ট্যাক্সি ড্রাইভার
অবয়ব
ট্যাক্সি ড্রাইভার ১৯৭৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি সিনেমা। ভিয়েতনাম যুদ্ধ ফেরত মানসিকভাবে অসুস্থ এক ব্যক্তি যে এখন নিউ ইয়র্ক শহরে রাতের বেলা ট্যাক্সি চালায়, তাকে নিয়ে এই সিনেমাটির গল্প গড়ে উঠেছে। এই সিনেমায় শহরের নোংরামি আর অবক্ষয় দেখে তার মধ্যে হিংস্র হয়ে ওঠার প্রবণতা জাগে ;আর একই সাথে সে এক কিশোরী পতিতাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে।
ট্রাভিস বিকল
[সম্পাদনা]- ১০ মে। ঈশ্বকে ধন্যবাদ, বৃষ্টি এসে ফুটপাতের সব ময়লা-আবর্জনা ধুয়েমুছে সাফ করে দিয়েছে। আমি এখন অনেক লম্বা সময় ধরে কাজ করছি; বিকেল ছ’টা থেকে ভোর ছ’টা পর্যন্ত। মাঝে মাঝে সকাল আটটা পর্যন্তও করি। সপ্তাহে ছয় দিন, কখনও কখনও সাত দিনও। এটা বেশ খাটুনির কাজ, কিন্তু আমাকে ব্যস্ত রাখে। সপ্তাহে তিনশো-সাড়ে তিনশো ডলার কামাই। মিটার বন্ধ রেখে চালালে মাঝে মাঝে আরও বেশি হয়। রাতে সব জানোয়ারেরা বেরিয়ে আসে – বেশ্যা, মাগি, বদমাশ, হিজড়া, সমকামী, নেশাখোর, মাতাল, অসুস্থ, লোভী। একদিন আসল বৃষ্টি নামবে আর এই সব আবর্জনা রাস্তা থেকে ধুয়ে সাফ করে দেবে। আমি সব জায়গায় যাই। ব্রঙ্কস, ব্রুকলিন, হারলেম – সব জায়গায় লোক নিয়ে যাই। আমি কিছু মনে করি না। এতে আমার কিছু যায় আসে না। অন্যদের আসে যায়। কেউ কেউ তো কালো চামড়ার লোক তুলতেই চায় না। আমার কিছু আসে যায় না।
- প্রতি রাতে গ্যারেজে ট্যাক্সি ফেরত দেওয়ার পর আমাকে পেছনের সিট থেকে বীর্য পরিষ্কার করতে হয়। কোনও কোনও রাতে রক্তও পরিষ্কার করতে হয়।
- বারো ঘণ্টা কাজ করার পরেও ঘুম আসে না। ধুর ছাই। দিনগুলো শুধু কেটেই চলেছে। শেষই হতে চায় না।
- আমার জীবনে শুধু একটা লক্ষ্যের প্রয়োজন ছিল, কোথাও যাওয়ার একটা কারণ প্রয়োজন ছিল। নিজের জীবনের সবটা অসুস্থ আত্মচিন্তায় ব্যয় করা উচিত এটা আমি মনে করি না। আমি বিশ্বাস করি, প্রত্যেকেরই অন্য সবার মতো সাধারণ মানুষ হওয়া উচিত।
- আমি ওকে প্রথম দেখেছিলাম ৬৩ অ্যান্ড ব্রডওয়ে স্ট্রিটে প্যালানটাইনের নির্বাচনী প্রচারণার অফিসে। ও একটা সাদা পোশাক পরেছিল। ওকে একদম দেবীর মতো লাগছিল। এই সব নোংরামির মাঝে ও একা। ওরা...ওকে...ছুঁতেও...পারবে না।
- একাকীত্ব সারা জীবন আমার পিছু নিয়েছে। সবখানে। বারে, গাড়িতে, ফুটপাতে, দোকানে – সবখানে। পালানোর কোনও পথ নেই। আমি ঈশ্বরের একাকী মানুষ।
