ভার্জিল

পাবলিয়াস ভার্জিলিয়ুস ম্যারো (১৫ অক্টোবর, ৭০ খ্রিস্টপূর্ব – ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯ খ্রিস্টপূর্ব) ছিলেন একজন রোমান কবি। তিনি Eclogues (এক্লগস), Georgics (জিওর্জিকস) এবং Aeneid (এইনিয়েড) নামক সাহিত্যকর্মের রচয়িতা। এর মধ্যে এইনিয়েড একটি বারো খণ্ডের মহাকাব্য, যা রোমান সাম্রাজ্যের জাতীয় মহাকাব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
উক্তি
[সম্পাদনা]- Parvis componere magna.
- ক্ষুদ্র বিষয়ের সঙ্গে বৃহৎ বিষয়ের তুলনা করা।
- প্রথম খণ্ড, পঙ্ক্তি ২৩ (অনুবাদ: এইচ. রাশটন ফেয়ারক্লফ)
- O formose puer, nimium ne crede colori.
- হে রূপবান বালক, তোমার মোহময় রূপের ওপর অতিরিক্ত আস্থা রেখো না;
রূপ একধরনের মোহ, কিন্তু সে মোহ দীর্ঘস্থায়ী নয়। - দ্বিতীয় খণ্ড, পঙ্ক্তি ১৭ (অনুবাদ: জন ড্রাইডেন)
- হে রূপবান বালক, তোমার মোহময় রূপের ওপর অতিরিক্ত আস্থা রেখো না;
- Trahit sua quemque voluptas.
- প্রত্যেকেই নিজ নিজ আনন্দের টানে এগিয়ে চলে।
- দ্বিতীয় খণ্ড, পঙ্ক্তি ৬৫
- Quae te dementia cepit!
- কোন উন্মত্ততা তোমায় গ্রাস করেছে?
- দ্বিতীয় খণ্ড, পঙ্ক্তি ৬৯

- Nunc omnis ager, nunc omnis parturit arbor;
Nunc frondent sylvae, nunc formosissimus annus.- এখন প্রতিটি মাঠ ফসল দিচ্ছে, প্রতিটি গাছ ফলপ্রসূ হচ্ছে; এখন বনজঙ্গল সবুজে ভরে উঠেছে, এখন বছরের সবচেয়ে সুন্দর সময়।
- তৃতীয় খণ্ড, পঙ্ক্তি ৫৬–৫৭ (অনুবাদ: ফেয়ারক্লফ)
- Latet anguis in herba.
- ঘাসের আড়ালে সাপ লুকিয়ে থাকে।
- তৃতীয় খণ্ড, পঙ্ক্তি ৯৩
- Magnus ab integro saeclorum nascitur ordo.
- যুগের মহৎ এক নতুন ধারা আবার শুরু হচ্ছে।
- চতুর্থ খণ্ড, পঙ্ক্তি ৫ (অনুবাদ: ফেয়ারক্লফ)
- তুলনা করুন: Novus ordo seclorum ("যুগের নতুন শৃঙ্খলা"), যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহামোহরের উল্টো পাশে লেখা আছে।
- Incipe, parve puer, risu cognoscere matrem.
- শুরু কর, ছোট্ট শিশু, তোমার মাকে হাসি দিয়ে চিনে নিতে শেখো।
- চতুর্থ খণ্ড, পঙ্ক্তি ৬০ (অনুবাদ: ফেয়ারক্লফ)

Nunc scio quid sit Amor.
এখন আমি বুঝেছি ভালোবাসা কী।- Nunc scio quid sit Amor.
- এখন আমি বুঝেছি, ভালোবাসা কী জিনিস।
- অষ্টম খণ্ড, পঙ্ক্তি ৪৩ (অনুবাদ: আর. সি. ট্রেভেলিয়ান)
- Non omnia possumus omnes.
- আমরা সবাই সব কিছু করতে পারি না।
- অষ্টম খণ্ড, পঙ্ক্তি ৬৩ (অনুবাদ: ফেয়ারক্লফ)
- Carpent tua poma nepotes.
- তোমার লাগানো গাছের ফল একদিন তোমার সন্তানরা আহরণ করবে।
- নবম খণ্ড, পঙ্ক্তি ৫০
- Omnia fert aetas, animum quoque.
- সময় সবকিছু নিয়ে যায়, মন-মানসিকতাও বাদ যায় না।
- নবম খণ্ড, পঙ্ক্তি ৫১
- Cantantes licet usque (minus via laedit) eamus.
- চল, গাইতে গাইতে এগিয়ে যাই—তাহলে পথের ক্লান্তি কম লাগবে।
- নবম খণ্ড, পঙ্ক্তি ৬৪
- Omnia vincit Amor; et nos cedamus Amori.
- ভালোবাসা সবকিছুর উপর জয়ী হয়; চল, আমরাও ভালোবাসার কাছে মাথা ঝুকাই।
- দশম খণ্ড, পঙ্ক্তি ৬৯ (অনুবাদ: ফেয়ারক্লফ)
- মূল নিবন্ধ: Georgics
- Audacibus annue coeptis.
- সাহসী উদ্যোগের প্রতি সদিচ্ছা প্রকাশ করো।
- প্রথম খণ্ড, পঙ্ক্তি ৪০
- Umida solstitia atque hiemes orate serenas, agricolae.
- হে কৃষকগণ, প্রার্থনা করো যেন গ্রীষ্ম হয় স্নিগ্ধ ও শীতকাল হয় শান্ত ও সুস্থির।
- প্রথম খণ্ড, পঙ্ক্তি ১০০–১০১
- Ut varias usus meditando extunderet artis paulatim.
- অভ্যাস ও চিন্তার মাধ্যমে ধীরে ধীরে বহু কলা গড়ে ওঠে।
- প্রথম খণ্ড, পঙ্ক্তি ১৩৩–১৩৪

- Labor omnia vicit improbus et duris urgens in rebus egestas.
- অবিরাম শ্রম সবকিছুকে জয় করেছে, আর কঠিন সময়ে তাড়া করে নিয়ে এসেছে দারিদ্র্য।
- প্রথম খণ্ড, পঙ্ক্তি ১৪৫–১৪৬ (অনুবাদ: ফেয়ারক্লফ)
- তুলনা করুন: Labor omnia vincit ("শ্রম সবকিছুকে জয় করে") — ওকলাহোমা রাজ্যের প্রতীকবাক্য।
- In primis venerare Deos.
- সর্বাগ্রে দেবতাদের পূজা করো।
- প্রথম খণ্ড, পঙ্ক্তি ৩৩৮ (অনুবাদ: ফেয়ারক্লফ)
- Adeo in teneris consuescere multum est.
- শৈশবেই যা শেখা যায়, তা সবচেয়ে গভীরভাবে গেঁথে যায়।
- দ্বিতীয় খণ্ড, পঙ্ক্তি ২৭২ (অনুবাদ: ফেয়ারক্লফ)
- তুলনা করুন: "যেমন করে বাঁকা চারা, তেমন হয় বৃক্ষের ধারা।" — আলেকজান্ডার পোপ, মোরাল এসেজ (১৭৩৪)
- O fortunatos nimium, sua si bona norint Agricolas, quibus ipsa, procul discordibus armis, Fundit humo facilem victum justissima tellus!
- কী সৌভাগ্যবান হতেন কৃষকেরা, যদি তারা নিজেদের সুখ চিনতে পারতেন।
যারা যুদ্ধ-বিবাদের আড়াল থেকে দূরে,
যাদের জন্য এই ন্যায়বান ধরিত্রী নিজেই
সহজে জীবনের রসদ বিলিয়ে দেয়। - দ্বিতীয় খণ্ড, পঙ্ক্তি ৪৫৮–৪৬০ (অনুবাদ: এল. পি. উইলকিনসন)
- কী সৌভাগ্যবান হতেন কৃষকেরা, যদি তারা নিজেদের সুখ চিনতে পারতেন।
- Rura mihi et rigui placeant in vallibus amnes, Flumina amem sylvasque inglorius.
- আমার প্রিয় হোক গ্রামের শান্ত জীবন, উপত্যকার জলে বয়ে যাওয়া নদী;
আমি ভালোবাসি বন-জল, খ্যাতির বাইরে থেকেও। - দ্বিতীয় খণ্ড, পঙ্ক্তি ৪৮৫–৪৮৬ (অনুবাদ: ফেয়ারক্লফ)
- আমার প্রিয় হোক গ্রামের শান্ত জীবন, উপত্যকার জলে বয়ে যাওয়া নদী;



- Felix qui potuit rerum cognoscere causas.
- ধন্য সেই ব্যক্তি, যিনি জগতের কারণসমূহ জানার জ্ঞান অর্জন করেছেন।
- দ্বিতীয় খণ্ড, পঙ্ক্তি ৪৯০ (অনুবাদ: ফেয়ারক্লফ); লুক্রেটিয়াসকে শ্রদ্ধাঞ্জলি
- জন ড্রাইডেন-এর অনুবাদ:
- ধন্য সেই ব্যক্তি, যিনি প্রকৃতির নিয়ম অধ্যয়ন করে,
ফলাফল থেকে অনুধাবন করেন গোপন কারণ।
- ধন্য সেই ব্যক্তি, যিনি প্রকৃতির নিয়ম অধ্যয়ন করে,
- জন ড্রাইডেন-এর অনুবাদ:
- Optima quaeque dies miseris mortalibus aevi Prima fugit; subeunt morbi tristisque senectus Et labor, et durae rapit inclementia mortis.
- দুঃখী মানুষের জীবনে সেরা দিনগুলোই আগে ফুরিয়ে যায়;
তারপর আসে ব্যাধি, ক্লান্তিকর পরিশ্রম, বিষণ্ন বার্ধক্য
এবং কঠিন, অনিবার্য মৃত্যু। - তৃতীয় খণ্ড, পঙ্ক্তি ৬৬–৬৮ (অনুবাদ: ড্রাইডেন)
- দুঃখী মানুষের জীবনে সেরা দিনগুলোই আগে ফুরিয়ে যায়;
- Amor omnibus idem.
- ভালোবাসা সবার জন্য একই; তা সমানভাবে সবার উপর ছায়া ফেলে।
- তৃতীয় খণ্ড, পঙ্ক্তি ২৪২–২৪৪ (অনুবাদ: ড্রাইডেন)
- Sed fugit interea, fugit irreparabile tempus.
- এদিকে সময় পেরিয়ে যাচ্ছে, এবং তা আর ফিরিয়ে আনা যায় না।
- তৃতীয় খণ্ড, পঙ্ক্তি ২৮৪; প্রায়ই উদ্ধৃত: tempus fugit ('সময় উড়ে যায়')
- তুলনা করুন: পুওর রিচার্ডের বাণী (১৭৪৮): "হারানো সময় আর কখনও ফিরে আসে না।"
- Alitur vitium, vivitque tegendo.
- দোষ লালিত হয় এবং বেঁচে থাকে গোপন রাখার মধ্য দিয়ে।
- তৃতীয় খণ্ড, পঙ্ক্তি ৪৫৪
- Si parva licet componere magnis.
- যদি ছোট জিনিসকে বড় জিনিসের সঙ্গে তুলনা করা যায়।
- চতুর্থ খণ্ড, পঙ্ক্তি ১৭৬ (অনুবাদ: ফেয়ারক্লফ)। তুলনা করুন: এক্লগস ১.২৩
- Nec morti esse locum.
- সেখানে মৃত্যুর কোনও স্থান নেই।
- চতুর্থ খণ্ড, পঙ্ক্তি ২২৬
- Fata vocant.
- নিয়তি ডাকছে।
- চতুর্থ খণ্ড, পঙ্ক্তি ৪৯৬
- Illo Vergilium me tempore dulcis alebat Parthenope studiis florentem ignobilis oti.
- তখন, সেই সময়ে, আমাকে—ভার্জিলকে—লালন করছিল মধুর পার্থেনোপে,
যেখানে আমি নিঃশব্দ অবসরের মাঝে চর্চায় বিকশিত হচ্ছিলাম। - চতুর্থ খণ্ড, পঙ্ক্তি ৫৬৩–৫৬৪ (অনুবাদ: ফেয়ারক্লফ)
- তখন, সেই সময়ে, আমাকে—ভার্জিলকে—লালন করছিল মধুর পার্থেনোপে,
- মূল নিবন্ধ: Aeneid
প্রথম খণ্ড
[সম্পাদনা]
Arma virumque cano.
আমি বলছি যুদ্ধ আর এক বীরের গল্প।- Arma virumque cano.
- আমি বলছি যুদ্ধ আর এক বীরের গল্প।
- পঙ্ক্তি ১
- Tantaene animis caelestibus irae?
- দেবতাদের মনে কি সত্যিই এত রাগ থাকতে পারে?
- পঙ্ক্তি ১১
- Tantae molis erat Romanam condere gentem!
- রোম গড়া এতটাই কঠিন কাজ ছিল!
- পঙ্ক্তি ৩৩
- O terque quaterque beati!
- আহ, তোমরা তিনবার নয়, চারবার ধন্য!
- পঙ্ক্তি ৯৫
- Apparent rari nantes in gurgite vasto.
- বিশাল স্রোতের মধ্যে কিছু মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে সাঁতার কাটছে।
- পঙ্ক্তি ১১৮

