তিরুবনন্তপুরম
অবয়ব

তিরুবনন্তপুরম ত্রিভানদ্রম নামেও পরিচিত। এটি ভারতের কেরল রাজ্যের রাজধানী, এবং কেরলের সবচেয়ে জনবহুল পৌর কর্পোরেশন ও পঞ্চম বৃহত্তম শহরাঞ্চল।
উদ্ধৃতি
[সম্পাদনা]


- কেরলের দক্ষিণতম জেলা ও রাজধানী, ঈশ্বরের নিজস্ব দেশ—যে কেউ তিরুবনন্তপুরমে আসেন, তিনি যেন স্বর্গেই আসেন, এই স্থানে থাকার এক স্বর্গীয় আনন্দ অনুভব করেন।
- বিজু ম্যাথিউ, ‘’Pilgrimage to Temple Heritage’’ (পিলগ্রিমেজ টু টেম্পল হেরিটেজ), ২০১৩, পৃ. ৪৯
- কেরলের রাজধানী তিরুবনন্তপুরম বা ত্রিভানদ্রম—যেটি উচ্চারণে ও লেখায় অনেক সহজ—এর নামকরণ হয়েছে সাপদেবতা অনন্তের নামে, যাঁর উপর বিষ্ণু শয়ানরত।
- অ্যালাইন ডব্বি, ‘’India: The Elephant’s Blessing’’ (ইন্ডিয়া: দ্য এলিফ্যান্ট’স ব্লেসিং), ২০০৬, পৃ. ১২৮
- তিরুবনন্তপুরম নামটি এসেছে অনন্ত নামক সর্প রাজা থেকে, যিনি হিন্দু পুরাণে উল্লেখিত… ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য ও স্মৃতিস্তম্ভগুলি সংস্কৃতির এবং অতুলনীয় জাঁকজমকের অনন্য নিদর্শন।
- বিজু ম্যাথিউ, ‘‘Pilgrimage to Temple Heritage’’ (পিলগ্রিমেজ টু টেম্পল হেরিটেজ), ২০১৩, পৃ. ৪৯
- ত্রিভানদ্রম ছিল ত্রাভাঙ্কোর রাজ্যটির রাজধানী, যেটি হিন্দু রাজা ও রানি দ্বারা শাসিত হতো, এবং এটি আজকের কেরলেরও রাজধানী হিসেবে টিকে আছে।
- সেলভিস্টার পন্নুমুথান, ‘’The Spirituality of Basic Ecclesial Communities in the Socio-religious …’’ (দ্য স্পিরিচুয়ালিটি অফ বেসিক এক্লেসিয়াল কমিউনিটিজ ইন দ্য সোশিও-রিলিজিয়াস…), ১৯৯৬, পৃ. ৬২
- ত্রিভানদ্রম বহু প্রাচীনকাল থেকেই বহু দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ রাখত। এখানকার মানুষ দ্রাবিড়ীয় উৎস থেকে আগত।
- সেলভিস্টার পন্নুমুথান, ‘‘The Spirituality of Basic Ecclesial Communities in the Socio-religious …’’ (দ্য স্পিরিচুয়ালিটি অফ বেসিক এক্লেসিয়াল কমিউনিটিজ ইন দ্য সোশিও-রিলিজিয়াস…)
- ত্রিভানদ্রম তথা ত্রাভাঙ্কোরের ইতিহাস শুরু হয় সংগম যুগ থেকে, যা খ্রিস্টীয় যুগের প্রথম পাঁচ শতাব্দীকে অন্তর্ভুক্ত করে। সেই প্রারম্ভিক সময়ে জাতিভেদ ছিল না। ধর্ম ছিল হিন্দুধর্ম, এবং শ্রী পদ্মনাভ মন্দির ছিল মানুষের ধর্মীয় প্রতীক।
- সেলভিস্টার পন্নুমুথান, ‘‘The Spirituality of Basic Ecclesial Communities in the Socio-religious …’’ (দ্য স্পিরিচুয়ালিটি অফ বেসিক এক্লেসিয়াল কমিউনিটিজ ইন দ্য সোশিও-রিলিজিয়াস…)
- ১২শ শতকের শেষভাগে কেরল একটি পূর্ণাঙ্গ সামন্ততান্ত্রিক সমাজে রূপান্তরিত হয়, যার সঙ্গে যুক্ত ছিল তার নিজস্ব সামাজিক-ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, রীতি ও প্রথা। খ্রিস্টধর্ম ও ইসলামের বিস্তার সমাজে বহু বিভাজন সৃষ্টি করে, যদিও ত্রিভানদ্রম কখনোই কোনো বিদেশি শাসকের অধীনে ছিল না।
