বিষয়বস্তুতে চলুন

সবুজ

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

সবুজ হলো একটি রঙ বা বর্ণ। এটি দৃশ্যমান বর্ণালীতে নীল এবং হলুদ রঙের মধ্যবর্তী একটি রঙ বা বর্ণ।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • ঘাসের বনে আনন্দে আজ
    সবুজ ফড়িং লাফিয়ে আসে,
    আমার মনের চপল ফড়িং
    ঘুরছে তাহার আশে-পাশে।
    • সুনির্মল বসু, সবুজ-ফড়িং, সুনির্মল বসুর শ্রেষ্ঠ কবিতা- সুনির্মল বসু, প্রকাশক- মিত্র ও ঘোষ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২০
  • এখানে গরম নেই ব’ল্লেই হয়—আর চারিদিকের মাঠ একেবারে ঘন সবুজ হ’য়ে উঠেচে। বোলপুরকে এত সবুজ আমি আর কখনোই দেখিনি। গাছগুলো নিবিড় পাতার ভারে থাকে-থাকে ফুলে উঠেচে—ঠিক যেন সবুজ মেঘের ঘটার মতো।
    • ভানুসিংহের পত্রাবলী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩৬ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৩৪
  • হয়তো তোমার পাব দেখা,
    যেখানে ঐ নত আকাশ চুমছে বনের সবুজ রেখা।৷
    • কাজী নজরুল ইসলাম, ‘আশা’ কবিতা, ‘ছায়ানট’ কাব্যগ্রন্থ, নজরুল-রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ, দ্বিতীয় খণ্ড, প্রকাশক- বাংলা একাডেমী, ঢাকা, পৃষ্ঠা ৩৪
  • পক্ষীর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি এড়াইয়া জীবিত থাকিবার জন্যই ঘাসের ভিতরকার ফড়িঙের রঙ্ সবুজ এবং শুষ্ক তৃণমধ্যস্থ ফড়িঙের রঙ্ পাটল হইয়াছে।
    • জগদানন্দ রায়, প্রকৃতির বর্ণ-বৈচিত্র্য, প্রাকৃতিকী- জগদানন্দ রায়, প্রকাশক- ইণ্ডিয়ান প্রেস লিমিটেড, এলাহাবাদ, প্রকাশসাল- ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ (১৩২১ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৬৫
  • কালে উঠেই দেখি
    প্রজাপতি এ কি
    আমার লেখার ঘরে,
    শেলফের পরে
    মেলেছে নিস্পন্দ দুটি ডানা,—
    রেশমি সবুজ রং তার পরে সাদা রেখা টানা।
    • প্রজাপতি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নবজাতক-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দ (১৩৪৭ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৮৩
  • ফড়িং পাওয়া যায় না, এমন দেশ খুব কমই আছে। যেদেশে লতাপাতা আছে আর সবুজ মাঠ আছে, সেদেশেই ফড়িং পাওয়া যাবে। নানান দেশে নানানরকমের ফড়িং তাদের রঙ এবং চেহারাও নানানরকমের, কিন্তু একটি বিষয়ে সবারই মধ্যে খুব মিল দেখা যায়। সেটি হচ্ছে লাফ দিয়ে চলা। এই বিদ্যায় ফড়িঙের একটু বিশেষরকম বাহাদুরি দেখা যায়, কারণ অন্যান্য অনেক পোকার তুলনায় ফড়িঙের চেহারাটি বেশ বড়োই বলতে হবে।
    • সুকুমার রায়, ফড়িং, সুকুমার রায় সমগ্র রচনাবলী, দ্বিতীয় খণ্ড, সম্পাদনা- পুণ্যলতা চক্রবর্তী ও কল্যাণী কার্লেকর, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৭ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৩০২
  • এ গ্রামের পাশে মজা নদী বারো মাস
    বর্ষায় আজ বিদ্রোহ বুঝি করে,
    গোয়ালে পাঠায় ইশারা সবুজ ঘাস
    এ গ্রাম নতুন সবুজ ঘাগরা পরে।
    • চিরদিনের- সুকান্ত ভট্টাচার্য, সুকান্ত সমগ্র, প্রকাশক- সারস্বত লাইব্রেরী, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১১৯
  • যখন পুকুরে হাঁস সোঁদা জলে শিশিরের গন্ধ শ‍ুধু পায়,
