বিষয়বস্তুতে চলুন

ক্ষুধা

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

ক্ষুধা হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একজন ব্যক্তি মৌলিক পুষ্টিগত চাহিদা পূরণে পর্যাপ্ত খাবার খেতে অক্ষম। রাজনীতি, মানবিকতায়, সামাজ বিজ্ঞান প্রভৃতির ক্ষেত্রে ক্ষুধা মুক্তির ক্ষেত্রে ক্ষুধা শব্দটি খাবারের জন্য মানুষের সাধারণ চাহিদাকে ছাড়িয়ে যাওয়া অর্থে ব্যবহৃত হয়। সারা বিশ্বের জনসংখ্যার বিভিন্ন অংশ মাঝেমধ্যেই ক্ষুধার্ত সময় অতিবাহিত করেছে। অনেক ক্ষেত্রে, যুদ্ধ, দুর্যোগ, বা প্রতিকূল আবহাওয়ার ফলে খাদ্য সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী দশক গুলোতে, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও উন্নত রাজনৈতিক সহযোগিতা ইঙ্গিত দিয়েছিল যে ক্ষুধা ভোগকারী মানুষের সংখ্যা হ্রাস করা সম্ভব।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • এই প্রথম সে একাকী পথে বেরুল। লজ্জায়, সংকোচে, অনভ্যাসের জড়তায় শোচনীয় হয়ে উঠল তার অবস্থা। সে আরো সংকটাপন্ন হল যখন কোলের শিশুটা রাস্তার মাঝখানে চীৎকার করে কেঁদে উঠল। তবু সে ঘোমটার অন্তরালে আত্মরক্ষা করতে করতে কণ্ট্রোল্ড দোকানে উপস্থিত হয়েছিল। কিন্তু গিয়ে দেখল সেখানে তার মতো ক্ষুধার্ত নারী একজন নয়, দু’জন নয়, শত-শত, এবং ক্ষুধার তাড়নায় তাদের লজ্জা নেই, দ্বিধা নেই, আব্রু নেই, সংযম নেই, নেই কোনো কিছুই; শুধু আছে ক্ষুধা আর আছে সেই ক্ষুধা নিবৃত্তির আদিম প্রবৃত্তি। যার কিছু নেই সেও আহার্য চায়, তারো বাঁচবার অদম্য লিপ্সা। সবকিছু দেখেশুনে যশোদা জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়েছিল, চেষ্টা করছিল শিশুটাকে শান্ত করবার আর ডাকছিল সেই ভগবানকে যে-ভগবান অন্তত একসের চাল তাকে দিতে পারে।
    • সুকান্ত ভট্টাচার্য, ক্ষুধা, অপ্রচলিত রচনা, সুকান্ত সমগ্র- সুকান্ত ভট্টাচার্য, প্রকাশক- সারস্বত লাইব্রেরী, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৩৫৬-৩৫৭
  • রুটির ক্ষুধার চেয়ে ভালোবাসার ক্ষুধা দূর করা অনেক বেশি কঠিন।
    • টাইম ম্যাগাজিনের তরফে এডওয়ার্ড ডব্লিউ ডেসমন্ডের নেওয়া সাক্ষাৎকার (৪ ডিসেম্বর ১৯৮৯)
  • ক্ষুধা নীরবে কেউ সহ্য করতে পারে না। সুখের বিষয় এই তথাকথিত পাপীর দল ভুলেও কোন খাদ্য ভাণ্ডার লুট করে না, তবে অর্থাভাবে খাদ্য খেয়ে চলে গেলেও অর্থাগমে খাবারের দোকানের দেনা সর্বপ্রথমই মিটিয়ে দেয়।
    • রামনাথ বিশ্বাস, আজকের আমেরিকা - রামনাথ বিশ্বাস, তৃতীয়- সংস্করণ, প্রকাশক- পর্যটক প্রকাশনা ভবন, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দ (১৩৫২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৬৯
  • উটের শরীরটিকে মরুভূমির উপযোগী করিয়াই গড়া হইয়াছে। চ্যাটাল চ্যাটাল পা, তার আষ্টেপৃষ্টে কড়ায় ঢাকা-ঝামা দিয়া ঘসিলেও তাহাতে ফোস্কা পড়ে না। ক্ষুধা নাই, তৃষ্ণা নাই—এক পেট ঘাস খাইয়া তিন দিন উপোস থাকে—এক ঢোক জল লইয়া সারাদিন পথ চলে।
    • সুকুমার রায়, মরুর দেশে, সুকুমার রায় সমগ্র রচনাবলী, দ্বিতীয় খণ্ড, সম্পাদনা- পুণ্যলতা চক্রবর্তী ও কল্যাণী কার্লেকর, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৭ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৮৯

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]