বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম [ ﷽ ] (আরবি: بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ, বি-স্মি ল্লাহি র্-রাহ্মানি র্-রাহিম); সংক্ষেপে বিসমিল্লাহ নামেও পরিচিত), বা তাসমিয়াহ (আরবি: تَسْمِيَّة) হলো একটি ইসলামি বাক্যাংশ যার অর্থ "পরম করুণাময়, অসীম দয়াবান আল্লাহর নামে"। এটি সাধারণত ৭৮৬ নামেও পরিচিত, যা আরবি আবজাদ গণনার মাধ্যমে নির্ধারিত। তবে অনেক ইসলামি পণ্ডিত মনে করেন, বিসমিল্লাহ সরাসরি উচ্চারণ বা লেখা উত্তম এবং সংখ্যার মাধ্যমে এটি প্রতিস্থাপন করা উচিত নয়। এটি ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাক্যাংশগুলোর একটি। এটি দিয়েই পবিত্র কুরআন শরিফের ১১৪টি সূরার মধ্যে নবম সূরা ব্যতিরেকে অন্য বাকি ১১৩টি সূরা শুরু করা হয়েছে। এছাড়া হাদিস থেকে জানা যায় ইসলামের নবি মুহাম্মাদ প্রতিটি কাজ শুরু করার আগে এই বাক্যাংশটি বলতেন। তাঁর অনুকরণে মুসলিমরা বেশিরভাগ সময় "উত্তম কাজ" শুরু করার পূর্বে (উদাহরণস্বরূপ, প্রতিদিনের নামাজের সময়) এবং এর পাশাপাশি বেশিরভাগ দৈনন্দিন কাজ শুরু করার পূর্বে এটি ব্যবহার করে থাকে। বিধানগত বিচারে এটা মাসনুন বা মুস্তাহাব হলেও এর তাৎপর্য অত্যন্ত গভীর বলে বিবেচিত।
উক্তি
[সম্পাদনা]- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ খাওয়া শুরু করে, তখন সে যেন বিসমিল্লাহ বলে। আর যদি সে (খাওয়ার শুরুতে) বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে যায় তবে সে যেন বলে, বিসমিল্লাহি আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু।
- শয়তান ধ্বংস হোক এরূপ বলো না, কেননা এতে সে নিজেকে খুব বড় মনে করে এবং বলে আমার নিজ শক্তি দ্বারা এ কাজ করেছি; বরং এরূপ মুহূর্তে বলবে ‘বিসমিল্লাহ।’ এতে সে অতি ক্ষুদ্র হয়ে যায়, এমনকি মাছিসদৃশ হয়ে যায়।’
- প্রত্যেক এমন গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যার শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া হয়নি তা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
- হজরত জিবরাইল (আ.) সর্বপ্রথম মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি যা অবতীর্ণ করেছেন, তা হচ্ছে জিবরাইল (আ.) বলেন, হে মুহাম্মদ! আপনি আশ্রয় চান। মুহাম্মদ (সা.) বলেন, আমি সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞ আল্লাহর কাছে অভিশপ্ত শয়তান থেকে আশ্রয় চাই। অতঃপর জিবরাইল (আ.) বলেন, হে নবী! আপনি বলুন, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
- সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.), (তাফসির ইবনে কাসির : পৃষ্ঠা : ২৬৩) [৫]
- যে খাবারে বিসমিল্লাহ পড়া হয় না, সে খাবারে শয়তানের অংশ থাকে। সেই খাবার মানুষের সঙ্গে শয়তানও ভক্ষণ করে।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]