লুইস বুর্জোয়া

‘’’লুইস বুর্জোয়া’’’ (২৫ ডিসেম্বর ১৯১১ – ৩১ মে ২০১০) একজন ফরাসি-মার্কিন চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর ছিলেন।
উক্তি
[সম্পাদনা]• শিল্পজগতে নারীদের দাসের মতো পরিশ্রম করতে হতো, কিন্তু অনেক পুরুষ শীর্ষে পৌঁছাতো তাদের মোহময়তার মাধ্যমে। আর এতে তাদের ক্ষতিই হতো। শিল্পজগতে একজন নারীর জন্য তরুণ এবং সুন্দর হওয়া সহায়ক ছিল না, কারণ সামাজিক পরিসর এবং ক্রয়-বিক্রয়ের নিয়ন্ত্রণ ছিল ধনী নারীদের হাতে। তারা এমন পুরুষ শিল্পী চাইতো যারা একা আসবে এবং তাদের আকর্ষণীয় অতিথি হিসেবে থাকবে। রথকো ছিল অত্যন্ত মোহময়। এটি ছিল এক প্রকার দরবার। আর সেই দরবারে শিল্পী-ভাঁড়েরা আসতো বিনোদন দিতে, মোহিত করতে। এখন দৃশ্যপট পাল্টেছে—এখন কমবয়সী পুরুষেরা আধিপত্য করছে—বয়স্ক নারীরা এবং তরুণ পুরুষেরা।
- লুইস বুর্জোয়া, ডোনাল্ড বার্টন কুস্পিত (১৯৮৮)। ’‘Bourgeois’’ (’‘বুর্জোয়া’’), পৃ. ৭৬: শিল্পজগত সম্পর্কে
• শিল্প মানসিক স্বাস্থ্যের একটি নিশ্চয়তা।
- লুইস বুর্জোয়া, Art is a Guaranty of Sanity (’‘আর্ট ইজ আ গ্যারান্টি অব স্যানিটি’’), ২০০০ সালের এক অঙ্কনের শিরোনাম, গোলাপি কাগজে পেন্সিলে আঁকা, ২৭.৯ × ২১.৫ সেমি। সংগ্রহ: মিউজিয়াম অফ মডার্ন আর্ট, নিউ ইয়র্ক
- অন্যান্য উৎসে এও পাওয়া যায়: “Art is a guarantee(sic) of sanity, that is the most important thing I have said.” (’‘আর্ট ইজ আ গ্যারান্টি অব স্যানিটি, দ্যাট ইজ দ্য মোস্ট ইম্পর্ট্যান্ট থিং আই হ্যাভ সেড’’)
লুইস বুর্জোয়া:এ ওয়েব অফ ইমোশনস (’‘Louise Bourgeois: a Web of Emotions’’), ২০১০
[সম্পাদনা]আড্রিয়ান সিয়ার্ল, “Louise Bourgeois: a web of emotions” (দ্য গার্ডিয়ান, ১ ও ১২ জুন, ২০১০)
• আমি সারাজীবন আঁকছি। আমার বাবা-মা ট্যাপেস্ট্রি মেরামতের ব্যবসায় ছিলেন, আর ছোটবেলায় আমি সেইসব জায়গায় আঁকতাম যেগুলো পুনরায় বোনা প্রয়োজন ছিল। আমার আঁকার ক্ষমতা আমাকে আমার বাবা-মার কাছে অপরিহার্য করে তুলেছিল।
• যখন আমি খুব ছোট ছিলাম, রাতের খাবারের টেবিলে ঝগড়ার শব্দ শুনতাম—বাবা কিছু বলতেন, মা আত্মপক্ষ সমর্থনে কথা বলতেন। সেই বিবাদ থেকে পালাতে আমি আঙুল দিয়ে নরম পাউরুটির মণ্ড গড়ে খেলতাম। সেই ফরাসি রুটির মণ্ড—যেটা মাঝে মাঝে গরম থাকতো—দিয়ে আমি ছোট ছোট মূর্তি বানাতাম। সেগুলো আমি সারি করে টেবিলে রাখতাম—এটাই ছিল আমার প্রথম ভাস্কর্য।
• ইংল্যান্ড আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমার পরিবারে বিশ্বাস ছিল যে ইংরেজরা কোনো ভুল করে না। যখন আমার বাবা কোনো রক্ষিতা পছন্দ করতেন, সে হতো সবসময়ই ইংরেজ মেয়ে: যদি সে গর্ভবতী হতো, তাহলে তাকে ইংল্যান্ডে ফেরত পাঠানো যেতো, এবং আমার বাবার কোনো দায়িত্ব থাকতো না। যদিও তা কখনো ঘটেনি, আমি অনেক কাজ করেছি যার নাম ছিল The English Can Do No Wrong (’‘দ্য ইংলিশ ক্যান ডু নো রং’’)।
• আমি দার্শনিকদের ধ্যান-ধারণার প্রয়োজন অনুভব করি না আমার কাজ বুঝতে। বরং তারা যদি আমায় বলতে পারতো আমি কেন এটি করছি, তা হলে বেশি উপকার হতো।
• নারীবাদীরা আমাকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেছে, এক ধরনের মা হিসেবে। এটি আমাকে বিরক্ত করে। আমি মা হতে আগ্রহী নই। আমি এখনো একজন মেয়ে, যে নিজেকে বোঝার চেষ্টা করছে।
• আধুনিক শিল্প মানে হলো তোমাকে বারবার নতুন উপায়ে নিজেকে প্রকাশ করতে হবে, সমস্যাগুলো প্রকাশ করতে হবে—কারণ এখানে কোনো নির্ধারিত উপায় নেই, কোনো স্থায়ী কৌশল নেই। এটি একটি বেদনাদায়ক অবস্থা, এবং আধুনিক শিল্প এই বেদনাদায়ক অবস্থার প্রতিফলন—যেখানে নিজেকে প্রকাশ করার জন্য কোনো চূড়ান্ত নির্দিষ্ট উপায় নেই।
• আমি এক মেরামতকারীর পরিবার থেকে এসেছি। মাকড়সা একটি মেরামতকারীর প্রতীক। তুমি যদি তার জালে ধাক্কা দাও, সে রাগ করে না। সে আবার জাল বোনে এবং তা ঠিক করে।