বিষয়বস্তুতে চলুন

মহাকাশ অনুসন্ধান

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে
যে রকেটগুলি মহাকাশযানকে সম্ভব করে তুলেছে তা হল এমন একটি অগ্রগতি যা বিংশ শতাব্দীর অন্য যেকোনো প্রযুক্তিগত বিজয়ের চেয়েও বেশি ছিল বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর উপর ভিত্তি করে...। তবে একটি বিষয় যা কোনো বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক দেখেছিলেন না, আমার জানামতে, তা হলো চাঁদে অবতরণগুলি পৃথিবীর মানুষের দ্বারা টেলিভিশনের মাধ্যমে দেখা যাবে। ~ আইজাক আসিমভ

মহাকাশ অনুসন্ধান হল বহির্বিশ্বের অন্বেষণ এবং অতিথি মহাকাশ প্রযুক্তির মাধ্যমে অধিগ্রহণ। মহাকাশের অনুসন্ধান মানব মহাকাশ ভ্রমণ দ্বারা সরাসরি করা হতে পারে, অথবা রোবট মহাকাশযান, দূরবীক্ষণ যন্ত্র এবং অন্যান্য মহাকাশ বিজ্ঞান প্রযুক্তি ব্যবহার করে দূর থেকে করা যেতে পারে।

লেখক বা উৎস অনুযায়ী বর্ণানুক্রমিকভাবে সাজানো:
· · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · ড় · ঢ় · য় · আরও দেখুন · বহিঃসংযোগ

