সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অবয়ব
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
- |
ওয়ালীউল্লাহ-ওয়ালীউল্লাহ্ ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[চিত্র:With wife Anne Marie in Karachi.jpg|থাম্ব|করাচিতে স্ত্রী অ্যান মেরির সঙ্গে ওয়ালীউল্লাহ, ১৯৫৬ সালে]] |
[[চিত্র:With wife Anne Marie in Karachi.jpg|থাম্ব|করাচিতে স্ত্রী অ্যান মেরির সঙ্গে ওয়ালীউল্লাহ, ১৯৫৬ সালে]] |
||
{{উপ|সৈয়দ |
{{উপ|সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্}} (১৫ আগস্ট ১৯২২ - ১০ অক্টোবর ১৯৭১) ছিলেন আধুনিক বাংলা কথাসাহিত্যিক। |
||
==উক্তি== |
==উক্তি== |
০৭:০৩, ৪ জুন ২০২৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ (১৫ আগস্ট ১৯২২ - ১০ অক্টোবর ১৯৭১) ছিলেন আধুনিক বাংলা কথাসাহিত্যিক।
উক্তি
- দু:স্বপ্নের সময়ই মানুষ সুস্বপ্নের স্বপ্ন দেখে।
- কেউ কেউ আরো আশা নিয়ে আলিয়া মাদ্রাসায় পড়ে। বিদেশে গিয়ে পোকায় খাওয়া মস্ত মস্ত কেতাব খতম করে। কিন্তু কেতাবে যে বিদ্যে লেখা তা কোন এক বিগত যুগে চড়ায় পড়ে আটকে গেছে। চড়া কেটে সে-বিদ্যেকে এত যুগ অতিক্রম করিয়ে বর্তমান স্রোতের সঙ্গে মিশিয়ে দেবে এমন লোক আবার নেই। অতএব কেতাবগুলোর বিচিত্র অক্ষরগুলো দূরান্ত কোনো এক অতীতকালের অরণ্যে আর্তনাদ করে।
লালসালু (১৯৪৮)
- ...শস্য নেই। যা আছে তা যৎসামান্য। শস্যের চেয়ে টুপি বেশি, ধর্মের চেয়ে আগাছা বেশি। ভোরবেলায় এত মক্তবে আর্তনাদ ওঠে যে, মনে হয় এটা খোদাতায়ালার বিশেষ দেশ। ন্যাংটা ছেলেটাও আমসিপারা পড়ে, গলা ফাটিয়ে মৌলবীর বয়স্ক গলাকে ডুবিয়ে সমস্বরে চেঁচিয়ে পড়ে। গোঁফ উঠতে না উঠতেই কোরান হেফ্জ করা সারা। সঙ্গে সঙ্গে মুখেও কেমন একটা ভাব জাগে। হাফেজ তারা। বেহেশতে তাদের স্থান নির্দিষ্ট।
- ওয়ালীউল্লাহ, সৈয়দ (১৯৪৮)। লালসালু। কমরেড পাবলিশার্স। ওসিএলসি ২৪৩০০৬২।
- সমাজ যাকেই ক্ষমা করুক না কেন, বিরুদ্ধ ইচ্ছার দ্বারা চালিত, দো-মনা খুশির বশের মানুষের আয়োজন ভঙ্গ করা নারীকে ক্ষমা করে না। এ সমাজে কোনো মেয়ে আত্নহত্যা করবে বলে একবার ঘোষণা করে সে মনের ভয়ে আবার বিপরীত কথা বলতে পারে না। সামাজই আত্নহত্যার মাল-মশলা জুগিয়ে দেবে, সর্বোতভাবে সাহায্য করবে যাতে তার নিয়ত হাসিল হয়, কিন্তু ফাঁকি দিয়ে তাকে আবার বাচঁতে দিবে না। মেয়ে লোকের মস্করা সহ্য করবে অতটা দূর্বল নয় সমাজ।
- ওয়ালীউল্লাহ, সৈয়দ (১৯৪৮)। লালসালু। কমরেড পাবলিশার্স। ওসিএলসি ২৪৩০০৬২।
- মানুষের রসনা বড় ভয়ানক বস্তু; সে-রসনা বিষাক্ত সাপের রসনার চেয়েও ভয়ঙ্কর হতে পারে। প্রক্ষিপ্ত সে-রসনা তার বিষে পরিবারকে-পরিবার ধ্বংস করে দিতে পারে, নিমেষে আগুন ধরিয়ে দিতে পারে সমগ্র পৃথিবীতে।
- ওয়ালীউল্লাহ, সৈয়দ (১৯৪৮)। লালসালু। কমরেড পাবলিশার্স। ওসিএলসি ২৪৩০০৬২।
বহিপীর (১৯৬০)
- ভাবিলাম দুঃখের কারণ যদি এক না হয়, তবে গভীর দুঃখগ্রস্থ দুটি লোকের মত অপিরিচিত আর কেউ নাই।পাশাপাশি বসিয়াও দুইজনের মধ্যে যেন আসমান-জমিনের প্রভেদ।
- ওয়ালীউল্লাহ, সৈয়দ (১৯৬০)। বহিপীর। নওরোজ কিতাবিস্তান।
চাঁদের অমাবস্যা (১৯৬৪)
- জীবন কি সত্যিই মৃত্যুর চেয়ে অধিকতর মূল্যবান?