- সেলভিস্টার পন্নুমুথান, ‘‘The Spirituality of Basic Ecclesial Communities in the Socio-religious …’’ (দ্য স্পিরিচুয়ালিটি অফ বেসিক এক্লেসিয়াল কমিউনিটিজ ইন দ্য সোশিও-রিলিজিয়াস…)
- রাজা রবি বর্মা (১৭২১-২৯) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যাতে করে তিনি অভিজাত শ্রেণি ও শত্রুদের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান মজবুত করতে পারেন। তিনি একই উদ্দেশ্যে মাদুরাইয়ের নায়কদের সঙ্গেও একটি চুক্তি করেন। তাঁর মৃত্যুর পর ১৭২৯ সালে মার্তণ্ড বর্মা সিংহাসনে বসেন, যিনি পরবর্তীতে “আধুনিক ত্রাভাঙ্কোরের রচয়িতা” হিসেবে ইতিহাসে বিখ্যাত হন।
- এ শ্রীধরা মেনন, ‘’Kerala History and its Makers’’ (কেরল হিস্টরি অ্যান্ড ইটস মেকারস), ১৯৮৭, পৃ. ৭৫
- আধুনিক ত্রাভাঙ্কোরের ইতিহাস শুরু হয় মার্তণ্ড বর্মার রাজত্বকাল থেকে, যিনি ভেনাদ রাজ্য উত্তরাধিকার সূত্রে পান এবং ত্রাভাঙ্কোর রাজ্যটি বিস্তার করেন আত্তিঙ্গল, কোল্লাম, কায়ামকুলম, কোত্তারকারা, কোট্টায়ম, চাঙ্গনাশেরি, মীনাচিল, পূণ্জার এবং আম্বলাপুঝা জয় করে।
- সিটি কর্পোরেশন, ‘’City History’’ (সিটি হিস্টরি)
- মার্তণ্ড বর্মা ওলন্দাজ বিরুদ্ধে কোলাচেলের যুদ্ধে (১৭৪১) বিজয় অর্জন করেন। তিনি ওলন্দাজ অ্যাডমিরালকে বন্দি করেন যিনি পরে সিনিয়র অ্যাডমিরাল হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনিই ত্রাবাঙ্কোর সেনাবাহিনীকে আধুনিকীকরণ করেন এবং আগ্নেয়াস্ত্র ও তোপখানা প্রবর্তন করেন।
- সিটি কর্পোরেশন, (সিটি হিস্ট্রি)
- ত্রাভাঙ্কোরের প্রতিষ্ঠাতা রাজা মার্তণ্ড বর্মা তিরুবনন্তপুরমকে রাজধানী ঘোষণা করেন এবং তাঁর শাসন শেষ হওয়ার পরেও এই শহরটি ত্রাভাঙ্কোর রাজ্যের রাজধানী হিসেবে অব্যাহত থাকে। ১৯৫৬ সালে কেরল একটি রাজ্য হিসেবে গঠিত হলে, ঐতিহ্য অনুসরণ করে সর্বসম্মতিক্রমে এই শহরকেই রাজধানী হিসেবে রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এটি অন্যান্য রাজ্য রাজধানীর তুলনায় ছোট একটি শহর এবং সেই কারণেই এর নিজস্ব আকর্ষণ বজায় রয়েছে।
- আলিন ডবি, (“ইন্ডিয়া: দ্য এলিফ্যান্ট’স ব্লেসিং”, পৃ. ১২৮)
- অনিজম তিরুনাল মার্তণ্ড বর্মা ছিলেন প্রথম মহারাজা, যিনি অষ্টাদশ শতকে পদ্মনাভ দাস ধারণাটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রবর্তন করেন।
- এ শ্রীবৎসন, (“আ কিংডম অ্যান্ড আ টেম্পল”, ২১ জুলাই ২০১১)
- উপরে সবকিছুর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং ত্রাভাঙ্কোরের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্ব যেকোনো মূল্যে বজায় রাখতে হবে এবং এই সম্মানিত সংস্থার সহায়তা ও সমর্থনের ওপর সর্বদা পূর্ণ আস্থা রাখতে হবে।
- মার্তণ্ড বর্মা, তাঁর ভাইপো রাজপুত্র রামা বর্মার প্রতি শেষ বার্তায়, (“ত্রাভাঙ্কোর স্টেট ম্যানুয়াল: উইথ ফরওয়ার্ড বাই ভেদ ফ্রম ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশনস”, পৃ. ২৩)
