অলঙ্কার

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে
বিয়ের কনের জন্য তৈরি একপ্রস্থ সোনার গহনা। বাংলাদেশ, ২০১০

অলঙ্কার বা গহনা একপ্রকার পরিধেয় সামগ্রী যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে সুসজ্জিত ও আকর্ষণীয় করার উদ্দেশ্যে পরিধান করা হয়। অলংকার ধাতু বা অন্য কোন উপকরণ দ্বারা তৈরী করা হয়। অনেক অলঙ্কার তৈরীতে সাধারণত মূল্যবান ধাতু ব্যবহৃত হয়।

গহনা হল প্রাচীনতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলির মধ্যে একটি - যার মধ্যে ১০০,০০০ বছরের পুরানো পুঁতিগুলি নাসারিয়াস জাতীয় শামুকের খোলস থেকে তৈরি করা হয়েছে যাকে প্রাচীনতম পরিচিত গহনা বলে মনে করা হয়। [১] গহনার মৌলিক রূপগুলি বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে পরিবর্তিত হয় তবে প্রায়শই অত্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী হয়; ইউরোপীয় সংস্কৃতিতে গহনার সবচেয়ে সাধারণ রূপগুলি প্রাচীন কাল থেকে টিকে আছে, যখন অন্যান্য রূপ যেমন নাক বা গোড়ালির অলঙ্করণ, অন্যান্য সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ হলেও, এখানে অনেক কম সাধারণ।

অলঙ্কার কেনো আবশ্যিক পরিধেয় নয়। অলংকার মানুষের সাজসজ্জার মাধ্যম যা মানুষের দৈহিক সৌকর্য বৃদ্ধি করে। পৃথিবীর প্রায় সকল জাতি অলংকার ব্যবহার করে। জাতি ও সংস্কৃতি ভেদে অলংকারের গড়ন ও প্রকৃতি বিভিন্ন হয়ে থাকে। আধুনিক সভ্যতায় সোনারূপার অলংকার সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় লোহার তৈরী গহনার বিশেষ কদর ছিল। বিংশ শতাব্দীর শেষাংশে প্লাটিনামের গহনা তৈরীও শুরু হয়।

হীরা সহ নানা ধরনের মণি-মুক্তা যুক্ত করে গহনার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে। এছাড়া প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে কৃত্রিম গহনা বা ইমিটেশান জুয়েলরীর প্রচলন হয়েছে। অলংকার মানুষের শরীরের সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করে অলংকার এর প্রতি মানুষের চাহিদা সৃষ্টির আদিকাল থেকেই বিশেষ করে নারীরা অলংকার খুবই পছন্দ করে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের জন্য পৃথক পৃথক ধরনের গহনা ব্যবহার করা হয়। গহনা প্রধানত নারীর আভরণ হলেও পুরুষরাও কিছু কিছু গহনা ব্যবহার করে থাকে। যেমন আংটি নারী-বিশেষ নির্বিশেষে সমান জনপ্রিয়।ব্যাক্তির সম্পত্তি,যশ, প্রাচুর্য, ঐশ্বর্য , সামাজিক অবস্থান ও সৌন্দর্য বর্ধনে অলংকার ব্যবহার করে। অলংকার পুরুষ-নারী উভয় ব্যবহার করে। আঙুল,হাত,বাহু,নাক, ঠোঁট,কন্ঠ,কপাল,মাথা,কান,কোমর, নাভী, উরু,কাপড়ে প্রভৃতিতে অলংকারে অলংকৃত হয়

অলঙ্কার সম্পর্কে উক্তি[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

}}