    শামুক গ‍ুগলিগ‍ুলো প’ড়ে আছে শ্যাওলার মলিন সবুজে,—
    তখন আমারে যদি পাও নাকো লালশাক-ছাওয়া মাঠে খুঁজে,
    ঠেস্ দিয়ে ব’সে আর থাকি নাকো যদি বুনো চাল্‌তার গায়,
    তাহ’লে জানিও তুমি আসিয়াছে অন্ধকারে মৃত্যুর আহ্বান—
    • জীবনানন্দ দাশ, রূপসী বাংলা - জীবনানন্দ দাশ, প্রকাশক- সিগনেট প্রেস, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২৫
  • ডিম হইতে যে শুঁয়ো-পোকার আকারের বাচ্চা বাহির হয়, তাহা বোধ হয় তোমরা সকলে দেখ নাই। বাচ্চাদের রঙ্ কতকটা সবুজ ধরণের। তাই ইহারা যখন গাছের সবুজ পাতা খাইয়া বেড়ায় তখন তাহাদিগকে হঠাৎ চেনা যায় না এবং যে-সকল পাখী পোকা-মাকড় ধরিয়া খায়, তাহারাও সবুজ পাতার মধ্য হইতে সবুজ পোকাগুলিকে চিনিয়া ধরিতে পারে না।
    • জগদানন্দ রায়, কর্ম্মী মৌমাছি, পোকা-মাকড়- জগদানন্দ রায়, প্রকাশক- ইণ্ডিয়ান প্রেস লিমিটেড, এলাহাবাদ, প্রকাশসাল- ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩১ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২৮৩
  • গভীর কালো মেঘের পরে রঙিন ধনু বাঁকা,
    রঙের তুলি বুলিয়ে মেঘে খিলান যেন আঁকা!
    সবুজ ঘাসে রোদের পাশে আলোর কেরামতি,
    রঙিন বেশে, রঙিন ফুলে রঙিন প্রজাপতি!
    • সুকুমার রায়, অন্ধ মেয়ে, সুকুমার রায় সমগ্র রচনাবলী, দ্বিতীয় খণ্ড, সম্পাদনা- পুণ্যলতা চক্রবর্তী ও কল্যাণী কার্লেকর, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৭ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৪৯
  • দোতলার জানলা থেকে চোখে পড়ে
    পুকুরের একটি কোণা।
    ভাদ্রমাসে কানায় কানায় জল।
    জলে গাছের গভীর ছায়া টলটল করচে
    সবুজ রেশমের আভায়।
    • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, পুকুর ধারে, পুনশ্চ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রথম সংস্করণ, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩৯ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৭
  • বাড়ির শরীরে ক্ষয় ধরলে পেঁচা আসে। ইমারতের দেহে বটবৃক্ষ জাগলে পেঁচা সেখানে বাসস্থান খোঁজে। লালবাড়ির গায়ে শ্যাওলার সবুজ স্তর জমলে পেঁচা উঁকি দেয় চিলেকোঠায়। আঁধার রাতে অশরীরী আত্মার পিছু নেয় পেঁচা, সহাবস্থানের ইচ্ছেয়। পার্ক স্ট্রীটের কত ফিরিঙ্গি বাড়িতেই ঘর বেঁধেছিল রাতের এই কারিগর।
  • গোয়ালিয়ার আসলে হিন্দুনগর; কিন্তু এখানকার লোকের পাগ্‌ড়ীগুলা মুসলমানীধরণের। তবে একরকম বিশেষধরণের পাগ্‌ড়ী আছে—যাহা খুব আঁটসাঁট করিয়া জড়াইয়া বাঁধা; বর্ণভেদ অনুসারে এই সকল পাগ্‌ড়ী অসংখ্যরকমের। কোনটার শাঁখের মত গড়ন, কোনটার বা একাদশ-লুইরাজার আমলের টুপির মত গড়ন। আবার একরকম পাগ্‌ড়ী আছে—যাহার লম্বা দুই পাশ উর্দ্ধে উত্তোলিত ও দুইদিকে সিং-বাহিরকরা। এই পাগ্‌ড়ীগুলা,—লালরঙের কিংবা পীচফল-রঙের, কিংবা ফিঁকা-সবুজ-রঙের রেশমী কাপড়ের।
    • পিয়ের-লোটি, জালিকাটা বেলে-পাথরের নগর, ইংরাজ-বর্জ্জিত ভারতবর্ষ, পিয়ের-লোটির ফরাসী থেকে অনুবাদ, অনুবাদক- জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- ইণ্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২৬৮

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]