বিষয়বস্তুতে চলুন

সুনানে আন-নাসাঈ

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

সুনানে আন-নাসাঈ ইসলামের ছয়টি প্রধান হাদিস সংকলনের (কুতুবুস সিত্তাহ) অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। এর সংকলক ইমাম আবূ আবদির রহমান আহমাদ ইবন শু'আয়ব আন-নাসাঈ (রহ.), যিনি হাদিস শাস্ত্রের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ছিলেন। এই গ্রন্থে মোট ৫,৭৫৭টি হাদিস রয়েছে, যা বিভিন্ন বিষয়ে ইসলামের বিধান ও শিক্ষা প্রদান করে।

সুনানে আন-নাসাঈ গ্রন্থটি ৫০টি অধ্যায়ে বিভক্ত, যেখানে পবিত্রতা, সালাত, রোযা, যাকাত, হজ্জ, জিহাদ, নিকাহ, তালাক ইত্যাদি বিষয়সমূহের উপর হাদিস সংকলিত হয়েছে।

ইমাম নাসাঈ (রহ.) তার হাদিস সংকলনে হাদিসের মান নির্ণয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন এবং সহিহ হাদিসসমূহকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তাই সুনানে আন-নাসাঈ গ্রন্থটি নির্ভরযোগ্যতার দিক থেকে উচ্চ মর্যাদার অধিকারী।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • ‎أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ جَرِيرٍ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ يَشُوصُ فَاهُ بِالسِّوَاكِ»

হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাত্রিবেলা সালাত আদায় করতে উঠলে মিসওয়াক দ্বারা আপন দাঁত মাজতেন।

    • সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২
  • ‎আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ পাঁচটি বিষয় মানুষের ফিতরাতের অন্তর্গত। খাতনা করা, নাভীর নিম্নভাগের লোম চেঁছে ফেলা, গোঁফ ছাঁটা, নখ কাটা, বগলের পশম উপড়ে ফেলা।

    • সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৯
  • আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন হায়য আসে তখন সালাত ছেড়ে দেবে, আর যখন তা বন্ধ হয়ে যায়, তখন গোসল করবে।

    • সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩৫০


  • আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি যেন বদ্ধ পানিতে পেশাব না করে, যাতে সে পরে গোসল অথবা উযূ করবে।

    • সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩৯৭


  • খাব্বাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট উত্তপ্ত বালুর অভিযোগ করলাম। তিনি আমাদের অভিযোগ গ্রহণ করলেন না। আবু ইসহাক (রাঃ) -কে বলা হল, সাথীরা কি সালাত তাড়াতাড়ি আদায় করার অভিযোগ করেছিলেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ।

    • সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৪৯৭


  • আমর ইব্‌ন আনবাসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : যে ব্যক্তি একটি মসজিদ নির্মাণ করবে, যাতে আল্লাহকে স্মরণ করা হবে, আল্লাহ তা’আলা জান্নাতে তার জন্য একখানা ঘর নির্মাণ করবেন।

    • সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৬৮৮
  • বারা ইব্‌ন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনায় আগমনের পর ষোল মাস বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে সালাত আদায় করেন। তারপর তাঁকে কা'বার দিকে মুখ করার নির্দেশ দেয়া হলো। এরপর এক ব্যক্তি, যিনি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সঙ্গে সালাত আদায় করেছিলেন, আনসার সম্প্রদায়ের একদল লোকের নিকট গিয়ে বললেন যে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কা'বা অভিমুখী করা হয়েছে। ফলে তাঁরা কা'বার দিকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন।

    • সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৭৪২


  • আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমরা হলাম দুনিয়াতে (কালের পরিপ্রেক্ষিতে) পশ্চাৎবর্তী এবং আখিরাতে হব (মর্যাদার পরিপ্রেক্ষিতে) অগ্রবর্তী। তবে এতটুকু ব্যতিক্রম যে আমাদের পূর্বে তাদের কিতাব দেওয়া হয়েছিল এবং আমাদের তা তাদের পরে দেওয়া হয়েছে এবং এই জুমু'আর দিন, যে দিনের সম্মান করা আল্লাহ তা'আলা তাদের উপর ফরয করেছিলেন, তারা তাতে মতানৈক্য সৃষ্টি করেছিল। তারপর আল্লাহ তা'আলা আমাদের সে দিন অর্থাৎ জুমু'আর দিন সম্পর্কে সঠিক পথ দেখালেন। অতএব, সে দিনের ব্যাপারে অন্যান্য মানুষ হবে আমাদের অনুসারী। ইহুদীরা আগামীকাল (শনিবার) এবং নাসারারা তার পরবর্তী দিন (রবিবারে) সম্মান করবে।

    • সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ১৩৬৭


  • আনাস ইব্‌ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, জাহিলিয়াত যুগের অধিবাসীদের জন্য প্রত্যেক বৎসরে দু'টি দিন ছিল, যাতে তারা খেল-তামাশা করত। যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনায় আগমন করলেন তখন তিনি বললেন, তোমাদের জন্য দু'টি দিন ছিল, যাতে তোমরা খেল-তামাশা করতে। এখন আল্লাহ তা'আলা তোমাদের জন্য উক্ত দু'দিনের পরিবর্তে তার চেয়েও অধিকতর উত্তম দু'টি দিন নিদির্ষ্ট করে দিয়েছেন, ঈদুল ফিত্‌রের দিন এবং কুরবানীর দিন।

    • সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ১৫৫৬


  • আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কেউ কখনো মৃত্যু কামনা করবে না। কেননা সে যদি নেককার হয় তাহলে হয়ত তার নেকী আরো বৃদ্ধি পাবে। আর যদি সে বদকার হয় তাহলে সে তাওবার দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবে।

    • সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ১৮১৮


  • তালহা ইব্‌ন উবায়দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এলোমেলো চুল বিশিষ্ট এক বেদুঈন রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে বললো, ইয়া রাসুলুল্লাহ্‌! আল্লাহ তা'আলা আমার উপর যে সালাতসমূহ ফরয করেছেন সে সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন। তিনি বললেন, আল্লাহ তা'আলা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। তবে হ্যাঁ, তুমি যা খুশী নফল আদায় করবে। তারপর সে বললো, আপনি আমাকে আল্লাহ তাআলা আমার উপর যে সাওম (রোযা) ফরয করেছেন সে সমন্ধে অবহিত করুন। তিনি বললেন, রমযান মাসের সাওম (রোযা)। তবে হ্যাঁ, তুমি যা খুশী নফল আদায় করবে। অতঃপর সে বললো, আপনি আমাকে আল্লাহ তা'আলা আমার উপর যে যাকাত ফরয করেছেন সে সমন্ধে অবহিত করুন। তখন রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ইসলামী শরীয়ার আহকাম সম্পর্কে অবহিত করলেন। অতঃপর সে বললো, ঐ সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে সম্মানিত করেছেন আমি অতিরিক্ত কোন নফল ও আদায় করবনা এবং আল্লাহ তা'আলা আমার উপর যা যা ফরয করেছেন তাতে কোন কম করব না। তখন রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যদি সে সত্যই বলে থাকে তবে সে কৃতকার্য হয়ে যাবে অথবা তিনি বললেন, যদি সে সত্যই বলে থাকে তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

    • সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২০৯০


  • ইবন্‌ আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর ওফাতের সময় তাঁর নয়জন স্ত্রী ছিলেন, যাঁদের সাথে তিনি মিলিত হতেন, সওদা (রাঃ) ব্যতীত। কেননা তিনি তাঁর দিন-রাত (-এর পালা) আয়েশা (রাঃ) – কে দান করেছিলেন।

    • সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩১৯৭


  • আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ‌্ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা কিয়ামত পর্যন্ত ঘোড়ার ললাটে কল্যাণ বেঁধে রেখেছেন। ঘোড়া তিন প্রকার যা দ্বারা মানুষ সওয়াব লাভ করে। আর এক প্রকার ঘোড়া, যা (অসচ্ছলতার জন্য) আচ্ছাদন (ঢাল স্বরুপ) হয়ে থাকে এবং এক প্রকার ঘোড়া বোঝাস্বরুপ হয়ে থাকে। সওয়াবের ঘোড়া তো ঐ ঘোড়া, যাকে (মালিক) আটকে রাখে (লালন পালন করে) আল্লাহ্‌র পথে জিহাদের জন্য এবং প্রয়োজনমত তাকে জিহাদে ব্যবহার করা হয়। যা কিছু সে খায়, যা কিছু তার পেটের ভেতরে গায়েব করে, তা সবই তার জন্য সওয়াব লেখা হয়। যদিও নতুন চারণভূমিতে সে তার সামনে উদ্ভাসিত হয়। হাদিসের শেষ পর্যন্ত বর্নণা করেন।

    • সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩৫৬২


  • আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ যখন তুমি কোন শ্রমিকের দ্বারা পরিশ্রম করাতে ইচ্ছা কর, তখন তার পারিশ্রমিক ঠিক করে নিও।

    • সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩৮৫৭


  • হাম্মাদ এবং কাতাদা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ঐ দুই ব্যক্তি সম্বন্ধে বলেন, যাদের একজন অপরজনকে বললো, আমি তোমার জন্য মক্কা পর্যন্ত পথের ভাড়া এত ঠিক করলাম। যদি আমি একমাস কিংবা এর কম ও বেশি চলি, তা হলে তোমাকে আরও এত এত ভাড়া বেশি দিব- অর্থাৎ সে ভাড়া এবং সময় নির্ধারিত করে নিল। তাঁরা বলেনঃ এতে কোন ক্ষতি নাই। কিন্তু এরূপ বলা যে, আমি তোমার জন্য এত টাকা ভাড়া নির্ধারণ করলাম। যদি আমি এক মাসের বেশি সফর করি, তাহলে তোমার ভাড়া কম দেবো, তাঁরা এরূপ বলাকে অপছন্দ করেছেন।

    • সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩৮৬০


  • আনাস (রাঃ) -এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

বর্ণিত। তিনি বলেনঃ পার্থিব বস্তুর মধ্যে স্ত্রী ও সুগন্ধী আমার নিকট পছন্দনীয় করা হয়েছে এবং নামাযে রাখা হয়েছে আমার নয়নের প্রশান্তি।

    • সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩৯৩৯


  • আনাস ইব্‌ন মালিক (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমাকে মুশরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার আদেশ দেয়া হয়েছে, যে পর্যন্ত না তারা এই কথার সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, আর মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর বান্দা এবং তাঁর রাসূল। আর যখন তারা সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই এবং মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল এবং আমাদের ন্যায় নামায পড়বে, আমাদের কিবলার দিকে মুখ করবে, আমাদের যবেহকৃত পশু আহার করবে; তখন আমাদের জন্য তাদের রক্ত ও সম্পদ হারাম হবে, তবে এই কালেমার কোন হক (শরী'আতসম্মত কারণ) পাওয়া গেলে ভিন্ন কথা।

    • সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩৯৬৬


  • উম্মে সালামা (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন: যে ব্যক্তি যিলহজ্জ মাসের নতুন চাঁদ দেখার পর কুরবানী করার ইচ্ছা করে, সে যেন কুরবানী করার পূর্বে চুল ও নখ না কাটে।

    • সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৪৩৬১


  • আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসূসুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, "মানুষ যা খায়, তন্মধ্যে সর্বোত্তম হলো তার হাতের উপার্জন। আর লোকের সন্তানও তার উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত।

    • সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৪৪৪৯


  • আব্দুল্লাহ ইব্‌ন আমর ইব্‌ন আস (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ সুবিচারক লোক আল্লাহ্‌ তা'আলার নিকট তাঁর ডান হাতের দিকে নূরের মিম্বরের উপর উপবিষ্ট থাকবেন। যারা তাদের বিচারকার্যে, পরিবারে ও দায়িতবভুক্ত বিষয়ে ইনসাফ রক্ষা করে। রাবী মুহাম্মদ (রহঃ) তাঁর হাদীসে বলেনঃ আল্লাহ্‌র উভয় হাতই ডান হাত।

    • সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৫৩৭৯


  • আনাস ইব্‌ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মদ যখন হারাম হওয়ার সময় হলো, তখন হারাম হলো। আর তাদের শরাব ছিল শুকনো ও কাঁচা খেজুর দ্বারা তৈরি।

    • সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৫৫৪৩


সব হাদিস দেখুন

সুনানে আন-নাসাঈ নিয়ে উক্তি

[সম্পাদনা]
  • "তিনি (ইমাম আন-নাসাঈ) তাঁর যুগের অন্যান্য সকল হাদিস বিশেষজ্ঞদের তুলনায় অগ্রগণ্য ছিলেন।"


  • "সাহিহ আল-বুখারি ও সাহিহ মুসলিমের পরে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হাদিস গ্রন্থ হল সুনানে আন-নাসাঈ।"


  • "কিছু স্কলার সুনানে আন-নাসাঈ-কে 'আস-সহিহ' বলে অভিহিত করেছেন কারণ এতে অত্যন্ত কঠোর যাচাই-বাছাই করা হয়েছে।"


  • "ছয়টি প্রধান হাদিস গ্রন্থের মধ্যে সাহিহ আল-বুখারি ও সাহিহ মুসলিমের পর সুনানে আন-নাসাঈ-তেই সবচেয়ে কম সংখ্যক দুর্বল হাদিস রয়েছে।"


  • "যদিও এটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য, তবুও সুনানে আন-নাসাঈ-তে প্রায় পাঁচশত দুর্বল হাদিস বিদ্যমান।"


আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]