মহাকাশে সবকিছুই পদার্থবিজ্ঞানের নিয়ম মেনে চলে। তুমি যদি এই নিয়মগুলো জানো এবং তা অনুসরণ করো, তবে মহাকাশ তোমার প্রতি সদয় হবে। আর আমাকে এটা বোলো না যে মানুষ মহাকাশের উপযুক্ত নয়। মানুষ যেখানে যেতে চায়, সেখানে যাওয়ার অধিকার তার আছে—আর সে সেখানে পৌঁছালে চমৎকারভাবেই মানিয়ে নেবে। ~ ওয়ার্নহার ভন ব্রাউন
আমরা এখন পৃথিবীকে দেখি—ছোট, নীল আর অপূর্ব—চিরন্তন নিস্তব্ধতার মাঝে ভেসে বেড়াচ্ছে। ~ আর্চিবল্ড ম্যাকলিশ, ১৯৬৮ সালে অ্যাপোলো ৮ অভিযানের মহাকাশচারীদের তোলা একাধিক ছবির পরে এই কথা বলেন। সেই ছবিগুলোর মধ্যে ছিল এই বিখ্যাত "আর্থরাইজ" ছবি, যেখানে চাঁদের ওপর দিয়ে পৃথিবী উঠতে দেখা যায়।
নিজের পাঁচটি ইন্দ্রিয় নিয়ে মানুষ তার চারপাশের মহাবিশ্বকে অনুসন্ধান করে—আর এই অভিযানের নাম দেয় ‘বিজ্ঞান’। ~ এডউইন হাবল
১৫টি দেশের অংশীদারিত্বে গঠিত এবং বর্তমানে ৬৮টি দেশ কোনো না কোনোভাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) ব্যবহার করছে—এই অনন্য কক্ষপথের গবেষণাগারটি শান্তিপূর্ণ বৈশ্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে মানবজাতির জন্য কী ধরনের সুফল আনা সম্ভব, তার এক জ্বলন্ত উদাহরণ। ~ চার্লস বোল্ডেন, নাসার প্রশাসক, এবং জন হোলড্রেন-এর এক যৌথ ঘোষণা
এই মুহূর্তে মঙ্গলের বাসিন্দা কেবল রোবটরাই, আর তাদের একজন এতটাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন যে সে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে কোন জায়গায় লেজার ছুড়বে এবং বিশ্লেষণ করবে। ~ রেমন্ড ফ্রান্সিস, প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানী, জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি
আমরা যদি মঙ্গলে যেতে চাই, তবে সেটা হবে অত্যন্ত কঠিন, এতে বিপুল অর্থ খরচ হবে এবং মানুষের জীবনও ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। তবে আমি এখন জানি—যদি আমরা সত্যিই এটা করার সিদ্ধান্ত নিই, তাহলে সেটা আমরা পারব। ~ স্কট কেলি
যেমন করে পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মগুলো অবশ্যম্ভাবী, ঠিক তেমনই একদিন মানবজাতিকে কোনো না কোনো ধরণের বিলুপ্তি স্তরের দুর্যোগর মুখোমুখি হতে হবে—এটা অনিবার্য। ... আর এখন আমাদের সামনে হয়তো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: পৃথিবীর সীমা ছেড়ে মহাকাশে পাড়ি জমানো। ... হতে পারে, আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়তি হলো বহু গ্রহে বসবাসকারী এক জাতিতে পরিণত হওয়া, যারা তারামণ্ডলের মধ্যে বসবাস করবে। ~ মিচিও কাকু
এই পৃথিবীতেই যদি আমরা আমাদের নিজেদের মধ্যকার ছোট ছোট পার্থক্যগুলো উপভোগ করতে না শিখি, যদি আমরা সেই ভিন্নতাগুলোকে আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করতে না পারি, তাহলে আমাদের মহাকাশে যাওয়ার এবং সেখানে থাকা বৈচিত্র্যের মুখোমুখি হওয়ার কোনো অধিকার নেই। ~ জিন রডেনবেরি
মঙ্গল গ্রহে ভবিষ্যৎ মানব অভিযানের কথা ভাবলে, চাঁদের কিছু সুস্পষ্ট সুবিধা রয়েছে। এটি পৃথিবী থেকে অনেক কাছাকাছি, যা মঙ্গল অভিযানের জন্য এক অসাধারণ প্রশিক্ষণক্ষেত্র তৈরি করে। দশকখানেক পর, যখন প্রথম নভোচারীরা মঙ্গলের উদ্দেশে রওনা হবে, তাদের রকেট একবার চালু হলে ফেরার পথটি হবে দীর্ঘ—মাসের পর মাস, এমনকি বছরেরও বেশি সময় লেগে যেতে পারে। তাই তাদের প্রতিটি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আর চাঁদ? সেটা তো আমাদের বাসগৃহ পৃথিবী থেকে মাত্র কয়েক দিনের পথ। প্রতিটি পরীক্ষামূলক বৈমানিক জানে—নতুন কিছু তৈরি করতে গেলে ধাপে ধাপে এগোনোই বুদ্ধিমানের কাজ। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে, আইএসএস ও চাঁদকে ব্যবহার করে প্রথম মঙ্গল মিশনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে অত্যন্ত কার্যকর। ~ টেরি ভার্টস
তবুও আমি দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে বলি—এমন একটি উড়ন্ত রথ বানানো সম্ভব, যেখানে একজন মানুষ বসে এমনভাবে চালাতে পারবে, যাতে সে আকাশ দিয়ে চলতে পারে। এমনকি এটিকে এত বড় করা যেতে পারে যাতে একাধিক মানুষ একসঙ্গে যাত্রা করতে পারে, সঙ্গে নিতে পারে রসদ ও পণ্য। আকার বড় হলেই যে কোনো কিছু চলতে পারবে না—তা কিন্তু নয়, যদি চালনার ব্যবস্থা যথাযথ হয়। আমরা দেখি, যেমন বিশাল এক জাহাজ ভেসে থাকে, তেমনি ছোট একটি কর্কও ভেসে থাকে; বিশাল ঈগল যেমন উড়ে, তেমনি একটি ছোট গুবরে পোকাও আকাশে ওড়ে। ... সম্ভবত চাঁদে যাওয়ার জন্য কোনো না কোনো উপায় একদিন আবিষ্কৃত হবে—আর যারা প্রথম সাফল্য পাবে, তারা হবে সত্যিই ভাগ্যবান। ~ জন উইলকিন্স

এই উক্তির একটি প্রকৃত রেকর্ডিং শুনুন:

