সিডনি ব্রেনার
অবয়ব

সিডনি ব্রেনার (১৩ জানুয়ারি ১৯২৭ – ৫ এপ্রিল ২০১৯) ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার একজন জীববিজ্ঞানী, যিনি ২০০২ সালে শারীরস্থান ও চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি এই পুরস্কারটি এইচ রবার্ট হরভিৎস এবং জন সালস্টনের সঙ্গে ভাগ করে নেন। ব্রেনার জিনগত সংকেতব্যবস্থা ও আণবিক জীববিজ্ঞানে পথপ্রদর্শক গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তিনি বিকাশগত জীববিজ্ঞান নিয়ে গবেষণার জন্য সি. এলেগান্স নামক জীবটিকে আদর্শ প্রাণী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।
উক্তি
[সম্পাদনা]- আদর্শ প্রাণী ব্যবহারের বর্তমান ধারণাগুলো অতীতের সফল উদাহরণ থেকে এসেছে এবং গবেষণার জন্য সঠিক প্রাণী বেছে নেওয়া ততটাই গুরুত্বপূর্ণ যতটা গুরুত্বপূর্ণ সঠিক গবেষণা সমস্যা নির্ধারণ করা। আমার সব গবেষণাতেই এই দুই বিষয় একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল।
- নোবেল বক্তৃতা, সিডনি ব্রেনার, শারীরস্থান ও চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার, ২০০২
- বিজ্ঞানের অনেক অর্জন এসেছে অজানার ভিত্তিতে … অর্থাৎ, বাইরের জগত থেকে মানুষকে বিজ্ঞানে নিয়ে আসার মাধ্যমে। কারণ, একবার যখন কোনো বিজ্ঞানক্ষেত্র প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়, তখন তা পূর্ণ হয়ে ওঠে "পুরোহিতদের" দ্বারা — যারা সব জানেন, কী কাজ করবে আর কী করবে না। আর তারা বিরক্ত হতে চান না। তাই আপনাকে চ্যালেঞ্জ নিতে হয়। আর সবচেয়ে বড় কথা, তরুণরা তো অজ্ঞ—আর আমরা তাদেরকে "পুরোহিত" হয়ে ওঠার আগেই ধরে ফেলতে পারি। আমার মতে, বিজ্ঞানে আরও সাহসী মনোভাব থাকা উচিত।
- এমনকি ঈশ্বরও আজ গবেষণার অনুদান পেতেন না, কারণ কমিটির কেউ বলতেন, ওহ, এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করার পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো বেশ মজার ছিল, কিন্তু কখনও পুনরাবৃত্তি করা যায়নি। আরেকজন বলতেন, হ্যাঁ, উনি তো অনেক আগেই এসব করেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে উনি কী করেছেন? তৃতীয় কেউ বলতেন, সর্বোপরি, উনি সবকিছু প্রকাশ করেছেন এমন একটি জার্নালে যা পর্যালোচিতই নয় (বাইবেল)।
- এরপর আমরা ক্লিনিক্যাল কাজ শুরু করলাম... আর আমি বুঝলাম আমি এই জিনিসের জন্য উপযুক্ত না। আমি পছন্দ করতাম না... শিক্ষণ হাসপাতালের পুরো কাঠামোটাই। আমি অনুভব করতাম, রোগীদেরকে বস্তু হিসেবে দেখা ঠিক নয়। এবং যেহেতু আমি মনে করতাম একজন বিজ্ঞানী হয়ে এটি না করে থাকা কঠিন, তাই আমি একেবারেই না করেছিলাম। আসলে, আমি মনে করি আমি একমাত্র ব্যক্তি যিনি চিকিৎসা পাশ করেছেন অথচ পরীক্ষা ছাড়া কোনো রোগীকে দেখেননি — কারণ আমি কখনও যাইনি। আর আসলে, মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমি মেডিসিনে ফেল করেছিলাম, কারণ আমাকে এক রোগীর নিঃশ্বাসের গন্ধ নিতে বলা হয়েছিল, আর আমি সঠিকভাবে ম্যাকলিনস টুথপেস্ট চিনে ফেলেছিলাম, যেখানে আসলে চিহ্নিত করা উচিত ছিল অ্যাসিটোন।
- আমি মনে করি আমার দক্ষতা হচ্ছে কোনো কিছুর সূচনা করা। ... আসলে, এটাই আমি সবচেয়ে উপভোগ করি — এটি যেন একটি খেলার শুরু। আর আমি আশঙ্কা করি যে, একবার শুরু হয়ে গেলে এবং জটিল হয়ে উঠলে আমি এতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলি এবং অন্য কিছু করতে চাই। ... আরেকটি জিনিস আমি ভালো পারি, সেটি হলো কথা বলা।
- "২২৬. নাই স্ট্রেন্থ অ্যান্ড উইকনেসেস, সিডনি ব্রেনার"। ওয়েব অব স্টোরিজ।
- আমি মনে করি এবারই প্রথম আমরা মানুষের মৌলিক জীববিজ্ঞান নিয়ে আক্রমণাত্মকভাবে কাজ করতে পারবো।
- "২৩৩. দ্য এক্সাইটিং ফিউচার অফ বায়োলজি, সিডনি ব্রেনার"। ওয়েব অব স্টোরিজ।
সিডনি ব্রেনার সম্পর্কে উক্তি
[সম্পাদনা]- ফাইনম্যানের মতো ব্রেনার রসিক এবং তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু একজন কিংবদন্তি হিসেবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ফাইনম্যানের মতো ব্রেনারেরও এক অসাধারণ শ্রেষ্ঠত্ববোধ আছে যা তাকে কর্তৃত্বের প্রতি অবজ্ঞাশীল, গাম্ভীর্যবিরোধী ও নির্ভীক করে তোলে। আর তরুণ বিজ্ঞানীদের কাছে এই বিষয়গুলোই সবচেয়ে বেশি প্রিয়।
- রোনাল্ড এইচ এ প্লাস্টার্ক: "শিউরলি ইউ আর জোকিং, মিঃ ব্রেনার"। সায়েন্স। ৩৩১ (৬০১৩): ৩২। ২০১১। আইএসএসএন ০০৩৬-৮০৭৫
|issn=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। ডিওআই:10.1126/science.1199528। (সিডনি ব্রেনার: অ্যা বায়োগ্রাফি গ্রন্থের ২০১০ সালের পর্যালোচনা, লেখক এরল ফ্রিডবার্গ)
- রোনাল্ড এইচ এ প্লাস্টার্ক: "শিউরলি ইউ আর জোকিং, মিঃ ব্রেনার"। সায়েন্স। ৩৩১ (৬০১৩): ৩২। ২০১১। আইএসএসএন ০০৩৬-৮০৭৫
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
উইকিপিডিয়ায় সিডনি ব্রেনার সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
বিষয়শ্রেণীসমূহ:
- উদ্ধৃতি শৈলী ত্রুটি: ISSN
- ১৯২৭-এ জন্ম
- ২০১৯-এ মৃত্যু
- দক্ষিণ আফ্রিকার জীববিজ্ঞানী
- কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
- যুক্তরাজ্যের ইহুদি
- নাস্তিক
- শারীরস্থান ও চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী
- দক্ষিণ আফ্রিকার নোবেলজয়ী
- অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র
- ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলে-র শিক্ষক
- কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র
- অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
- আমেরিকান দার্শনিক সমাজের সদস্য
- রয়্যাল সোসাইটির ফেলো