নীল
অবয়ব
নীল হলো একটি রঙ বা বর্ণ। ৪৪০-৪৯০ ন্যানোমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোকরশ্মি চোখে আপতিত হলে যে রঙ দর্শনের অনুভূতি জন্মায়, তাই হলো নীল। প্রাচীন কাল থেকেই শিল্প-সজ্জা, ভাষা এবং সাহিত্যে ব্যবহৃত রঙগুলির মধ্যে নীল রঙ ছিল অন্যতম প্রধান রঙ। ছবি আঁকা এবং ঐতিহ্যবাহী রঙের তত্ত্ব অনুযায়ী, তিনটি প্রাথমিক রঙের মধ্যে নীল রঙ একটি। অন্য দুটি রঙ হলো লাল ও হলুদ, যা মিশিয়ে একাধিক রঙের সৃষ্টি করা যেতে পারে।
উক্তি
[সম্পাদনা]- নীল তোমাদের স্ত্রীলোকের চোখে, সোনা তোমাদের স্ত্রীলোকের মাথায়; নীল আমাদের শূন্যে, সোনা আমাদের মাটির নীচে। তোমাদের ও আমাদের অনেক বর্ণভেদ। ভুলে যেন না যাই যে, তোমাদের দেশ ও আমাদের দেশের মধ্যে কালাপানির ব্যবধান।
- প্রমথ চৌধুরী, আমরা ও তোমরা, বীরবলের হালখাতা - প্রমথ চৌধুরী, প্রকাশক বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, প্রকাশস্থান-কলকাতা, প্রকাশসাল ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দ (১৩২৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৯
- নীল নবঘনে আষাঢ়গগনে
তিল ঠাঁই আর নাহি রে।
ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের
বাহিরে।
- এই নাও, আমার মস্ত নীল বেলুনটা
এই হলদে তারা আঁকা নীল বেলুনটা
আমি তোমাকেই দিলুম।
তুমি তাতে আলপিন ফুটিয়ে দিয়ে
ঝোড়ো হাসি হেসে ওঠো।
আমি দেখি।- নবনীতা দেবসেন, এসো, খোকাবাবু, নবনীতা দেবসেনের শ্রেষ্ঠ কবিতা, প্রকাশক- দে’জ পাবলিশিং, কলকাতা, প্রথম প্রকাশ নববর্ষ ১৩৬৬ বঙ্গাব্দ, পৃষ্ঠা ১০২
- মজিল মন-ভ্রমরা, কালীপদ নীল-কমলে।
যত বিষয়-মধু তুচ্ছ হৈল, কামাদি কুসুম সকলে॥- কমলাকান্ত-পদাবলি- কমলাকান্ত ভট্টাচার্য, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দ (১২৯২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৫৭
- সাগর যেথায় লুটিয়ে পড়ে নতুন মেঘের দেশে,
আকাশ ধোয়া নীল যেখানে সাগর জলে মেশে।- সুকুমার রায়, সাগর যেথায়, সুকুমার সমগ্র রচনাবলী- প্রথম খণ্ড, সম্পাদনা- পুণ্যলতা চক্রবর্তী, কল্যাণী কার্লেকর, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৭ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৫০
- কেমন গড়ন, কেমন পেটন,
কেমন ছিরি ছাঁদ;
ব'ল্তে গেলে বাছা আমার
নীল গগনের চাঁদ!- যোগীন্দ্রনাথ সরকার, নীল গগনের চাঁদ, খুকুমণির ছড়া - যোগীন্দ্রনাথ সরকার, প্রকাশক- সিটি বুক সোসাইটি, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দ (১৩০৬ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২৪৩
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
উইকিপিডিয়ায় নীল সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।

উইকিঅভিধানে নীল শব্দটি খুঁজুন।