বিষয়বস্তুতে চলুন

গুরু নানক

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে
ভগবান এক, মানুষ ভাই ভাই
—গুরু নানক

গুরু নানক (পাঞ্জাবি: ਗੁਰੂ ਨਾਨਕ; হিন্দি: गुरु नानक, Urdu: گرونانک, [ˈɡʊɾu ˈnɑnək] (এপ্রিল ১৫, ১৪৬৯ - সেপ্টেম্বর ২২, ১৫৩৯) শিখ ধর্মের প্রবক্তা এবং এই ধর্মের প্রথম গুরু। প্রতি বছর কার্তিক পূর্ণিমা তিথিতে তার জন্মোৎসব পালিত হয়। বহু স্থানে ভ্রমণ করে তিনি মানুষের মধ্যে এক ঈশ্বরের মতবাদ প্রচলন করেন। সমতা, ভ্রাতৃত্ব ও সদাচরণের ওপর নির্ভর করে তিনি একটি অনন্য ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রচলন করেছিলেন।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • আমি কেবলমাত্র পবিত্র ধর্ম্মের কথা জানি, আর কিছু জানি না। একমাত্র ঈশ্বর সত্য, আর সব অস্থায়ী।
    • শিখগুরু ও শিখজাতি- শরৎকুমার রায়, প্রকাশক- ইণ্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস ও ইণ্ডিয়ান প্রেস লিমিটেড, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রয়াগরাজ, প্রকাশসাল- ১৯১০ খ্রিস্টাব্দ (১৩১৭ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৪
  • যুক্তি দিয়ে ঈশ্বরকে ব্যাখ্যা করা যায় না, সারা জীবন ধরে চেষ্টা করলেও কেউ তা পেরে উঠবে না।[উৎস প্রয়োজন]
  • ঈশ্বর একজনই, আর তাঁর নাম সত্য। তিনিই জগতের সৃষ্টিকর্তা। তিনি কাউকে ভয় পান না, কাউকে ঘৃণা করেন না। তিনি জাগতিক জন্ম-মৃত্যুর ঊর্দ্ধে। তিনি স্বীয় দীপ্তিতে আলোকিত হন। একমাত্র প্রকৃত গুরুই তোমাকে তাঁর সন্ধান দিতে পারবেন।[উৎস প্রয়োজন]
  • পৃথিবী আসলে একটি নাট্যমঞ্চ আর আমরা সকলে স্বপ্নের মধ্যে এখানে অভিনয় করে চলেছি।[উৎস প্রয়োজন]
  • যদি মৃত্যুর প্রকৃত অর্থ সত্যিই কেউ জানতে পারে, তা হলে সে আর মৃত্যুকে ভয় পাবে না।[উৎস প্রয়োজন]

গুরু নানককে নিয়ে উক্তি

[সম্পাদনা]
  • নানক যে মহত্ত্ব লইয়া জন্মিয়াছিলেন সে তাঁহার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই নিবিয়া গেল না। তিনি যে ধর্মের সংগীত, যে আনন্দ ও আশার গান গাহিলেন, তাহা ধ্বনিত হইতে লাগিল। কত নূতন নূতন গুরু জাগিয়া উঠিয়া শিখদিগকে মহত্ত্বের পথে অগ্রসর করিতে লাগিলেন।
  • বাবা নানকের সার্ব্বভৌমিক সাধনা হিন্দু ও মুসলমান এই দুই ধর্ম্মের সমন্বয় সাধন করিয়াছিল। “ভগবান এক, মানুষ ভাই ভাই” এই সত্যটিই তিনি প্রচার করিতেন। তিনি নিজেকে মৃত্যুশীল, পাপী মানব বলিয়াই মনে করিতেন। সর্ব্বশক্তিমান স্বয়ম্ভু, স্বপ্রকাশ পরব্রহ্মের প্রতি বিশ্বাসই মুক্তির একমাত্র উপার বলিয়া তিনি প্রচার করিয়াছেন।
    • শিখগুরু ও শিখজাতি- শরৎকুমার রায়, প্রকাশক- ইণ্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস ও ইণ্ডিয়ান প্রেস লিমিটেড, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রয়াগরাজ, প্রকাশসাল- ১৯১০ খ্রিস্টাব্দ (১৩১৭ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৪

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]