ইসলামে খৎনা

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

ইসলামে খৎনা ইসলামি সংস্কৃতিতে পুরুষদের মধ্যে খৎনা বা ত্বকচ্ছেদ প্রথা প্রচলিত যা আরবি ভাষায় খিত্না (ختنة) বা খিতান্‌ (ختان) নামে প্রচলিত। পুরুষ খৎনা মুসলিম সমাজে ব্যপক প্রচলিত এবং আইনত ইসলামের সকল মাযহাব কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত অনুশাসন হিসাবে গৃহীত হয়েছে। এটি বৃহত্তর ইসলামি সম্প্রদায়ের (উম্মাহ) অন্তর্ভুক্ত হওয়ার চিহ্ন হিসাবে বিবেচিত হয়।

ইসলামে পুরুষদের সুন্নত সমাসীন, তবে ইহুদিদের খৎনার মতো নয়। ইসলাম বর্তমানে বৃহত্তম একক ধর্মীয় গোষ্ঠী যেখানে এটি ব্যাপকভাবে প্রচলিত আছে, যদিও খৎনার কথা কুরআনে বর্ণিত হয়নি তবে এটি হাদিসে উল্লেখ আছে এবং এটি সুন্নাহ। ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার পরে এটি করা উচিত কিনা তা নিয়ে ওলামাদের মধ্যে মতভেদ আছে।

উক্তি[সম্পাদনা]

খতনা আমাদের সমাজে মুসলমানি বলে পরিচিত। আমাদের মুসলিম সমাজে এ সংস্কৃতি শত শত বছর ধরে চলে আসছে। এটি একটি মহান সুন্নত। যুগে যুগে বড় বড় নবী-রাসুলও এ সুন্নত পালন করেছেন।

  • সর্বপ্রথম এ সুন্নত পালন করেছেন হজরত ইবরাহিম (আ.)। হজরত সাইদ ইবনে মুসাইয়াব (রহ.) থেকে বর্ণিত, হজরত ইবরাহিম (আ.) হলেন খতনার সুন্নত পালনকারী সর্বপ্রথম ব্যক্তি।
    • (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস : ২৬৪৬৭)
  • কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, যখন ইবরাহিম (আ.)-কে তাঁর রব কয়েকটি বাণী দিয়ে পরীক্ষা করেন, অতঃপর তিনি তা পূর্ণ করেন। তিনি বলেন, আমি তোমাকে মানুষের জন্য নেতা বানাব। সে বলল, আমার বংশধরদের থেকেও? তিনি বলেন, জালিমরা আমার ওয়াদাপ্রাপ্ত হয় না।
    • (সুরা বাকারা, আয়াত : ১২৪)
  • আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) ইমাম আবদুর রাজ্জাক (রহ.)-এর সূত্রে বর্ণনা করেন, ইবরাহিম (আ.)-এর পরীক্ষাগুলোর মধ্য থেকে একটি শারীরিক পরীক্ষা হলো খতনা করা।
    • (তাফসিরে ইবনে কাসির : ১/৪০৬)
  • হজরত আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, ফিতরাত, অর্থাৎ মানুষের জন্মগত স্বভাব পাঁচটি—খতনা করা, নাভির নিম্নদেশে ক্ষুর ব্যবহার করা, বগলের পশম উপড়ে ফেলা, নখ কাটা ও গোঁফ খাটো করা।
    • (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৮৮৯)


  • বুখারি শরিফের হাদিসের দ্বারা বোঝা যায় প্রথম খতনা হয়েছে হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর। হজরত ইবরাহিম (আ.) ৮০ বছর বয়সে খতনা করেছেন। হজরত ইবরাহিম (আ.) থেকে আমাদের প্রিয় নবি হজরত মুহাম্মাদ (সা.) পর্যন্ত সব নবি খতনা করে ছিলেন।
    • বুখারি শরিফ হাদিস নং ৩৩৫৬, শরহে নববি খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-১৮৮, ফতোয়ায়ে আলমগিরি, খণ্ড-৫, পৃষ্ঠা-৩৫৭ কিতাবুল ফতোয়া, খণ্ড-৬, পৃষ্ঠা-১৪১।
  • আমাদের মুসলিম সমাজে এ সংস্কৃতি শত শত বছর ধরে চলে আসছে। এটি একটি মহান সুন্নাত। যুগে যুগে বড় বড় নবী-রসুলও এ সুন্নাত পালন করেছেন। সর্বপ্রথম এ সুন্নত পালন করেছেন হযরত ইবরাহিম আ.। হযরত সাইদ ইবনে মুসাইয়াব রহ. থেকে বর্ণিত, হযরত ইবরাহিম আ. হলেন খতনার সুন্নত পালনকারী সর্বপ্রথম ব্যক্তি।
    • (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা ২৬৪৬৭)
  • হযরত আবু হুরায়রা রা. সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, ফিতরাত, অর্থাৎ মানুষের জন্মগত স্বভাব পাঁচটি, খতনা করা, নাভির নিম্নদেশে ক্ষুর ব্যবহার করা, বগলের পশম উপড়ে ফেলা, নখ কাটা ও গোঁফ খাটো করা।
    • (বুখারি ৫৮৮৯)

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খতনা উদ্‌যাপন[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের অনেক এলাকায় শিশুদের খতনার সময় ভোজের আয়োজন করে। ইন্দোনেশিয়ায়ও খতনা করার পর ‘পেরাইয়ান সুনাতান’ নামে একটি ভোজের আয়োজন করা হয়। তুরস্কেও এটি ব্যাপকভাবে উদ্‌যাপন করা হয়। এটি ‘সুন্নেত তোরেনি’ ‘সুন্নেত মেভলুদু’ নামে পরিচিত। তবে বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম স্কলার এটিকে বিতআদ মনে করেন। এমন ভোজ আয়োজন করাকে অপচয় হিসেবেই দেখেন তারা।

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]