সুদ
অবয়ব
সুদ হলো অর্থনীতির পরিভাষায় অর্থ বা সম্পদ ধার নেয়ার জন্য প্রদান করা ভাড়া।
উক্তি
[সম্পাদনা]কুরআন
[সম্পাদনা]- আল্লাহ সুদকে ক্ষয় করেন এবং দানকে বর্ধিত করেন, বস্তুতঃ আল্লাহ অতি কৃতঘ্ন পাপাচারীদেরকে ভালবাসেননা।
- আল-বাকারা আয়াত ২৭৬ মুজিবুর রহমান
- হে বিশ্বাস স্থাপনকারীগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং যদি তোমরা মু’মিন হও তাহলে সুদের মধ্যে যা অবশিষ্ট রয়েছে তা বর্জন কর।
- আল-বাকারা আয়াত ২৭৮ মুজিবুর রহমান
- হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো।
- সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৩০
- যারা সুদ খায়, তারা কেয়ামতের দিন দণ্ডায়মান হবে, যেভাবে দণ্ডায়মান হয় ওই ব্যক্তি; যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছে, ক্রয়-বিক্রয়ও তো সুদ নেয়ারই মতো! অথচ আল্লাহ তাআলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। এরপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, আগে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই জাহান্নামে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে।
- সুরা বাকারা : আয়াত ২৭৫
- যে সুদ তোমরা মানুষের সম্পদের সাথে মিশে বাড়ানোর জন্য দাও তা আল্লাহর কাছে বাড়ে না।
- সূরা রুমঃ ৩৯
হাদিস
[সম্পাদনা]- যারা সুদ খায় তারা (কিয়ামত) সেই ব্যক্তির মত দণ্ডায়মান হবে, যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল ক’রে দিয়েছে।”
- বাকারাহঃ ২৭৫
- বুঝেশুনে এক দিরহাম পরিমাণ সুদ খাওয়া আল্লাহর নিকট ছত্রিশবার ব্যভিচারের চেয়েও অধিক গুনাহের কাজ।
- মুসনাদে আহমদঃ ১০৩৩
- রাসূল (সাঃ) সাতটি ধ্বংসকারী জিনিস থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। তন্মধ্যে একটা হলো সুদ খাওয়া।
- মুসলিম, কিতাবুল ঈমানঃ১৭০
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
উইকিপিডিয়ায় সুদ সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।