অতুল সুর

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

ড. অতুল সুর বা অতুলকৃষ্ণ সুর (৫ আগস্ট ১৯০৪ - ২ জানুয়ারি ১৯৯৯) ছিলেন বিশিষ্ট ঐতিহাসিক, নৃতাত্ত্বিক, অর্থনীতিবিদ, লেখক ও কলকাতা বিশেষজ্ঞ। ভারতীয় সভ্যতার উৎস নির্ণয়ে যাদের অবদান উল্লেখযোগ্য তিনি ছিলেন তাদের অন্যতম।

উক্তি[সম্পাদনা]

  • বাঙালীর জীবনযাত্রা শুরু হয়েছিল মানুষের আবির্ভাবের দিন থেকে। ভূ- তাত্ত্বিক আলোড়ন ও চঞ্চলতার ফলে বাঙলা দেশ গঠিত হয়ে গিয়েছিল প্লাওসিন যুগে।
    • বাঙলা ও বাঙালি, পৃষ্ঠা ৫
  • মানুষের প্রথম সমস্যা ছিল আত্মরক্ষা ও খু্য আহরণ। জীবন-সংগ্রামের এই সমস্তা সমাধানের জন্ম, তাকে তৈরি করতে হয়েছিল আয়ুধ। আয়ুধগুলো একখণ্ড পাথর অপর একখণ্ড পাথরের সাহায্যে তার চাকলা তুলে হাতকুঠার ও অন্য আকারে নির্মিত হত।
    • বাঙলা ও বাঙালি, পৃষ্ঠা ৬
  • অধুনা লুপ্ত-প্রায় আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের আদিম অধিবাসিগণ ব্যতীত, জগতে এমন কোন জাতি নাই, যারা মিশ্র জাঁতি নয়।
    • বাঙলা ও বাঙালি, পৃষ্ঠা ৬-৭
  • বাঙালীর যে প্রতিভা একদিন মহামতি গোপালকৃষ্ণ গোখেলকে উদ্বুদ্ধ করেছিল উদাত্ত কণ্ঠে ঘোষণা করতে যে 'What Bengal. thinks today, India thinks tomorrow', তা আজ কালাজ্বরের গর্ভে চলে গিয়েছে। বাঙালী আজ তার নিজ সংস্কৃতির স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলেছে। অশনে- বসনে আজ সে হয়েছে বহুরূপী। আজ সে এক বর্ণচোরা জারজ সংস্কৃতির ধারক হয়েছে। বাঙালীর বিবর্তনের এটাই শেষ কথা। আজকের প্রশ্ন-বাঙালী কোন্ পথে? এই প্রশ্ন রেখেই এই 'গৌড়চন্দ্রিকা' শেষ করছি।
    • বাঙলা ও বাঙালি, পৃষ্ঠা ১৩
  • আদিম সমাজসমূহের সংস্কৃতির গঠনে মেয়েদের প্রভাব বেশি পরিমাণে পরিলক্ষিত হয়। বাঙালীর লৌকিক সংস্কৃতিতেও আমর] সেই প্রভাবই লক্ষ্য করি।
    • বাঙলা ও বাঙালি, পৃষ্ঠা ৮৭
  • কলকাতার লোক যে জীবনচর্ষা অনুসরণ করেঃ তাই আজ বাঙলার সর্বত্র পরিব্যাপ্ত হচ্ছে।
    • বাঙলা ও বাঙালি, পৃষ্ঠা ৩৫৯
  • সেকেলের তুলনায় বাঙালী জীবনে আজ যে পরিবর্তন খটেছে, তা অভূতপূর্ব | এই অভূতপূর্ব পরিবর্তনকে সহায়তা করেছে মুদ্রণের প্রবর্তন, শিক্ষার প্রসার, সাহিত্য স্বজন, যন্ত্রশিল্প, পরিবহণব্যবস্থা এবং নানা প্রদেশের ও বিদেশের লোকের সংস্পর্শ।
    • বাঙলা ও বাঙালি, পৃষ্ঠা ৩৬৫
  • সেকালের মেয়েদের ধর্মবিশ্বাম এখনকার মেয়েদের চেয়ে অনেক বেশি ছিল।
    • বাঙলা ও বাঙালি, পৃষ্ঠা ৩৬৫
  • সমাজের রুপান্তর মাত্র নাগরিক সভ্যতাকেই আচ্ছন্ন করেনি, গ্রামীণ সভ্যতাকেও করেছে ।
    • বাঙলা ও বাঙালি, পৃষ্ঠা ৩৬৬

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]