Forsan et haec olim meminisse iuvabit.
হয়তো একদিন এগুলো মনে পড়লেও ভালো লাগবে।

- Furor arma ministrat.
- রাগই অস্ত্র তুলে দেয় হাতে।
- পঙ্ক্তি ১৫০
- O socii—neque enim ignari sumus ante malorum—
O passi graviora, dabit deus his quoque finem.- হে বন্ধুরা, আমরা আগেও অনেক কষ্ট দেখেছি।
তোমরা আরও কঠিন সময় পার করেছ।
এই কষ্টও একদিন শেষ হবে, ঈশ্বর সেই সুযোগ দেবেন। - পঙ্ক্তি ১৯৮–১৯৯
- হে বন্ধুরা, আমরা আগেও অনেক কষ্ট দেখেছি।
- Forsan et haec olim meminisse juvabit.
- হয়তো একদিন এগুলো মনে করলেও শান্তি পাবো।
- পঙ্ক্তি ২০৩
- Durate, et vosmet rebus servate secundis.
- সাহস রাখো, ভালো সময়ের জন্য নিজেকে বাঁচিয়ে রাখো।
- পঙ্ক্তি ২০৭
- Dux femina facti.
- এই কাজের নেতৃত্বে ছিলেন এক নারী।
- পঙ্ক্তি ৩৬৪
- Data fata secutus.
- ভাগ্যের পথ ধরেই তিনি চলেছেন।
- পঙ্ক্তি ৩৮২
- Mirabile dictu.
- বলতেই অবাক লাগে!
- পঙ্ক্তি ৪৩৯
- Sunt hic etiam sua praemia laudi,
Sunt lacrimae rerum et mentem mortalia tangunt.- এখানেও যোগ্যরা সম্মান পায়।
এ পৃথিবী দুঃখে ভরা, আর মরণশীল জীবনের ভার মনকে ছুঁয়ে যায়। - পঙ্ক্তি ৪৬১–৪৬২
- এখানেও যোগ্যরা সম্মান পায়।

- Mens sibi conscia recti.
- নিজের সৎ পথ নিয়ে যার মনে শান্তি আছে।
- পঙ্ক্তি ৬০৪
- Semper honos nomenque tuum laudesque manebunt.
- তোমার সম্মান, নাম আর প্রশংসা চিরকাল থাকবে।
- পঙ্ক্তি ৬০৯
- Non ignara mali miseris succurrere disco.
- আমি নিজেও দুঃখ দেখেছি, তাই দুঃখীদের পাশে দাঁড়াতে শিখেছি।
- পঙ্ক্তি ৬৩০
দ্বিতীয় খণ্ড
[সম্পাদনা]- Infandum, regina, jubes renovare dolorem.
- “রানী, আপনি এমন এক দুঃখের কথা বলতে বলছেন, যা মনে করলেই বুক ফেটে যায়।”
- পঙ্ক্তি ৩; ট্রয় ধ্বংসের স্মৃতি শোনাতে গিয়ে রানি ডিডোর প্রতি এনের আকুতি।
- Quis talia fando / Temperet a lacrimis?
- “এইসব কথা বলতে গিয়ে কার চোখে জল আসবে না?”
- পঙ্ক্তি ৬ ও ৮

যাই হোক, আমি উপহার নিয়েও গ্রিকদের সন্দেহ করি।
- Equo ne credite, Teucri. / quidquid id est, timeo Danaos et dona ferentes.
- ঘোড়াটাকে বিশ্বাস কোরো না, ট্রয়বাসী।
ওটা যা-ই হোক না কেন, আমি উপহারসহ আসা গ্রিকদেরও ভয় পাই। - পঙ্ক্তি ৪৮–৪৯; গ্রিকদের রেখে যাওয়া কাঠের ঘোড়া নিয়ে ট্রয়বাসীদের সতর্ক করছেন এক পুরোহিত।
- ঘোড়াটাকে বিশ্বাস কোরো না, ট্রয়বাসী।
- In utrumque paratus.
- “দুই দিকের যেকোনো কিছুর জন্য আমি তৈরি।”
- পঙ্ক্তি ৬১
- Ab uno disce omnes.
- “একজনকে দেখে সবার স্বভাব বুঝে নাও।”
- পঙ্ক্তি ৬৫–৬৬
- Horresco referens.
- “ঘটনাটা বলতে গিয়েই গায়ে কাঁটা দেয়।”
- পঙ্ক্তি ২০৪
- Tacitae per amica silentia lunae.
- “নীরব, শান্ত চাঁদের মধুর নিস্তব্ধতার মাঝে।”
- পঙ্ক্তি ২৫৫
- Quantum mutatus ab illo.
- “সে আগের সেই মানুষটা থেকে কতটাই না বদলে গেছে!”
- পঙ্ক্তি ২৭৪
- Arrectis auribus adsto.
- “মনোযোগ দিয়ে শুনতে কান পেতে আছি।”
- পঙ্ক্তি ৩০৩
- Venit summa dies et ineluctabile tempus / Dardaniae.
- “এসে গেছে শেষ দিন, আর ঠেকানো যাবে না ট্রয়ের পতন।”
- পঙ্ক্তি ৩২৪–৩২৫
- Una salus victis nullam sperare salutem.
- “পরাজিতদের একমাত্র ভরসা—কোনো ভরসা না রাখা।”
- পঙ্ক্তি ৩৫৪
- Dis aliter visum.
- “দেবতাদের ইচ্ছা ছিল অন্যরকম।”
- পঙ্ক্তি ৪২৮
- Fit via vi.
- “শক্তি দিয়ে পথ তৈরি হয়।”
- পঙ্ক্তি ৪৯৪
তৃতীয় খণ্ড
[সম্পাদনা]
Auri sacra fames!
সোনার জন্য অভিশপ্ত লালসা!- Quid non mortalia pectora cogis,
Auri sacra fames?- হে সোনার অভিশপ্ত লোভ,
মানুষকে তুমি কী করতে বাধ্য করো না? - পঙ্ক্তি ৫৬–৫৭ (অনুবাদ: রবার্ট ফ্যাগলস); পলিডোরাস-এর হত্যার বর্ণনায়।
- হে সোনার অভিশপ্ত লোভ,
- Fama volat.
- খবর ছড়িয়ে পড়ে বাতাসের মতো।
- পঙ্ক্তি ১২১ (অনুবাদ: ফ্যাগলস)
- Monstrum horrendum, informe, ingens, cui lumen ademptum.
- ভয়ংকর, অদ্ভুত, বিশাল — যার চোখই নেই।
- পঙ্ক্তি ৬৫৮ (অনুবাদ: ম্যান্ডেলবাউম); পলিফেমাস-এর কথা।
চতুর্থ খণ্ড
[সম্পাদনা]

- Degeneres animos timor arguit.
- ভয়ই প্রমাণ করে, মন দুর্বল ও অধঃপতিত।
- পঙ্ক্তি ১৩
- Agnosco veteris vestigia flammae.
- আবারও টের পাচ্ছি পুরনো প্রেমের আঁচ।
- পঙ্ক্তি ২৩ (অনুবাদ: সি. ডে লুইস); ডিডো এন্তিয়াসের প্রতি নিজের অনুভূতি স্বীকার করছেন।
- Fama, malum qua non aliud velocius ullum.
- কুৎসা—সব দুঃখের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত ছড়ায়।
- পঙ্ক্তি ১৭৪ (অনুবাদ: রবার্ট ফ্যাগলস)
- Quis fallere possit amantem?
- প্রেমিককে ঠকানো কি সহজ?
- পঙ্ক্তি ২৯৬
- Numquam, regina, negabo
Promeritam, nec me meminisse pigebit Elissae
Dum memor ipse mei, dum spiritus hos regit artus.- রাণী, তোমার প্রাপ্য কখনো অস্বীকার করব না,
এলিসার কথা মনে রাখাও কখনো কষ্টকর হবে না,
যতদিন মনে আছে আমি কে, যতদিন দেহে প্রাণ আছে। - পঙ্ক্তি ৩৩৪–৩৩৬ (অনুবাদ: ফ্যাগলস); এন্তিয়াস ডিডোকে বলছেন।
- রাণী, তোমার প্রাপ্য কখনো অস্বীকার করব না,
- Italiam non sponte sequor.
- ইতালিতে যাচ্ছি, কিন্তু সেটা আমার ইচ্ছায় নয়।
- পঙ্ক্তি ৩৬১ (অনুবাদ: ফিটজজেরাল্ড); এন্তিয়াস ডিডোকে বলছেন।
- Improbe Amor, quid non mortalia pectora cogis!
- হে নির্মম প্রেম,
মানুষের হৃদয় দিয়ে তুমি কী না করাও! - পঙ্ক্তি ৪১২ (অনুবাদ: ফিটজজেরাল্ড)
- তুলনা করো:
- Σχέτλι᾽ Ἔρως, μέγα πῆμα, μέγα στύγος ἀνθρώποισιν,
ἐκ σέθεν οὐλόμεναί τ᾽ ἔριδες στοναχαί τε γόοι τε,
ἄλγεά τ᾽ ἄλλ᾽ ἐπὶ τοῖσιν ἀπείρονα τετρήχασιν.- নির্মম প্রেম, মানুষের বড় বিপদ—তোমার থেকেই জন্ম নেয় দ্বন্দ্ব, কান্না, দীর্ঘশ্বাস আর অসংখ্য দুঃখ।
- অ্যাপোলোনিয়াস অফ রোডস, আর্গোনটিকা, IV, 445–447 (অনুবাদ: ই. ভি. রিউ)
- Σχέτλι᾽ Ἔρως, μέγα πῆμα, μέγα στύγος ἀνθρώποισιν,
- হে নির্মম প্রেম,
- Fata obstant.
- ভাগ্য পথ আটকেছে।
- পঙ্ক্তি ৪৪০ (অনুবাদ: ফেয়ারক্লাফ)
- Varium et mutabile semper
Femina.- নারী সবসময়ই বদলায়, অস্থিরতায় ভরা।
- পঙ্ক্তি ৫৬৯–৫৭০

তবু মরব।
- Exoriare aliquis nostris ex ossibus ultor.
- আমার হাড় হাড় থেকে উঠে আসুক কেউ, প্রতিশোধ নিতে।
- পঙ্ক্তি ৬২৫
- Vixi, et, quem dederat cursum Fortuna, peregi;
Et nunc magna mei sub terras ibit Imago.- বেঁচে ছিলাম,
ভাগ্য যে পথ দেখিয়েছিল, তা শেষ করেছি;
এখন আমার আত্মা নামবে মৃতের দেশে, সম্মানে ভরে। - পঙ্ক্তি ৬৫৩–৬৫৪ (অনুবাদ: অ্যালেন ম্যান্ডেলবাম)
- বেঁচে ছিলাম,
- ‘Moriemur inultae,
Sed moriamur’ ait. ‘sic, sic juvat ire sub umbras.’- “প্রতিশোধ ছাড়াই মরব, তবু মরব,”
সে বলে। “এইভাবে, হ্যাঁ, এইভাবে ছায়ার দেশে যেতে শান্তি লাগে।” - পঙ্ক্তি ৬৫৯–৬৬০ (অনুবাদ: অ্যালেন ম্যান্ডেলবাম)
- “প্রতিশোধ ছাড়াই মরব, তবু মরব,”
পঞ্চম খণ্ড
[সম্পাদনা]- Furens quid Femina possit.
- এক উন্মাদ নারী কী করতে পারে — তা দেখো।
- লাইন ৬ (অনুবাদ: ফেয়ারক্লফ)
- Litus ama.
- উপকূলকে ভালোবাসো।
- লাইন ১৬৩ (অনুবাদ: ফেয়ারক্লফ)

Possunt, quia posse videntur.
- Possunt, quia posse videntur.
- তারা পারে, কারণ তারা বিশ্বাস করে যে তারা পারবে।
- লাইন ২৩১ (অনুবাদ: জন কনিংটন)
- Decus et tutamen.
- গৌরব আর সুরক্ষা — দুটো একসঙ্গেই।
- লাইন ২৬২; ২০১৫ সাল পর্যন্ত কিছু ব্রিটিশ ওয়ান পাউন্ড মুদ্রার কিনারায় এই কথাটি খোদাই করা থাকত। ১৬৬২ সালে দ্বিতীয় চার্লস (ইংল্যান্ডের রাজা)-এর রাজত্বকালে নতুন ধরনের মুদ্রার জন্য এই লাইনটি প্রস্তাব করেছিলেন জন এভলিন। তিনি এটি প্রথম দেখেন কার্ডিনাল রিশেলিয়ু-এর একটি আয়নার কিনারায় (তাঁর ১৬৯৭ সালের গ্রন্থ নুমিসমাতা-তে এই কথা লেখা আছে)। প্রস্তাবটি তখন গৃহীত হয়।
- Cede Deo.
- ঈশ্বরের কাছে নিজেকে সমর্পণ করো।
- লাইন ৪৬৭
- Superanda omnis fortuna ferendo est.
- প্রত্যেক দুর্ভাগ্য ধৈর্য ধরে সহ্য করলেই জয় করা যায়।
- লাইন ৭১০
ষষ্ঠ খণ্ড
[সম্পাদনা]- Bella, horrida bella.
- যুদ্ধ, ভয়ংকর যুদ্ধ।
- পঙ্ক্তি ৮৬
- Tu ne cede malis, sed contra audentior ito.
- দুর্ভাগ্যের কাছে নতি স্বীকার করো না; বরং আরও দৃঢ়চিত্তে তার প্রতিরোধে এগিয়ে চলো।
- পঙ্ক্তি ৯৫
- Obscuris vera involvens.
- সত্যকে আঁধারে আবৃত করে রাখা।
- পঙ্ক্তি ১০০ (অনুবাদ: ফেয়ারক্লফ)