- ২৬ মে। বিকেল চারটে। আমি বেটসিকে কলম্বাস সার্কেলের চার্লস কফি শপে নিয়ে গিয়েছিলাম। আমি ব্ল্যাক কফি আর অ্যাপেল পাই খেয়েছিলাম, সাথে এক টুকরো গলানো চিজ। আমার মনে হয় ভালোই অর্ডার দিয়েছিলাম। বেটসি কফি আর ফ্রুট সালাদ খেয়েছিল। ও যা খুশি খেতে পারত।
- আমি আবার বেটসিকে ওর অফিসে ফোন করেছিলাম। ও বলল, কাল কাজ শেষের পর আমরা হয়তো একসাথে সিনেমা দেখতে যেতে পারি। কাল আমার ছুটির দিন। প্রথমে ও একটু ইতস্তত করছিল, কিন্তু আমি আবার ফোন করার পর রাজি হয়ে গেল। বেটসি, বেটসি। ওহ না, বেটসি কী যেন? আমি আবার ওর পদবি জিজ্ঞেস করতে ভুলে গেছি। ধুর ছাই। এই সব জিনিস মনে রাখতে হবে।
- [বেটসির সাথে ফোনে কথা বলছে] হ্যালো বেটসি। হাই, আমি ট্র্যাভিস। কেমন আছ? শোনো, উম, আমি, আমি দুঃখিত সেদিনের রাতের ঘটনার জন্য। আমি জানতাম না তুমি ওইভাবে নেবে ব্যাপারটা। মানে, আ-আমি জানতাম না তুমি এরকম ভাববে। আ-আ-আমি তোমাকে অন্য কোথাও নিয়ে যেতাম। উম, তুমি কি এখন ভালো আছ নাকি ওহ তোমার হয়তো কোনো ভাইরাস বা কিছু হয়েছিল, ২৪ ঘণ্টার ভাইরাস আর কি। এরকম হয়। হ্যাঁ, উমম, তুমি উম, তুমি কি খুব খাটছ? হ্যাঁ। উম, তুমি কি আমার সাথে, উম, ডিনার করতে চাও, উম, সামনের, মানে, কয়েকদিনের মধ্যে বা কিছু? আচ্ছা, শুধু এক কাপ কফি হলে কেমন হয়? আমি, উম, হেডকোয়ার্টারে বা কোথাও আসব, আমরা, উম... ওহ, আচ্ছা, আচ্ছা। তুমি কি আমার পাঠানো ফুলগুলো পেয়েছ...? পাওনি? আমি কিছু ফুল পাঠিয়েছিলাম, উম... হ্যাঁ, আচ্ছা, ঠিক আছে, ঠিক আছে। আমি কি তোমাকে আবার ফোন করতে পারি? উম, কাল বা পরশু? আচ্ছা। না, আমি...আচ্ছা। হ্যাঁ, অবশ্যই, আচ্ছা। তাহলে রাখি।
- আমি ওকে বেশ কয়েকবার ফোন করার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু প্রথম কলের পর ও আর ফোনে আসেনি। আমি ফুলও পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। ফুলের গন্ধে আমার শরীর আরও খারাপ লাগছিল। মাথাব্যথাটা আরও বেড়ে গেল। আমার মনে হয় পেটে ক্যানসার হয়েছে। যদিও আমার অভিযোগ করা উচিত না। তুমি ততটাই সুস্থ, তুমি কেবল ততটাই সুস্থ যতটা তুমি অনুভব করো। তুমি কেবল ততটাই... সুস্থ... যতটা... তুমি... অনুভব... করো।
- আমি এখন বুঝতে পারছি ও অন্যদের মতোই – ঠান্ডা আর উদাসীন, আর অনেকেই ওরকম। বিশেষ করে মেয়েরা। ওরা যেন একটা দল।
- একাকীত্ব সারা জীবন আমার পিছু নিয়েছে। সবখানে। বারে, গাড়িতে, ফুটপাতে, দোকানে – সবখানে। পালানোর কোনও পথ নেই। আমি ঈশ্বরের একাকী মানুষ। জুন ৮। আমার জীবন আবার অন্যদিকে মোড় নিয়েছে। দিনগুলো একঘেঁয়েভাবে কেটে যেতে পারে, একের পর এক, একটা দিনের সাথে অন্য দিনের কোনও পার্থক্য থাকে না। একটা লম্বা একটানা শিকলের মতো। তারপর হঠাৎ, একটা পরিবর্তন আসে।
