জার্মানি
জার্মানি, আনুষ্ঠানিকভাবে ফেডারেল রিপাবলিক অব জার্মানি (এফআরজি) (জার্মান: Bundesrepublik Deutschland), পশ্চিম-মধ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি দেশ। এই দেশে ১৬টি সংবিধানিক রাজ্য রয়েছে, যেগুলোর কিছুটা সার্বভৌমত্বও রয়েছে। জার্মানি ৩৫৭,০২১ বর্গকিলোমিটার (১৩৭,৮৪৭ বর্গমাইল) এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, যার জলবায়ু মূলত নাতিশীতোষ্ণ। এর পূর্বে পোল্যান্ড এবং চেক প্রজাতন্ত্র, দক্ষিণে অস্ট্রিয়া এবং সুইজারল্যান্ড, পশ্চিমে ফ্রান্স, লুক্সেমবার্গ, বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডস এবং উত্তরে ডেনমার্ক, উত্তর সাগর এবং বাল্টিক সাগর অবস্থিত। এর রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর হল বার্লিন। ৮০.৭ মিলিয়ন বাসিন্দা নিয়ে, জার্মানি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে জনবহুল সদস্য রাষ্ট্র। একবিংশ শতাব্দীতে, জার্মানিকে একটি মহাশক্তি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। নামমাত্র জিডিপির দিক থেকে দেশটির বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি রয়েছে। একটি ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে এবং বিভিন্ন শিল্প ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী নেতা হিসেবে, এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পণ্য রপ্তানিকারক এবং আমদানিকারক । এটি একটি উন্নত দেশ যেখানে জীবনযাত্রার মান অত্যন্ত উচ্চমানের। জার্মানির জীবনযাত্রায় ব্যাপক সামাজিক নিরাপত্তা এবং সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা বজায় রাখা হয়েছে। বর্তমানে এটি সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি দ্বারা শাসিত, এর বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান হলেন রাষ্ট্রপতি ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টেইনমেয়ার এবং এর বর্তমান সরকারপ্রধান হলেন চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ।
উক্তি
[সম্পাদনা]- জার্মানরা তাদের তীব্র গণতন্ত্রের কারণে এবং সাধারণত সীমিত পুঁজির মানুষ হিসেব ও জীবিকার জন্য তাদের নিজস্ব শ্রম ও দক্ষতার উপর নির্ভরশীল হওয়ার কারণেই দাসত্ব প্রতিষ্ঠার পক্ষে ছিল না
- এ টোয়েন্টিথ সেঞ্চুরি হিস্ট্রি অফ সাউথওয়েস্ট টেক্সাস: ইলাস্ট্রেটেড (১৯০৭), "জারর্মান্স এন্ড স্ল্যাভেরি", খণ্ড ১, নিউ ইয়র্ক: টি লুইস পাবলিশিং কোম্পানি, পি. ১৯৩
- আমদের জার্মানদের বৃহৎ এশীয় শক্তির চেয়েও অনেক বেশি এবং জরুরি কর্তব্য পালন করতে হবে। জাপানিদের মতো আমরাও কেবল তরবারির জোরে তা পালন করতে পারি।
- ফ্রেডরিখ ভন বার্নহার্দি, জার্মানি এবং পরবর্তী যুদ্ধ (১৯১১), অধ্যায় XIII