- স্বাতি তিরুনালের সিংহাসনে আরোহন একটি নতুন যুগের সূচনা করে, যা সাংস্কৃতিক অগ্রগতি এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। ১৮৩৪ সালে তিরুবনন্তপুরমে একটি ইংরেজি স্কুল খোলার মাধ্যমে ইংরেজি শিক্ষার সূচনা হয়। ১৮৩৬ সালে একটি জ্যোতির্বিদ্যা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র এবং একটি দান হাসপাতাল স্থাপন করা হয়।
- এ শ্রীবৎসন, (“আ কিংডম অ্যান্ড আ টেম্পল”, ২১ জুলাই ২০১১)
- রাজা রবি বর্মা, ত্রাভাঙ্কোর রাজপরিবারের আরেক সদস্য ও খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী, জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় তিরুবনন্তপুরমে কাটিয়েছেন। তিনি বহু দেবতার চিত্র এঁকেছেন এবং ওলিওগ্রাফ হিসেবে সেগুলি মুদ্রিতও করেছিলেন, তবে কখনোই পদ্মনাভ বা মন্দিরের চিত্র আঁকেননি।
- এ. শ্রীবৎসন, (“আ কিংডম অ্যান্ড আ টেম্পল”, ২১ জুলাই ২০১১)
- ত্রাভাঙ্কোর রাজপরিবার তাদের শাসন ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনায় এক অনন্য পন্থা গ্রহণ করে। রাজা “পদ্মনাভ দাস” হিসেবে ঈশ্বরের প্রতিনিধি রূপে শাসন করতেন এবং কেবল ঈশ্বরের প্রতিই আনুগত্যের শপথ নিতেন। ১৯৪৯ সালে মহারাজা চিত্তিরা তিরুনাল রামা বর্মা “ভারত সরকারের প্রতি শপথ” নিতে না পারায় রাজপ্রমুখের পদ নিতে অস্বীকৃতি জানানোর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন।
- এ. শ্রীবৎসন, (“আ কিংডম অ্যান্ড আ টেম্পল”, ২১ জুলাই ২০১১)
- এই শহরের পুরনো নাম ত্রিভানড্রম ব্রিটিশদের দেওয়া এবং এটি তিরুবনন্তপুরম নামের সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি প্রাচীন নাম, যা ২১শ শতকের গোড়ার দিকে পুনরায় গৃহীত হয়। এখানে কেরালা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৩৭) ও তার অধিভুক্ত কলেজ ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শহরটিতে একটি জাদুঘর, চিড়িয়াখানা, একটি জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র এবং একটি শিল্পকলা গ্যালারিও আছে।
- এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, (“থিরুভানান্থপুরম”, ব্রিটানিকা.কম)
- থিরুভানান্থপুরমের শিল্পের মধ্যে খনিজ প্রক্রিয়াকরণ, চিনিকল, বস্ত্র উৎপাদন এবং হস্তশিল্প অন্তর্ভুক্ত। ধান ও নারকেল চাষ এবং উপকূলীয় মৎস্যচাষ অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি রেল টার্মিনাল, সড়ক সংযোগকেন্দ্র, এবং একটি বিমানবন্দর ও বন্দর রয়েছে।
- এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, (“থিরুভানান্থপুরম”)
- আমি কেরলের নারীদের প্রেমে পড়েছি। গত দশ মিনিট ধরে আমি চারপাশে তাকাচ্ছি এবং কোনো রঙ দেখতে পাইনি। আপনারা সবাই সাদা পোশাক পরেছেন এবং তা নিখুঁতভাবে পরিষ্কার। আমি আপনাদের সম্মান করি ও শ্রদ্ধা জানাই।
