বিষয়বস্তুতে চলুন

মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন একজন বাংলাদেশী লেখক ও প্রকাশক। ইংরেজিতে বিশেষ পারদর্শিতা থাকায় লেখালেখির প্রথমদিকে তিনি বেশকিছু জনপ্রিয় ইংরেজি উপন্যাস অনুবাদ করেন এবং পরবর্তীতে তারই অনুপ্রেরনায় মৌলিক লেখালেখি শুরু করেন। আর যা তাকে বাংলাদেশ সহ ভারতেও জনপ্রিয় লেখক হিসেবে পরিচিত করে তুলে। তার উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয় বইগুলোর মধ্যে রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি, কেউ কেউ কথা রাখে, কন্ট্রাক্ট অন্যতম।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • দীর্ঘদিন গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি আমাদের প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানই কেবল ধ্বংস করেনি, বিরাট একটি জনগোষ্ঠীর মানসিকতাও নষ্ট করে দিয়েছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার দরকার। সবার আগে দরকার সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থা এবং আইনের শাসন।
  • আমাদের বই বাজার খুবই ভঙ্গুর এবং নাজুক। বছরে মাত্র একটি মাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে আছে দীর্ঘকাল থেকে।...আমাদের বই নিয়ে বছরে কমপক্ষে একাধিক ইভেন্ট থাকা উচিত। আর লেখক-প্রকাশকদের উচিত মেলার বাইরে বই প্রকাশ করা। এটা করতে পারলে বইমেলায় আটকে থাকা বাজারটি হয়ত কিছুটা হলেও মুক্তি পাবে।
  • [শিক্ষার্থীদের বিভক্তি] জুলাই স্পিরিটের একদম বিপরীত। আমি আগেও বলেছি, জুলাই যদি ম্লান হয় তো এই গণঅভ্যুত্থানের অগ্রসৈনিকদের ভুলেই হবে। আগস্টের পর যারা ক্ষমতায় গেছে কিংবা সামনে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে, সকল পক্ষের মধ্যে একটা জিনিস লক্ষণীয়, তারা জুলাইকে ব্যবহার করছে, এই স্পিরিটকে ধারণ করছে না আর। এসব দেখে আমি খুবই মর্মাহত।
  • আমাদের টিভি-সিনেমায় দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করে, সেগুলোর বেলায় কী বলবেন? শতকরা ৯৯ জন পরিচালক আর স্ক্রিপ্টরাইটার (চিত্রনাট্যকার) তো আঞ্চলিক ভাষাকে রীতিমতো বলাৎকার করে! উপহাস আর ভাঁড়ামোর বিষয় বানিয়ে ছাড়ে। আমি নিজে ঢাকার আদিবাসী হিসেবে জানি, টিভিতে যে ঢাকাইয়া ভাষা দেখানো হয় সেটা একেবারেই যা তা। আর যেভাবে উপস্থাপন করা হয় সেটা শুধু অপমানজনকই নয়, গর্হিত অপরাধের মধ্যেও পড়ে।
  • সত্যি বলতে যে কোনো লেখার বেলায়ই মুখ্য বিষয় ভাষা। ভাষা যদি ঠিক না থাকে তাহলে অসাধারণ গল্পও সাদামাটা হয়ে যাবে। পাঠক পড়তে চাইবে না। আর ভাষা যদি ভালো হয়, তাহলে সাদামাটা গল্প পড়েও পাঠক তৃপ্তি পাবে। তাই লেখালেখির ক্ষেত্রে প্রথমে আমি বলবো ভাষার কথা, দ্বিতীয়ত গল্প।...
  • আমি যখন কলেজে পড়ি, তখনই উপলব্ধি করি, এ দেশে আসলে মৌলিক থ্রিলার নেই। ... যে দেশে স্বাধীনতার পর থেকে আইনের শাসন একটা স্ট্রাগল করছে, সেখানে তো প্রচুর গল্প আছে। শুধু পত্রিকা ফলো করলেই তো অনেক গল্প পাওয়া যায়। যখন লেখালেখি শুরু করি, তখনই ভেবে নিই, মৌলিক থ্রিলার গল্প নিয়ে কাজ করব। কারণ, এই সেক্টরটা খালি আছে। প্রথম কি দ্বিতীয়- এসব ভাবিনি।
  • ... আমার মনে হয়, কলকাতার ডিরেক্টররা পড়াশোনা করে তারপর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু আমাদের দেশের বেশিরভাগ ডিরেক্টর পড়াশোনা করেন না। যা কিছুই করেন, পড়াশোনাটা খুব দরকার।
  • বেশিরভাগ ডিরেক্টর নিজেই গল্প লিখেন। তাদের কাছে গল্প বা চিত্রনাট্য লেখা কোনো কাজই না। ... যতদিন লেখকদের যথাযোগ্য সম্মান ও সম্মানী না দেওয়া হবে, ততদিন এই ইন্ড্রাস্ট্রি দাঁড়াবে না।
  • যেকোনো নতুন লেখককে আমার প্রকাশনীতে স্বাগত জানাই। কারণ, নতুন লেখকেরা খুবই ভালো করছেন। দুঃখজনক হলো, আমাদের এখানে বেশিরভাগ প্রকাশক নতুন লেখকদের পাণ্ডুলিপি পড়েন না। বোঝেনও না হয়তো। তাই তারা নতুনদের নিয়ে ঝুঁকি নিতে চান না।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]