পথ মসৃণ, নামা সহজ:
কিন্তু ফিরে আসা, আবার আলোর মুখ দেখা—
সেটিই প্রকৃত কর্ম, সেটিই মহাসাধনা।
- Facilis descensus Averno
Noctes atque dies patet atri ianua Ditis;
Sed revocare gradum superasque evadere ad auras,
Hoc opus, hic labor est.- নরকে নামা সহজ;
রাতদিন খোলা থাকে মৃত্যুর অন্ধ দরজা;
কিন্তু ফিরে আসা, আবার উপরের আলোয় পৌঁছানো—
এই কাজই কঠিন, এই সাধনাই প্রকৃত পরিশ্রম। - পঙ্ক্তি ১২৬–১২৯ (অনুবাদ: জন ড্রাইডেন)
- নরকে নামা সহজ;
- বিকল্প অনুবাদ:
- নরকের পথে নামা সহজ;
মৃত্যুর দ্বার সর্বক্ষণ খোলা;
কিন্তু ফিরে আসা, আগের পথ ধরে উপরের আলোয় ওঠা—
সেখানেই আসল কষ্ট, সেখানেই পরিশ্রম।
- নরকের পথে নামা সহজ;
- বিকল্প অনুবাদ:
- তুলনা করা যেতে পারে:
- পথ দীর্ঘ
আর কঠিন, যা নরক থেকে আলোয় নিয়ে যায়।- জন মিল্টন, Paradise Lost, খণ্ড II, পঙ্ক্তি ৪৩২
- পথ দীর্ঘ
- তুলনা করা যেতে পারে:
- Fidus Achates.
- বিশ্বস্ত আকাতেস।
- পঙ্ক্তি ১৫৮; এই নাম সাধারণত এমন একজন নির্ভরযোগ্য সঙ্গীর প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যে প্রতিকূলতাতেও পাশে থাকে—আকাতেস ছিলেন এনিয়াসের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু।
- Procul, O procul este, profani!
- দূরে থাকো, হে অপবিত্রেরা, দূরে সরো!
- পঙ্ক্তি ২৫৮ (অনুবাদ: ফেয়ারক্লফ)
- Nunc animis opus, Aenea, nunc pectore firmo.
- এখন প্রয়োজন সাহসের, এনিয়াস; এখন চাই এক অটল হৃদয়।
- পঙ্ক্তি ২৬১ (সিবিলের উক্তি, পাতালে প্রবেশের মুহূর্তে)
- Di, quibus imperium est animarum, umbraeque silentes,
Et Chaos, et Phlegethon, loca nocte tacentia late,
Sit mihi fas audita loqui: sit numine vestro
Pandere res alta terra et caligine mersas.- আত্মার অধিপতি দেবগণ, নীরব ছায়ামণ্ডলী,
অরাজকতা ও প্রজ্বলিত নদী,
যে স্থান গভীর রাতের মতো স্তব্ধ ও বিস্তৃত—
আপনাদের কৃপায় আমাকে অনুমতি দিন,
মাটির নিচে, অন্ধকারে ঢাকা ঘটনাগুলি তুলে ধরতে। - পঙ্ক্তি ২৬৪–২৬৭ (অনুবাদ: জন ড্রাইডেন)
- আত্মার অধিপতি দেবগণ, নীরব ছায়ামণ্ডলী,

Quisque suos patimur manis.
প্রত্যেকেই বহন করে নিজের নরক।
- Ibant obscuri sola sub nocte per umbram,
Perque domos Ditis vacuas et inania regna.- তারা একাকী, অন্ধকার রাতের ছায়ার মাঝে হাঁটছিল,
মৃত্যুর শূন্য প্রাসাদ আর নির্জন রাজ্যের মধ্য দিয়ে। - পঙ্ক্তি ২৬৮–২৬৯ (অনুবাদ: জন ড্রাইডেন)
- তারা একাকী, অন্ধকার রাতের ছায়ার মাঝে হাঁটছিল,
- Malesuada Fames.
- মন্দের পথে প্ররোচক ক্ষুধা।
- পঙ্ক্তি ২৭৬
- Consanguineus Leti Sopor.
- মৃত্যু-সম ভাই, ঘুম।
- পঙ্ক্তি ২৭৮ (অনুবাদ: ফেয়ারক্লফ)
- Stabant orantes primi transmittere cursum
Tendebantque manus ripae ulterioris amore.- সকলে প্রথমে পার হতে চেয়ে প্রার্থনা করছিল,
আর দূরের তীরে পৌঁছাতে ব্যাকুল হয়ে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছিল। - পঙ্ক্তি ৩১৩–৩১৪ (অনুবাদ: রবার্ট ফিট্জ্জেরাল্ড)
- সকলে প্রথমে পার হতে চেয়ে প্রার্থনা করছিল,
- Desine fata deum flecti sperare precando.
- প্রার্থনার মাধ্যমে দেবতাদের নিয়তি বদলানো যাবে—এমন আশা পরিত্যাগ করো।
- পঙ্ক্তি ৩৭৬
- Discite justitiam moniti et non temnere divos.
- সাবধান হও, ন্যায়ের শিক্ষা গ্রহণ করো, এবং দেবতাদের অবজ্ঞা কোরো না।
- পঙ্ক্তি ৬২০ (অনুবাদ: ফেয়ারক্লফ)
- Vendidit hic auro patriam.
- এই ব্যক্তি স্বর্ণের বিনিময়ে নিজের মাতৃভূমিকে বিকিয়ে দিয়েছে।
- পঙ্ক্তি ৬২১
- Non, mihi si linguae centum sunt oraque centum
Ferrea vox, omnis scelerum comprendere formas,
Omnia poenarum percurrere nomina possim.- আমার যদি শত জিভ, শত মুখ ও লৌহকণ্ঠ থাকতো, তবুও সকল পাপের রূপ কিংবা সব শাস্তির নাম উচ্চারণ করা সম্ভব হতো না।
- পঙ্ক্তি ৬২৫–৬২৭ (অনুবাদ: ফেয়ারক্লফ)
- Inventas aut qui vitam excoluere per artes.
- যাঁরা শিল্প ও আবিষ্কারের মাধ্যমে জীবনকে সমৃদ্ধ করেছেন।
- পঙ্ক্তি ৬৬৩ (অনুবাদ: উইলিয়াম মরিস); এলিসিয়ামের পুণ্য আত্মারা। এই বাক্যের একটি রূপ নোবেল পুরস্কার–এর মেডালেও খোদাই করা আছে: Inventas vitam juvat excoluisse per artes ("আবিষ্কারের মাধ্যমে উন্নত জীবনই পরিপূর্ণ জীবন")।

Mens agitat molem.
মানসিক শক্তিই পদার্থকে চালিত করে।

শান্তি প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন,
পরাজিতদের প্রতি সহানুভূতি,
আর গর্বীদের দমন করাই হবে তোমার শিল্প।
- Mens agitat molem.
- মনই পদার্থকে চালিত করে।
- পঙ্ক্তি ৭২৭
- Quisque suos patimur manis.
- প্রত্যেকেই নিজের দায়ভার ও যন্ত্রণাই বহন করে।
- পঙ্ক্তি ৭৪৩
- Te tua fata docebo.
- আমি তোমাকে তোমার ভবিতব্য জানাব।
- পঙ্ক্তি ৭৫৯ (অনুবাদ: স্ট্যানলি লোম্বার্ডো)
- Tu regere imperio populos, Romane, memento
(Hae tibi erunt artes), pacique imponere morem,
Parcere subjectis et debellare superbos.- রোমান, মনে রেখো—তোমার শক্তির দ্বারা জাতিকে শাসন করতে হবে;
এই হবে তোমার শ্রেষ্ঠ শিল্প:
শান্তি প্রতিষ্ঠা করো, আইন প্রয়োগ করো,
পরাজিতদের করুণা করো, অহঙ্কারীদের পরাস্ত করো। - পঙ্ক্তি ৮৫১–৮৫৩ (অনুবাদ: রবার্ট ফিট্জ্জেরাল্ড)
- রোমান, মনে রেখো—তোমার শক্তির দ্বারা জাতিকে শাসন করতে হবে;
- Tu Marcellus eris.
- তুমিই হবে মার্কেলাস।
- পঙ্ক্তি ৮৮৩
- Manibus date lilia plenis.
- পূর্ণ হাতে লিলি অর্পণ করো।
- পঙ্ক্তি ৮৮৩
- Sunt geminae Somni portae, quarum altera fertur
Cornea, qua veris facilis datur exitus umbris,
Altera candenti perfecta nitens elephanto,
Sed falsa ad caelum mittunt insomnia Manes.- ঘুমের দুটি দ্বার আছে।
একটি কর্নিয়ার মতো—যার মাধ্যমে সত্য আত্মারা সহজেই বেরিয়ে আসে;
অন্যটি চকচকে হাতির দাঁতে তৈরি—
যার মধ্য দিয়ে মৃতেরা ভুয়া স্বপ্ন পাঠায় আকাশের পানে। - পঙ্ক্তি ৮৯৩–৮৯৬ (অনুবাদ: ফ্যাগলস); স্বপ্নের শিং ও দাঁতের দরজা
- ঘুমের দুটি দ্বার আছে।
সপ্তম খণ্ড
[সম্পাদনা]
- Major rerum mihi nascitur ordo;
Majus opus moveo.- আমার সামনে এক নতুন ইতিহাস খুলে যাচ্ছে,
আরও বড় এক কাজে হাত দিচ্ছি আমি। - পংক্তি ৪৪–৪৫ (অনুবাদ: রবার্ট ফিটজেরাল্ড)
- আমার সামনে এক নতুন ইতিহাস খুলে যাচ্ছে,
- Flectere si nequeo superos, Acheronta movebo.
- যদি আমি স্বর্গের দেবতাদের নরম করতে না পারি, তবে নরকের শক্তিকে জাগিয়ে তুলব!
- পংক্তি ৩১২ (অনুবাদ: রবার্ট ফ্যাগলস); বক্তা: জুনো
- অন্য এক অনুবাদ:
- যদি ওপরের দেবতাদের টলাতে না পারি, তবে নরককেই নাড়িয়ে দেব।
- তুলনা করে দেখুন:
- নরকে রাজত্ব করা ভালো, স্বর্গে দাসত্ব করার চেয়ে।
- জন মিল্টন, Paradise Lost (১৬৬৭), প্রথম খণ্ড, পংক্তি ২৬৩
- স্বর্গ যদি নত না হয়, তবে নরককে নাড়া দাও।
- আলেকজান্ডার পোপ, The Dunciad, তৃতীয় খণ্ড, পংক্তি ৩০৭
- নরকে রাজত্ব করা ভালো, স্বর্গে দাসত্ব করার চেয়ে।
- অন্য এক অনুবাদ:
অষ্টম খণ্ড
[সম্পাদনা]- Pedibus timor addidit alas.
- ভয়ে তার পায়ে যেন ডানা গজালো।
- লাইন ২২৪ (অনুবাদ: সি. ডে লুইস)
- Arte magistra.
- শিল্পের দক্ষতায়।
- লাইন ৪৪২; তুলনা করুন ১২.৪২৭।
- O mihi praeteritos referat si Iuppiter annos.
- আহা, যদি জুপিটার আমার পুরোনো দিনগুলো
আর আগের আমিটাকে ফিরিয়ে দিত! - লাইন ৫৬০ (অনুবাদ: রবার্ট ফিটজজেরাল্ড)
- আহা, যদি জুপিটার আমার পুরোনো দিনগুলো
নবম খণ্ড
[সম্পাদনা]
মৃত্যুর ধাক্কায় ছিটকে পড়ল,
তার দেহে গড়িয়ে পড়ল রক্ত,
গলা ঢলে পড়ে মাথা ঠেকল কাঁধে—
যেমন এক ঝকঝকে ফুল, চাষের লাঙলে কাটা পড়ে
ধীরে ধীরে ঝিমিয়ে পড়ে,
অথবা ক্লান্ত ডাঁটি বেয়ে ঝুঁকে পড়ে পপি ফুল,
বৃষ্টির ভারে নুয়ে গেলে যেমন হয়।
- Dine hunc ardorem mentibus addunt,
Euryale, an sua cuique deus fit dira cupido?- ইউরিয়ালাস, এই আগুন কি দেবতারা আমাদের মনে জ্বালিয়ে দেন,
নাকি প্রতিটি মানুষের উন্মত্ত ইচ্ছাই তার নিজের ঈশ্বর হয়ে ওঠে? - পঙ্ক্তি ১৮৪–১৮৫ (অনুবাদ: ফ্যাগলস)
- ইউরিয়ালাস, এই আগুন কি দেবতারা আমাদের মনে জ্বালিয়ে দেন,
- Nequeam lacrimas perferre parentis.
- এক মায়ের কান্না আমি সহ্য করতে পারি না।
- পঙ্ক্তি ২৮৯
- Volvitur Euryalus leto, pulchrosque per artus
It cruor inque umeros cervix conlapsa recumbit:
Purpureus veluti cum flos succisus aratro
Languescit moriens; lassove papavera collo
Demisere caput, pluvia cum forte gravantur.- ইউরিয়ালাস
মৃত্যুর আঘাতে লুটিয়ে পড়ল,
তার সুন্দর দেহ বেয়ে রক্ত গড়িয়ে চলল,
গলা ভেঙে পড়ে মাথা এলিয়ে গেল কাঁধে—
যেমন একটা বেগুনি ফুল, লাঙলের আঘাতে কাটা পড়ে
মুছে যেতে থাকে ধীরে ধীরে;
অথবা পপি ফুল, ক্লান্ত ডাঁটিতে ঝুঁকে পড়ে
যখন হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টিতে ভারী হয়ে যায়। - পঙ্ক্তি ৪৩৩–৪৩৭ (অনুবাদ: ফিটজেরাল্ড)
- ইউরিয়ালাস
- তুলনার জন্য:
- Μήκων δ' ὡς ἑτέρωσε κάρη βάλεν, ἥ τ' ἐνὶ κήπῳ
καρπῷ βριθομένη νοτίῃσί τε εἰαρινῇσιν,
ὣς ἑτέρωσ' ἤμυσε κάρη πήληκι βαρυνθέν.- সে একপাশে মাথা হেলিয়ে দেয়, যেমন বাগানের পপি ফুল
ফলে ভারী হয়ে বসন্তের বৃষ্টিতে নুয়ে পড়ে;
ঠিক তেমনই তার মাথা কাত হয়ে পড়ে ভারী হেলমেটের নিচে। - হোমার, *ইলিয়াড*, বই ৮, পঙ্ক্তি ৩০৬–৩০৮ (অনুবাদ: আর. ল্যাটিমোর)
- সে একপাশে মাথা হেলিয়ে দেয়, যেমন বাগানের পপি ফুল
- Μήκων δ' ὡς ἑτέρωσε κάρη βάλεν, ἥ τ' ἐνὶ κήπῳ
- তুলনার জন্য:

