পোপ ফ্রান্সিস
অবয়ব
পোপ ফ্রান্সিস (জন্মনাম: জর্জ মারিও বার্গোগ্লিও; ১৭ ডিসেম্বর ১৯৩৬ — ২১ এপ্রিল ২০২৫) ছিলেন ক্যাথলিক চার্চের প্রধান, রোমের বিশপ এবং ভ্যাটিকান সিটি রাজ্যের সার্বভৌম। ফ্রান্সিস ছিলেন প্রথম পোপ যিনি সোসাইটি অফ জেসাস (জেসুইটস) এর সদস্য, আমেরিকা থেকে প্রথম, দক্ষিণ গোলার্ধের প্রথম এবং সিরিয়ার পোপ গ্রেগরি III এর অষ্টম শতাব্দীর পোপত্বের পর থেকে ইউরোপের বাইরের প্রথম পোপ।
উক্তি
[সম্পাদনা]- ক্যাথলিক গির্জার দরজা সবার জন্য খোলা। এমনকি সমকামী, উভকামী ও এলজিবিটিদের গির্জায় আসতে বাধা নেই। তাঁরা গির্জায় এসে প্রার্থনা করতে পারবেন। তবে, তাঁদের গির্জার নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে।
- পোপ ফ্রান্সিস [১]
- আমি যদি ইসলামী সহিংসতার কথা বলি, তাহলে তো আমাকে ক্যাথলিক সহিংসতার কথাও বলতে হবে।
- ইসলামপন্থি জঙ্গিদের হামলার সমালোচনায় ধর্মকে টেনে আনার ব্যাপারেও সতর্ক করে। [২]
- নিজের জগতে আচ্ছন্ন চার্চের আধ্যাত্মিক অসুস্থতা এড়াতে হবে আমাদের।
- পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর বলেছিলেন। [৩]
- ময়ূরের দিকে তাকাও, সামনে থেকে দেখলে চমৎকার, কিন্তু যদি পেছন থেকে দেখো তাহলে সত্যটা আবিষ্কার করতে পারবে।
- পোপ ফ্রান্সিস [৪]
- সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন যা-ই হোক না কেন, চার্চের উচিত সবাইকে স্বাগত জানানো।
- পোপ ফ্রান্সিস [৫]
- গাজার দিকে তাকিয়ে আমি কষ্ট পাই...শিশুদের গুলিবিদ্ধ ও স্কুল-হাসপাতাল ধ্বংস করা—এ কেমন নিষ্ঠুরতা!
- পোপ ফ্রান্সিস [৬]
- এটা আর যুদ্ধ নয়, এটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।
- ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর। [৭]
- দয়া করে হামলা ও অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করুন। যুদ্ধ কেবল মৃত্যু ও নিরীহ মানুষের দুঃখ-কষ্ট ডেকে আনে। যুদ্ধ মানেই পরাজয়! প্রতিটি যুদ্ধই এক ধরনের পরাজয়!
- গাজায় ইসরায়েলের হামলার শুরুর দিকে [৮]
- অন্যের মতামতের প্রতি সম্মান ছাড়া কখনোই প্রকৃত শান্তি আসতে পারে না। ধর্মীয় স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা ছাড়া শান্তি সম্ভব নয়।
- মৃত্যুর আগের দিন ইস্টার সানডেতে দেওয়া বার্তায়। [৯]
- বিশ্বের নানা অঞ্চলে চলমান যুদ্ধগুলোতে আমরা যে মৃত্যুর পিপাসা ও হত্যার উন্মাদনা দেখছি, তা ভয়াবহ।...আমি ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি উভয় জনগণের কষ্টের পাশে রয়েছি। যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছি, জিম্মিদের মুক্তি দিন এবং ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান, যারা শান্তিময় ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে।
- মৃত্যুর আগের দিন ইস্টার সানডেতে দেওয়া বার্তায়। [১০]
- স্বর্গে যাওয়ার জন্য ঈশ্বরে বিশ্বাসী হতেই হবে, এমন কোনো শর্ত নেই।...নাস্তিকেরা যদি বিবেক দ্বারা তাড়িত হন, তবে তাঁরা ঈশ্বরের ক্ষমা লাভ করতে পারেন।
- ইতালির দৈনিক পত্রিকা ‘লা রিপাবলিকা’র প্রতিষ্ঠাতা ইউজেনিও স্ক্যালফারিকে লেখা এক চিঠিতে। [১১]
- অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেছেন যে খ্রিষ্টানদের ঈশ্বর কি এমন কাউকে ক্ষমা করবেন যে ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখে না এবং রাখতে চায়ও না। প্রথমত মনে রাখা উচিত, যদি কেউ আন্তরিকতার সঙ্গে এবং অনুতপ্ত হয়ে ঈশ্বরের কাছে যায়, তবে সে ক্ষেত্রে ঈশ্বরের ক্ষমা সীমাহীন। বিষয় হলো, ঈশ্বরে অবিশ্বাসীরা বিবেকের দ্বারা চালিত হচ্ছেন কি না।... বিশ্বাসীরা যদি বিবেকের দ্বারা চালিত না হন, তবে সেটিই পাপ।
- ‘লা রিপাবলিকা’পত্রিকায় ছাপানো বেশ কিছু প্রশ্নের জবাবে। [১২]
পোপ ফ্রান্সিস সম্পর্কে উক্তি
[সম্পাদনা]- ১৯৪০-এর দশক থেকেই ভ্যাটিকান ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার ও তাদের নিজস্ব একটি রাষ্ট্র থাকার পক্ষে অবস্থান নিয়ে আসছে। এটা কেবল ফ্রান্সিস নয়, আগের পোপদের ক্ষেত্রেও দেখা যায়।
- যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ধর্মতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ ড. জর্ডান ডেনারি ডাফনার। [১৩]
- এমনকি হাসপাতালের বিছানা থেকেও গাজার পুরোহিত ও উপাসকদের সঙ্গে প্রত্যেক দিন ফোনে যোগাযোগ রাখতেন পোপ। ক্যাথলিক ধর্ম শিক্ষা একেবারে পরিষ্কারভাবে বলে দেয়, নিরীহ মানুষদের ওপর হামলা হলে, পর্যাপ্ত খাদ্য না থাকলে, চিকিৎসা স্থাপনা ধ্বংস হলে, আশ্রয় না থাকলে, আমাদের দৃঢ়ভাবে প্রতিবাদ করতে হবে।
- যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ধর্মতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ ড. জর্ডান ডেনারি ডাফনার। [১৪]
- শান্তিতে থাকুন পোপ ফান্সিস! ঈশ্বর তাঁকে এবং যাঁরা তাঁকে ভালোবাসতেন, তাঁদের মঙ্গল করুন!
- ডোনাল্ড ট্রাম্প, পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে নিজের মালিকাধানধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে। [১৫]
- খ্রিষ্টীয় শিক্ষার জন্য তিনি একজন বিশ্বস্ত সেবকে পরিণত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন ধর্মীয়ভাবে প্রাজ্ঞ ও রাষ্ট্রনেতাসুলভ ব্যক্তিত্ব। তিনি মানবতা ও ন্যায়বিচারের একজন অবিচল সমর্থক ছিলেন।
- ভ্লাদিমির পুতিন, পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে [১৬]
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
উইকিপিডিয়ায় পোপ ফ্রান্সিস সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।