বারীন্দ্রকুমার ঘোষ
অবয়ব

বারীন্দ্রকুমার ঘোষ (৫ জানুয়ারি ১৮৮০ - ১৮ এপ্রিল ১৯৫৯) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের উল্লেখযোগ্য বিপ্লবী। তিনি ছিলেন শ্রী অরবিন্দের ভ্রাতা। তিনি যুগান্তর পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেন। বারীন্দ্র কুমার ঘোষ কিছুদিন দৈনিক বসুমতী পত্রিকার সম্পাদকও ছিলেন। তিনি লেখক হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।। তার প্রবন্ধ ও নানা লেখা ইংরেজি ও বাংলায় বই আকারে প্রকাশিত হয়েছে। দ্বীপান্তরের বাঁশি, পথের ইঙ্গিত, আমার আত্মকথা, অগ্নিযুগ, ঋষি রাজনারায়ণ ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য রচনা।
উক্তি
[সম্পাদনা]- জীবনে যেন আর আঁট নেই, কোন লক্ষ্য নেই, একটা নির্দ্দিষ্ট গতি নেই। কার জন্যে কিসের জন্যে বেঁচে থাকা—জীবনের হাট জমানো, সুখসাধের ঘর বাঁধা? কোন একটা বড় আদর্শ বা লক্ষ্য তখনও জীবনকে আচ্ছন্ন ও আপাদ মস্তক দীপ্ত উজ্জ্বল করে জাগে নি। আদর্শ তখন যাও বা ছিল তা হচ্ছে স্বপ্ন—নিছক মানস তেমনি অলীক ও অস্পষ্ট, কাজে ফলাবার সুস্পষ্ট পথ নয়। সে সব স্বপ্নই গুঞ্জন করে একটি লাবণ্যমাখা মধুমাখা মানুষকে ঘিরে, আমার সাধ আশা তার নীড় রচনা করে আর একজনের চোখের নিবিড়তায়, আমার লক্ষ্যের সে অস্পষ্ট, মিলিয়ে যাওয়া পথরেখা উধাও হয় কার যেন রক্ত পদপল্লবটি ছুঁয়ে তারই কুঞ্জ দুয়ার অভিমুখে।
- আমার আত্মকথা - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ, প্রথম সংস্করণ, প্রকাশক- আর্য্য পাবলিশিং হাউস, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩৮ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৪৩
- হৃদি বৃন্দাবনে আমারি কারণে
সেই সর্বনাশা বাঁশী বেজেছে এবার।
তারে জানি না তবু যে ভুলি লোকলাজে
পাগলিনী ধাই অভিসারে তার।
ওগো প্রমত্ত উজান মন যমুনায়,
লুকাইয়ে বাঁশী ডাকে সখি আয়,
সে প্রাণ কালিয়া বলে দে কোথায়,
বড় যে সুখের কলঙ্ক রাধার।- প্রবাহ-পতিত, দ্বীপান্তরের বাঁশী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ, দ্বিতীয় সংস্করণ, প্রকাশক- আর্য্য পাবলিশিং হাউস, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১
- আমাদের একটি বক্স ষ্টারে বাঁধা ছিল। সেইখানে মায়ের কোল ঘেসে বসে আমার প্রথম নাটকাভিনয় দর্শন। তখন ভাল বুঝতুম না, সেই নৃত্যগীতমুখর আলোকমালা শোভিত রহস্য-পুরীর পটপরিবর্ত্তন মুগ্ধ স্পন্দিত হৃদয়ে বসে বসে দেখতুম আর ভাবতুম, “ওরা না পারে কি?” পরের সুখ দুঃখের টান যে এমন চিত্তবিমোহন হতে পারে তা’ প্রথম অনুভব করে সেই দশ বৎসর বয়সে আমার চোখে ধারা বইতো। হাসি অশ্রুর সুখস্রোতে নিশি ভোর হয়ে যেত। তখনও কলা রাজ্যের দু’টি বড় জিনিস—ছবি ও গানের সঙ্গে আমার পরিচয় হয় নি, কিন্তু ষ্টারের রঙ্গমঞ্চের মায়াপুরীতে নৃত্য ও গীতের আমি যে প্রথম আস্বাদন পেলুম আমার এই কৈশোরের দিনে, তা খুব উচ্চাঙ্গের নৃত্য-গীত না হলেও আমার বালক-চিত্তকে তা’ আলোড়িত মথিত করে তুলেছিল।