- ওয়ালীউল্লাহ, সৈয়দ (১৯৬৪)। চাঁদের অমাবস্যা। নওরোজ কিতাবিস্তান। আইএসবিএন ৯৮৪৮৩২৩০৯০।
- আমৃত্যু শোকাকুল অনুতাপ।
- ওয়ালীউল্লাহ, সৈয়দ (১৯৬৪)। চাঁদের অমাবস্যা। নওরোজ কিতাবিস্তান। আইএসবিএন ৯৮৪৮৩২৩০৯০।
কাঁদো নদী কাঁদো (১৯৬৮)
- মান-ইজ্জত কীভাবে যায় সে-বিষয়ে প্রত্যেক মানুষ তার নিজস্ব মতামত পোষণ করে থাকে। তহবিল তছরুপ করেছে— এমন অভিযোগে যে-মানুষ বিন্দুমাত্র বিচলিত হয় না, সে আবার অধার্মিকতার অভিযোগে গভীরভাবে আহত হয়। যে-মানুষ চরিত্রহীনতার অপবাদে অবিচল থাকে, সেই আবার মিথ্যাবাদের অভিযোগে ক্রোধে অপমানে আত্মহারা হয়ে পড়ে।
- ওয়ালীউল্লাহ, সৈয়দ (১৯৬৮)। কাঁদো নদী কাঁদো। চিরায়ত প্রকাশন।
- যে-সমস্যা সর্বব্যাপী তার বিষয়ে উদাসীনতাই হয়তো বুদ্ধিসঙ্গত।
- ওয়ালীউল্লাহ, সৈয়দ (১৯৬৮)। কাঁদো নদী কাঁদো। চিরায়ত প্রকাশন।
তরঙ্গভঙ্গ (১৯৭১)
- মহাপ্লাবন হোক, পৃথিবীব্যাপী অগ্নিকাণ্ড হোক, নিদারুণ ভয়ের নিরাশায় রক্ত হিমশীতল হোক, তবু নির্দিষ্ট সীমানা অতিক্রম করার সাহস কার হয়?
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ সম্পর্কে উক্তি
- দশ বারো বছর বয়স পর্যন্ত ওয়ালী সারাক্ষণ আমার কাছে কাছে থাকতো। রান্নাঘরে গিয়ে আমার কাছে চুপ করে বসে থাকতো। বলতো, আম্মা আমাকে দিন, আমি তরকারি কুটে দিই।
- ওয়ালীউল্লাহর বিমাতার ভাষ্য, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ: জানা সাহিত্যিকের অজানা জীবন, রোর মিডিয়া
বহিঃসংযোগ
- উইকিমিডিয়া কমন্সে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ সম্পর্কিত মিডিয়া
- উইকিপিডিয়ায় সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ সম্পর্কে বিশ্বকোষীয় নিবন্ধ
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ: LCCN: n83179663 | VIAF: 19666606 | BNF: cb10144464g | GKD in the DNB: 131746014 | WorldCat |