বিষয়বস্তুতে চলুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতা

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়, স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালিত হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ২৬ মার্চ শুরু হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ পর্যন্ত চলে যা বাংলাদেশে বিজয় দিবস হিসেবে পালিত হয়। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। পরে আরও অনেকে শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে ঘোষণা দেন।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উৎখাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগে পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।
  • আমি, মেজর জিয়া, বাংলাদেশের মহান নেতা, সর্বাধিনায়ক শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি এবং জানাচ্ছি যে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সরকার ইতোমধ্যেই গঠিত হয়েছে।এছাড়াও ঘোষণা করা হচ্ছে যে, শেখ মুজিবুর রহমানই বাংলাদেশের ৭ কোটি ৫০ লাখ মানুষের নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারই স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের একমাত্র বৈধ সরকার। এই সরকার আইনসিদ্ধ ও সাংবিধানিকভাবে গঠিত হয়েছে এবং বিশ্ববাসীর স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য। আমি, তাই আমাদের মহান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে, বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সরকার, বিশেষ করে বৃহৎ শক্তিগুলো এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই—বাংলাদেশের বৈধ সরকারকে স্বীকৃতি দিন এবং পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর নির্মম গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। আমাদের, সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের, বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে অভিহিত করা নিছক উপহাস ছাড়া কিছুই নয়, এবং এতে কেউ বিভ্রান্ত হবে না। নতুন রাষ্ট্রের মূলনীতিগুলো হবে—প্রথমত: নিরপেক্ষতা, দ্বিতীয়ত: শান্তি, তৃতীয়ত: সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি শত্রুতা নয়।
    আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। জয় বাংলা!
    • জিয়াউর রহমান, ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা।[২] [৩]
  • ভারতীয় সেনাবাহিনীর সহযোগিতা ছাড়াই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিজয় সম্ভব ছিল। এতে হয়তো সময় এক-দুই বছর বেশি লাগতো। কারণ বাংলাদেশের যুদ্ধটি ছিল একটি জাতির স্বাধীনতা যুদ্ধ। কোন যুদ্ধ যদি স্বাধীনতার জন্য হয় তবে সে যুদ্ধকে কোনভাবেই ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হয় না।
  • কতিপয় বিদেশি পত্রপত্রিকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য পুরোপুরি ভারতকে দায়ী করার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। পত্রপত্রিকায় এই মর্মে মন্তব্য করা হয়—‘পাকিস্তানের দুর্বল মুহূর্তের সুযোগ নিয়ে ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে।’ এটা সত্যের অপলাপ মাত্র। কারণ, ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বরের  আগে মুক্তিযোদ্ধারাই মাত্র গুটিকয়েক শহর এলাকা ছাড়া সারা বাংলা মুক্ত করেছিলেন।
    • ১৯৭৩ সালের ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মহাসম্মেলনের প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি আব্দুল আজিজ তার ভাষণে। [৪]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]