পাকিস্তান গণপরিষদ নির্বাচন, ১৯৫৫
অবয়ব
২১ জুন ১৯৫৫ সালে পাকিস্তানের সবগুলো প্রদেশের আইনসভার সদস্যদের ভোটে পাকিস্তানের দ্বিতীয় গণপরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন পরবর্তী নির্বাচিত গণপরিষদ ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত কার্যকর ছিল যা অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি ইস্কান্দার মির্জার সামরিক শাসন জারি হওয়ার পর বিলুপ্ত করা হয়।
উক্তি
[সম্পাদনা]- আমি ইহার একটি মাত্র কারণই দেখিতে পাইতেছি। কারণটি হইল এই যে, তাঁহারা যদি দেখেন যে 'গেষ্ঠাপো' পদ্ধতি প্রয়োগ করা সত্ত্বেও গণপরিষদের নির্ব্বাচন তাহাদের অনুকূল হইল না তাহা হইলে তাঁহারা গণপরিষদের অবৈধতার প্রশ্ন তুলিয়া মামলা দায়ের করিবার উপায় উদ্ভাবন করিতে পারিবেন এবং ঐভাবে কেন্দ্রে তাঁহাদের দায়িত্বহীন শাসন চালাইয়া যাইতে পারিবেন।
- গণপরিষদের ভোটদান পদ্ধতি সম্পর্কে রাজনীতিবিদ ফিরোজ খান নুন, "নয়া গণপরিষদের নির্ব্বাচন পদ্ধতি মালিক ফিরোজ খান নূন কর্তৃক সমালোচনা", দৈনিক আজাদ, ৫ জুন ১৯৫৫, পাতা ১।
- এটি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছে কিনা তা ভিন্ন বিষয় এবং আমি প্রথমে বিবেচনা করব যে এটি বিভিন্ন নির্বাচনী কলেজের প্রতিনিধিত্ব করে কতটুকু। তা কিছু ক্ষেত্রে হলেও বাংলায় অবশ্যই স্পষ্টত চেষ্টা করা হয়েছিল, সদস্যদের পক্ষপাত টানতে গণপরিষদ নির্বাচনের ঠিক আগে ৯২ নং ধারা প্রত্যাহার করার মাধ্যমে, এবং এইভাবে এই ধরনের আচরণের মাধ্যমে ভোটদানকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
- ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৫৫ সালে পাকিস্তানের গণপরিষদে হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর বিতর্ক, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ওয়েবসাইট থেকে উদ্ধৃত।
- এই নির্বাচন এক অদ্ভুত নির্বাচন যা আমি আজ অব্দি বুঝতে পারিনি। শিয়ালকোটের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আমাকে একটি পাঞ্জাবি গ্রুপ কর্তৃক নির্বাচিত করা হয়েছিল যেখানে আমি কোনদিন যাইনি।
- নিজস্ব দিনলিপিতে পাকিস্তানের প্রথম রাষ্ট্রপতি ইস্কান্দার মির্জা, অধ্যায় ২৮: ওয়ান ইউনিট, ইস্কান্দার মির্জা: রাইজ অ্যান্ড ফল অব অ্যা প্রেসিডেন্ট (১৯৯৭), আহমদ সেলিম, পুনঃউৎপাদন সামি পাঁওয়ার (২০২২), পাতা ১০৮।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
উইকিপিডিয়ায় পাকিস্তান গণপরিষদ নির্বাচন, ১৯৫৫ সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।