Nulla dies umquam memori vos eximet aevo.
"কোনো দিনই তোমাদের মুছে ফেলতে পারবে না সময়ের স্মৃতি থেকে।"
(৯/১১ স্মৃতি জাদুঘর)- Fortunati ambo! si quid mea carmina possunt,
Nulla dies umquam memori vos eximet aevo,
Dum domus Aeneae Capitoli immobile saxum
Accolet imperiumque pater Romanus habebit.- তোমরা দুজনই ভাগ্যবান!
যদি আমার কবিতায় সামান্যও শক্তি থাকে,
তাহলে কখনো কোনো দিন আসবে না
যে তোমাদের স্মৃতি মুছে দেবে সময়ের বুক থেকে—
যতদিন না এনায়াসের ঘর দাঁড়িয়ে থাকে ক্যাপিটলের শিলার পাশে,
আর রোমান পিতা রাজত্ব করেন পৃথিবীজুড়ে। - পঙ্ক্তি ৪৪৬–৪৪৯ (অনুবাদ: ফ্যাগলস)
- তোমরা দুজনই ভাগ্যবান!
- Iuppiter omnipotens, audacibus adnue coeptis.
- সর্বশক্তিমান জুপিটার,
আমার সাহসী উদ্যোগে তোমার আশীর্বাদ দাও। - পঙ্ক্তি ৬২৫ (অনুবাদ: ফ্যাগলস)
- সর্বশক্তিমান জুপিটার,
- তুলনা করুন: Annuit cœptis ("[ঈশ্বর] আমাদের উদ্যোগে সমর্থন জানিয়েছেন"), যা যুক্তরাষ্ট্রের মহামোহরের পিছনের অংশে লেখা রয়েছে।
- Macte nova virtute, puer, sic itur ad astra.
- শুভ হোক তোমার নতুন সাহস, বালক!
এইভাবেই পৌঁছানো যায় তারার রাজ্যে। - পঙ্ক্তি ৬৪১
- শুভ হোক তোমার নতুন সাহস, বালক!
দশম খণ্ড
[সম্পাদনা]- Fata viam invenient.
- ভাগ্য নিজের পথ নিজেই খুঁজে নেয়।
- পঙ্ক্তি ১১৩

- Audentes fortuna iuvat.
- তুলনায় উল্লেখযোগ্য:
- Fortibus est fortuna viris data.
- ভাগ্য সাহসী মানুষের জন্যই বরাদ্দ।
- এনিয়াস, অ্যানালেস, ২৫৭
- Fortibus est fortuna viris data.
- তুলনায় উল্লেখযোগ্য:
- Stat sua cuique dies, breve et inreparabile tempus
Omnibus est vitae; sed famam extendere factis,
Hoc virtutis opus.- প্রতিটি মানুষের জীবনসীমা নির্ধারিত।
জীবন সবার জন্যই ক্ষণস্থায়ী এবং একবার হারালে আর ফিরে আসে না।
তবে বীরত্বপূর্ণ কাজের মাধ্যমে যদি কেউ খ্যাতি দীর্ঘস্থায়ী করতে পারে,
তবে সেটাই প্রকৃত সাহসিকতার কাজ। - পঙ্ক্তি ৪৬৭–৪৬৯ (অনুবাদ: রবার্ট ফিটজেরাল্ড)
- প্রতিটি মানুষের জীবনসীমা নির্ধারিত।
একাদশ খণ্ড
[সম্পাদনা]- Experto credite
- বিশেষজ্ঞের ওপর ভরসা রাখো।
- লাইন ২৮৩; তুলনা করো: "experto crede"।
- অন্যান্য অনুবাদ:
- যিনি অভিজ্ঞ, তাঁর কথায় বিশ্বাস রাখো।
- যে নিজে ভুগেছে, তার কথাই মানো।
- Spes sibi quisque
- প্রত্যেকেই নিজের আশার ওপর নির্ভর করে।
- লাইন ৩০
- Nulla salus bello
- যুদ্ধের মধ্যে কোনো মুক্তি নেই।
- লাইন ৩৬২ (অনুবাদক: এল. আর. লিন্ড)
দ্বাদশ খণ্ড
[সম্পাদনা]
প্রকৃত কষ্টের ব্যথা। সৌভাগ্য শিখো অন্যদের কাছ থেকে।
- Aegrescitque medendo.
- চিকিৎসার চেষ্টাই রোগকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
- লাইন ৪৬ (অনুবাদ: ফ্যাগলস)
- Forsan miseros meliora sequentur.
- কে জানে?
দুঃখ-ক্লান্তদের জন্য ভালো সময় আসতেও পারে। - লাইন ১৫৩ (অনুবাদ: ফ্যাগলস)
- কে জানে?
- Disce, puer, virtutem ex me verumque laborem,
Fortunam ex aliis.- আমার থেকে শিখো সাহস আর প্রকৃত পরিশ্রম,
সৌভাগ্য শিখো অন্যদের কাছ থেকে। - লাইন ৪৩৫–৪৩৬ (অনুবাদ: রবার্ট ফিটজজেরাল্ড)
- আমার থেকে শিখো সাহস আর প্রকৃত পরিশ্রম,

- Usque adeone mori miserum est?
- মৃত্যুই কি তবে এত দুর্বিষহ?
- লাইন ৬৪৬ (অনুবাদ: আলেকজান্ডার থমসন)
- Ulterius ne tende odiis.
- ঘৃণার পথে আর এগিও না।
- লাইন ৯৩৮ (অনুবাদ: রবার্ট ফ্যাগলস); টার্নাস এখানে ঔদার্য ভিক্ষা করছেন।
- Vitaque cum gemitu fugit indignata sub umbras.
- এবং এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে, অপমানিত প্রাণটি
ছায়ার জগতে মিলিয়ে গেল। - লাইন ৯৫২ (অনুবাদ: রবার্ট ফিটজজেরাল্ড)
- এবং এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে, অপমানিত প্রাণটি
ভার্জিলের নামে প্রচলিত উক্তি
[সম্পাদনা]- Ille ego, qui quondam gracili modulatus avena
Carmen, et egressus silvis vicina coegi
Ut quamvis avido parerent arva colono,
Gratum opus agricolis, at nunc horrentia Martis ...- আমি সেই কবি, যে একসময় সরল বাঁশির সুরে গান গেয়েছিল,
তারপর অরণ্য ছেড়ে মাঠ-ঘাটকে বাধ্য করেছিলাম
যাতে সেগুলো লোভী কৃষকের চাষের উপযোগী হয়।
সেই কাজটি ছিল কৃষকদের পছন্দের। কিন্তু এখন আমি যুদ্ধের ভয়ংকর দৃশ্য... ... - এই লাইনগুলো *Aeneid*-এর একটি বিতর্কিত সূচনা (অনুবাদ: স্ট্যানলি লম্বার্ডো)। প্রাচীনতম পান্ডুলিপিতে এগুলো নেই। ব্যাকরণবিদ নিসাসের বর্ণনা অনুযায়ী, যিনি বলেছিলেন যে তিনি বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছ থেকে শুনেছেন, ভেরিয়াস এই চারটি লাইন বাদ দিয়ে প্রথম খণ্ডের সূচনা সংশোধন করেন। এই ঘটনা সুইটোনিয়াস-এর ভার্জিলের জীবন গ্রন্থের ৪২ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত। John Conington তার ভার্জিলের Aeneid-এর ভাষ্য গ্রন্থে মন্তব্য করেছেন: "এই গল্পের বাইরের প্রমাণ মূল্যায়ন করা কঠিন, কিন্তু এর উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয় যে এই লাইনগুলো কিছুটা ব্যাখ্যার দাবিদার ছিল।" (খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৩০)
- আমি সেই কবি, যে একসময় সরল বাঁশির সুরে গান গেয়েছিল,
- Facilius esse Herculi clavam quam Homero versum subripere.
- হেরকিউলিসের গদা চুরি করা যতটা সহজ, হোমারের কবিতার একটি লাইন চুরি করা তার চেয়েও কঠিন।
- এই উক্তিটি উদ্ধৃত করেছেন আসকোনিয়াস পেদিয়ানাস এবং এটি পাওয়া যায় সুইটোনিয়াস ও ডোনাটাস-এর রচনায়, ভার্জিলের জীবন, অনুচ্ছেদ ৪৬।
- Hos ego versiculos feci, tulit alter honores.
- এই ছোট কবিতাগুলো আমি লিখেছি, কিন্তু কৃতিত্ব পেয়েছে অন্য কেউ।
- এই চরণটি ভার্জিলের নামে ডোনাটাস-এর ভার্জিলের জীবন গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে।

Cecini pascua, rura, duces.
আমি গেয়েছি চারণভূমি, কৃষিকাজ ও সেনাপতিদের কথা।- Mors aurem vellens, "vivite," ait, "venio."
- মৃত্যু আমার কানে ফিসফিস করে বলে, "বাঁচো, আমি আসছি।"
- অ্যাপেনডিক্স ভার্জিলিয়ানা, Copa কবিতার ৩৮ নম্বর চরণ।
- Color est e pluribus unus.
- অনেক রঙ মিলিয়ে একটি রঙ তৈরি হয়।
- অ্যাপেনডিক্স ভার্জিলিয়ানা, Moretum কবিতার ১০২ নম্বর চরণ।
- তুলনা করুন: E pluribus unum ("অনের মধ্যে এক") — মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহামোহরের মূলমন্ত্র।
- Cecini pascua, rura, duces.
- আমি গেয়েছি চারণভূমি, গ্রামজীবন ও বীরদের কথা।
- নেপলস শহরে ভার্জিলের সমাধিতে উৎকীর্ণ শিলালিপি (অনুবাদ: বার্নার্ড নক্স)।
ভুলভাবে বর্ণিত উক্তি
[সম্পাদনা]- Minuit praesentia famam.
- উপস্থিতি খ্যাতিকে ক্ষুন্ন করে।
- Claudian, De Bello Gildonico, ৩৮৫
- এই উক্তিটি ভুলভাবে Virgil-এর নামে প্রচলিত হয়েছে, যদিও এটি এক "নিঃসন্দেহে ভুয়া ইতালীয় চিঠি"-তে পাওয়া যায়, যা কখনও কখনও দান্তে-র রচনার অংশ হিসেবে মুদ্রিত হয়েছে। (এডওয়ার্ড মুর, Studies in Dante [১৮৯৬], পৃ. ২৪০, পাদটীকা)
- Let fraud supply the want of force in war.
- ড্রাইডেন-এর Aeneid-এর দ্বিতীয় খণ্ড থেকে নেওয়া; ভার্জিলের মূল রচনায় এটির সঠিক লাতিন রূপ না থাকলেও এটি তুলনীয়: "Dolus, an virtus, quis in hoste requirat?" (Aeneid ২.৩৯০)
- Vitae summa brevis spem nos vetat inchoare longam.
- জীবনের সংক্ষিপ্ত পরিসর আমাদের দীর্ঘ প্রত্যাশার সূচনা করতে বাধা দেয়।
- Horace, Odes, প্রথম খণ্ড, চতুর্থ ওড, ১৫ নম্বর পঙ্ক্তি
- Virginibus puerisque canto.
- আমি কিশোরী ও কিশোরদের জন্য গান গাই।
- Horace, Odes, তৃতীয় খণ্ড, প্রথম ওড, ৪ নম্বর পঙ্ক্তি
- Crescentem sequitur cura pecuniam,
Maiorumque fames.- সম্পদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুশ্চিন্তাও বাড়ে, সঙ্গে বাড়ে আরও পাওয়ার লোভ।
- Horace, Odes, তৃতীয় খণ্ড, ষোড়শ ওড, ১৭–১৮ নম্বর পঙ্ক্তি
- Interdum volgus rectum videt, est ubi peccat.
- কখনও কখনও জনসাধারণ সঠিক দেখে, তবে বহু সময় তারা ভুল করে।
- Horace, Epistles, দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম পত্র, ৬৩ নম্বর পঙ্ক্তি

