হিমালয়
অবয়ব
হিমালয় বা হিমালয় পর্বতমালা এশিয়ার একটি পর্বতশ্রেণী, যা দক্ষিণ এশিয়ার সমভূমিকে তিব্বতীয় মালভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন করে। হিমালয় পাঁচটি দেশের সীমানা ঘিরে রয়েছে: নেপাল, চীন, পাকিস্তান, ভুটান এবং ভারত। হিমালয় পর্বতমালার নামটি সংস্কৃত শব্দ হিমালয় (हिमालय) থেকে এসেছে, যার অর্থ "শীতের নিবাস"। হিমালয়ের সাথে জড়িত বহু সাংস্কৃতিক এবং পৌরাণিক গুরুত্ব রয়েছে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম পর্বতমালা।
উক্তি
[সম্পাদনা]- জলের জন্তুরা চোখ ফুটেই দেখে জল আকাশ, ডাঙ্গার জীব তারা দেখে বন-জঙ্গল মাঠ, আর পাহাড়ের ছেলেমেয়ে তারা দেখে আকাশের উপরে বরফে ঢাকা ওই হিমালয়ের চুড়ো ক’টা। হিম-আলয় সন্ধি করে হয়েছে হিমালয় অর্থাৎ কিনা হিমালয় মানে হিমের বাড়ি, পাহাড়ি ভাষায় বলে হিমাল, সমস্কৃতোতে বলবে হিমাচলম্, ইংরেজ তারা ভালো রকম উচ্চারণ করতেই পারে না, ‘র’ বলতে ‘ল’ বলে ফেলে—তারা হিমালয়কে বলে ইমালোইয়াস্! হিমালয়ের মতো উঁচু আর বড় পর্বত জগতে নেই। সব দেশের সব পর্বত আমাদের হিমালয়ের চূড়োর কাছে হার মেনেছে।
- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বুড়ো আংলা-অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- সিগনেট প্রেস, প্রকাশস্থান-কলকাতা, প্রকাশসাল-১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬০ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৮৫
- কতকগুলো ছোটছোট পাহাড় পার হয়ে তবে হিমালয়ে পৌঁছাতে হয়। দার্জিলিঙ সেই ছোট পাহাড়ের উপরে। এগুলোকে বলে উপ-হিমালয়। দার্জিলিং থেকে উত্তরদিকে তাকালে হিমালয় যে কি সুন্দর দেখা যায়, কি বলব। এত উঁচু পাহাড় পৃথিবীতে আর কোথাও নাই:এক জায়গায় দাঁড়িয়ে সারবাঁধা এতগুলো বিশাল পর্বতও আর কোথাও দেখতে পাওয়া যায় না। নীচের দিকে তাকাও, রঙ্গিত নদী দেখতে পাবে, সে প্রায় বাংলার মাঠের সমানই নিচু। উপরের দিকে তাকাও, দেখবে হিমালয় চূড়াগুলি যেন আকাশের গায়ে ঠেকে আছে তার সকলের চেয়ে উচুটি পাঁচ মাইলেরও বেশি উঁচু। রঙ্গিতের ধারে প্রায় আমাদের এখানের মতনই গরম, আর হিমালয়ের উপরে ভয়ংকর ঠাণ্ডা।
- উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, বিবিধ প্রবন্ধ, উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র, প্রকাশক-বসাক বুক স্টোর প্রাইভেট লিমিটেড, প্রকাশস্থান- কলকাতা, পৃষ্ঠা ১০১৩
- আপাত দৃষ্টিতে হিমালয় যতই অটল অচল মনে হ’ক, তারও পরিবর্তন ঘটছে, অতএব হিমালয় একটি ঘটনাপ্রবাহ। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডও এইরকম, তাই ‘জগৎ’ আর ‘সংসার’ নাম।
- রাজশেখর বসু, বিচিন্তা - রাজশেখর বসু, পৃষ্ঠা ৬
- আমরা সত্য সত্যই নেপাল রাজ্যের রাজধানী কাটমণ্ডুতে অবস্থান করিতেছি। সম্মুখে ভুবনবিখ্যাত এভারেষ্টের শুভ্র হিমানীমণ্ডিত শিখর রৌদ্রে চক্ চক্ করিতেছে। তাহার উভয় পার্শ্বেই সীমান্ত ব্যাপিয়া চিরতুষারাবৃত পর্ব্বতমালা। এই আমাদের ভারতের উত্তর সীমা হিমালয় পর্ব্বত। কে ইহার নাম হিমালয় রাখিয়াছিল? ইহা যে প্রকৃতই হিমালয়। আহা! ঐ শুভ্র নির্ম্মল হিমালয়ে প্রাণ ছুটিয়া যায়। কিন্তু উহা মানবের অলঙ্ঘনীয়। এই সেই কাটমণ্ডু! বাল্যকালে ভূগোলে পড়িয়া ছিলাম নেপাল হিমালয়ের ক্রোড়স্থিত স্বাধীন রাজ্য, কাটমণ্ডু তাহার রাজধানী।
- হেমলতা দেবী, নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী, প্রকাশক- গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ (১৩১৮ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
উইকিপিডিয়ায় হিমালয় পর্বতমালা সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।

উইকিঅভিধানে হিমালয় শব্দটি খুঁজুন।