- জুন ২৯। আমাকে এবার শরীর ঠিক করতে হবে। অতিরিক্ত বসে থাকায় আমার শরীরটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেক দিন ধরে শরীরের উপর অনেক অত্যাচার হয়েছে। এখন থেকে, প্রতিদিন সকালে পঞ্চাশটা পুশ-আপ, পঞ্চাশটা পুল-আপ। আর কোনও ওষুধ নয়, আর কোনও খারাপ খাবার নয়, শরীরের জন্য ক্ষতিকর আর কিছু নয়। এখন থেকে সবকিছু হবে নিয়ম মেনে। প্রতিটি পেশী টানটান হতে হবে।
- কিছুদিন ধরেই ভাবনাটা আমার মাথায় ঘুরছিল। আসল শক্তি। রাজার সব লোক মিলেও সেটা আর আগের মতো করতে পারবে না।
- [আয়নায় তাকিয়ে] হ্যাঁ। হুঁ? [বন্দুক বের করে] হুঁ? হুঁ? তোর চেয়ে দ্রুত, শালা কুত্তার বাচ্চা... আমি দেখেছিলাম তুই আসছিস, শয়তান। ছোটলোক। [বন্দুক খাপে ঢোকায়] আমি এখানেই দাঁড়িয়ে আছি। তুই চাল দে। তুই চাল দে। এটা তোর চাল। হুঁ? [হাতা থেকে লুকানো বন্দুক বের করে] চেষ্টা করিস না, শালা। [বন্দুক খাপে ঢোকায়] আমার সাথেই কথা বলছিস? আমার সাথেই কথা বলছিস? আমার সাথেই কথা বলছিস? [পেছনে ঘুরে তাকায়] তাহলে তুই কার সাথে কথা বলছিস? আমার সাথেই কথা বলছিস? এখানে তো আমি একাই আছি। তুই কাকে বলছিস মনে করিস? ওহ তাই? হুঁ? আচ্ছা। [আবার বন্দুক বের করে] হুঁ? (শোন তোরা শালা বদমাশ, মাথামোটার দল। এই লোকটা আর কিছু সহ্য করবে না। যে আর হতে দেবে না - শোন তোরা শালা বদমাশ, মাথামোটার দল। এই লোকটা আর কিছু সহ্য করবে না। যে লোকটা রুখে দাঁড়িয়েছিল এই সব আবর্জনা, মাগি, কুত্তা, নোংরা, গুয়ের বিরুদ্ধে। এখানে একজন আছে যে রুখে দাঁড়িয়েছিল। এখানে আছে...) [বন্দুক বের করে] তুই শেষ।
- [বাবা-মাকে লেখা বিবাহ-বার্ষিকী কার্ডে] প্রিয় বাবা ও মা: আমার মনে আছে জুলাই মাসেই তোমাদের বিবাহবার্ষিকী, বাবা দিবস আর মায়ের জন্মদিন – সবই পড়ে। সঠিক তারিখগুলো মনে নেই বলে আমি দুঃখিত, কিন্তু আশা করি এই একটা কার্ডেই সব কাজ চলে যাবে। আবারও দুঃখিত যে গত বছর কথা দিয়েও তোমাদের ঠিকানা পাঠাতে পারলাম না। কিন্তু আমি সরকারের হয়ে যে জরুরি কাজ করি, তার জন্য সব কিছু খুব গোপন রাখতে হয়। আমি জানি তোমরা বুঝবে। আমি সুস্থ আছি, ভালো আছি আর ভালোই টাকা আয় করছি। কয়েক মাস ধরে একটা মেয়ের সাথে মেলামেশা করছি। ওকে দেখলে তোমরা খুব গর্বিত হতে, আমি জানি। ওর নাম বেটসি, এর বেশি কিছু এখন বলতে পারছি না। আশা করি কার্ডটা যখন পাবে, তোমরা সবাই আমার মতোই ভালো থাকবে। আশা করি বাড়ির কেউ মারা যায়নি। আমার জন্য চিন্তা কোরো না। একদিন দেখবে দরজায় টোকা পড়ছে, আর সেটা আমি। তোমাদের জন্য ভালোবাসা। ট্র্যাভিস।