- Vincit amor patriae.
- সর্বোৎকৃষ্ট প্রেরণা হলো জনকল্যাণ।
- Richard Steele, The Spectator-এ। তুলনা করুন: ভার্জিলের Aeneid ৬.৮২৩: Vincet amor patriae ("দেশপ্রেম বিজয়ী হবে")।
- The City of God-এ Augustine এই পঙ্ক্তিটি উদ্ধৃত করেন, তবে ক্রিয়াপদটি ভবিষ্যৎকাল থেকে বর্তমানকালে পরিবর্তন করেন (vincet → vincit)। এই রূপটি পরে একটি প্রচলিত উদ্ধৃতিতে পরিণত হয়, যা পদক, স্মারক, ও বংশীয় চিহ্নে ব্যবহৃত হতে থাকে। Spectator-এর ২০০ নম্বর সংস্করণে (১৯ অক্টোবর, ১৭১১) এটি অনুবাদ ছাড়া শীর্ষে মুদ্রিত হয়। ১৭৪৪ সালের সংস্করণে যেসব পাঠক লাতিন বা গ্রিক জানতেন না তাদের জন্য ইংরেজি অনুবাদ যোগ করা হয়; Vincit amor patriae-এর অনুবাদ দেওয়া হয় "The noblest Motive is the Publick Good"। সেই অনুবাদটিই জনপ্রিয় হয়ে পড়ে। এটি পরবর্তীতে বহু গ্রন্থে ব্যবহৃত হয় এবং জনসমক্ষে স্থাপিত বিভিন্ন ভবনে স্থান পায়। এটি লাইব্রেরি অফ কংগ্রেস-এর দক্ষিণ করিডরের ছাদে খোদাই করা আছে এবং ভুলভাবে ভার্জিলের নামে উল্লিখিত।
ভার্জিল সম্পর্কে উক্তি
[সম্পাদনা]
~ হোরেস


- Animae dimidium meae.
- আমার আত্মার অর্ধেক।
- হোরেস, Odes, বই ১, কবিতা ৩, পঙ্ক্তি ৮
- Ideoque optime institutum est ut ab Homero atque Vergilio lectio inciperet, quamquam ad intellegendas eorum virtutes firmiore iudicio opus est: sed huic rei superest tempus, neque enim semel legentur.
- হোমার ও ভার্জিল পাঠ দিয়ে পড়াশোনার শুরু করা অত্যন্ত চমৎকার একটি রীতি, যদিও তাঁদের গুণাবলি পুরোপুরি বোঝার জন্য আরও পরিণত বুদ্ধিমত্তা প্রয়োজন। তবে সে সময় তো সামনে আছে, কারণ এই দুই কবির রচনা বহুবার পাঠ করা হবে।
- কুইন্টিলিয়ান, Institutio Oratoria (প্রায় ৯৫ খ্রিষ্টাব্দ), I, viii, 5 (অনুবাদ: এইচ. ই. বাটলার)
- Vtar enim verbis isdem quae ex Afro Domitio iuvenis excepi, qui mihi interroganti quem Homero crederet maxime accedere "secundus" inquit "est Vergilius, propior tamen primo quam tertio". Et hercule ut illi naturae caelesti atque inmortali cesserimus, ita curae et diligentiae vel ideo in hoc plus est, quod ei fuit magis laborandum, et quantum eminentibus vincimur, fortasse aequalitate pensamus. Ceteri omnes longe sequentur.
- আমি সেই কথাই বলব, যা আমি তরুণ বয়সে ডোমিটিয়াস আফার-এর মুখে শুনেছিলাম। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, হোমারের সবচেয়ে কাছাকাছি কোন কবি? তিনি বলেছিলেন, "ভার্জিলই হোমারের সবচেয়ে কাছের, তবে তিনি তৃতীয়জনের চেয়ে প্রথমজনের অনেক কাছাকাছি।" সত্যিই, হোমারের ঐশ্বরিক ও অমর প্রতিভার সামনে আমরা মাথা নত করি, কিন্তু ভার্জিলের রচনায় রয়েছে আরও বেশি যত্ন ও অধ্যবসায়, কারণ তাঁর কাজটি ছিল আরও কঠিন। হোমারের ব্যতিক্রমী অংশের প্রাবল্য যদি তাঁকে এগিয়ে রাখেও, ভার্জিল হয়তো তাঁর সামগ্রিক উচ্চমান দিয়ে তা পুষিয়ে দেন। আর অন্য সবাই তো অনেক পিছিয়ে।
- কুইন্টিলিয়ান, Institutio Oratoria, X, i, 86 (অনুবাদ: এইচ. ই. বাটলার)
- Corpore et statura fuit grandi, aquilo colore, facie rusticana, valetudine varia; nam plerumque a stomacho et a faucibus ac dolore capitis laborabat, sanguinem etiam saepe reiecit. Cibi vinique minimi; libidinis in pueros pronioris... Vulgatum est consuesse eum et cum Plotia Hieria. ... Cetera sane vitae et ore et animo tam probum constat, ut Neapoli Parthenias vulgo appellatus sit, ac si quando Romae, quo rarissime commeabat, viseretur in publico, sectantis demonstrantisque se subterfugeret in proximum tectum.
- তাঁর (ভার্জিলের) দেহ ছিল দীর্ঘ ও সুঠাম, গায়ের রঙ ছিল কালচে, মুখমণ্ডলে গ্রাম্যতা ফুটে উঠত। স্বাস্থ্য ছিল অস্থির—তিনি প্রায়ই পেট, গলা ও মাথাব্যথায় ভুগতেন এবং মাঝে মাঝে রক্তও বমি করতেন। খাওয়াদাওয়ায় ছিলেন সংযত। ছেলেদের প্রতি তাঁর দুর্বলতা ছিল প্রবল... প্রচলিত রয়েছে যে তাঁর প্লোতিয়া হিয়েরিয়ার সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল। ... তবে জীবনের অন্য সব বিষয়ে তাঁর ভাষা ও মন এতটাই সংযত ও পরিশীলিত ছিল যে, তাঁকে নেপলসে সাধারণভাবে "পারথেনিয়াস" ("কুমারী") বলা হতো। আর রোমে যদি তিনি কোনোদিন প্রকাশ্যে বের হতেন, যা ছিল খুবই বিরল, তখন অনুসরণকারী ও তাঁকে দেখিয়ে দেওয়া লোকজন থেকে পালিয়ে তিনি পাশের কোনো বাড়িতে আশ্রয় নিতেন।
- সুয়েটোনিয়াস, Vita Vergili 8–11, Suetonius, with an English translation by জে. সি. রলফ, খণ্ড II (১৯১৪), পৃষ্ঠা ৪৬৭
- "Bucolica" triennio, "Georgica" VII, "Aeneida" XI perfecit annis.
- তিনি "Bucolics" রচনা করেন তিন বছরে, "Georgics" সাত বছরে এবং "Aeneid" বারো বছরে।
- সুয়েটোনিয়াস, Vita Vergili 25, Suetonius, with an English translation by J. C. Rolfe, খণ্ড II (১৯১৪), পৃষ্ঠা ৪৭৩
- কবিদের প্লেটো।
- আলেক্সান্ডার সেভেরাস, উদ্ধৃত ডোমেনিকো কম্পারেট্তি-র Vergil in the Middle Ages, অনুবাদ: ই. এফ. এম. বেনেক (১৮৯৫), পৃষ্ঠা ৪৮
- Facundia Mantuani multiplex et multiformis est et dicendi genus omne complectitur.
- মান্টুয়ার এই কবির (ভার্জিলের) বাকশক্তি বহুবিধ ও বিচিত্র; তিনি সবরকম শৈলীর ভাষাকেই ধারণ করেছেন।
- ম্যাক্রোবিয়াস, Saturnalia (প্রায় ৪০০ খ্রিষ্টাব্দ), V, i, 4 (Loeb অনুবাদ)
- Decem Rhetorum, qui apud Athenas Atticas floruerunt, stylos inter se diversos hunc unum permiscuisse.
- এই এক কবিই একাই আথেন্সের দশজন বিখ্যাত বক্তার পরস্পর ভিন্ন ভিন্ন শৈলীকে একত্র করেছেন।
- ম্যাক্রোবিয়াস, Saturnalia, V, i, 20 (Loeb অনুবাদ)
- ‘‘নেম্পে, ভার্জিলিয়ুসের কথাই ধরো, যাঁকে ছোটরাই পড়ে। কারণ, তিনি এমন এক মহান কবি—সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ও খ্যাতিমান। তাঁর কাব্য যেন কোমল মনে গভীরভাবে গেঁথে যায়, যাতে তা সহজে বিস্মৃত না হয়।’’
- ভার্জিলিয়ুস নিঃসন্দেহে একজন মহান কবি হিসেবে গণ্য হন; আসলে, তাঁকে সবার মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও সর্বাধিক খ্যাতিমান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেই কারণেই ছোটবেলা থেকেই তাঁকে পড়ানো হয়—যাতে তাঁর কবিতা কোমল মনে গভীরভাবে গেঁথে যায় এবং তা সহজে ভুলে না যায়।
- অগাস্টিন অব হিপো, দ্য সিটি অব গড (প্রায় ৪১০ খ্রিস্টাব্দ), প্রথম খণ্ড, তৃতীয় অধ্যায় (অনুবাদ: হেনরি এস. বেটেনসন)
- ‘‘আমাদের ঐশ্বরিক কবি।’’
- আমাদের ঐশ্বরিক কবি।
- দান্তে আলিগিয়েরি, দে মনার্কিয়া (প্রায় ১৩১৩ খ্রিস্টাব্দ), দ্বিতীয় খণ্ড, তৃতীয় অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ৬
- ‘‘তুমি কি সেই ভার্জিলিয়ো এবং সেই উৎস
যার ভাষা এক বিশাল নদীর মতো ছড়িয়ে পড়ে?’’- এখন, তুমি কি সেই ভার্জিলিয়ো এবং সেই উৎস
যার ভাষা বহমান এক বিস্তৃত নদীর মতো ছড়িয়ে পড়ে? - দান্তে আলিগিয়েরি, ডিভাইন কমেডি (প্রায় ১৩২১ খ্রিস্টাব্দ), ইনফার্নো, গান I, পংক্তি ৭৯–৮০ (অনুবাদ: লংফেলো)
- এখন, তুমি কি সেই ভার্জিলিয়ো এবং সেই উৎস

