অমিয় চক্রবর্তী

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

অমিয় চক্রবর্তী (১০ এপ্রিল ১৯০১ - ১২ জুন ১৯৮৬) ছিলেন বাঙালি সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ। তিনি শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

উক্তি[সম্পাদনা]

  • বাঙলার মেয়ে, এসে ছিল তার জীবনের দাবি নিয়ে,
    দুদিনের দাবি ফলন্ত মাঠে, চলন্ত সংসারে;
    কতটুকু ঘেরে কত দান ফিরে দিতে।
    সামান্য কাজে আশ্চর্য খুশি ভরা।
    আজ শহরের পথপাশে তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েকোথা
    সভ্যতা ছোটে তেরোশো পঞ্চাশিকে।
  • কতদিন ধ’রে হলোপ্রবল আকুল বাসনায়
    ধু ধু করে প্রাণ, সেই দাহে
    ইতিহাস দরজা খুলে ধুলো পথ দেখায় মিশরে
    পিরামিড ছায়ায় প্রাচীন
    যুবে ব’সে আছে নীল নদীর ওপারে কাকে চেয়ে;
    • নরেশ গুহ (সম্পা.) ১৩৬৬: ১২০
  • অতন্দ্রিলা,
    ঘুমোওনি জানি
    তাই চুপি চুপি গাঢ় রাত্রে শুয়ে
    বলি, শোনো,
    সৌরতারা-ছাওয়া এই বিছানায়
    —সূক্ষ্মজাল রাত্রির মশারি—
    • "রাত্রি", অমিয় চক্রবর্তী
  • আহা পিঁপড়ে ছোটো পিঁপড়ে ঘুরুক দেখুক থাকুক
    কেমন যেন চেনা লাগে ব্যস্ত মধুর চলা—
    আলোর গন্ধে ছুঁয়ে তার ঐ ভুবন ভরে রাখুক,
    আহা পিঁপড়ে ছোটো পিঁপড়ে ধুলোর রেণু মাখুক।
    • "পিঁপড়ে", অমিয় চক্রবর্তী
  • বোবা করো,
    বধির নিস্তব্ধতা দাও;
    যে-সম্পূর্ণ আত্মহীন,
    অঙ্গ হোক তার সমাঙ্গীন
    সর্বাস্তি প্রকা- শান্তির অবয়বে।

স্বদেশপ্রসঙ্গ[সম্পাদনা]

  • গেল
    গুরুচরণ কামার, দোকানটা তার মামার,
    হাতুড়ি আর হাপর ধারের (জানা ছিল আমার) দেহটা নিজস্ব
  • তদিন বাঁচি ভোরের আকাশে চোখ জাগানো
    হাওয়া উঠলে হাওয়া মুখে লাগানো।
    কুয়োর ঠাণ্ডা জল, গানের কলি, বইয়ের দৃষ্টি
    গ্রীষ্মের দুপুরে বৃষ্টি।
    আপনজনকে ভালোবাসা,
    বাংলার স্মৃতিদীর্ণ বাড়ি-ফেরার আশা।
    • "কী কী কেড়ে নিতে পারবে না", অমিয় চক্রবর্তী
  • এপারে ওপারে, বন্ধ, হয়তো ওপারে
    সব মিলে এক হওয়া মোহনায় দুই নদী মিলে।
    • "যে দৃষ্টি সকল সুর দেখে", অমিয় চক্রবর্তী

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]