- [একটি নোটে] প্রিয় আইরিস: এই টাকাটা তোমার যাওয়ার খরচের জন্য। তুমি যখন এটা পড়বে তখন আমি আর বেঁচে থাকব না। ট্র্যাভিস।
- এখন আমি সব পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি। আমার সারাটা জীবন শুধু একটাই পথের দিকে এগিয়ে গেছে। এখন আমি তা বুঝতে পারছি। আমার জন্য অন্য কোনও পথ খোলা ছিল না।
সিনেটর চার্লস প্যালেন্টাইন
[সম্পাদনা]- যখন আমরা আমাদের স্লোগান তৈরি করেছিলাম, “আমরাই জনগণ,” যখন আমি বলেছিলাম জনগণ শাসন করুক, তখন আমার মনে হয়েছিল আমি হয়তো একটু বেশি আশাবাদী হয়ে পড়ছি। কিন্তু আমাকে বলতেই হচ্ছে যে আমি এখন আগের চেয়েও অনেক বেশি আশাবাদী। আমি জনগণের কাছে যে দাবি রেখেছি, তারা তা পূরণের জন্য এগিয়ে আসছে। জনগণ শাসন করতে শুরু করেছে। আমি অনুভব করছি এটা একটা গণজোয়ার। আমি জানি এটা প্রাথমিক নির্বাচন পর্যন্ত চলবে। আমি জানি এটা মায়ামিতেও চলবে। আর আমি জানি নভেম্বরে এটা এক অভূতপূর্ব জোয়ারে পরিণত হবে।
- ওয়াল্ট হুইটম্যান মানের সেই মহান আমেরিকান কবি আমাদের সকলের হয়ে বলেছিলেন: “আমিই সেই মানুষ। আমি কষ্ট সয়েছি। আমি সেখানে ছিলাম।” আজ আমি আপনাদের বলছি, আমরাই জনগণ, আমরা কষ্ট সয়েছি, আমরা সেখানে ছিলাম। আমরা জনগণ ভিয়েতনামে ভুগেছি। আমরা এখনও বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি, অপরাধ আর দুর্নীতিতে ভুগছি।
- আমরা ইতিহাসের এক সন্ধিক্ষণে মিলিত হয়েছি। এখন আর ভুল পথে এগোনো যাবে না।
অন্যান্য
[সম্পাদনা]- যাত্রী: [ট্র্যাভিসকে] জানালার ওপাশে মহিলাটাকে দেখতে পাচ্ছো? মহিলাটাকে দেখতে পাচ্ছো?...আমি চাই তুমি মহিলাটাকে দেখো, কারণ ও আমার স্ত্রী। কিন্তু ওটা আমার অ্যাপার্টমেন্ট না। ওটা আমার অ্যাপার্টমেন্ট না। জানো ওখানে কে থাকে? হুঁ? মানে, তুমি তো জানবে না ওখানে কে থাকে - আমি এমনিই বলছি, ‘কিন্তু জানো ওখানে কে থাকে?’ হুঁ? ওখানে একটা নিগ্রো থাকে। কেমন লাগে বলো তো? আর আমি ওকে, আমি ওকে খুন করব। এছাড়া আর কোনো পথ নেই। আমি ওকে খুন করব। কী মনে হয় তোমার এটা শুনে? হুম? আমি বললাম ‘কী মনে হয় তোমার এটা শুনে?’ উত্তর দিও না। তোমাকে সব কিছুর উত্তর দিতে হবে না। আমি ওকে খুন করব। আমি ওকে একটা .৪৪ ম্যাগনাম পিস্তল দিয়ে খুন করব। আমার কাছে একটা .৪৪ ম্যাগনাম পিস্তল আছে। আমি ওকে ওই বন্দুকটা দিয়েই খুন করব। তুমি কি কখনো দেখেছ একটা .