তুমি আমার শিক্ষক ও রচয়িতা।
—দান্তে আলিগিয়েরি‘‘ও, কবিদের মধ্যে সম্মান ও আলোর প্রতীক,
আমার দীর্ঘ অধ্যয়ন আর গভীর ভালোবাসা
যা আমাকে তোমার কাব্য খোঁজার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে, তা যেন কাজে আসে।’’
তুমি আমার শিক্ষক ও রচয়িতা,
তুমিই একমাত্র ব্যক্তি যার কাছ থেকে
আমি সেই সুন্দর রচনাশৈলী গ্রহণ করেছি যা আমাকে গৌরবান্বিত করেছে।
ও, কবিদের মধ্যে সম্মান ও আলোর প্রতীক,
আমার দীর্ঘ অধ্যয়ন আর গভীর ভালোবাসা
যা আমাকে তোমার কাব্য খোঁজার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে, তা যেন কাজে আসে।
তুমি আমার শিক্ষক, এবং আমার রচয়িতা,
তুমিই একমাত্র ব্যক্তি যার কাছ থেকে
আমি সেই সুন্দর রচনাশৈলী গ্রহণ করেছি, যা আমাকে সম্মান এনে দিয়েছে।
- দান্তে আলিগিয়েরি, ডিভাইন কমেডি, ইনফার্নো, গান I, পংক্তি ৮২–৮৭ (অনুবাদ: লংফেলো)
- ‘‘হে মার্তুয়ার উদার আত্মা,
যার খ্যাতি আজও পৃথিবীতে জিইয়ে আছে,
এবং থাকবে, যতদিন না পৃথিবী আপন গতি থামে।’’- হে মার্তুয়ার উদার আত্মা,
যার খ্যাতি আজও পৃথিবীতে বিরাজমান,
এবং থাকবে, যতদিন না এই জগতের গতি থামে। - দান্তে আলিগিয়েরি, ডিভাইন কমেডি, ইনফার্নো, গান II, পংক্তি ৫৮–৬০ (অনুবাদ: লংফেলো)
- হে মার্তুয়ার উদার আত্মা,
- ‘‘তুমি আমার পথপ্রদর্শক, তুমি আমার প্রভু ও শিক্ষক।’’
- তুমি আমার পথপ্রদর্শক, তুমি আমার প্রভু ও শিক্ষক।
- দান্তে আলিগিয়েরি, ডিভাইন কমেডি, ইনফার্নো, গান II, পংক্তি ১৪০ (অনুবাদ: মার্ক মুসা)
- ‘‘ও লাতিনদের গৌরব,’’ সে বলল, ‘‘যার মাধ্যমে
আমাদের ভাষা তার সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রকাশ করেছিল...’’- ‘‘ও লাতিন জাতির গৌরব,’’ সে বলল, ‘‘যার মাধ্যমে
আমাদের ভাষা তার সব শক্তি দেখাতে পেরেছিল...’’ - দান্তে আলিগিয়েরি, ডিভাইন কমেডি, পুরগাতোরিও, গান VII, পংক্তি ১৬–১৭ (অনুবাদ: কার্লাইল-উইকস্টিড)
- ‘‘ও লাতিন জাতির গৌরব,’’ সে বলল, ‘‘যার মাধ্যমে
- ‘‘কিন্তু ভার্জিলিয়ো আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন—
ভার্জিলিয়ো, সকল পিতার মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও মধুরতম,
ভার্জিলিয়ো, যার কাছে আমি নিজের মুক্তির জন্য আত্মসমর্পণ করেছিলাম।’’- কিন্তু ভার্জিলিয়ো আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন—
ভার্জিলিয়ো, সবচেয়ে মধুরতম পিতা,
ভার্জিলিয়ো, যাঁর কাছে আমি নিজের মুক্তির জন্য নিজেকে সমর্পণ করেছিলাম। - দান্তে আলিগিয়েরি, ডিভাইন কমেডি, পুরগাতোরিও, গান XXX, পংক্তি ৪৯–৫১ (অনুবাদ: লংফেলো)
- কিন্তু ভার্জিলিয়ো আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন—
- ‘‘কারণ তুমি তোমার নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে
এই বাক্যটি এমনভাবে বুঝতে পারবে
যেমন জীবিত থাকা অবস্থায় ভার্জিলিও পারতেন না।’’- জিওফ্রে চসার, দ্য ক্যান্টারবেরি টেলস (প্রায় ১৩৯০ খ্রিস্টাব্দ), ফ্রায়ারের টেল, III.1517–1519
- Quem te, inquit, reddidissem,
Si te vivum invenissem,
Poetarum maxime!- "তোমার জীবদ্দশায় যদি তোমার সাক্ষাৎ পেতাম, তাহলে কী অসাধারণ মানুষ বানাতাম তোমায়, কবিদের শ্রেষ্ঠ!"
- অজ্ঞাতপরিচয় এক কবি ১২শ অথবা ১৩শ শতকের প্যারিসে এই উক্তিটি করেছেন। কিংবদন্তি অনুসারে, নেপলসের ভার্জিলের সমাধি পরিদর্শনকালে পল অফ টারস অত্যন্ত অনুতপ্ত হয়ে চোখের জল ফেলেন—কারণ তিনি ভাবেন, ভার্জিল যদি তাঁর যুগে জন্মাতেন তবে তিনি খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হতে পারতেন। এই কাহিনি Latin Poetry: Lectures Delivered in 1893 on the Percy Turnbull Memorial Foundation in the Johns Hopkins University (1895) গ্রন্থে রবার্ট ইয়েলভার্টন টাইরেল, A History of Classical Scholarship (1903) গ্রন্থে জন স্যান্ডিস, এবং The Oxford Companion to Classical Literature (2013) গ্রন্থে এম. সি. হাওয়াটসন-এর সম্পাদনায় সংকলিত হয়েছে।
- ঐ দেবসদৃশ মানুষটি কোনো কিছুই উপেক্ষা করেননি। শুধুমাত্র বোকারাই কিছু যোগ করতে চাইবে; আর উদ্ধতরাই কিছু পরিবর্তন করতে চাইবে। বাক্যগঠন, ছন্দ, গঠনরীতি, সরলতা, স্বতঃস্ফূর্ততা, অলংকার, প্রকৃতি, শিল্প, জ্ঞান—সবই অতুলনীয়। এক কথায় বললে, সম্পূর্ণরূপে ‘ভার্জিলীয়’। … যারা বলে হোমারের কল্পনার গণ্ডিতে আবদ্ধ ছিলেন দেবসম ভার্জিল, তাদের চুপ করে থাকা উচিত। বাস্তবে তা নয়। প্রকৃতি হোমারের কাছে যে উপস্থাপন করেছিল, ভার্জিল সেগুলিকে এমনভাবে সংশোধন করেন যেন কোনো অধ্যাপক তার ছাত্রের রচনা ঠিক করছেন।
- জুলিয়াস সিজার স্ক্যালিজার, Poetices (1561), বই ৫, অধ্যায় ৩, উদ্ধৃত "Life of Julius Caesar Scaliger (1484–1558)" — ভার্নন হল, জুনিয়র, Transactions of the American Philosophical Society, খণ্ড ৪০, পর্ব ২ (1950), পৃষ্ঠা ১৫৩
- ...exemplum, regula, principium, finis esse debet nobis Maro.
- আমাদের জন্য ভার্জিল হওয়া উচিত আদর্শ, নিয়ম, সূচনা এবং সমাপ্তি।
- জুলিয়াস সিজার স্ক্যালিজার, Poetices libri septem (1561), বই ৫, অধ্যায় ৩, উদ্ধৃত ফিলিপ হার্ডির The Last Trojan Hero: A Cultural History of Virgil's Aeneid (2014), পৃষ্ঠা ৯
- হোমারের কবিতা যেন উচ্ছ্বাসপূর্ণ মুক্ত আত্মার প্রকাশ; আর ভার্জিলের কবিতা ছিল প্রাসাদোপযোগী, শ্রমসাধ্য এবং একেবারে অনুকরণভিত্তিক: তিনি এমন কোনো উপমা দেননি যা হোমার থেকে না নেওয়া; এমন কোনো সৃষ্টি, চরিত্র বা রূপায়ণ নেই যা পুরোপুরি হোমারের ভিত্তিতে গড়ে ওঠেনি, এমনকি বহু জায়গায় হোমারেরই শব্দ ব্যবহার করেছেন।
- জর্জ চ্যাপম্যান, Achilles' Shield (1598) এর উৎসর্গপত্র
- আর তাঁর কবিতা? এমন প্রাণময় যে তা সময়ের সঙ্গে আরও বেশি প্রাণ পাবে, এবং ভবিষ্যতে বর্তমানের চেয়েও বেশি প্রশংসিত হবে।
- বেন জনসন, Poetaster (1601), অঙ্ক ৫, দৃশ্য i
- স্মৃতির পাতায় যিনি পরিচিত সবচেয়ে শুদ্ধ ও রাজসিক কবি।
- ফ্রান্সিস বেকন, উদ্ধৃত Latin Poetry: Lectures... (1895) — রবার্ট ইয়েলভার্টন টাইরেল, পৃষ্ঠা ১২৮
- ও মহাশক্তিধর ভার্জিল! সেই পবিত্র নাম
জ্বালিয়ে দিক আমার বক্ষে তোমার ঐশ্বরিক অনুরাগে;
মহান চিন্তা আর উপযুক্ত শব্দ দাও,
গানের সঙ্গ দিক মিউজ, আর তুমি করো মিউজকে প্রেরিত!- ওয়েন্টওয়ার্থ ডিলন, Essay on Translated Verse (1684), পংক্তি ১৭৩–১৭৬
- আমি ভার্জিলকে সবসময়ই একজন সংক্ষিপ্ত, গুরুগম্ভীর এবং মহিমাময় লেখক হিসেবে দেখেছি; যিনি কেবল প্রতিটি ভাবনা নয়, প্রতিটি শব্দ ও অক্ষরেরও ওজন করেছেন।
- জন ড্রাইডেন, Sylvae (1685) এর ভূমিকায়
- মনে হয় তিনি যেন অনুবাদের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেননি।
- জন ড্রাইডেন, Sylvae (1685) এর ভূমিকায়
- ভার্জিলের শব্দে এক অননুকরণীয় কান্তি রয়েছে, আর সেই সৌন্দর্যের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সেই আনন্দ যা শুধুমাত্র যিনি ভাষার অন্তর্নিহিত শক্তি বোঝেন তিনিই অনুভব করতে পারেন। তাঁর এই গদ্যরীতি কখনো অনুকরণীয় নয়; এবং যেহেতু অনুকরণ করা যায় না, তাই সেরা অনুবাদও তার পাশে দুর্বল ঠেকে।
- জন ড্রাইডেন, Sylvae (1685) এর ভূমিকায়
- ভার্জিল অল্প কথায় অনেক কিছু প্রকাশ করতেন, এমনকি নীরবতার মধ্যেও...
- জন ড্রাইডেন, The Dedication to Examen Poeticum (1693)
- ভার্জিল এমন নিখুঁতভাবে প্রতিটি শব্দ ব্যবহার করেছেন যে কিছু পরিবর্তন করলে তা কেবল খারাপই হবে; কোনো শব্দ স্থানচ্যুত হলে তার ছন্দ ভেঙে যাবে। কখনও কখনও তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল করছেন ভান করেন, যাতে পাঠক মনে করেন তিনি পড়ে যাচ্ছেন—যখন বাস্তবে তিনি একেবারে নিয়ন্ত্রণে।
- জন ড্রাইডেন, A Parallel Betwixt Poetry and Painting (1695)
- [হোমার]-এর আগুন যেন প্রবল উত্তাপ ও উচ্ছ্বাসে দহমান … ভার্জিলের তা স্পষ্ট ও শুদ্ধ শিখা ...
- রিচার্ড ব্ল্যাকমোর, King Arthur (1697) এর ভূমিকায়
- ভার্জিলের রচনায় আছে সহস্র গোপন সৌন্দর্য...
- জন ড্রাইডেন, The Works of Virgil (1697), 'Dedication to the Aeneis'
- ভার্জিলকে হোমারকে অনুকরণকারী বলা যায় না; হোমারের একমাত্র সুবিধা তিনি আগে লিখেছিলেন।
- জন ড্রাইডেন, The Works of Virgil (1697), 'Dedication to the Aeneis'
- সমস্ত কবির মধ্যে ভার্জিলের ছিল এমন এক ভাণ্ডার, যা প্রায় অশেষ বলা যায়, অলংকারময়, মধুর ও বর্ণনামূলক শব্দে পূর্ণ।
- জন ড্রাইডেন, The Works of Virgil (1697), 'Dedication to the Aeneis'
- বহুদিন ধরেই এই পবিত্র লেখককে দুর্বল অনুবাদকদের হাতে পড়ে থাকতে হয়েছে:
দীর্ঘকাল ধরে তাঁর মিউজ দুর্বলের কলমের বোঝা বইছে।- হেনরি গ্রাহাম, To Mr. Dryden, on His Translation of Virgil (1697)
- ভার্জিল ছিলেন শান্ত, সংযত প্রকৃতির; হোমার ছিলেন তীব্র, দুর্দমনীয়, উচ্ছ্বসিত। ভার্জিলের প্রধান গুণ ছিল ভাবনার উপযুক্ততা এবং শব্দের অলংকার।
- জন ড্রাইডেন, Fables, Ancient and Modern (1700) এর ভূমিকায়
- কিছুদিন আগে রাতে একটু দেরিতে বাড়ি ফিরেছিলাম; ঘুম আসছিল না, তাই ভার্জিল পড়তে শুরু করলাম, যাতে মনটা শান্ত হয়। এমন লেখক যিনি সর্বদা আমার পছন্দের; কারণ তাঁর লেখার মধ্যে ঈশ্বরীয় সুর ও ভারসাম্য আছে, যা মনকে এক প্রকার কোমল বিষণ্নতায় আচ্ছন্ন করে; দিনের শেষে যা আমার সবচেয়ে পছন্দের অনুভূতি।
- রিচার্ড স্টিল, The Spectator ৫১৪ (২০ অক্টোবর ১৭১২)
- যখন যুবক ভার্জিল তাঁর অপরিসীম মননে
অমর রোমকে ছাড়িয়ে টিকে থাকবে এমন এক রচনা ভাবলেন,
তখন হয়তো নিজেকে সমালোচনার ঊর্ধ্বে ভাবলেন,
আর কেবল প্রকৃতির উৎস থেকেই টানলেন প্রেরণা:
কিন্তু যখন প্রতিটি অংশ বিশ্লেষণ করতে শুরু করলেন,
তখন বুঝলেন প্রকৃতি আর হোমার একেই তো বলে।
আশ্চর্য হয়ে ভাবলেন, সাহসী পরিকল্পনাকে দমন করলেন,
আর কঠোর নিয়মে তাঁর পরিশ্রমী কাজকে বেঁধে ফেললেন,
যেন অ্যারিস্টটল প্রতিটি পঙক্তি পরীক্ষা করছেন।- আলেকজান্ডার পোপ, An Essay on Criticism (1711), পংক্তি ১৩০–১৩৮
- এই আগুন ভার্জিলে প্রতিফলিত হয়, তবে যেন কাচের মধ্য দিয়ে, হোমার থেকে প্রতিফলিত, দীপ্তিমান হলেও তীব্র নয়, কিন্তু সর্বত্র সমভাবে উপস্থিত।
- আলেকজান্ডার পোপ, হোমারের Iliad (1715) এর ভূমিকায়
- সকল যুগের আনন্দ এবং সকল কবির আদর্শ।
- ভলতেয়ার, An Essay on Epic Poetry (1727)
- ভার্জিল গ্রামীণ স্বাচ্ছন্দ্যকে ভালোবাসতেন, আর মেসেনাস তাঁকে এক চমৎকার নিরিবিলি খামারে স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন,
যেখানে তিনি নিশ্চিন্তে নিজের মতো করে সময় কাটাতে পারতেন, আর বন্দনা করে নিজের ‘ভাড়া’ পরিশোধ করতেন।- চার্লস চার্চিল, Independence (1764)
- মহান ম্যান্টুয়ান কবির ভক্তরাও আসলে তাঁর গৌরবগাথা হিসেবে কেবল এটুকুই বলার সুযোগ পান—তিনি তাঁর নায়ককে যাত্রাপথ ও যুদ্ধ উভয় দিক থেকেই উপস্থাপন করে Iliad ও Odyssey-র গুণাবলি একত্রিত করতে সক্ষম হয়েছেন; যদিও কখনও কখনও তাঁর বিচারবুদ্ধি হোমারের ঐশ্বর্য লালসায় পরাভূত হয়েছে, এবং একটি উজ্জ্বল অলংকার যাতে হারিয়ে না যায় সেই আশঙ্কায় তিনি তা এমন জায়গায় বসিয়েছেন যেখানে তা আর আগের মতো দীপ্তিমান নয়।
