সাইমন কনওয়ে মরিস
অবয়ব
সাইমন কনওয়ে মরিস (৬ নভেম্বর ১৯৫১) একজন ব্রিটিশ জীবাশ্মবিদ, যিনি বার্জেস শেল জীবাশ্ম নিয়ে তাঁর গবেষণার জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজ-এর পৃথিবী বিজ্ঞান বিভাগের বিবর্তনমূলক জীবাশ্মজীববিদ্যা বিষয়ে অধ্যাপক।
উক্তি
[সম্পাদনা]- কল্পনাশক্তির এক ঝলকে আমাদের চেতনার ধারণা আমূল পাল্টে গেছে—তা-ও আবার সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে। সূত্র এসেছে ছড়ানো স্নায়ু-জালিকা থেকে, এবং আরও বিস্ময়করভাবে, উদ্ভিদের স্নায়ুবিজ্ঞানের দিক থেকেও। ‘চেতনার আসন শুধুমাত্র মস্তিষ্ক’—এই ধারণা চিরতরে বিদায় নিয়েছে। বরং মস্তিষ্ক এখন ‘অ্যান্টেনা’ হিসেবে বিবেচিত, যা একটি অতিরিক্ত মাত্রিক ম্যাট্রিক্সে এম্বেড করা। বাস্তবতার গভীরতা ধীরে ধীরে উন্মোচিত হচ্ছে, এবং এখন কল্পনা, অন্তর্দৃষ্টি, বিমূর্ততা এমনকি পূর্বানুভবের উৎসগুলোও প্রকাশ পাচ্ছে। একসময় যাকে 'অযৌক্তিক কার্যকারিতা' হিসেবে দেখা হতো, তা এখন পরিণত হয়েছে এক সূক্ষ্মভাবে গঠিত মহাবিশ্বের নির্দেশকে—যেখানে ‘মন’ একটি মৌলিক উপাদান, সম্ভবত যার জন্ম মহাবিস্ফোরণেরও আগে। ভবিষ্যতের অনুসন্ধান সামনে আনছে বিস্ময়কর সম্ভাবনা, যদিও আমরা একা নই এই অভিযাত্রায়। মানব চেতনার উদ্ভবের বহু আগেই, অজস্র গ্যালাকটিক সভ্যতা ‘মর্টিমার ম্যানিফোল্ড’ নামে পরিচিত স্তরে প্রবেশ করেছিল।
- "সুইডেনের রাজা" "প্রফেসর মর্টিমার" কে ২০০৬ সালের নোবেল পুরস্কার প্রদান করছেন, "সাইমন কনওয়ে মরিস ভবিষ্যত ভবিষ্যদ্বাণী করেন" নিউ সায়েন্টিস্ট.কম-এ (১৫ নভেম্বর ২০০৬)।
The Crucible of Creation (১৯৯৮)
[সম্পাদনা]- The Crucible of Creation: The Burgess Shale and the Rise of Animals (১৯৯৮) আইএসবিএন 0192862022
- ডকিন্সের বিবর্তনমূলক বর্ণনার সীমাবদ্ধতা বোঝাতে একটি উপমা উপযোগী হতে পারে—ধরা যাক, একটি তেলচিত্র। এই উপমায় ডকিন্স ব্যাখ্যা করেছেন রঙের প্রকৃতি, কীভাবে আজুর রঙ তৈরি হয়, কোবল্ট কীভাবে প্রভাব ফেলে ইত্যাদি। কিন্তু চিত্রটির সামগ্রিক রূপ কীভাবে তা হয়, সে ব্যাখ্যা অনুপস্থিত। এই দৃষ্টিভঙ্গি অসম্পূর্ণ, কারণ এটি ব্যাখ্যা করতে ব্যর্থ হয় তথ্য (জেনেটিক কোড) কীভাবে ফেনোটাইপে রূপান্তরিত হয় এবং কোন প্রক্রিয়ায় তা ঘটে। জীব একটি সামগ্রিক রূপ, তার অংশের যোগফলের বেশি কিছু। ডকিন্সের বিশ্বে অতীন্দ্রিয়তার কোনো স্পর্শ নেই।
- পৃ. ৯।
- গুল্ডকে বারবার যুদ্ধে লিপ্ত হতে দেখা গেছে—মাঝেমধ্যে সংগ্রামী ভিড়ের মধ্যে প্রায় অদৃশ্য। অদ্ভুতভাবে মারাত্মক আঘাতের পরও তিনি আবার আবির্ভূত হন। অবশেষে ধুলা ও বিভ্রান্তি স্তব্ধ হয়। গুল্ড বিস্মিত দর্শকদের উদ্দেশে ঘোষণা করেন: আমাদের বর্তমান বিবর্তনমূলক ধারণা বিপজ্জনকভাবে অপর্যাপ্ত, এবং এই তত্ত্ব হয়তো মৃত্যুঘণ্টা শুনতে পাচ্ছে। আমরা ধ্বংসের বার্তাবাহকের দিকে তাকাই, আর দেখি বিবর্তন তত্ত্বের অট্টালিকা, অল্প কিছু বদলে আগের মতোই দাঁড়িয়ে আছে।
- পৃ. ১০।
- গুল্ডের আদর্শিক উদ্দেশ্য ছিল সুস্পষ্ট। এমনকি মতামতে পরিবর্তন এলেও, পুরো আলোচনা একটি নির্দিষ্ট world-view বা বিশ্বদৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন—যা বিংশ শতকের অন্যতম প্রভাবশালী অর্ধ-ধর্মীয় মতবাদ, মার্কসবাদের প্রতি সহানুভূতিশীল।
- পৃ. ১১।
- গুল্ডের যুক্তি, বিশেষ করে মানব বুদ্ধিমত্তার অদ্ভুততা নিয়ে, শুধু একটি বিবর্তনমূলক ব্যাখ্যা ছিল না—বরং ছিল একটি আদর্শিক অবস্থান। তিনি মানুষকে বিবর্তনের দুর্ঘটনা হিসেবে তুলে ধরেন। এই দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের এমন এক মুক্তবাজার চিন্তার দিকে ঠেলে দেয়, যেখানে একটি মহাজাগতিক দুর্ঘটনার ফলস্বরূপ, কেবল আমরাই আমাদের ভবিষ্যতের দায়িত্ব নিতে বাধ্য।
- পৃ. ১৪।
- যে সত্যটি আমরা এখানে উপস্থিত তার কারণ, অসীম প্রজাতির একটি শৃঙ্খলা যার উৎপত্তি কোনও একভাবে Pikaia নামের একটি প্রাণী থেকে, সেটি নিঃসন্দেহে একটি চমৎকার বৈজ্ঞানিক আখ্যান। তবে তা আমাদের বর্তমান অবস্থা ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে খুব কম প্রাসঙ্গিক।
- পৃ. ১৪।
- যদি কেউ হিমোগ্লোবিন প্রোটিন গঠনে ব্যবহৃত অ্যামিনো অ্যাসিড সিকোয়েন্স তুলনা করে, তবে দেখা যায়—মানুষ ও শিম্পাঞ্জির মধ্যে একটিও সাইটে পার্থক্য নেই...
- পৃ. ১৫১।
- ... কিন্তু, যেমন আমি কেমব্রিজে আমার ছাত্রদের বারবার বলি: শিম্পাঞ্জিরা পিয়ানো বাজায় না, শুকনো মার্টিনি পান করে না, বা স্রষ্টাকে মহিমান্বিত করতে মন্দির নির্মাণ করে না।
- পৃ. ১৫১।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
উইকিপিডিয়ায় সাইমন কনওয়ে মরিস সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।