সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী
অবয়ব

সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী (১৮ জুলাই ১৯৪৪ – ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯) একজন বাংলাদেশী বিদেশি পরিসেবা কর্মকর্তা এবং কর্মজীবনে তিনি একজন কূটনীতিক ছিলেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ভাষা আন্দোলনকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি ভূমিকা রাখেন।
উক্তি
[সম্পাদনা]- নির্বাচনী প্রচারে অনেক দলই অনেক কিছু বলে থাকে, যদিও ভোটের পরে তা গুরুত্ব হারায়।
- সৈয়দ মোয়াজ্জেন আলী [১]
- মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ যত বাড়বে, দুই দেশ তত ঘনিষ্ঠ হবে। ততই বেড়ে যাবে সব ধরনের সহযোগিতা।
- সৈয়দ মোয়াজ্জেন আলী[১]
- বাঘে মানুষ খায়, এটা সত্যি তো, না কি? হ্যাঁ, তা তো বটেই।’ তা হলে এই বাঘে মানুষ খেয়েছে কি না তা দিয়ে কম্মটা কী? কী আর বলব, বোকার মতো মুখ করে বসে রইলাম। চাচা বললেন, “শোনো, যুবক-যুবতী প্রেম করে, সেটা যেমন সত্যি, এই গপ্পও তেমনই সত্যি! তবে তুমি যেহেতু গাড়ল, তাই খোলসা করে বলছি। কাবুলে থাকাকালীন একজন কাবুলি নারীর সঙ্গেই আমার পরিচয় হয়েছিল। সে আমার বাড়ি রোজ সকালে দুধ দিয়ে যেত। তার বয়স ৮০!” আমার বিস্ময় কাটানোর জন্যই বোধহয় আরও একটু যোগ করেছিলেন চাচা, “ভাতিজা, বাড়াও, বাড়াও! কল্পনাশক্তিটা আর একটু বাড়াও হে!”
- চাচা সৈয়দ মুজতবা আলীর সাথে কথোপকথন [২]
- সীমান্ত ব্যবস্থাপনা খুবই জটিল বিষয়। তবু দুই দেশই হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিনের ভারতে অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন বিষয়টি আদালতে রয়েছে। আদালতের সিদ্ধান্তের পরই তাঁকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা হবে।
- সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, নয়াদিল্লির ফরেন প্রেসক্লাবেমিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে [৩]
- ‘২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময়ে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের কথা ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আপত্তির কারণে এ চুক্তি হয়নি। গত চার বছরে পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে দেনদরবার করে সমঝোতায় পৌঁছেছে বলে আমাদের বিশ্বাস। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বাংলাদেশে যাচ্ছেন। তাই আমরা এ চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী। এ সফরকালে চুক্তিটি সই করা সম্ভব না হলেও এ ব্যাপারে ইতিবাচক আলোচনা হবে এবং দ্রুত সইয়ের ব্যাপারে দুটি দেশ একধাপ এগিয়ে থাকবে।’
- সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, নয়াদিল্লির ফরেন প্রেসক্লাবেমিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে [৩]
- বাংলাদেশ মনে করে, ভারতের পাঁচ রাজ্যের এই ভোটের পর দুদেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। তিস্তা চুক্তির জটও অচিরে খুলে যাবে।
- সৈয়দ মোয়াজ্জেন আলী[১]
- আমার দেশের জনগণ সাঁতার কেটে ইতালি যাবে কিন্তু ভারতে যাবে না। একজন বাংলাদেশি এমন দেশে যাবে যেখানে অনেক বেশি আয় করতে পারবে। ভারতের মাথাপিছু আয় বেশি না।
- সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী[৪]
- বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও মানবসম্পদ উন্নয়নের ওপর জোর দিয়ে যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করছে তার প্রশংসা করেছেন অমর্ত্য সেনের মত বিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ।
- সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী[৫]
- ভারত এবং বাংলাদেশ তাদের মধ্যকার যে কোন বিষয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে সক্ষম।
- সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী[৫]
- ভারত বেশ ভালো করেই জানে তাদের দক্ষিণপূর্বে অবস্থিত রাজ্যগুলোতে স্থিতি অবস্থা তৈরিতে এই সরকার কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখছে। আর এ কারণেই দুই দেশের মধ্যে বিশ্বাসের এক দৃঢ় বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে।
- সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী[৫]
- ভারত এবং বাংলাদেশের সম্পর্কে বর্তমানে উভয় দেশ লাভবান অবস্থায় রয়েছে। ভারত তার দক্ষিণপূর্ব অঞ্চলের উন্নয়নে জন্য বাংলাদেশের উপর নির্ভর করছে এবং বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে যাতায়াতের করিডর গ্রহণ করছে। তেমনি বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক উন্নয়নে চাকা সচল রাখতে ভারতের বিদ্যুৎ শক্তির উপর নির্ভর করছে।
- সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী[৫]
- চীনের পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে সবচাইতে এগিয়ে প্রতিবেশী মেক্সিকো ও কানাডা। তাহলে বিশ্বের সবচাইতে দ্রুত গতিতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হওয়া বাংলাদেশ কেনো ভারতের শীর্ষ বাণিজ্যিক সম্পর্কের দেশ হতে পারবে না?
- সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী[৫]
- ভারত বিভক্তির সেই তিক্ত ইতিহাসকে পেছনে ফেলে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণের মাধ্যমে আমরা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে চাই এবং একসঙ্গে উন্নয়নের পথে হাঁটতে চাই।
- সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী[৫]
- ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় কাশ্মীর ও বাবরি মসজিদ নিয়ে বাংলাদেশের কোন মন্তব্য নেই।
- সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী[৪]
- বাংলাদেশ উগ্রবাদের হুমকির মুখোমুখি। তাই ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তি ও একাত্তরের চেতনাকে শক্তিশালী করার জন্য ভারতের সাহায্য প্রয়োজন।
- সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী[৪]
তাঁর সম্পর্কে উক্তি
[সম্পাদনা]- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন কৃতী ছাত্র সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর মৃত্যুতে জাতি একজন দেশপ্রেমিক দক্ষ কূটনীতিবিদকে হারালো। জাতি তাঁর অবদান চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান [৬]
- “সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন দক্ষ কূটনীতিককে হারাল। তার মৃত্যু দেশের কূটনৈতিক জগতের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।”
- সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ [৭]
- ‘মোয়াজ্জেম আলী ভারতের একজন বন্ধু, চমৎকার কূটনীতিক ও মানবিক মানুষ ছিলেন’
- ভারতের সাবেক কূটনীতিবিদ ও পররাষ্ট্র সচিব বিজয় কেশব গোখলে [৮]
- ভারতের বন্ধুরা তাকে সব সময় মিস করবেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার মৃত্যুতে গভীর শোকাহত।
- ভারতের সাবেক কূটনীতিবিদ ও পররাষ্ট্র সচিব বিজয় কেশব গোখলে [৮]
আরও
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ১.০ ১.১ ১.২ https://www.prothomalo.com/bangladesh/সমাধানে-সহযোগিতায়-আগ্রহী-বাংলাদেশ
- ↑ আনন্দবাজার পত্রিকা
- ↑ ৩.০ ৩.১ https://www.prothomalo.com/bangladesh/হাইকমিশনার-সৈয়দ-মোয়াজ্জেম-আশাবাদী
- ↑ ৪.০ ৪.১ ৪.২ https://jamuna.tv/news/112730
- ↑ ৫.০ ৫.১ ৫.২ ৫.৩ ৫.৪ ৫.৫ https://sangbadsangjog.com/news/24769
- ↑ https://web.archive.org/web/20250424062501/https://www.du.edu.bd/du_post_details/post/10033
- ↑ https://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1706307.bdnews
- ↑ ৮.০ ৮.১ https://banglanews24.com/public/national/news/bd/762658.details
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
উইকিপিডিয়ায় সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
বিষয়শ্রেণীসমূহ:
- ১৯৪৪-এ জন্ম
- ২০১৯-এ মৃত্যু
- বাংলাদেশী কূটনীতিবিদ
- বাংলাদেশের সচিব
- ২০২২-এ একুশে পদক বিজয়ী
- লেবাননে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
- সিলেট বিভাগের ব্যক্তি
- ভারতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার
- মুক্তিযুদ্ধে একুশে পদক বিজয়ী
- ভুটানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
- ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
- ইরানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
- পর্তুগালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
- ২০শ শতাব্দীর বাঙালি
- ২১শ শতাব্দীর বাঙালি
- আরব বংশোদ্ভূত বাংলাদেশী ব্যক্তি
- একুশে পদক বিজয়ী
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- পাবলিক অ্যাফেয়ার্সে পদ্মভূষণ প্রাপক