়ুই।
বখরা লইয়া যত ঝগড়াটে কাক।
ঘরের খড়ের চালে করে হাঁকডাক।- শীতের সকাল - সুনির্মল বসু, সুনির্মল বসুর শ্রেষ্ঠ কবিতা- সুনির্মল বসু, প্রকাশক- মিত্র ও ঘোষ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৭১
- বাবুই পাখীরে ডাকি’ বলিছে চড়াই,—
“কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই?
আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে
তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে!”
বাবুই হাসিয়া কহে, “সন্দেহ কি তায়!
কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়;
পাকা হোক্, তবু ভাই, পরের ও-বাসা;
নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর—খাসা!"- স্বাধীনতার সুখ - রজনীকান্ত সেন, অমৃত, প্রকাশক- অমিয়রঞ্জন মুখােপাধ্যায়, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দ (১৩১৬ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৬
- ছোটো একটি চড়ুই পাখী,
তার পরণে পোষাক খাকী,
মোর ঘরের বাহিরে থাকি
ওঠে ‘চিপিক্’ ‘চিপিক্’ ডাকি!- চড়ুই- নিগ্রো ডান্বার, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত অনূদিত, তীর্থরেণু, অনুবাদক- সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, প্রকাশক- ইণ্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯১০ খ্রিস্টাব্দ (১৩১৭ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২৩
- বটের ডালে ডানা-ভিজে
কাক বসে ওই ভাবছে কী যে,
চড়ুইগুলো চুপ।
বৃষ্টি হয়ে গেছে ভোরে,
শজনেপাতায় ঝ’রে ঝ'রে
জল পড়ে টুপ্ টুপ্।- বৃষ্টি রৌদ্র- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শিশু ভোলানাথ, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দ (১৪০৩ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৮২
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
উইকিপিডিয়ায় চড়ুই সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।

উইকিঅভিধানে চড়ুই শব্দটি খুঁজুন।