শচীন তেন্ডুলকর
শচীন রমেশ তেন্ডুলকর (জন্ম এপ্রিল ২৪, ১৯৭৩) একজন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার। তিনি ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চমানের ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। শচীনের মাত্র ষোলো বছর বয়সে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় এবং এরপর থেকে প্রায় চব্বিশ বছর তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের হয়ে ক্রিকেট খেলেন। তিনি টেস্ট ক্রিকেট ও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় সর্বোচ্চসংখ্যক শতকের অধিকারীসহ বেশ কিছু বিশ্বরেকর্ড ধারণ করে আছেন। তিনি প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা ও টেস্ট ক্রিকেট ম্যাচ মিলিয়ে শততম শতক করেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১২ সালের এশিয়া কাপ চারদেশীয় ক্রিকেট ম্যাচে তিনি এই রেকর্ড করেন। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার ইতিহাসে প্রথম দ্বি-শতরানের মালিক তিনি। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ৫ই অক্টোবর, তিনি সমস্ত ধরনের স্বীকৃত ক্রিকেট খেলায় প্রথম ভারতীয় হিসেবে মোট ৫০,০০০ রানের মালিক হন।
উক্তি
[সম্পাদনা]- মানুষ তোমার দিকে পাথর (স্টোনস) ছুঁড়বে, তোমার কাজ হলো সে পাথরগুলোকে সফলতার এক একটি ধাপে (মাইলস্টোনস) পরিণত করা।
- স্বপ্নের পেছনে ছুটতে গিয়ে কখনও থেমে যাবে না, কারণ স্বপ্নগুলো সত্য হয়।
- আমাদের এক লাফে পঞ্চাশতম তলায় ওঠার চেষ্টা করা উচিত নয়, আমাদের শুরু করতে হবে নীচতলা থেকেই।
শচীন তেন্ডুলকরকে নিয়ে উক্তি
[সম্পাদনা]- 'পৃথিবীতে দু’ধরণের ব্যাটসম্যান আছে। একধরণের শচীন টেন্ডুলকার, আর একধরণ বাকিরা…’ – অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার।
- ‘… সিমলা থেকে দিল্লী। ট্রেনে আসছিলাম। হঠাৎ একটা স্টেশনে ট্রেন থামল। কী ব্যাপার, না শুনলাম শচীন ৯৮ রানে ব্যাট করছে। যাত্রীরা, রেলওয়ে অফিশিয়ালরা, ট্রেনের আশেপাশে থাকা সবাই কয়েক মিনিটের মতো অপেক্ষা করছিল। সেঞ্চুরি হতে আবার ট্রেন ছাড়ল। টেন্ডুলকার ভারতে এমনই জিনিয়াস, যার জন্য সময়ও থমকে যেতে পারে…’ – পিটার রোবাক।
- ‘… শচীন অনেকটা থ্রি ইডিয়টসের রায়ান (মুভিতে র্যাঞ্চো)- এর মতো চরিত্র। যে নিজের পাঠ্য নিজেই স্থির করে নিয়ে এক্সিলেন্সের প্রতীক হতে পেরেছে। শচীন আসলে এক্সিলেন্সের জীবন্ত প্রতিনিধি। যে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, যারা এক্সিলেন্স ধাওয়া করছে, তারা ওকে দেখে উদ্বুদ্ধ হতে বাধ্য…’- চেতন ভগত।
- ‘রান না পেলে আর ফেরারি-মার্সেডিজ দিয়ে কি লাভ? সেই কোটিপতি হয়ে কি হবে? তবে হ্যা, সবচেয়ে বেশি রান, সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করে অবসর নেবার পর এখন মনে হচ্ছে আমার ভাইকে কোটিপতি বলাই যায়…’ – অজিত টেন্ডুলকার।
- ‘… শচীন হল জিনিয়াস। আমি একজন মানুষ…’- ব্রায়ান লারা।
- ‘… ঐ হেলমেটের তলায় কোঁকড়া চুল, মাথা আর কপালের মধ্যে এমন কোনও রাসায়নিক প্রক্রিয়া ঘটত যার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। যার কোন হদিস কেউ কখনও বার করতে পারেনি। কী সেই রহস্য? যাতে একটা খেলাকে এত বছর ধরে শাসন করা যায়! সমতল থেকে এমন সব টেক অফ করা যায়! ওর সৌভাগ্যবান সতীর্থরাও উত্তর জানে না। যখন শচীন ব্যাট করতে যেত লোকে জীবনের সুইচ বন্ধ রেখে টিভির সুইচটা অন করত…’ – বিবিসি স্পোর্টস।
- ‘… ওর ব্যাট এর ভারি অথচ সেটা দিয়ে এত স্বচ্ছন্দে মারে, যেন টুথপিক ঘোরাচ্ছে…’- ব্রেট লি।
- ‘শচীনকে এমন একজন মানুষ হিসেবেও মনে রাখব, যে চৌদ্দ বছর ধরে বাংলা শেখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ভাষাটা কখনও শিখে উঠতে পারেনি (হাসি)…’- সৌরভ গাঙ্গুলি।
- ‘… আর্কাইভ থেকে একটাও গোলমেলে ঘটনার খোঁজ নেই। একটাও মদ খেয়ে অভব্যতা, কোন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, সতীর্থের সঙ্গে ঝগড়া, রিপোর্টারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি… কিছু নেই। ম্যাথু প্যারিস যেমন বারাক ওবামা সম্পর্কে এই পাতাতে মাত্র ক’দিন আগে মন্তব্য করছেন সেভাবেই বলতে হয়, আচ্ছা, এ কি মানুষ…’- মাইকেল অ্যাথারটন।
- ‘… যা যা অপরাধ করার, সব শচীন ক্রিজে থাকার সময় করে নাও। কেউ তোমায় দেখতে আসবে না। কারণ, স্বয়ং ঈশ্বরও তো তখন খেলা দেখতে ব্যস্ত…’- সিডনি ক্রিকেট মাঠের ব্যানার।