স্লোভেনিয়া

w:'''বাল্কান''' হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের একটি ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক অঞ্চল।

এই অঞ্চলের সম্মিলিত আয়তন প্রায় ৫৫০,০০০ বর্গকিলোমিটার এবং আনুমানিক জনসংখ্যা ৫৫ মিলিয়ন। বাল্কান উপদ্বীপের প্রাচীন গ্রিক নাম ছিল হেমুস উপদ্বীপ (Χερσόνησος του Αίμου, Chersónisos tou Aímou)। এই অঞ্চলের নামকরণ হয়েছে w:বাল্কান পর্বতমালা থেকে, যা w:বুলগেরিয়ার মধ্য দিয়ে w:সার্বিয়ার পূর্বাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত।

উক্তি

"একটি আনন্দময় উপদ্বীপ, যেখানে প্রাণবন্ত মানুষ থাকে, যারা মসলাযুক্ত খাবার খায়, শক্তিশালী w:মদ পান করে, জাঁকজমকপূর্ণ পোশাক পরে, সহজেই প্রেম করে এবং হত্যা করে, এবং w:যুদ্ধ শুরু করার অসাধারণ প্রতিভা রাখে।"

- সি. জে. সুল্‌জবার্গার, A Long Row of Candles

পরবর্তী বড় ইউরোপীয় যুদ্ধ বাল্কানের কোনো একটা বোকামির কারণে শুরু হবে।
- অটো ফন বিসমার্ক-কে উদ্ধৃত করে বলেছিলেন Albert Ballin, উদ্ধৃত: Joachim Remak, The Origins of World War I (১৯৬৭), পৃষ্ঠা ১১৮

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বাল্কান অঞ্চলেও বহু গৃহযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল জাতিগত, ধর্মীয় ও আদর্শিক বিভাজনের কারণে। যুগোস্লাভিয়া ১৯৪১ সালের এপ্রিল মাসে জার্মান আক্রমণের ফলে ভেঙে পড়ে। সেই সুযোগে ক্রোয়েশিয়ার নেতা w:আঁতে পাওয়েলিচ হিটলারের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন। এরপর তাঁর w:উস্তাশা বাহিনী সার্বীয় প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে বসনিয়া-হার্জেগোভিনাতেও নৃশংস জাতিগত নির্মূল অভিযান শুরু করে, যেখানে লক্ষাধিক মানুষকে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়। গোটা গ্রামবাসীদের চার্চে ভরে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়, অথবা ঘাঁটিতে নিয়ে হত্যা করা হয় যেমন w:জাসেনোভাক। w:সার্বীয় চেতনিক ও w:যুগোস্লাভ পার্টিজানরা পাল্টা প্রতিশোধ নেয়। যুদ্ধ চলাকালে যুগোস্লাভিয়ায় প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটে, যার অধিকাংশই একে অপরের হাতে। ইহুদিদের মধ্যে বসনিয়ার প্রায় ১৪,০০০ জন প্রায় সকলেই নিহত হয়। গ্রিসেও জার্মান দখলের পর তীব্র সংঘাত শুরু হয়। এখানে এবং যুগোস্লাভিয়ায় বিদেশি অধিপতিদের সঙ্গে জাতীয়তাবাদী, এবং জাতীয়তাবাদী ও কমিউনিস্টদের মধ্যে ত্রিমুখী যুদ্ধ চলে। বুলগেরিয়া যখন রোমানিয়া থেকে দক্ষিণ ডব্রুজা দখল করে, তখন দুই পাশ থেকেই লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।
- Niall Ferguson, The War of the World: Twentieth-Century Conflict and the Descent of the West (২০০৬), পৃষ্ঠা ৪৫৬–৪৫৭

এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বার্তা যে (মন্টেনেগ্রো, সার্বিয়া, আলবেনিয়া, উত্তর মেসিডোনিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা এবং কসোভো) ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের প্রক্রিয়াটিকে ইইউ আন্তরিকভাবে চায় এবং সবাই প্রচেষ্টা করলে এটি বাস্তবসম্ভব।
- Olaf Scholz, উদ্ধৃত: "Scholz backs giving chance to Western Balkans on EU membership", Aljazeera, ১০ জুন ২০২২

সাধারণভাবে আমি wikipedia:প্যান-স্লাভবাদের বিরোধী। আমি মনে করি না আমাদের বাল্কানে বা wikipedia:স্লাভদের সঙ্গে কিছু করা উচিত। কিন্তু এখন পশ্চিম এমনভাবে ভারসাম্য নষ্ট করেছে যেন সব দোষ শুধু সার্বিয়ার। কিন্তু দোষ সার্ব, wikipedia:ক্রোয়াট বা বসনীয়দের নয়। যুগোস্লাভিয়ায় সমস্যা শুরু হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের মতোই কারণেই। কমিউনিস্টরা—ওদের ছিল টিটো, আমাদের লেনিন ও স্তালিন—জাতিগত ও ঐতিহাসিক দৃষ্টিতে অসঙ্গতিপূর্ণ প্রশাসনিক সীমানা তৈরি করে এবং লোকদের এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে স্থানান্তর করে। এবং যখন যুগোস্লাভিয়া হঠাৎ ভেঙে পড়ে, তখন পশ্চিমা শক্তিগুলো দ্রুত ও দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে সেই কৃত্রিম সীমানার রাষ্ট্রগুলোকে স্বীকৃতি দেয়। ফলে এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের দায় ভাগ করে নিতে হবে টিটোর পাশাপাশি পশ্চিমা নেতাদেরও। এখন তারা সেই সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে মানবিক হস্তক্ষেপর মতো স্লোগান দেয়, যেমন একসময় মেটার্নিখ অন্যদের সুস্থ করতে হস্তক্ষেপর কথা বলেছিলেন। কিন্তু এই হস্তক্ষেপ খুবই বিপজ্জনক। বিশ্বের ওপর কর্তৃত্ব বজায় রাখা বড় শক্তিগুলোর জন্য সহজ নয়।
- Aleksandr Solzhenitsyn, ফোর্বস পত্রিকায় সাক্ষাৎকার, মে ১৯৯৪

রুমানিয়া, সার্বিয়া, ও w:মন্টেনেগ্রো খালি করে দিতে হবে; দখলকৃত অঞ্চলগুলো ফিরিয়ে দিতে হবে; সার্বিয়াকে মুক্ত ও নিরাপদভাবে সমুদ্রে যাওয়ার অধিকার দিতে হবে; এবং বাল্কান রাষ্ট্রগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ পরামর্শের মাধ্যমে ঐতিহাসিক আনুগত্য ও জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে নির্ধারণ করতে হবে; এবং প্রতিটি বাল্কান রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় আন্তর্জাতিক গ্যারান্টি দিতে হবে।

** Woodrow Wilson, ১৪ দফা, ১৯১৮

== বহিঃসংযোগ ==