বিষয়বস্তুতে চলুন

ডেভিড বাল্টিমোর

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

ডেভিড বাল্টিমোর (জন্ম: ৭ মার্চ, ১৯৩৮) একজন মার্কিন জৈব-রসায়নবিদ। তিনি ১৯৭৫ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন এবং ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি-এর অধ্যাপক। তিনি রিভার্স ট্রান্সক্রিপটেজ (যা ক্যান্সার সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ধারণা বদলে দেয়) আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। এছাড়া, তিনি এইচআইভি শনাক্তকরণ এবং বাল্টিমোর শ্রেণিবিন্যাসে অবদান রেখেছেন।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • দুটি স্বতন্ত্র গবেষক দল ভাইরিয়ন-এ RNA টিউমার ভাইরাস-এর একটি এনজাইমের প্রমাণ পেয়েছে, যা RNA ছাঁচ ব্যবহার করে DNA সংশ্লেষ করে। এই আবিষ্কারটি, যদি টিকে থাকে, তবে শুধু RNA ভাইরাস দ্বারা ক্যান্সার সৃষ্টির ক্ষেত্রেই নয়, বরং জেনেটিক ট্রান্সক্রিপশন সম্পর্কে সাধারণ বোঝাপড়ার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে: সম্ভবত DNA থেকে RNA-তে তথ্য প্রবাহের ক্লাসিক্যাল প্রক্রিয়াটি উল্টানো যেতে পারে।
    • উৎস: ভাইরাল আরএনএ-ডিপেন্ডেন্ট ডিএনএ পলিমারেজ: আরএনএ টিউমার ভাইরাসের ভিরিয়নে আরএনএ-ডিপেন্ডেন্ট ডিএনএ পলিমারেজ, **নেচার**

, ১৯৭০, খণ্ড ২২৬, সংখ্যা ৫২৫২, পৃষ্ঠা ১২০৯–১২১১, DOI: ১০.১০৩৮/২২৬১২০৯অ০, PMID: ৪৩১৬৩০০, Bibcode: ১৯৭০Natur.২২৬.১২০৯B, S2CID: ৪২২২৩৭৮

  • প্রাণীর ভাইরাসের জগৎ শুরুতে অপরিমেয় বৈচিত্র্যের নমুনা প্রদান করে বলে মনে হয়, কিন্তু অনেক ভাইরাসের বংশবিস্তার প্রক্রিয়ার আণবিক জীববিদ্যা নিয়ে গবেষণা করার ফলে একটি আচরণগত ধরণ প্রকাশ পেয়েছে। ভাইরাসগুলিকে শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে, যেগুলোর প্রত্যেকটির নিজস্ব জিনগত তথ্য পরবর্তী প্রজন্মে স্থানান্তরের এবং জিনগত তথ্য প্রকাশের নিজস্ব পদ্ধতি রয়েছে। যদিও কিছু ক্ষেত্রে তথ্য এখনো খণ্ডিত, তবুও এই সিস্টেমগুলির আচরণ সংক্ষেপে উপস্থাপন করা সম্ভব।
    • উৎস: এক্সপ্রেশন অফ অ্যানিম্যাল ভাইরাস জিনোমস, ব্যাকটেরিওলজিক্যাল রিভিউজ, ১৯৭১, খণ্ড ৩৫, সংখ্যা ৩, পৃষ্ঠা ২৩৫–২৪১, DOI: ১০.১১২৮/MMBR.৩৫.৩.২৩৫-২৪১.১৯৭১, PMID: ৪৩২৯৮৬৯, PMC: ৩৭৮৩৮৭
  • জীববিজ্ঞানের এই বিশাল প্রকল্পের মাইলফলক হলো আন্তর্জাতিক মানব জিনোম সিকোয়েন্সিং কনসোর্টিয়াম (পাবলিক প্রকল্প) দ্বারা বহু প্রতীক্ষিত ডিএনএ সিকোয়েন্সের খসড়া প্রকাশ। ইন্টারনেটে সংযুক্ত যে কেউ এই সিকোয়েন্স দেখতে পারে … এই সংখ্যায় প্রকাশিত প্রবন্ধে, বিশাল DNA অণুগুলোর গঠন উন্মোচনের কৌশল এবং জিনোমে এনকোড করা বিষয়বস্তুর বিশ্লেষণ উপস্থাপিত হয়েছে। এটি বিশ্বের ২০টি গবেষণাগার এবং শত শত মানুষের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল। এটি বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের সর্বোত্তম দিক প্রতিফলিত করে: সহযোগিতামূলক কাজ, সম্পদ ও দক্ষতার মেলবন্ধন, লক্ষ্যের প্রতি কেন্দ্রীভূত থাকা এবং অর্জিত ফলাফল সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া।
    • উৎস: আওয়ার জিনোম আনভেইলড, ২০০১, খণ্ড ৪০৯, সংখ্যা ৬৮২২, পৃষ্ঠা ৮১৫–৮১৬, DOI: ১০.১০৩৮/৩৫০৫৭২৬৭, PMID: ১১২৩৬৯৯২, Bibcode: ২০০১Natur.৪০৯..৮১৪B, S2CID: ৪৪২৯১৩৮

সম্পর্কে উক্তি

[সম্পাদনা]
  • ওয়াটসনক্রিক এবং ফেজ গ্রুপ-এর খ্যাতি ডেভিড বাল্টিমোরকে প্রকৃত পরীক্ষামূলক জীববিজ্ঞান করার জন্য আরও বেশি মরিয়া করে তুলেছিল। জুনিয়র বছরের বসন্তকালে, বাল্টিমোর জীববিজ্ঞান ক্লাবের সভাপতি হন এবং একটি মাইক্রোবায়োলজি সেমিনারে ভর্তি হন, যেখানে লুরিয়া, ডেলব্রুক, লেডারবার্গ এবং অন্যদের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হতো। কিন্তু তিনি শুধুমাত্র জীববিজ্ঞান নিয়ে কথা বলায় ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তিনি খুব দ্রুত বুঝেছিলেন যে, গবেষণা নকশা করা এবং তা সম্পন্ন করাই একজন জীববিজ্ঞানীর আসল কৃতিত্ব; কেবল তথ্যের বিশ্বকোষীয় জ্ঞান অর্জন একজন ভালো ছাত্র তৈরি করে।