বিষয়বস্তুতে চলুন

অবধূত (সাহিত্যিক)

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

অবধূত (২ নভেম্বর ১৯১০ – ১৩ এপ্রিল ১৯৭৮) বা কালিকানন্দ অবধূত ছিলেন একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক ও তন্ত্রসাধক। তার প্রকৃতনাম দুলালচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। জন্ম কলকাতার ভবানীপুরে। পুত্র অমল মুখোপাধ্যায়ের জন্মের পর প্রথমা স্ত্রীর মৃত্যু হলে উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরে সন্ন্যাস (অবধূত) গ্রহণ করেন। সন্ন্যাসজীবনে তার নাম হয় কালিকানন্দ অবধূত। সন্ন্যাসজীবনে তার ভৈরবী স্ত্রীও ছিল। হুগলি জেলার চুঁচুড়ায় স্বপ্রতিষ্ঠিত রুদ্রচণ্ডী মঠে তার মৃত্যু হয়।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • লোকে সংসারের জ্বালায় অস্থির হয়ে শান্তির মুখ দেখবার আশায় তীর্থযাত্রায় পা বাড়ায়। আমরাও চলেছি হিংলাজ, উদ্দেশ্য ঐ শান্তিলাভ। জানি না শান্তিটা কী বস্তু— তবে আজ এই ক’টা দিনে যে তার ছায়াও দেখতে পাইনি তাতে আর সন্দেহ নেই। শেষ পর্যন্ত পৌঁছে হিংলাজ-দর্শনটা ভাগ্যে ঘটবে কি না কে বলতে পারে।
    • ‘মরুতীর্থ হিংলাজ’ বইয়ে।

তার সম্পর্কে উক্তি

[সম্পাদনা]
  • অবধূত শব্দটির একটি বিশেষ অর্থ আছে। এঁর কোনও বর্ণাশ্রম নেই, কোনও নির্দিষ্ট ধর্ম নেই। ইনি সংসারাসক্তিহীন এক সন্ন্যাসী। ইনি ত্যাগও করেন আবার ভোগও করেন— অথচ কোনটিতেই আসক্ত নন— ‘জলে নামব জল ছড়াবো তবুও আমি জলকে ছোঁব না’ গোছের। ‘নাম’টি আমাদের কালিকানন্দ অবধূতের সঙ্গে বেশ মানানসই।
  • অবধূতের প্রতিটি গ্রন্থ পড়ে আমার মনে প্রশ্ন জেগেছে। এ-লোকটি কিসের সন্ধানে দুনিয়াটা চষে বেড়ায়? তার পায়ে চক্কর আছে সে তো বুঝি... তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে পরিচিত হয়ে খবরটা পেয়েছি— যে, তিনি তন্ত্রে বিশ্বাস করেন। তন্ত্রশাস্ত্রে যে তাঁর গভীর জ্ঞান আছে সে তত্ত্ব আবিষ্কার করতে বেশীক্ষণ সময় লাগে না।

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]