- আমার আত্মকথা - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ, প্রথম সংস্করণ, প্রকাশক- আর্য্য পাবলিশিং হাউস, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩৮ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৬১-৬২
- সত্যি দিদি, জীবনেও যেমন, মানুষ মরণেও তেমনি সাথী চায়, যে একা পথ চলতে পারে, সে হয় দেবতা আর নয় পশু—মানু পারে না। তার মন প্রাণ চিত্ত হাজার টানে মাটির সঙ্গে বাঁধা, একা পথ চলা যে সব অবলম্বন খুইযে পাখীর মত আমানে ওড়া।
- মুক্তির দিশা, তৃতীয় পরিচ্ছেদ, মুক্তির দিশা - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ, প্রকাশক- ডি. এম. লাইব্রেরী, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩০ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৮-১৯
- সমতাই আত্ম জয়ের পথ। যখন আমি আলিপুর জেলে বন্দী তখন শ্রীঅরবিন্দ প্রথম আমায় এই সাম্যের কথা বোঝান, তখন থেকে আজ অবধি কিন্তু এই সাম্যে আমার সিদ্ধি এলো না। যোগীর কাছে সবই একই আনন্দের খেলা— এই বৃহৎ শান্ত সমতার চোখে কামকে আজও ঠিক দেখতে পারি নি, তাই সেও আজও একেবারে আমার পিছু ছাড়েনি। এই ঐশী শক্তি জীব-জগতের সর্ব্বত্র মানুষ থেকে কীট পতঙ্গের অবধি কেশাকর্ষণ করে ভোগ করাচ্ছে, নইলে জীব জগৎ চলে না, সব species গুলি ধ্বংস হয়ে যায়।
- আমার আত্মকথা - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ, প্রথম সংস্করণ, প্রকাশক- আর্য্য পাবলিশিং হাউস, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩৮ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১২০-১২১
- জেলে আর সব কয়েদী খাটে, খায়, কঠিন প্রাণ আরও কঠিন করিয়া পাপাচরণ করে, আর নরকে বসিয়া নির্লজ্জ হাসি হাসে। সে ব্যর্থতার অবনতি কি করুণ! মনের দুয়ার দিয়া সে কি মর্ম্মস্পর্শী আত্মঘাত!! সেখানে আমিই একা বিদ্রোহী। কাজ করি না, প্রায় খাই না, কেবল বেত, বেড়ি, হাতকড়ি, একান্তবাস, এমনি সাজার পর সাজা ভোগ করি, আর মানুষ দেখিলে অভিসম্পাত করি।
- সঙ্গম তাঁর্থ, দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ, মুক্তির দিশা - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ, প্রকাশক- ডি. এম. লাইব্রেরী, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩০ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৮৪
- বাবা আমাকে পাশে বসিয়ে টমটম্ হাঁকিয়ে কাজে বের হতেন আর দেখতুম দু’ধারে মানুষ শ্রদ্ধায় নুয়ে পড়ছে, সমস্ত পথ তিনি যেতেন মাথার টুপি তুলতে তুলতে সেই মুহুর্মুহু নমস্কার, সেলাম ও প্রণামের প্রত্যভিবাদন দিতে দিতে। এজলাসে বসে মাজিষ্ট্রেট যখন বিচার করতেন তখনও বাবা থাকতেন চেয়ার নিয়ে তাঁর ডান পাশে বসে—পরামর্শ দাতা রূপে। জেলে সিভিল সার্জ্জনরূপে বাবাই ছিলেন হর্ত্তা কর্ত্তা বিধাতা, জেলার সুপারিণ্টেণ্ডেণ্ট আদি কর্ম্মচারীরা ছিল নামকাওয়াস্তে। পি ডবলিউ ডি, স্কুল, ডিস্পেন্সারী যা’ কিছু খুলনার ছিল সর্ব্বই সর্ব্বঘটেই এই মুকুটহীন রাজার ছিল দোর্দ্দণ্ড প্রতাপ—অদ্ভুত একাধিপত্য।