- মহাত্মা গান্ধী, ১৯২৫ সালে ত্রিভানড্রমের নাগরিকদের উদ্দেশ্যে ভাষণকালীন, (“শঙ্কর (১৯৮৪)”, পৃ. ২৭)
- ত্রিভানড্রম হলো কেরালার নয়টি রোমান ক্যাথলিক (লাতিন ক্যাথলিক) ডায়োসিসের একটি।
- সেলভিস্টার পোনুমুথান, (“দ্য স্পিরিচুয়ালিটি অফ বেসিক ইক্লেসিয়াল কমিউনিটিজ ইন দ্য সোশিও-রিলিজিয়াস …”, পৃ. ৬২)
পদ্মনাভস্বামী মন্দির ও এর গুপ্তধন
[সম্পাদনা]

- ত্রাভাঙ্কোর রাজ্য মার্তণ্ড বর্মা তার ইষ্টদেবতা শ্রী পদ্মনাভ (ভগবান বিষ্ণু)-কে উৎসর্গ করেন এবং তারপর থেকে ত্রাভাঙ্কোরের রাজারা নিজেদের শ্রী পদ্মনাভের দাস (পদ্মনাভদাসন) হিসেবে রাজত্ব চালাতেন।
- সিটি কর্পোরেশন, সিটি ইতিহাসে
- পদ্মনাভস্বামী মন্দির, ইস্ট ফোর্টের ভিতরে অবস্থিত, এই বৈষ্ণব মন্দিরটি অত্যন্ত বিখ্যাত, যা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তদের আকর্ষণ করে। এই মন্দিরটি ভগবান বিষ্ণুকে উৎসর্গ করা, যিনি অনন্ত, সাপরাজ, এর উপর শুয়ে আছেন। এটি দ্রাবিড়ীয় স্থাপত্য ও কেরলীয় স্থাপত্যশৈলীর এক বিরল সংমিশ্রণ।
- বিজু ম্যাথিউ, পিলগ্রিমেজ টু টেম্পল হেরিটেজ, ২০১৩, পৃ. ৬৫
- শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত ২০০০ বছর পুরনো পদ্মনাভস্বামী মন্দিরে বিষ্ণুর একটি মূর্তি আছে। এই মন্দিরটি শহর ঘেরা দেয়ালের (দুর্গ) মধ্যে অবস্থিত এবং এটি রাজ্যের একমাত্র মন্দির যাতে তামিলনাড়ুর মন্দিরগুলির আদলে একটি বিশাল ‘গোপুরম’ আছে। এটি একটি আকর্ষণীয় মন্দির, যদিও তামিলনাড়ুর তুলনায় কিছুটা ম্রিয়মাণ; তবে ছয় মিটার দীর্ঘ শয়ানমূর্তি নিঃসন্দেহে সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক।
- অ্যালাইন ডবি, ইন্ডিয়া: দ্য এলিফ্যান্ট’স ব্লেসিং, পৃ. ১২৮

উইকিসংবাদে ভারতের এক মন্দিরে শত শত কোটি ডলারের গুপ্তধন আবিষ্কৃত সম্পর্কিত সংবাদ রয়েছে।
- …দক্ষিণ ভারতের এক মন্দিরে গুপ্তধন আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রাচীন শ্রী পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের নিচে ঠিক কী আছে তা কেউ নিশ্চিতভাবে জানত না… কিন্তু আইনজীবী আনন্দ পদ্মনাভনের একটি ধারণা ছিল। কথিত কাহিনি অনুযায়ী, এই ধনসম্পদ মন্দিরের গোপন কুঠুরিতে সিল করা ছিল।
- জেক হ্যালপার্ন, দ্য সিক্রেট অব দ্য টেম্পল, নিউ ইয়র্কার, ৩০ এপ্রিল, ২০১২
- আমি যা ঘটছে তা নিয়ে মন্তব্য করতে পারি না—বিষয়টি বিচারাধীন। তবে এটুকু বলি, মন্দিরের তালিকা প্রণয়ন ও অতিরিক্ত নিরাপত্তা নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু অনুগ্রহ করে ঐ ধন মন্দির থেকে সরাবেন না। এগুলি কারো নয়, আমাদের পরিবারের তো নয়ই। এগুলি ভগবানের, এবং আমাদের আইন তা অনুমোদন করে। এই ধনসম্পদ নিয়ে যে বিতর্ক চলছে তা দুঃখজনক। আর কিছু বলব না—আমাকে আমার চিকিৎসক, আইনজীবী ও নিরীক্ষকের কথা শুনতে হয়। আমাদের পরিবার শতাব্দীর পর শতাব্দী মন্দিরে দান করে এসেছে। মন্দিরের প্রধান অভিভাবক হিসেবে আমি প্রতিদিন সেখানে যাই। যদি কোনো দিন মিস করি, তবে ১৬৬.৩৫ টাকা জরিমানা দিতে হয়—একটি পুরনো ত্রাভাঙ্কোর প্রথা।
