তুর্কমেনিস্তান
অবয়ব

তুর্কমেনিস্তান মধ্য ইউরেশিয়া অঞ্চলের একটি দেশ। এর উত্তর-পশ্চিমে কাজাখস্তান, উত্তর, পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব দিকে উজবেকিস্তান, দক্ষিণ-পূর্বে আফগানিস্তান, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে ইরান এবং পশ্চিম পাশে কাস্পিয়ান সাগর অবস্থিত। দেশটির রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী হলো আশগাবাত। এটি ছয়টি স্বাধীন তুর্কি ভাষাভাষী রাষ্ট্রের একটি। প্রায় ৬.৫ মিলিয়ন জনসংখ্যা নিয়ে তুর্কমেনিস্তান এশিয়ার ৩৫তম জনবহুল দেশ। মধ্য এশিয়ার প্রাক্তন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলোর মধ্যে এর জনসংখ্যা সবচেয়ে কম, এবং পুরো এশিয়া মহাদেশে এটি অন্যতম জনশূন্য ও বিরলবসতিপূর্ণ দেশ।
উদ্ধৃতি
[সম্পাদনা]- তুর্কমেনিস্তানের জনসংখ্যার পাঁচ শতাংশেরও কম হলেন জাতিগত উজবেকরা। তবে দেশটি জনমিতিক তথ্য বিশদভাবে প্রকাশ করে না, ফলে এই উজবেকদের কতজন দেশ ছাড়তে চান কিংবা কতজনকে বাধা দেওয়া হচ্ছে—তা স্পষ্ট নয়।
- পল এ. গোবেল, "তুর্কমেনিস্তান থেকে উজবেকিস্তানে চলে যাচ্ছেন জাতিগত উজবেকরা, আশগাবাদের প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও", উইন্ডো অন ইউরেশিয়া (১৭ নভেম্বর, ২০২৩)
- USCIRF একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছে, তা হলো—শুধু ধর্মীয় সংখ্যালঘু নয়, কখনো কখনো সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মাবলম্বীরাও রাষ্ট্রের নিপীড়নের শিকার হতে পারে। সংস্থাটি বলছে, তুর্কমেনিস্তানে ঠিক এমনটাই ঘটছে। সেখানকার সরকার এমন মুসলমানদের কঠোর দমন করছে, যারা ইসলামের রাষ্ট্র-অনুমোদিত ব্যাখ্যার বাইরে যায়।
সমস্যার একটি দিক হলো—রাষ্ট্র আসলে কী ধরনের ব্যাখ্যাকে সমর্থন করে, তা পরিষ্কার নয়। …তুর্কমেনিস্তানে এমন মুসলমানদের শাস্তি দেওয়া হয়, যারা হয়তো ধর্মীয়ভাবে যথেষ্ট সক্রিয় নয়, আবার তাদেরও নিস্তার নেই, যারা অতিরিক্ত ধর্মপরায়ণ। অথচ সরকারি কর্মকর্তাদের বা পুলিশের এই আচরণে কোনো সুস্পষ্ট নীতিগত ধারা খুঁজে পাওয়া কঠিন, কারণ অনেক সময় তা নির্ধারিত হয় ঘুষের অঙ্কের উপর।
…তুর্কমেনিস্তানে যারা ধর্মীয় স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত—তাদের সকল বিশ্বাসীর প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন থাকা উচিত।- মাসিমো ইনত্রোভিন, "তুর্কমেনিস্তান: ধর্মীয় স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক চালচিত্র", বিটার উইন্টার (৩০ মার্চ, ২০২৪)
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
উইকিপিডিয়ায় তুর্কমেনিস্তান সম্পর্কে বিশ্বকোষীয় নিবন্ধ