বিষয়বস্তুতে চলুন

টিমোথি ফেরিস

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

টিমোথি ফেরিস (জন্ম: ২৯শে আগস্ট, ১৯৪৪) হলেন একজন আমেরিকান বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক। তিনি বারোটি বই লিখেছেন। তিনি ১৯৮৬ সালে ক্লাম্পকে-রবার্টস পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া, ১৯৮৬–১৯৮৭ শিক্ষাবর্ষে তিনি গুগেনহাইম ফেলো ছিলেন। তাঁর লেখা ১৯৮৮ সালের বই 'কামিং অফ এজ ইন দ্য মিল্কি ওয়ে' ১৯৮৯ সালে আমেরিকান ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্স সায়েন্স রাইটিং পুরস্কারে ভূষিত হয়। তিনি ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার সাংবাদিকতা এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের একজন এমেরিটাস অধ্যাপক।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • কেপলার সব মিলিয়ে টাইকোর দেওয়া মঙ্গল গ্রহের তথ্যের সাথে সত্তরটি বৃত্তাকার কক্ষপথ মিলিয়ে দেখেন। কিন্তু কোনোটিতেই কোনো লাভ হয়নি। এক পর্যায়ে তিনি এক অসাধারণ কল্পনা করলেন। অনেকটা যেন লিওনার্দো দা ভিঞ্চির চাঁদে যাওয়ার কল্পনার মতো। তিনি ভাবলেন, তিনি যেন মঙ্গল গ্রহে আছেন। সেখান থেকে তিনি বোঝার চেষ্টা করলেন, পৃথিবীর চলার পথ মঙ্গলের আকাশে কেমন দেখাবে। এই চেষ্টা করতে গিয়ে তাঁকে নয়শো পাতা জুড়ে গণনা করতে হয়েছিল। কিন্তু এত কিছুর পরেও, তিনি মূল সমস্যাটির সমাধান করতে পারলেন না।
    • কামিং অফ এজ ইন দ্য মিল্কি ওয়ে। অ্যাঙ্কর বুকস। ১৯৮৯। পৃষ্ঠা ৭৯।
  • মস্তিষ্ক কীভাবে কাজ করে, সে বিষয়ে স্নায়ুবিজ্ঞান কিছু চমকপ্রদ তথ্য সামনে আনতে শুরু করেছে। এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত সত্তা, কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের তথ্য ধারণ ও বিশ্লেষণের সীমাবদ্ধতা এবং মস্তিষ্ক কীভাবে তার দুর্বলতা ও অসংলগ্নতাগুলো ঢেকে দিয়ে একটি একীভূত চেতনার অনুভূতি বজায় রাখে – এই বিষয়গুলির উপর আলোকপাত করা হচ্ছে। ওয়াল্ট হুইটম্যান যেমনটা বলেছিলেন সেটাই আমরা এখন বুঝতে শুরু করেছি। তা হলো আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই আসলে অনেক সত্তার বাস। আমাদের ভেতরের এই নানা কণ্ঠস্বর লক্ষ লক্ষ বছরের বিবর্তনের ফসল, ঠিক যেমন বার্জেস শেল বা ডোভারের শ্বেত পর্বতমালায় ধীরে ধীরে ভূতাত্ত্বিক স্তর জমা হয়েছে।
    • দ্য মাইন্ড'স স্কাই: হিউম্যান ইন্টেলিজেন্স ইন এ কসমিক কনটেক্সট। ব্যান্টাম বুকস। ১৯৯৩। পৃষ্ঠা ১১-১৪।
  • হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে মনে করা হতো যে মহাকাশের নিয়মকানুন পৃথিবীর থেকে ভিন্ন। কিন্তু আইজ্যাক নিউটনের কাজের মাধ্যমে যে বৈজ্ঞানিক নবজাগরণ চূড়ান্ত রূপ পায়, তাতে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে ধারণাটা ভুল। বরং, একই প্রাকৃতিক নিয়ম পৃথিবী ও আকাশ উভয়কেই শাসন করে। এরপর থেকে মহাবিশ্বকে একটি নিখুঁত যান্ত্রিক ঘড়ির মতো করে দেখা হতে লাগলো। অর্থাৎ, যেখানে প্রতিটি ঘটনা নির্দিষ্ট কারণের ফলে ঘটে, ঠিক যেন পিতলের তৈরি যন্ত্রাংশের টিক্ টিক্ শব্দের মতো। ফলে, যারা দেবতাদের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে তারা দেবতাদের ব্যাখ্যাতীত জগতকে ঠেলে নিয়ে গেল সময়ের একেবারে শুরুতে, যখন মহাবিশ্ব কোনো এক অজানা উপায়ে অস্তিত্বে এসেছিল। তারপর এলো কোয়ান্টাম সম্ভাবনা। এটি নিজের অনিশ্চিত প্রকৃতি নিয়ে হাজির হলো। এটি যেন এক সৃজনশীল শক্তি, যা মহাজাগতিক সময়ের একেবারে প্রথম ঘটনাগুলো তৈরি করেছিল। তাই আমাদের বিবেচনা করতে হচ্ছে যে বিশাল মহাজাগতিক ব্যবস্থাগুলোও ক্ষুদ্রতম স্তরের কোয়ান্টাম নিয়ম মেনেই চলে। আর সম্ভবত মহাবিশ্বের উৎপত্তিও হয়তো এমনই এক আকস্মিক কসমিক ফ্লাক্স ছিল।
    • দ্য হোল শিবাং: আ স্টেট অফ দ্য ইউনিভার্স রিপোর্ট। সাইমন অ্যান্ড শুস্টার। ১৯৯৮।
  • পৃথিবীতে জীববৈচিত্র্যের সবচেয়ে নাটকীয় উত্থান ঘটেছিল আজ থেকে প্রায় পঞ্চাশ কোটি বছর আগে। তখন নখ, দাঁত ও শুঁড় (বা কর্ষিকা) যুক্ত নানা ধরনের প্রাণী হঠাৎ করেই আবির্ভূত হয়। এই ঘটনাকে যথার্থভাবেই ক্যামব্রিয়ান "বিস্ফোরণ" বলা হয়ে থাকে। এর কারণ আজও কিছুটা রহস্যময়। কিন্তু বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় সমস্ত জীবের শারীরিক গঠনই হলো সেই ক্যামব্রিয়ান যুগে উদ্ভূত নকশাগুলোরই বিভিন্ন রূপ। এই ঘটনা আমাদের ভাবায় যে ভিনগ্রহের প্রাণীরা তাহলে ঠিক কতটা অচেনা বা ভিন্ন ধরনের হতে পারে!
    • লাইফ বিয়ন্ড আর্থ। সাইমন অ্যান্ড শুস্টার। ২০০০। পৃষ্ঠা ৪০।
  • এই বইটিতে যুক্তি দেখানো হয়েছে যে গণতান্ত্রিক বিপ্লবের সূচনা হয়েছিল বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের হাত ধরে এবং বিজ্ঞান আজও রাজনৈতিক স্বাধীনতাকে উৎসাহিত করে চলছে। বিজ্ঞানের সৃজনশীলতা প্রযুক্তিগত উন্নতি এনেছে আর তার ফলে বিজ্ঞাননির্ভর দেশগুলো আরও সমৃদ্ধ ও সুরক্ষিত হয়েছে এই ব্যাপারটা সত্যি হলেও এটাই পুরো বিষয় নয়। আসল কথাটা হলো, উদার গণতান্ত্রিক সমাজে যে স্বাধীনতাগুলো পাওয়া যায়, সেগুলো বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য অপরিহার্য। আর গণতন্ত্র নিজেই একটা পরীক্ষামূলক ব্যবস্থা; এই ব্যবস্থা ছাড়া বিজ্ঞান বা স্বাধীনতা কোনোটিই বিকশিত হতে পারে না।
    • দ্য সায়েন্স অফ লিবার্টি: ডেমোক্রেসি, রিজন, অ্যান্ড দ্য লজ অফ নেচার। হার্পার কলিন্স। ২০১০। পৃষ্ঠা ৬।