- উথ্রাডম থিরুনাল মার্থান্ড বর্মা, পদ্মা রাও সুন্দরজির প্রশ্নের উত্তরে, দ্য হিন্দুস্তান টাইমস, ৯ জুলাই, ২০১১
- মহারাজা চিথিরা থিরুনালের সময় ত্রাভাঙ্কোর রাজ্য ও পদ্মনাভস্বামী মন্দিরে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটে। ১৯৩৬ সালে, পদ্মনাভস্বামী মন্দির ভারতবর্ষে প্রথম সকলের জন্য প্রবেশাধিকার প্রদান করে, যার ফলে গান্ধীজি চিথিরা থিরুনালকে ‘আধুনিক অশোক’ বলে অভিহিত করেন। ১৯৪৯ সালে দেশীয় রাজ্য বিলুপ্ত হয় এবং মন্দির প্রশাসন বদলে যায়। ১৯৭১ সালে প্রিভি পার্স বাতিল করা হয় এবং প্রাক্তন রাজাদের অনুদান বন্ধ হয়। তবু চিথিরা থিরুনাল নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে মন্দিরকে সহায়তা চালিয়ে যান।
- এ শ্রীবৎসন, উথ্রাডম থিরুনাল মার্তণ্ড বর্মার সাক্ষাৎকারে, আ কিঙ্গডম অ্যান্ড আ টেম্পল, ২১ জুলাই, ২০১১
- ১৯২৪ সালে মহাত্মা গান্ধী তিরুবনন্তপুরমে এসেছিলেন, তখন চিথিরা থিরুনাল শাসন করার মতো বড় হননি। তাঁর মায়ের বড় বোন ছিলেন রিজেন্ট। গান্ধীজি এসে তাঁর সাথে দেখা করেন। ‘এটাই কি মহারানি?’ তিনি প্রশ্ন করেন। তাঁর সাধারণ পোশাক দেখে গান্ধীজি জিজ্ঞেস করেন: সোনার শাড়ি কোথায়? গয়না কোথায়? এরপর গান্ধীজি বলেন: ‘কৈকম মন্দিরের চারপাশে কুকুর, বিড়াল, গরু চলাফেরা করতে পারে, কিন্তু একজন মানুষ পারছে না—এটা কি ঠিক?’ শাসক বলেন, হ্যাঁ। ‘তাহলে আপনি কিছু করেন না কেন?’ গান্ধীজি বলেন। উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি একজন শাসক, কেবল প্রশাসন চালাচ্ছি। আপনি চিথিরা থিরুনালকে জিজ্ঞেস করুন।’ তখন গান্ধীজি সেই বালককে জিজ্ঞেস করেন: ‘তুমি যখন শাসক হবে, তখন কি সবাইকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেবে?’ ছেলেটি বলে, ‘হ্যাঁ।’ তিনি ১৯৩১ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং ১৯৩৬ সালে মন্দির প্রবেশাধিকার দেন। আশ্চর্যের বিষয়, এর কোনো বিরোধিতা হয়নি।
- উথ্রাডম থিরুনাল মার্তণ্ড বর্মা, আ কিঙ্গডম অ্যান্ড আ টেম্পল, ২১ জুলাই, ২০১১
- অট্টুকল ভগবতী মন্দির, দক্ষিণ ভারতের অন্যতম প্রাচীন মন্দির,… ‘পোঙ্গালা মহোৎসব’-এর কেন্দ্রবিন্দু… যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব… এবং এটি কেবলমাত্র নারীদের জন্য সীমাবদ্ধ। এই পুণ্য দিনে তিরুবনন্তপুরমে যে বিশাল নারী জনসমাগম হয় তা উত্তর ভারতের কুম্ভমেলার স্মৃতি জাগায়।
- বিজু ম্যাথিউ, পিলগ্রিমেজ টু টেম্পল হেরিটেজ, ২০১৩, পৃ. ৫০
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
উইকিপিডিয়ায় তিরুবনন্তপুরম সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।

উইকিভ্রমণে তিরুবনন্তপুরম সম্পর্কিত ভ্রমণ নির্দেশিকা রয়েছে।

উইকিঅভিধানে তিরুবনন্তপুরম শব্দটি খুঁজুন।