মহিউদ্দিন আহমেদ

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

মহিউদ্দিন আহমদ (জন্ম ১৯৫২) একজন বাংলাদেশী লেখক ও রাজনৈতিক ইতিহাসবেত্তা।[১]জাসদের উত্থান পতন: অস্থির সময়ের রাজনীতি, আওয়ামী লীগঃ উত্থানপর্ব ১৯৪৮-১৯৭০, আওয়ামী লীগ : যুদ্ধদিনের কথা ১৯৭১, এবং বিএনপি : সময়-অসময় তার উল্লেখযোগ্য কর্ম।

জীবন ও কর্ম জন্ম ১৯৫২, ঢাকায়। পড়াশোনা গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে। মুহসীন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। বিএলএফের সদস্য হিসেবে সশস্ত্র প্রতিরোধযুদ্ধে অংশ নেন। সাংবাদিকতা করেছেন কিছুদিন। নাগরিক আন্দোলনের সংগঠক হিসেবে পৃথিবীর নানা প্রান্তে গেছেন। পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন অনেক উন্নয়ন প্রকল্প ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে। দক্ষিণ কোরিয়ার সুংকোংহে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মাস্টার্স ইন এনজিও স্টাডিজ’ কোর্সের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও অধ্যাপক। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস নিয়ে তাঁর একাধিক বই পাঠকপ্রিয় হয়েছে। প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে জাসদের উত্থান পতন: অস্থির সময়ের রাজনীতি, বিএনপি: সময়-অসময়, আওয়ামী লীগ: উত্থানপর্ব ১৯৪৮-১৯৭০, আওয়ামী লীগ: যুদ্ধদিনের কথা ১৯৭১, এই দেশে একদিন যুদ্ধ হয়েছিল, এক-এগারো: বাংলাদেশ ২০০৭-২০০৮, বাঙালির জাপান আবিষ্কার, প্রতিনায়ক: সিরাজুল আলম খান, অপারেশন ভারতীয় হাইকমিশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম: শান্তিবাহিনী জিয়া হত্যা মনজুর খুন, একাত্তর ও পঁচাত্তর: ইতিহাসের বাঁকবদল এবং একাত্তরের মুজিব।

উক্তি[সম্পাদনা]

  • সত্তরের দশকে এ দেশের মানুষ কম্বল চুরির বিরুদ্ধে স্লোগান দিত। এখন আর শুধু কম্বল নয়, গোটা দেশের সম্পদ নানাভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে গুটিকয় পরিবার ও গোষ্ঠী। তাঁরা কেউ বিদেশে থাকেন, কেউ দেশে হোমরাচোমরা হয়ে বসে আছেন। তাঁদের অনেকের পরিবার বিদেশে উড়াল দিয়েছে অনেক আগেই।
    • Prothom ALo, প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩: ০৮, মহিউদ্দিন আহমদ, লেখক ও গবেষক

মহিউদ্দিন আহমেদ সম্পর্কে উক্তি[সম্পাদনা]

  • সব মিলিয়ে দেশে ছাত্ররাজনীতি নেই। যেটা আছে, সেটা হলো নষ্ট হওয়া, পচে যাওয়া জাতীয় রাজনীতির চুইয়ে পড়া একটা চর্চা। ছাত্ররা যদি তাঁদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের বা তাঁদের সমষ্টিগত সমস্যা নিয়ে দর-কষাকষি করতে চান, দাবি আদায় করতে চান, সেটা তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে করতে পারেন। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গসংগঠনের কমিটি থাকতে হবে কেন?
    • প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৪, Prothom ALO মহিউদ্দিন আহমেদ
  • আমরা যারা একাত্তরের ঘটনাবলির প্রত্যক্ষদর্শী, আমরা দেখেছি ৩ মার্চ অনুষ্ঠেয় গণপরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হলে জনতা ক্ষোভে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে, প্রকাশ্যে পাকিস্তানি পতাকা পোড়ায় এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দেয়। সাধারণ মানুষের কাছে পয়লা মার্চ থেকেই পাকিস্তান মৃত। পাকিস্তান সরকারের একতরফা ঘোষণার প্রতিবাদে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
    • প্রথম আলো, প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৪, মহিউদ্দিন আহমদ লেখক ও গবেষক


আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]