- আমার আত্মকথা - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ, প্রথম সংস্করণ, প্রকাশক- আর্য্য পাবলিশিং হাউস, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩৮ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৪৭-৪৮
- অন্তর পুরে খুলি জানালা কবে না জানি
সফল প্রেম স্বপন দেখেছি সে মুখখানি;
আতি পাতি খুঁজে নাহি পেমু সে সুখ দুয়ার,
—হেলার দরশ কেন যতনেও মেলা ভার।- ভাগবতী স্পর্শ, দ্বীপান্তরের বাঁশী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ, দ্বিতীয় সংস্করণ, প্রকাশক- আর্য্য পাবলিশিং হাউস, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৮৬
- আমি জিজ্ঞাসা করলুম, “আপনার ঠাকুর কোথা?” মেয়েটি বললে, “ঐখেনে জলে পড়ে গেছে, গোকুলনাথ বাল-গোপালের রূপ, কাল পাথরের বিগ্রহ। চান করাতে এনেছিলু বাছা, পা পিছলে সামলাতে গিয়ে পড়ে গেছে।” আমি অনেক ডুব দিলুম, সারা ঘাটটা হাতড়ালুম, শেষে হাঁপিয়ে গিয়ে ঘাটের চাতালে উঠে দেখি সে মেয়েটি দিব্যি শান্তশিষ্ট হয়ে কেমন যেন আনমনে বসে আছে। তার পাশে মাটিতে ঠাকুরের শূন্য সিংহাসনটি পড়ে আছে। আমায় দেখে তার শান্ত উদাস চোখ তুলে সে বললে, “থাক রাছা তুমি আর খুঁজো না। ঠাকুর আমায় মুক্তি দিয়ে গেছেন, ভিতরের পূজোয় সব ভরপুর, বাইরের পূজো আর পেরে উঠছিলুম না, বড় ভার বোধ হচ্ছিল, তাই বাইরের ঠাকুর সরে গেলেন।”
- পথের তিনটি হাতছানি, প্রথম পরিচ্ছেদ, মুক্তির দিশা - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ, প্রকাশক- ডি. এম. লাইব্রেরী, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩০ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১২৩
- আমি তখন কবিতা লিখতুম ও গম্ভীর বিষয় সব নিয়ে সাহিত্যিকদের মত আলোচনা করতুম। উপাসনার নিয়ম ছিল এক এক দিন এক একজন ছেলে আচার্য্যের গদীতে বসে প্রার্থনা করবে। গণেশ বাবু আমাকে প্রার্থনা করবার জন্যে অনুরোধ উপরোধ আরম্ভ করলেন এবং আমার অনিচ্ছা দেখে একদিন উপাসনান্তে হঠাৎ সবার সামনে উচ্চ কণ্ঠে ঘোষণা করে দিলেন—“এইবার বারীন্দ্র কুমার প্রার্থনা করবেন”। আমি কবিত্বময় রাবীন্দ্রিক ভাষায় গদগদ কণ্ঠে এক বক্তৃতা পরম পিতার নিরাকার কর্ণের উদ্দ্যেশ্য ছেড়ে দিয়ে ছেলেদের মধ্যে এক পরম বিস্ময়ের বস্তু হয়ে উঠলুম। প্রার্থনা কিন্তু সে দিনের পর আর আমি করলুম না, এ রকম প্রার্থনা করার সমীচীনতা নিয়ে গণেশ বাবুর সঙ্গে আমার খুব এক চোট তর্ক হয়ে গেল। ভগবান যদি সর্ব্বজ্ঞই হন তা হলে তিনি পিঁপড়াটিরও মনের কথা টের পান। বক্তৃতা দিয়ে জগতের পরম শিল্পীকে কর্ত্তব্যাকর্ত্তব্য