বিষয়বস্তুতে চলুন

দ্য এক্স-ফাইলস

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

দ্য এক্স-ফাইলস (১৯৯৩–২০০২, ২০১৬–১৮) বিজ্ঞান কল্পকাহিনিভিত্তিক একটি মার্কিন টেলিভিশন ধারাবাহিক। এই সিরিজটি নির্মাণ করেছেন ক্রিস কার্টার। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন গিলিয়ান অ্যান্ডারসন ও ডেভিড ডুকভনি, যারা এফবিআই এজেন্ট ডানা স্কালি ও ফক্স মাল্ডার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তারা এক্স-ফাইলস নামক রহস্যজনক ও অমীমাংসিত মামলাগুলোর তদন্ত করেন। এসব মামলার সাথে অতিপ্রাকৃত ঘটনাগুলোর সম্পৃক্ততা রয়েছে। ২০০২ সালের মে মাসে ফক্স ৯ম মৌসুম প্রচারের পর সিরিজটি বন্ধ করে দেয়। এরপর ২০১৮ সালের মার্চ মাসে আরও ২ মৌসুম সম্প্রচারের পর তারা আবারো সিরিজটি বাতিল করে।

মৌসুম

[সম্পাদনা]

দ্য এক্স-ফাইলস সম্পর্কিত উক্তি

[সম্পাদনা]
  • কেউ একবার বলেছিল যে আমি এমন কিছু চরিত্র বেছে নিয়েছি বা এমন চরিত্রে অভিনয় করেছি যেখানে আমি পুরুষ চরিত্রগুলোর সাথে লড়াই করছি না তবে একধরনের প্রতিযোগিতামূলক সম্পর্কে আছি। মাল্ডার, হ্যানিবল এবং স্পেক্টর (দ্য ফল-এর সিরিয়াল কিলার)—এই তিনটি চরিত্রের কথাই ধরুন। আমি নিজেকে বারবার এই পরিস্থিতিগুলোতে, এই চরিত্রগুলোর মুখোমুখি অবস্থানে আবিষ্কার করি। মাল্ডার অবশ্য শিকারি নয়, আমরা ঠিক সেই পরিস্থিতিতে নেই। কিন্তু আমাদের মাঝে একটা উত্তেজনা রয়েছে। বুদ্ধিবৃত্তিক এবং যৌন—দুই ধরনের উত্তেজনাই কাজ করে বিভিন্ন মাত্রায়।
    • গিলিয়ান অ্যান্ডারসন, "Gillian Anderson: 'I've never been romantically involved with David Duchovny’" (গিলিয়ান অ্যান্ডারসন: ডেভিড ডুকভনির সাথে আমি কভু রোমান্টিক সম্পর্কে জড়াইনি), টিম মার্টিন, দ্য টেলিগ্রাফ, (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)।
  • এই ধারাবাহিকটি করার জন্য এটা বেশ কৌতূহলোদ্দীপক সময়। কারণ এখন সবকিছু যেন উলটপালট হয়ে গেছে। আমরা প্রথম যখন সম্প্রচার শুরু করেছিলাম, তার পর থেকে অনেক কিছু বদলে গেছে। এখন মনে হয় মানুষ আর বিজ্ঞানের ওপর বিশ্বাস রাখে না। আসলে তারা কোনো কিছুর ওপরই বিশ্বাস রাখতে চায় না! কিন্তু একটা জিনিসে তারা আগের চেয়ে আরও বেশি বিশ্বাসী হয়ে উঠেছে— তা হলো ষড়যন্ত্র তত্ত্ব।
    • ক্রিস কার্টার, “David Duchovny and Gillian Anderson Have a Love-Hate Relationship With Their X-Files Characters” (ডেভিড ডুকভনি এবং গিলিয়ান অ্যান্ডারসনের এক্স-ফাইলে তাদের চরিত্রের সাথে প্রেম ও ঘৃণার সম্পর্ক রয়েছে), জেফ স্লেট, এসকোয়ার, (৩ জানুয়ারি ২০১৮)।
