বিষয়বস্তুতে চলুন

সুজাতা (বাংলাদেশী অভিনেত্রী)

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

সুজাতা (জন্ম: ১০ আগষ্ট ১৯৪৭; তন্দ্রা মজুমদার) একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং পরিচালকও। সুজাতা "ফোক সম্রাজ্ঞী" নামে পরিচিত, কারণ তার অভিনীত প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রের মধ্যে পঞ্চাশটিরও বেশি ফোক ঘরানার চলচ্চিত্র। তিনি ১৯৬৫ সালের রূপবান চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। চলচ্চিত্রশিল্পে তার অসামান্য অবদানের জন্য ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এছাড়া, শিল্পকলার চলচ্চিত্র শাখায় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ২০২১ সালে বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘একুশে পদক’ লাভ করেন।

১৯৬৫ সালের রূপবান চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিত

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • রূপবান সিনেমা আমি যখন করি তখন আমার বয়স ছিল কম। ১২ বছরের মেয়ে আর ১২ দিনের ছেলে নিয়ে গল্প। আমার বয়সও ছিল তখন ১২।
  • ছবিটি মুক্তির পর যখন সুপারহিট হয় বয়স কম থাকায় তখন আমি বুঝতে পারিনি সিনেমাটি নিয়ে বাইরে কীরকম উত্তেজনা চলছে।

কারণ সেটা বোঝার ক্ষমতাই তো ওই বয়সে আমার হয়নি। এতে বরং আমার জন্য ভালোই হয়েছে। নিজের মধ্যে এ নিয়ে অহংকারের জন্ম হয়নি। নিজের মধ্যে স্বাভাবিক থাকতে পেরেছিলাম।”

  • “আমার রূপবানের পরে তো অনেক রূপবান সিনেমা হয়েছে কিন্তু আমারটার মতো আর কোনোটাই হয়নি। অ্যাকচুয়াল চরিত্র হিসেবে আমিই প্রথম রূপবান এবং আমিই শেষ রূপবান।”
  • “চরিত্র অভিনেত্রী পাওয়া গেলেও কেউ সিনেমায় নিচ্ছে না। আমাদের সময়ের যারা আছেন তাদের নিয়ে এখন কাজ করেন না।”
  • “এভাবে অনেক ভালো ভালো পরিচালকও ইন্ডাস্ট্রি থেকে চলে গেছে। কিন্তু এইসব গুণী মানুষদের ধরে রাখবে এমন মানুষ চলচ্চিত্রে এখন নেই।”
  • “আমাদের চলচ্চিত্রে অভিনয় শিখানোর মতো এখন শিক্ষক নেই। আমরা কি শুরুতে অভিনয় জানতাম। আমাদের শিখিয়ে নেওয়া হয়েছে।”


  • “এখন সিনেমার বাজেট কম এই কথা বলে নায়ক-নায়িকা আর ভিলেন দিয়ে সিনেমার কাজ শেষ করে দেয়। এটা একটা ভুল সিদ্ধান্ত।”
  • “একটা সিনেমা তখনই পরিপূর্ণ হয় যখন সব চরিত্রের অভিনয় শিল্পী দিয়ে পর্দা ভরাট থাকে। মা-বাবা, ফুফু-খালা, ভাই-বোন এই সব ছোটখাটো চরিত্রগুলো সিনেমার খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু এইসব চরিত্রে এখন গুরুত্ব দিচ্ছে না।”
নেতিবাচক চরিত্রে আমি ভালো করতে পারতাম
  • “এতো বড় পুরস্কার পাওয়া তো অবশ্যই আনন্দের ব্যাপার। সব শিল্পীরই স্বপ্ন বা চাওয়া থাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার। সেখানে আজীবন সম্মাননা বিষয়টি তো আরও বড় বিষয়। আমারও ভালো লাগছে। দেরিতে হলেও আমি আজীবন সম্মাননা পাচ্ছি — অনুভূতি সুখকর।”
  • “এদেশে ‘রূপবান’ সিনেমার সঠিক মূল্যায়ন হয়নি। অথচ ‘রূপবান’ এদেশ থেকে উর্দু সিনেমাকে তাড়িয়ে দিয়েছিলো। ‘রূপবান’ হিট হওয়ার পর এদেশে বাংলা সিনেমা নির্মাণের হিড়িক পড়ে যায়।”
  • “গেলো বছর একুশে বই মেলায় একটি বই লিখেছিলাম। এখন কয়েকটি বই নিয়ে এগোচ্ছি। আত্মজীবনী লিখছি। নতুন প্রজন্ম তো ওইভাবে জানে না আমাদের সময়ের শিল্পীদের সম্পর্কে। এই বই থেকে তারা জানতে পারবে।”
  • না, জীবনে কোনো অপ্রাপ্তি নেই, জীবনে একটা দুঃখ আছে। আমার ছেলেকে নায়ক বানাতে চেয়েছিলাম। আর তখনই চলচ্চিত্রে ধস নামে। অর্থাৎ চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা শুরু হয়। তারপর ছেলেকে সরিয়ে নেই- এটাই আমার দুঃখ। ওই সময়ে যদি ছেলেকে কাজের সুযোগ করে দিতে পারতাম তবে আজ হয়তো ও দাঁড়িয়ে যেত বা একটা পজিশনে চলে যেত।

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]