  • That's one small step for (a) man, one giant leap for mankind.
    • এটা একজন মানুষের জন্য ক্ষুদ্র এক পদক্ষেপ, কিন্তু মানবজাতির জন্য এক বিশাল অগ্রগতি।
    • নিল আর্মস্ট্রং যখন ২০ জুলাই ১৯৬৯ সালে প্রথম চাঁদের মাটিতে পা রাখেন, তখন তিনি এই বিখ্যাত কথা বলেন। পরদিন, ২১ জুলাই ১৯৬৯, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার প্রথম পাতায় এটি প্রকাশিত হয়।
      উক্তিটি নিয়ে মন্তব্য: নিল আর্মস্ট্রংয়ের এই ঐতিহাসিক ঘোষণার বৈশ্বিক প্রভাব এতই গভীর ছিল যে, "man" শব্দের আগে তিনি "a" বলেছিলেন কি না—এমন একটি সাধারণ প্রশ্ন নিয়েও ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। শব্দ রেকর্ডিংগুলোতে দেখা যায় যে, তিনি সম্ভবত "a" উচ্চারণ করেননি; তবে আর্মস্ট্রং সবসময় দাবি করেছেন, তিনি "a" শব্দটি বলেছিলেন, শুধু তা শোনা যায়নি। এক অস্ট্রেলিয় কম্পিউটার প্রোগ্রামার বিশ্লেষণ করে দেখান যে, তিনি আসলে "a" বলেছিলেন, এবং এই বিশ্লেষণ হিউস্টন ক্রনিকল পত্রিকায় ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৬ সালে প্রকাশিত হয়। তবে বিতর্ক এখানেই থামেনি—২০০৯ সালের ৩ জুন বিবিসি নিউজে প্রকাশিত "আর্মস্ট্রং'স 'পোয়েটিক' স্লিপ অং মুন" শিরোনামে একজন ভাষাবিদ এবং লেখক দলের পক্ষ থেকে আবারও দাবি করা হয় যে, আর্মস্ট্রং আসলে "a" শব্দটি বলেননি।
  • The rockets that have made spaceflight possible are an advance that, more than any other technological victory of the twentieth century, was grounded in science fiction… . One thing that no science fiction writer visualized, however, as far as I know, was that the landings on the Moon would be watched by people on Earth by way of television.
    • যে রকেটগুলো মহাকাশ ভ্রমণ সম্ভব করেছে, তা হলো এমন এক অগ্রগতি যা বিশ শতকের অন্য যেকোনো প্রযুক্তিগত বিজয়ের চেয়ে বেশি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে… । তবে, আমার জানা মতে, এমন একটি বিষয় ছিল যা কোনো বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখকও কল্পনা করেননি—তা হল চাঁদে অবতরণের মুহূর্তটি পৃথিবীর মানুষ টেলিভিশনের মাধ্যমে সরাসরি দেখবে।
      • আইজ্যাক আসিমভ, আসিমভ অন ফিজিক্স (১৯৭৬), পৃষ্ঠা ৩৫; উদ্ধৃতিটি পরে আইজ্যাক আসিমভ’স বুক অব সাইন্স এন্ড নেচার কোটেশন্স (১৯৮৮), পৃষ্ঠা ৩০৭-এও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
  • Houston, Tranquility Base here. The Eagle has landed.
    • হিউস্টন, ট্র্যাংকুইলিটি বেস থেকে বলছি। ইগল অবতরণ করেছে।
      • অ্যাপোলো ১১র লুনার মডিউল ইগল চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করার পর এটি ছিল প্রথম বার্তা। এই ঐতিহাসিক অবতরণ ঘটে ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই, ইস্টার্ন ডে লাইট সময় অনুযায়ী বিকেল ৪:১৭ মিনিটে। পরদিন, ২১ জুলাই ১৯৬৯, দা ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার প্রথম পাতায় এই বার্তাটি ছাপা হয়।
  • Everything in space obeys the laws of physics. If you know these laws, and obey them, space will treat you kindly. And don't tell me that man doesn't belong out there. Man belongs wherever he wants to go—and he’ll do plenty well when he gets there.
    • মহাকাশে সবকিছুই ভৌতবিজ্ঞানের নিয়ম মেনে চলে। আপনি যদি এই নিয়মগুলো জানেন এবং তা মেনে চলেন, তাহলে মহাকাশও আপনাকে সম্মান দেবে। আর আমাকে এটা বলবেন না যে মানুষ মহাকাশে থাকার উপযুক্ত নয়। মানুষ সেখানে থাকারই যোগ্য, যেখানে সে যেতে চায়—আর সেখানে পৌঁছালে সে যথেষ্ট ভালোভাবেই টিকে থাকতে পারবে।
  • There is just one thing I can promise you about the outer-space program: Your tax dollar will go farther.
    • মহাকাশ কর্মসূচি নিয়ে আমি আপনাকে একটিই কথা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি: আপনার কর ডলার এখানে আরও কার্যকরভাবে ব্যবহৃত হবে।
    • ওয়ার্নহার ফন ব্রাউন—উদ্ধৃত রিডার্স ডাইজেস্টে (১৯৬১)-এ; ফ্রেড আর. শাপিরো, দ্য ইয়েল বুক অব কোটেশন্স (২০০৬), ১০১