  • আমি সত্যিই বিশ্বাস করি যে আমরা শুরুতে যে লিঙ্গের দিকটা উল্টে দিয়েছিলাম তার মাঝেও কিছু গুরুত্ব আছে। মাল্ডার হলো অযৌক্তিক ও আবেগপ্রবণ একজন। কিন্তু গিলিয়ান—স্কালি—হলো যুক্তিসম্পূর্ণ ব্যক্তি। অন্তত টিভির হিসেবে এটা বিপ্লবী ছিল। আর এতে আমাদের পারফরম্যান্সও দুর্দান্ত হয়েছে। কারণ গিলিয়ান আর আমি এতে আমাদের সবটা দিতে প্রস্তুত ছিলাম।
    • ডেভিড ডুকভনি, “David Duchovny and Gillian Anderson Have a Love-Hate Relationship With Their X-Files Characters” (ডেভিড ডুকভনি এবং গিলিয়ান অ্যান্ডারসনের এক্স-ফাইলে তাদের চরিত্রের সাথে প্রেম ও ঘৃণার সম্পর্ক রয়েছে), জেফ স্লেট, এসকোয়ার, (৩ জানুয়ারি ২০১৮)।
  • আমি মনে করি, ক্রিস কার্টার এমন দুই চরিত্র তৈরি করেছেন যারা একে অপরের পরিপূরক। একধরনের রোমান্টিক কমেডির ছোঁয়া আছে এতে—যেন তারা একে অপরকে পরিপূর্ণ করেছে। তাদের একেকজনের ব্যক্তিত্বের এমন কিছু দিক আছে যা অন্যজনের মধ্যে অনুপস্থিত। এবং শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠতার পথে যেতে তাদের দীর্ঘ সময় লাগার ব্যাপারটা ধারাবাহিকটিতে একধরনের অপূরণীয় আকাঙ্ক্ষা তৈরি করেছিল। কিন্তু এটাই ধারাবাহিকটির মূল বিষয় ছিল না। ধারাবাহিকটি ছিল মামলাগুলো নিয়ে, ছিল সত্যের সন্ধান করা নিয়ে। সম্পর্কের গল্পটা কখনোই মূল বিষয় ছিল না—এটাই বোধহয় এই সম্পর্ক এবং পুরো ধারাবাহিকের যাদুকরী দিক। সম্পর্কের গতি-প্রকৃতি সবসময়ই গল্পের মূল স্রোতের বাইরে ফাঁকা জায়গাগুলোর ভেতর গড়ে উঠেছিল।
    • ডেভিড ডুকভনি, "Mulder And Scully On Why The World Is Ready For An 'X-Files' Reboot" (পৃথিবী কেন 'এক্স-ফাইলস'-এর পরের মৌসুমের জন্য প্রস্তুত, সে বিষয়ে মাল্ডার ও স্কালি), এনপিআর, (২৩ জানুয়ারি ২০১৬)।
  • গথিক ঐতিহ্যই মূলত অজানা ভয় ও অন্ধকারে লুকিয়ে থাকা দানবদের নিয়ে। এসব জিনিস প্রায়শই আমাদের নিজেদেরই প্রতিচ্ছবি প্রকাশ করে। ঐতিহ্যগতভাবে গথিক সাহিত্য দেখিয়েছে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো—যেমন গির্জা বা রাষ্ট্র—আসলে কতটা গভীরভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত হতে পারে। এই অভ্যন্তরীণ অশুভ শক্তির ধারণা দ্য এক্স-ফাইলস-এর একদম মূল কাঠামোর সঙ্গে মিলে যায়। গথিক সাহিত্য এবং দ্য এক্স-ফাইলস—দুটোই আমাদের নিয়ে যায় অন্ধকারের গভীরে সেই অজানা ভয়কে মুখোমুখি করার জন্য যা আমরা ব্যাখ্যা করতে পারি না। এককথায়, এটাই মাল্ডারের যাত্রা—সে বারবার সেই অন্ধকার জঙ্গলে পা বাড়ায় সত্যের সন্ধান করতে এবং মুখোমুখি হয় সেই রহস্যের যেগুলোর কোনো সহজ ব্যাখ্যা নেই।
    • শারোন আর. ইয়াং, "Can The X-Files exist in a post-9/11 world?" (৯/১১ পরবর্তী বিশ্বে কি দ্য এক্স-ফাইলস থাকতে পারে?), অ্যান্ড্রু হ্যারিসন, নিউ স্টেটসমেন, (২৯ ডিসেম্বর ২০১৫)।

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]