- স্যামুয়েল জনসন, The Rambler, নং ১২১ (১৪ মে ১৭৫১)
- ‘‘আপনি কি লাতিন ভাষা জানেন, মাদাম? না; তাই আপনি আমাকে জিজ্ঞেস করেন আমি পোপকে ভার্জিলের চেয়ে বেশি পছন্দ করি কিনা। আহ, মাদাম, আমাদের আধুনিক ভাষাগুলো প্রাচীন গ্রীক ও রোমানদের ব্যবহৃত ভাষার তুলনায় শুষ্ক, দারিদ্র্যপীড়িত এবং সুরহীন। আমরা যেন কেবল গ্রাম্য বেহালাবাদক। তাছাড়া, আপনি কীভাবে চিঠিপত্রকে একটি মহাকাব্যের সঙ্গে তুলনা করতে পারেন? দিদোর প্রেম, ট্রয়ের অগ্নিদাহ বা এনিয়াসের পাতালে অবতরণ—এসবের সঙ্গে? আমি বিশ্বাস করি, পোপের ‘Essay on Man’ দার্শনিক এবং উপদেশমূলক কবিতাগুলোর মধ্যে সেরা। কিন্তু ভার্জিলের পাশে কিছুই রাখা উচিত নয়। আপনি তাঁকে শুধু অনুবাদের মাধ্যমে চেনেন; কিন্তু কবিতা অনুবাদ করা যায় না। কেউ কি সংগীত অনুবাদ করতে পারে? আপনার এমন সূক্ষ্ম রুচি ও সংবেদনশীলতা থাকা সত্ত্বেও ভার্জিলকে মূল ভাষায় পড়তে না পারার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’’
— ভলতেয়ার, মাদাম দ্যু দ্যফঁ-কে এক চিঠিতে (১৯ মে ১৭৫৪), 'The Unpublished Correspondence of Madame Du Deffand', অনুবাদ: মেরি মিক, খণ্ড ২ (১৮১০), পৃ. ২৫৭–২৫৮
- ‘‘এই বছর [১৭৮৩] আমি পুরো ভার্জিল পড়ে ফেলেছি। আমি প্রতিদিন রাতে 'Aeneid'-এর একটি করে অধ্যায় পড়তাম, ফলে বারো রাতে তা শেষ হয়ে যায়। আমি এতে অত্যন্ত আনন্দ পেয়েছি। ‘Georgics’ আমাকে ততটা আনন্দ দেয়নি, শুধু চতুর্থ অধ্যায় ছাড়া। ‘Eclogues’-এর প্রায় সবই আমার মুখস্থ।’’
— স্যামুয়েল জনসন, উদ্ধৃত: জেমস বসওয়েল-এর 'The Life of Samuel Johnson', খণ্ড ২ (১৭৯১), পৃ. ৪৫৪
- ‘‘ভার্জিলের প্রধান এবং স্বতন্ত্র গুণ হল তাঁর কোমলতা। প্রকৃতি তাঁকে এক অনন্য সংবেদনশীলতা দিয়েছিল; তিনি তাঁর বর্ণনায় প্রতিটি আবেগপূর্ণ মুহূর্ত অনুভব করতে পারতেন এবং একটিমাত্র ছোঁয়াতেই পাঠকের হৃদয়ে পৌঁছে যেতেন।’’
— হিউ ব্লেয়ার, 'Lectures on Rhetoric and Belles Lettres', খণ্ড ২ (১৭৮৩), ভাষণ ৪৩: 'The Æneid of Virgil', পৃ. ৪৪৭
- ‘‘‘Aeneid’-এ ভার্জিলের সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে তাঁর করুণ রসের ব্যবহার... এবং এই দিকেই তিনি সকল যুগ ও দেশের অন্যান্য কবিকে ছাড়িয়ে গেছেন—হয়তো শেক্সপিয়র ছাড়া (তাও শুধু হয়তো)। এ কারণেই আমি তাঁকে এত উঁচু আসনে বসাই; কারণ, হৃদয়ে পৌঁছানোই প্রকৃত শ্রেষ্ঠতা।’’
— চার্লস জেমস ফক্স, গিলবার্ট ওয়েকফিল্ড-কে এক চিঠিতে (১৩ এপ্রিল ১৮০১), 'Correspondence of the late Gilbert Wakefield with the late Charles James Fox' (১৮১৩), পৃ. ১৯২
- ‘‘সেই সুরেলা অনুকারী আর করুণ চাটুকার, যার অভিশপ্ত হেক্সামিটার আমাকে হারো স্কুলে মুখস্থ করানো হয়েছিল।’’
— লর্ড বায়রন, থমাস মুরকে এক চিঠিতে (১১ এপ্রিল ১৮১৭), 'Letters and Journals of Lord Byron, with Notices of his Life', সম্পা. থমাস মুর (১৮৩০), পৃ. ৩২৯
- ‘‘ভার্জিলের শৈলী এক অনন্য মিশ্রণ—অত্যন্ত শৈল্পিক অলংকারে পূর্ণ, আবার মহিমান্বিতভাবে সরল ও হৃদয়স্পর্শী।’’
— উইলিয়াম ওয়ার্ডসওর্থ, লর্ড লনসডেল-কে চিঠি (১৭ ফেব্রুয়ারি ১৮১৯), 'Letters of the Wordsworth Family from 1787 to 1855', সম্পা. ডব্লিউ. নাইট, খণ্ড ২ (১৯০৭), পৃ. ১২৩
- ‘‘ভার্জিল গ্রীক আদর্শগুলোকে এতটা অন্ধভাবে অনুকরণ করেছেন যে, তা প্রায় আত্মাহীন অনুকরণ বলেই মনে হয়—যেন প্রাণহীন নকল।’’
— গিওর্গ ভিলহেল্ম ফ্রিডরিখ হেগেল, 'Vorlesungen über die Philosophie der Religion', সম্পা. ডব্লিউ. জেস্কে, খণ্ড ২, পৃ. ৪০২; উদ্ধৃত: ফিলিপ হার্ডি-এর 'The Last Trojan Hero: A Cultural History of Virgil's Aeneid' (২০১৪), পৃ. ১৪
- ‘‘আপনি যদি ভার্জিলের ভাষা ও ছন্দ বাদ দেন, তবে তাঁর আর কী থাকে?’’
— স্যামুয়েল টেইলর কোলরিজ, 'Table Talk' (৮ মে ১৮২৪), 'Specimens of the Table Talk of the late Samuel Taylor Coleridge', খণ্ড ১ (১৮৩৫), পৃ. ৫০
- ‘‘ওহ ভার্জিল! ওহ কবি! ওহ আমার স্বর্গীয় গুরু!’’
— ভিক্টর হুগো, 'Les Voix intérieures' (১৮৩৭), কবিতা ৭, ‘À Virgile’
- ‘‘তাঁকে আমি কখনোই রোমান শ্রেষ্ঠ কবিদের কাতারে ফেলি না।’’
— বার্থোল্ড জর্জ নিয়েবুহার, 'The History of Rome', খণ্ড ৫ (১৮৪৪), পৃ. ৭৯
- ‘‘যদি কেউ বোকা না হয়, তবে সে নিজের ও নিজের কর্মের মূল্য সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারে না। এমনকি ভার্জিল নিজেও মৃত্যুশয্যায় 'Aeneid' পুড়িয়ে ফেলতে চেয়েছিলেন।’’
— গুস্তাভ ফ্লবেয়ার, লুইজ কোলেকে চিঠি (১৯ সেপ্টেম্বর ১৮৫২), 'The Letters of Gustave Flaubert: 1830–1857', সম্পা., অনুবাদ: ফ্রান্সিস স্টিগমুলার (১৯৮০), পৃ. ১৭০
- ‘‘পুরো লাতিন বিশ্বের কবি।’
— শার্ল অগুস্তিন সাঁৎ-ভ্যভ, 'Étude sur Virgile' (১৮৫৭), পৃ. ৩৫; উদ্ধৃত: 'Why Vergil?: A Collection of Interpretations' (২০০০), "Homage to Virgil", চার্লস ফান্তাজ্জি, পৃ. ২৯০
- ভার্জিলের মহাকাব্য ঈনিয়েড-এর ওপর ছায়ার মতো এক মৃদু বিষণ্ণতা ভেসে থাকে। এটা লুক্রেটিয়াসের মতো কঠোর বা গম্ভীর নয়—বরং কোমল, হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া একধরনের দুঃখ, তবুও সেটা দুঃখই। এই বিষণ্ণতাই কাব্যটিকে মোহনীয় করেছে, আবার এটিই তার অসম্পূর্ণতার প্রমাণ। নিইবুর যেমনটি বলেছেন, ভার্জিল কোনো ভান করে নিজেকে ছোট করে দেখাননি; মৃত্যুর আগে তিনি তাঁর কবিতা পুড়িয়ে ফেলতে চেয়েছিলেন, কারণ মনে হচ্ছিল সেটি তাঁর নিজের আশা পূরণ করেনি। তিনি ছিলেন ভীষণ সংবেদনশীল, শারীরিকভাবে দুর্বল, অথচ জ্ঞানে সমৃদ্ধ একজন শিল্পী—এক বিশাল ও জটিল দুনিয়ায় নিজেকে মানিয়ে নিতে অক্ষম। এই অক্ষমতা, এই একটিমাত্র দুর্বলতাই ছিল প্রবল রোমান প্রকৃতির মাঝে একটি ফাটল। এই কষ্টবোধে ভরা, শিল্পপ্রতিভাসম্পন্ন মানুষটি সাহিত্যের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ও সবচেয়ে মর্মস্পর্শী চরিত্র; তবে তিনি রোমের গৌরবময় যুগের নিখুঁত ব্যাখ্যাতা নন।
- ম্যাথিউ আর্নল্ড, "On the Modern Element in Literature" (১৮৫৭)
- ভার্জিল গভীর আবেগ থেকে লেখেন, কারণ তিনি তীব্রভাবে অনুভব করেন। তাঁর ভাষা শক্তিশালী, কারণ তাঁর কল্পনা অত্যন্ত স্পষ্ট। তিনি বিষয়টিকে এত ভালো বোঝেন যে অস্পষ্টতা বা অর্থহীনতার সুযোগ নেই। তিনি বিষয়কে বিশ্লেষণও করতে পারেন, আবার সামগ্রিকভাবে ধরতেও পারেন—এই জন্যই তাঁর লেখা ভারসাম্যপূর্ণ ও সুসংবদ্ধ। যখন কল্পনা উথলে ওঠে, তখন তা অলংকারে ফুটে ওঠে; যখন মন ছুঁয়ে যায়, তখন তা কবিতায় কাঁপন তোলে। তিনি যা বোঝাতে চান, তার জন্য সব সময় ঠিকঠাক শব্দ বেছে নেন—না কম, না বেশি। যদি সংক্ষিপ্ত হন, সেটা প্রয়োজনেই; আর যদি শব্দ বেশি ব্যবহার করেন, সেগুলোও ভাবকে আরও পরিষ্কার করে তোলে। তিনি এমন কথা বলেন যা অনেকেই মনে মনে অনুভব করেন, কিন্তু প্রকাশ করতে পারেন না। তাঁর লেখা লোকের মুখে মুখে ফিরতে থাকে, প্রবাদ হয়ে যায়, তাদের ভাষা ও কথাবার্তায় মিশে যায়—যেমন বিদেশি প্রাসাদে রোমান মার্বেলের টুকরো দিয়ে দেয়াল আর মেঝে সাজানো হয়।
- জন হেনরি নিউম্যান, The Idea of a University (১৮৫৮)
- ভার্জিল হোমারের পথ অনুসরণ করেছেন, তবে অনুরাগী ছাত্র হিসেবে নয়, বরং এক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে।
- জন কনিংটন, P. Vergili Maronis Opera (১৮৬৩)
- তাঁর একক শব্দ বা অসমাপ্ত পঙক্তি—যেখানে যন্ত্রণার কথা বলা হয়—সে যেন প্রকৃতির নিজের কণ্ঠস্বর। এই যন্ত্রণা, ক্লান্তি, আর ভালো কিছুর আশাই সব যুগের মানুষের অভিজ্ঞতা।
- জন হেনরি নিউম্যান, An Essay in Aid of a Grammar of Assent (১৮৭০)
—আলফ্রেড, লর্ড টেনিসন
- প্রভু, আপনি তো জানেন ভার্জিল কী বলেছেন—
নারীরা চঞ্চল, এবং খুব দ্রুত বদলায়।- আলফ্রেড, লর্ড টেনিসন, Queen Mary (১৮৭৫)
- রোমান ভার্জিল, তুমি যে গেয়েছো আগুনে পুড়তে থাকা ইলিয়নের উঁচু মন্দিরের কথা।
- আলফ্রেড, লর্ড টেনিসন, To Virgil (১৮৮২)
- তুমি যে গাও শস্যক্ষেত, বনজঙ্গল, চাষাবাদ, দ্রাক্ষাবাগান, মৌচাক, ঘোড়া আর পশুপাল—
সব মিউজার রূপ তোমার এক একটি শব্দে ফুটে ওঠে।- আলফ্রেড, লর্ড টেনিসন, To Virgil (১৮৮২)
- তুমি বিশ্বপ্রকৃতিকে দেখতে পাও, যাকে চালায় এক সার্বজনীন চেতনা;
তুমি, যিনি মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় বিষণ্ণ, তবুও মহিমান্বিত।- আলফ্রেড, লর্ড টেনিসন, To Virgil (১৮৮২)
- তুমি চিরকাল রোমের গৌরবময় কণ্ঠস্বর হয়ে বেজে ওঠো।
- আলফ্রেড, লর্ড টেনিসন, To Virgil (১৮৮২)
- তোমায় প্রণাম, মান্তোভান কবি, আমি—যে শৈশব থেকে তোমায় ভালোবাসি,
তুমি, যিনি মানুষের মুখে উচ্চারিত সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর ছন্দ রচনা করেছো।- আলফ্রেড, লর্ড টেনিসন, To Virgil (১৮৮২)
- ভার্জিলের অনেক কবিতার লাইন আমাদের সবার চেনা, মনে গেঁথে থাকে, যেমন ধর্মীয় অনুভব পরিচিত শাস্ত্রবাক্যের সাথে মিশে যায়।
- চার্লস বোয়েন, Virgil in English Verse (১৮৮৭)
- হোমার যা জানতেন, তা-ই গেয়েছেন। আর ভার্জিল শুধু অনুসরণ করেছেন, প্রাচীনতার প্রতি এক ধরনের দুর্বল আগ্রহ নিয়ে—যা হোমারের কাছে ছিল জীবন্ত।
- অ্যান্ড্রু ল্যাং, Letters on Literature (১৮৯২)
- ব্যাকরণবিদরা ভার্জিলের কবিতাকে এত বিশ্লেষণ করেছেন যে, যদি তাঁর সব পান্ডুলিপি হারিয়ে যেত, তবুও শুধু তাঁদের উদ্ধৃতি দিয়ে বুকোলিকস, জিওর্গিকস ও ঈনিয়েড প্রায় পুরোটা আবার তৈরি করা যেত।
- ডোমেনিকো কম্পারেত্তি, Vergil in the Middle Ages (১৮৯৫)
- ভার্জিল অনেক পুরোনো লেখক থেকে ধার নিয়েছেন। কিন্তু তাঁর লেখায় সেই ধার করা অংশগুলো একত্রে মিলেমিশে পরিষ্কার, সুন্দর আর সুরেলা এক রূপ পেয়েছে।
- উইলিয়াম ক্র্যানস্টন ল’টন, Library of the World's Best Literature (১৮৯৭)
- ভার্জিলের রচনার আসল সৌন্দর্যই শেষ পর্যন্ত আমাদের টেনে আনে—যেমনটা ঘটে দান্তের ক্ষেত্রেও। তাঁর ভাষা লাতিনকে এক সোনালি, মধুর ভাষায় রূপ দেয়; যেখানে মিশে থাকে বিষণ্ণতা আর জীবনের কষ্ট নিয়ে গভীর স্বপ্নময় ভাবনা। তাঁর লেখায় যে কোমল দুঃখ আর রহস্যময় কল্পনা আছে, যদি সেটাই কবিতা না হয়, তবে কবিতা কোনোদিন লেখা হয়নি।
- জন উইট ডাফ, A Literary History of Rome (১৯০৯)
- [ঐনিয়াস]-এর মধ্যে [ওডিসিয়াস]-এর কোনো সাদৃশ্য আছে কি? একদমই না—পুরো প্রাচীন সাহিত্যে এতটা ভিন্নতা আর কোথাও নেই। এটা বোঝা গেলেই স্পষ্ট হয় কতটা অযৌক্তিক সেই সব সমালোচক, যারা ভার্জিলকে কেবল হোমারের অনুকরণকারী বা নকলকারী বলে অবজ্ঞা করেন। প্রাচীন সাহিত্যে ভার্জিলের মতো গভীর ও বিস্ময়কর মৌলিকতা আর কোথাও নেই; আর সেটাই তার অনন্যতা—কারণ তিনি উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত ও ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতির সীমার মধ্যেই কাজ করেছেন, যেগুলোকে তিনি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেছেন।
- থেওডর হ্যাকার, *Virgil, Father of the West* (১৯৩৪), অনুবাদ: এ. ডব্লিউ. হুইন, পৃষ্ঠা ৭০
- ভার্জিলের মাধ্যমেই ইউরোপীয় কবিতা প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ওঠে।
- সি. এস. লুইস, *A Preface to Paradise Lost* (১৯৪২), অধ্যায় ৬: "Virgil and the Subject of Secondary Epic"