৪৪ ম্যাগনাম পিস্তল একটা মেয়ের মুখের কী অবস্থা করতে পারে? মানে এটা ওর মুখটাকে একদম উড়িয়ে দেবে। একেবারে উড়িয়ে দেবে। ওর মুখের এই অবস্থা করতে পারে ওটা। আচ্ছা, তুমি কি কখনো দেখেছ ওটা একটা মেয়ের ভোদার কী অবস্থা করতে পারে? সেটা তোমার দেখা উচিত। তোমার দেখা উচিত একটা .৪৪ ম্যাগনাম একটা মেয়ের ভোদার কী হাল করতে পারে, তোমার দেখা উচিত। আমি জানি, আমি জানি তুমি নিশ্চয়ই ভাবছ যে আমি, মানে... তুমি নিশ্চয়ই ভাবছ আমি বেশ অসুস্থ বা কিছু একটা, জানো, তুমি নিশ্চয়ই ভাবছ আমি বেশ অসুস্থ। তাই না? তুমি নিশ্চয়ই ভাবছ আমি বেশ অসুস্থ? হুম? তাই না? আমি বাজি ধরে বলতে পারি, বাজি ধরে বলতে পারি তুমি সত্যিই ভাবছ আমি অসুস্থ, তাই না? তুমি ভাবছ আমি অসুস্থ? তুমি ভাবছ আমি অসুস্থ? তোমাকে উত্তর দিতে হবে না। আমি ভাড়ার টাকা দিচ্ছি। তোমাকে উত্তর দিতে হবে না।
- আইরিসের বাবার চিঠি: [ট্র্যাভিসকে] প্রিয় বিকল সাহেব: আপনি ভালো আছেন এবং সেরে উঠছেন শুনে আমি ও মিসেস স্টিনসমা যে কী ভীষণ খুশি হয়েছি, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আমরা যখন আইরিসকে নিতে নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলাম, তখন হাসপাতালে আপনার সাথে দেখা করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আপনি তখনও কোমায় ছিলেন। আমাদের আইরিসকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আপনার এই ঋণ আমরা কোনোভাবেই শোধ করতে পারব না। আমরা ভেবেছিলাম ওকে হারিয়েই ফেলেছি, আর এখন আমাদের জীবন আবার পূর্ণ হয়ে উঠেছে। বলাই বাহুল্য, আমাদের এই পরিবারে আপনি একজন বীর। আমি নিশ্চিত আপনি আইরিসের খবর জানতে চান। ও আবার স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে আর খুব মন দিয়ে পড়াশোনা করছে। এই পরিবর্তনটা ওর জন্য খুব কঠিন ছিল, আপনি নিশ্চয়ই তা বুঝতে পারছেন। কিন্তু আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি যাতে ওর আবার পালিয়ে যাওয়ার মতো কোনও কারণ না ঘটে। পরিশেষে, আমি ও মিসেস স্টিনসমা আবারও আমাদের হৃদয়ের গভীর থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। দুর্ভাগ্যবশত, আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানানোর জন্য আবার নিউ ইয়র্ক আসার সামর্থ্য আমাদের নেই, থাকলে আমরা অবশ্যই আসতাম। কিন্তু আপনি যদি কখনো পিটসবার্গে আসেন, তাহলে আমাদের বাড়িতে আপনাকে পরম অতিথি হিসেবে স্বাগত জানানো হবে। আমাদের গভীরতম ধন্যবাদান্তে, বার্ট ও আইভি স্টিনসমা।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
উইকিপিডিয়ায় ট্যাক্সি ড্রাইভার সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।