শামস তাবরিজী
অবয়ব

শামস তাবরিজি (বা শামস আল-দীন মোহাম্মদ; অর্থ: ইসলামের সূর্য; ১১৮৫-১২৪৮) ছিলেন একজন নিজারি ইসমাইলি ইরানি সুফি সাধক। তিনি ইরানের আজারবাইজানের তাবরিজ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাকে মাওলানা জালালুদ্দিন মুহাম্মদ বালখি-এর আধ্যাত্মিক গুরু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রুমি, যিনি 'রুমি' নামে পরিচিত, তার কাব্যগ্রন্থে বিশেষ করে দিওয়ান-ই-শামস-এ-তাবরিজি-তে শামসের নাম শ্রদ্ধার সঙ্গে উল্লেখ করেছেন। বলা হয়, শামস রুমিকে কোন্যা শহরে চল্লিশ দিন একান্তে শিক্ষা দিয়েছিলেন, এরপর তিনি দামেশক-এ পালিয়ে যান। শামস তাবরিজির সমাধিস্থলকে সম্প্রতি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
উক্তি
[সম্পাদনা]আমি ও রুমি (২০০৪)
[সম্পাদনা]- মাকালাত-ই-শামস-এ-তাবরিজি [শামস-এ-তাবরিজির বচন] উইলিয়াম সি. চিটিক কর্তৃক অনুবাদ ও টীকা (২০০৪)
- একজন মানুষের মধ্যে হয়তো একটি দোষ থাকে, যা হাজার গুণকে ঢেকে রাখে। আবার একটি গুণও থাকতে পারে, যা হাজার দোষকে আড়াল করে। ছোট কিছু দিয়ে অনেক কিছু বোঝা যায়।
- বুদ্ধি তোমাকে দরজা পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে, কিন্তু তা তোমাকে ঘরের ভিতরে নিয়ে যেতে পারে না।
- নামাজ কাজা হতে পারে, কিন্তু লোক দেখানো ইবাদতের কোনো ক্ষতিপূরণ হয় না যদি তাতে হৃদয়ের উপস্থিতি না থাকে।
- যে যেমন খুশি তেমন জীবনযাপন করে, সে মৃত্যুকালে ইচ্ছেমতো মরতে পারবে না।
- আত্মা যা অশুভর দিকে আহ্বান করে (নফসে আম্মারা), তাকে কিছুই এতটা ধ্বংস করতে পারে না যতটা পারে হৃদয়ের সৌন্দর্য দেখা।
- গোপনে দান আল্লাহর রোষ প্রশমিত করে—এর মানে হলো তুমি এতটাই আন্তরিকতাতে ডুবে আছো এবং তা রক্ষা করতে চাও যে দান দেওয়ায় তোমার কোনো আনন্দই নেই।
- মানুষকে খুশি রাখতে হলে ভণ্ডামি করে তাদের সঙ্গে থাকতে হয়।
- তিনি বলেছিলেন, সুফি হলো বর্তমান মুহূর্তের সন্তান।
- যখন তুমি শায়েখের বিরোধিতা করো, তখন সেটা সেই দাসের মতো যে তার প্রভুর সঙ্গে ঝগড়া করে আত্মহত্যা করে।
জিজ্ঞেস করলে বলে, আমি আত্মহত্যা করেছি যেন আমার প্রভুর ক্ষতি হয়।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
উইকিপিডিয়ায় শামস তাবরিজী সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।