- [ঐনিয়াস] রোমের প্রতীক; আর ঐনিয়াসের যেমন রোমের প্রতি সম্পর্ক, তেমনি প্রাচীন রোমের সম্পর্ক ইউরোপের সঙ্গে। এইভাবে ভার্জিল হয়ে ওঠেন সেই অনন্য ক্লাসিক, যিনি ইউরোপীয় সভ্যতার কেন্দ্রে অবস্থিত—এমন এক অবস্থানে, যা আর কোনো কবির ভাগ্যে জোটেনি বা জোটার সম্ভাবনাও নেই। রোমান সাম্রাজ্য ও ল্যাটিন ভাষা ছিল না কোনো সাধারণ সাম্রাজ্য বা ভাষা, বরং তা ছিল এমন একটি সাম্রাজ্য ও ভাষা, যাদের ইতিহাসের সঙ্গে আমাদের নিজস্ব ভবিষ্যৎ গভীরভাবে যুক্ত। আর সেই সাম্রাজ্য ও ভাষার মধ্যে যে কবির মাধ্যমে আত্মবোধ ও প্রকাশ লাভ করেছে, তিনি নিজেও হলেন এক অনন্য কবি। [...] আধুনিক কোনো ভাষা দিয়ে এমন এক ক্লাসিক সৃষ্টি সম্ভব নয়, যেভাবে আমি ভার্জিলকে ‘ক্লাসিক’ বলেছি। আমাদের ক্লাসিক, পুরো ইউরোপের ক্লাসিক, হলেন ভার্জিল।
- টি. এস. এলিয়ট, "What is a Classic?" (১৯৪৪)
- আমি মনে করি তিনি খুব কম বিভ্রমে ভুগতেন এবং প্রতিটি বিষয়ের দুই দিকই স্পষ্টভাবে দেখতে পেতেন—হারা পক্ষের যুক্তি যেমন, জয়ী পক্ষেরও তেমনি।
- টি. এস. এলিয়ট, "Virgil and the Christian World" (১৯৫১)
- ...যে অর্থে একজন কবি দার্শনিক, সে অর্থে ভার্জিল প্রাচীন রোমের সর্বশ্রেষ্ঠ দার্শনিক। ...ধ্রুপদী প্রাচীন সাহিত্যের সকল লেখকের মধ্যে, ভার্জিলই সেই ব্যক্তি যাঁর কাছে পৃথিবী অর্থপূর্ণ, সুশৃঙ্খল ও মর্যাদাবান মনে হতো। এবং যাঁর কাছে ইতিহাসের নিজস্ব তাৎপর্য ছিল—তাঁর আগে এ অভিজ্ঞতা কেবল হিব্রু নবীদেরই ছিল।
- টি. এস. এলিয়ট, "Virgil and the Christian World" (১৯৫১)
- না, ভার্জিল, না:
রোমের প্রথম নাগরিক হয়েও ভবিষ্যৎ কালের রোমান ইতিহাস শেখা সম্ভব নয়, তোমার রাজনৈতিক প্রয়োজনে হলেও নয়; অতীতকে ভবিষ্যৎ বানিয়ে বুঝে ফেলার চেষ্টা বৃথা।
- ডব্লিউ. এইচ. অডেন, "Secondary Epic" (১৯৫৯), প্রথম চার পঙ্ক্তি
- ভার্জিলের কবিতা দুই হাজার বছর ধরে আমাদের পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে এত গভীর প্রভাব ফেলেছে, paradoxically, কারণ তিনি প্রকৃত কবিতার মিউজার প্রতি ছিলেন বিশ্বাসঘাতক। তাঁর নমনীয়তা, বাধ্যতা, সংকীর্ণতা, সেই সৃজনশীল স্বাধীনতার অস্বীকৃতি—যা প্রকৃত কবিরা লালন করেন—এইসব নেতিবাচক গুণই তাঁকে প্রথমে সরকারি অনুকম্পায় পৌঁছে দেয় এবং আজও তাঁকে জনপ্রিয় করে রেখেছে। [...] খুব কম কবিই তাদের পবিত্র দায়িত্বে এমন কলঙ্ক এনেছেন, যেটা ভার্জিল এনেছেন।
- রবার্ট গ্রেভস, "The Virgil Cult" (১৯৬১), *The Virginia Quarterly Review*, খণ্ড ৩৮, সংখ্যা ১ (১৯৬২), পৃষ্ঠা ১৩–৩৫
- ভার্জিলের বর্ণনার ধরণ... ‘‘বিষয়ভিত্তিক’’ নয়, বরং আরও নির্ভুলভাবে ‘‘সহানুভূতিশীল-সহমর্মী’’। তিনি শুধু তাঁর চরিত্রগুলোর চিন্তাভাবনাই পাঠকের কাছে তুলে ধরেন না, বরং তাঁদের প্রতি তাঁর নিজস্ব প্রতিক্রিয়াও বারবার জানান।
- ব্রুকস ওটিস, *Virgil: A Study in Civilized Poetry* (১৯৬৪), পৃষ্ঠা ৮৮
- হোমার একটি জগত; আর ভার্জিল, একটি শৈলী।
- মার্ক ভ্যান ডোরেন, উদ্ধৃত: অ্যালেন ম্যান্ডেলবাউম, অনুবাদ, *The Aeneid of Virgil* (১৯৭১), ভূমিকা, পৃষ্ঠা vi
- প্রতিটি মানুষকে জীবনে তিনটি প্রশ্নের মোকাবিলা করতে হয়: কীভাবে বাঁচব, কেন বাঁচব, এবং কার নামে বাঁচব। *বুকোলিকস*, *জিওর্জিকস*, ও *ঐনিয়েড*—এই তিনটি কাব্যই এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়, এবং এই উত্তর প্রযোজ্য সম্রাটের জন্য যেমন, তেমনি তাঁর প্রজাদের জন্যও, প্রাচীন যুগের জন্য যেমন, তেমনি আমাদের সময়ের জন্যও। আধুনিক পাঠক ভার্জিলকে ঠিক যেভাবে দান্তে ব্যবহার করেছিলেন—নরক ও পাপশুদ্ধির পথে পথপ্রদর্শক হিসেবে—সেভাবেই ব্যবহার করতে পারেন।
- জোসেফ ব্রডস্কি, "Virgil: Older than Christianity, a Poet for the New Age", *Vogue* (অক্টোবর ১৯৮১), পৃষ্ঠা ১৮০
- ভার্জিলের কাছে সব যুদ্ধই উন্মত্ততা এবং যুদ্ধক্ষেত্রে নৈতিকভাবে আচরণ করা অসম্ভব।
- কে. ডাব্লিউ. গ্র্যান্সডেন, "War and Peace", হ্যারল্ড ব্লুম-এর সম্পাদিত *Virgil's Aeneid* (১৯৮৭), পৃষ্ঠা ১৪৩
- ইংরেজি সাহিত্যে ভার্জিলের প্রভাব বিপুল। *দ্য ফেয়ারি কুইন*-এর কল্পলোকের সৌন্দর্যের জন্য এডমন্ড স্পেন্সার বারবার তাঁর আশ্রয় নিয়েছেন। *ঐনিয়েড* ছিল *Paradise Lost*-এর গঠন, উপাদান, ভাষা ও শৈলীর প্রধান অনুপ্রেরণা। ইংরেজি অগাস্টান যুগে জন ড্রাইডেনসহ অনেকেই মনে করতেন ভার্জিল কবিতার রূপ ও নৈতিক অন্তর্নিহিততায় চূড়ান্ত উৎকর্ষ অর্জন করেছেন। যদিও রোমান্টিক যুগে তাঁর বিরুদ্ধে কিছুটা বিরুদ্ধ সুর দেখা গিয়েছিল, ভিক্টোরিয়ানরা—যেমন ম্যাথিউ আর্নল্ড ও লর্ড টেনিসন—ভার্জিলের সংবেদনশীলতা ও বেদনাবোধকে পূর্ণভাবে পুনরাবিষ্কার করেন, যা রোমান্টিকদের কাছে মনে হয়েছিল ভার্জিলের অভাব।
- *এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা*, "Virgil", *The New Encyclopædia Britannica* (১৫তম সংস্করণ, ১৯৯৩), পৃষ্ঠা ৫০০–৫০১
- প্রতিটি ধাপে আমি উপলব্ধি করেছি ভার্জিলকে অনুবাদ করা কতটা অসম্ভব—বিশেষ করে তাঁর অতুলনীয় মহিমা ও সাধারণতার সংমিশ্রণ..., বাগ্মিতা ও কর্মকাণ্ড, নায়কোচিত গাম্ভীর্য ও মানবিকতা—এসবের সম্মিলিত প্রকাশ।
- রবার্ট ফ্যাগলস, "Translator's Postscript", *The Aeneid* (নিউ ইয়র্ক: ভাইকিং, ২০০৬), পৃষ্ঠা ৩৮৯
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় ভার্জিল সম্পর্কে বিশ্বকোষীয় নিবন্ধ
উইকিমিডিয়া কমন্সে ভার্জিল সম্পর্কিত মিডিয়া
- দ্য ল্যাটিন লাইব্রেরিতে ভার্জিলের রচনার মূল লাতিন পাঠ