  • If our intention had been merely to bring back a handful of soil and rocks from the lunar gravel pit and then forget the whole thing, we would certainly be history's biggest fools. But that is not our intention now—it never will be. What we are seeking in tomorrow's [Apollo 11] trip is indeed that key to our future on earth. We are expanding the mind of man. We are extending this God-given brain and these God-given hands to their outermost limits and in so doing all mankind will benefit. All mankind will reap the harvest…. What we will have attained when Neil Armstrong steps down upon the moon is a completely new step in the evolution of man.
    • যদি আমাদের উদ্দেশ্য হতো শুধু চাঁদের পাথর-বালির খাদ থেকে একমুঠো মাটি আর কিছু পাথর এনে সবকিছু ভুলে যাওয়া, তাহলে নিঃসন্দেহে আমরা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বোকা হিসেবে পরিচিত হতাম। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য সেটা নয়—এবং কখনোই হবে না। আগামীকাল [অ্যাপোলো ১১] অভিযানের মাধ্যমে আমরা যা খুঁজে পাচ্ছি, তা হল পৃথিবীতে আমাদের ভবিষ্যতের এক চাবিকাঠি। আমরা মানুষের চিন্তাশক্তিকে বিস্তৃত করছি। আমরা ঈশ্বরপ্রদত্ত মস্তিষ্ক আর এই হাতকে তাদের সর্বোচ্চ সীমায় নিয়ে যাচ্ছি—আর এতে পুরো মানবজাতির উপকার হবে। মানবজাতিই এই অভিযানের ফল ভোগ করবে… নিল আর্মস্ট্রং যখন চাঁদের মাটিতে পা রাখবেন, তখন আমরা মানবজাতির বিবর্তনের এক সম্পূর্ণ নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করব।
      • ওয়ার্নহার ফন ব্রাউন, অ্যাপোলো ১১ উৎক্ষেপণের আগের রাতে তিতাসভিলে রয়েল ওকস কান্ট্রি ক্লাবে প্রদত্ত ভোজসভায় ভাষণ (১৫ জুলাই ১৯৬৯)। "Of a Fire on the Moon", Life (২৯ আগস্ট ১৯৬৯), ৬৭, সংখ্যা ৯, পৃষ্ঠা ৩৪
  • I'm convinced that before the year 2000 is over, the first child will have been born on the moon.
    • আমি নিশ্চিত, ২০০০ সাল শেষ হওয়ার আগেই চাঁদে প্রথম শিশুর জন্ম হবে।
      • ওয়ার্নহার ফন ব্রাউন, টিভি সাক্ষাৎকার (রেকর্ডকৃত), সম্প্রচারিত হয় WMAL, ওয়াশিংটন-এ (৭ জানুয়ারি ১৯৭২); সূত্র: 'Birth of Child on Moon Foreseen by von Braun', New York Times (৭ জানুয়ারি ১৯৭২), পৃষ্ঠা ১৪।
  • Returning to the moon is an important step for our space program. Establishing an extended human presence on the moon could vastly reduce the costs of further space exploration, making possible ever more ambitious missions. Lifting heavy spacecraft and fuel out of the Earth's gravity is expensive. Spacecraft assembled and provisioned on the moon could escape its far lower gravity using far less energy, and thus, far less cost. Also, the moon is home to abundant resources. Its soil contains raw materials that might be harvested and processed into rocket fuel or breathable air. We can use our time on the moon to develop and test new approaches and technologies and systems that will allow us to function in other, more challenging environments. The moon is a logical step toward further progress and achievement.
    • চাঁদে ফিরে যাওয়া আমাদের মহাকাশ কর্মসূচির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। চাঁদে দীর্ঘমেয়াদি মানুষের উপস্থিতি স্থাপন করলে ভবিষ্যতের মহাকাশ অন্বেষণের খরচ অনেক কমে আসবে, যা আরও বড় ও সাহসী মিশনের পথ প্রশস্ত করতে পারে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ অতিক্রম করে ভারী মহাকাশযান ও জ্বালানি পাঠানো খুবই ব্যয়বহুল। কিন্তু চাঁদের তুলনামূলক কম মাধ্যাকর্ষণ থেকে মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করতে অনেক কম শক্তি লাগে, ফলে খরচও অনেক কম হয়। এছাড়াও, চাঁদে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। চাঁদের মাটিতে এমন কাঁচামাল আছে যা থেকে রকেটের জ্বালানি বা শ্বাস নেওয়ার উপযোগী বাতাস তৈরি করা সম্ভব হতে পারে। চাঁদে অবস্থানের সময় আমরা নতুন পদ্ধতি, প্রযুক্তি ও সিস্টেমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারি, যেগুলো আমাদের আরও কঠিন পরিবেশে কাজ করতে সাহায্য করবে। তাই চাঁদে যাওয়া আরও অগ্রগতি ও সাফল্যের জন্য একটি যৌক্তিক ধাপ।

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]