ফাতিমা
অবয়ব
ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদ (আরবি: فاطمة; fāṭimah; উচ্চারণ /ˈfɑːtˤɪma/; আনু. ৬০৫ বা ৬১৫ –৬৩২) ছিলেন ইসলামের মহানবী মুহাম্মাদ এবং তার প্রথম স্ত্রী খাদিজার কন্যা। তিনি মুসলিম নর-নারীর কাছে অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব হিসাবে সম্মানিত। মক্কায় কুরাইশদের দ্বারা তার পিতার উপর নিযার্তন ও দুর্দশার সময় ফাতিমা সবসময় তার পাশে ছিলেন। মদিনায় হিজরতের পর তিনি মুহাম্মাদের এর চাচাত ভাই আলি ইবন আবি তালিব এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের চারটি সন্তান হয়। তার পিতা হযরত মুহাম্মাদের এর পরলোকগমনের কয়েক মাস পরেই তিনি পরলোকগমন করেন এবং মদিনার জান্নাতুল বাকিতে তাকে সমাধিস্থ করা হয়।
উক্তি
[সম্পাদনা]- প্রথমবার রাসুল (সা.) বলেছিলেন, “আমার মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এসেছে। তাই আমি কেঁদেছিলাম।” আর দ্বিতীয়বার তিনি বলেছিলেন, “আমার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে তুমিই প্রথম আমার সঙ্গে মিলিত হবে। আর তুমি হবে দুনিয়ার নারীদের সরদার।” এ কথা শুনে আমি হেসেছিলাম।
- ফাতিমা, প্রথম আলো
ফাতিমা সম্পর্কে উক্তি
[সম্পাদনা]- পৃথিবীর নারীদের মধ্যে তোমাদের অনুসরণের জন্য মারিয়াম বিনতে ইমরান, খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ, ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদ ও ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া যথেষ্ট।
- ফাতিমা আমার দেহের একটি অংশ। কেউ তাকে অসন্তুষ্ট করলে আমাকেই অসন্তুষ্ট করবে।
- ফাতিমা জান্নাতের নারীদের সরদার এবং হাসান-হোসাইন জান্নাতের যুবকদের সরদার।
- মুহাম্মাদ, (তিরমিজি, হাদিস : ৩৭৮১)
- আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে শারীরিক গঠন, চাল-চলন, চরিত্র, আলাপচারিতা ও কথাবার্তায় ফাতিমা (রা.)-এর চেয়ে এত মিল আর কারো দেখিনি। ফাতিমা (রা.) যখন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে আসতেন, তিনি উঠে তাঁর দিকে এগিয়ে যেতেন, তাঁর হাত ধরে চুমু খেতেন এবং তাঁর আসনে তাঁকে বসাতেন। আর রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন ফাতিমার কাছে যেতেন, তথন তিনিও তাঁর জন্য উঠে আসতেন, তাঁর হাতে ধরে চুমু খেতেন এবং তাঁর আসনে তাঁকে বসাতেন।
- আয়েশা, (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৫২১৭) কালের কণ্ঠ হতে উদ্ধৃত
- নারীদের মধ্যে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সবচেয়ে বেশি ভালোবাসার পাত্র ছিলেন ফাতিমা (রা.)। আর পুরুষদের মধ্যে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় ছিলেন আলী (রা.)।
- বুরাইদা, (জামে আত-তিরমিজি, হাদিস : ৩৮৬৮) কালের কণ্ঠ হতে উদ্ধৃত
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
উইকিপিডিয়ায় ফাতিমা সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।