সম্বন্ধে উপদেশ দেবার বা অনুরোধ জানাবার কোন আবশ্যকতা থাকে না। আর ভগবৎ সাক্ষাৎকার যে করে নি তার পক্ষে ভগবানের সম্বন্ধে পঞ্চমুখ হয়ে বলা কতখানি হাস্যকর ব্যাপার। এই সব নিয়ে নিরীহ গণেশ বাবুকে আমি কিছুক্ষণ অতিষ্ঠ করে তোলায় তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাঁচলেন যে আর আমায় প্রার্থনা করতে অনুরোধ করা হবে না। সুতরাং সেই থেকে নিরাকার পরব্রহ্মও রক্ষা পেলেন, আমিও বাঁচলুম।
- আমার আত্মকথা - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ, প্রথম সংস্করণ, প্রকাশক- আর্য্য পাবলিশিং হাউস, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩৮ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১২৪-১২৫
- নিরূপ প্রেমের শুধু হিল্লোলে
কে মোরে বাসাল ভাল?
পিয়ামুখ হতে এত গো সুখদ
এ কোন্ নিবিড় আলো?
চেয়ে চেয়ে বড় ছিলু রে কাঙাল
আজ অকিঞ্চন হয়ে,
কাহার অগম প্রণয়কুঞ্জে
মোরি চরণ যেতেছে লয়ে?- বিরতির বঁধু, দ্বীপান্তরের বাঁশী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ, দ্বিতীয় সংস্করণ, প্রকাশক- আর্য্য পাবলিশিং হাউস, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৭২
- তরীর কিন্তু কোন দুঃখ নাই; পিঞ্জরের পাখী তাহার সেই লোহাঘেরা বাধনটুকুকে ভালবাসিয়া ফেলে; পাখীটাকে বাহির করিয়া পিঁজরার দ্বার বন্ধ করিয়া ছাড়িয়া দিলে, সে ঘেঁসিয়া ঘেঁসিয়া সেই বদ্ধ দুয়ারে গিয়া দাঁড়ায়। অবাধ অনন্ত নীল মুক্তি তাহার কাছে ভয়ে সামগ্রী; বন্ধনটা বেশ পরিচিত— সহজ, তাই শান্তিময়।
- প্রেমে কত প্রেম, প্রথম পরিচ্ছেদ, মুক্তির দিশা - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ, প্রকাশক- ডি. এম. লাইব্রেরী, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩০ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৩৯
- কিছু দিন বাঙলা দেশে ব্যর্থ বিপ্লব প্রচেষ্টা করবার পর যতীনদার সঙ্গে গৃহ বিবাদে আমাদের কেন্দ্রটী ভেঙে যাওয়ায় আবার সেই বরোদায় আমি সেজদা’র সঙ্গে ফিরে যাই। সেখানে আবার কিছু কালের জন্যে আরম্ভ হ’লো সেই শান্ত সুখ-নিবিড় নিরালা জীবন, সেই শিকার, কবিতা চর্চ্চা ও সব্জীবাগ। তখন আমি বোধ হয় ‘মিলনের পথে’ লিখছি।
- আমার আত্মকথা - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ, প্রথম সংস্করণ, প্রকাশক- আর্য্য পাবলিশিং হাউস, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩৮ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৮৫-১৮৬
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
উইকিপিডিয়ায় বারীন্দ্রকুমার ঘোষ সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।

উইকিসংকলনে বারীন্দ্রকুমার ঘোষ রচিত অথবা সম্পর্কিত রচনা রয়েছে।

উইকিমিডিয়া কমন্সে বারীন্দ্রকুমার ঘোষ সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।