বিষয়বস্তুতে চলুন

গৃহদাহ (উপন্যাস)

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

গৃহদাহ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি কালজয়ী বাংলা উপন্যাস। এই উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২০ সালের ২০ মার্চ (ফাল্গুন ১৩২৬)। প্রকাশক ছিলেন গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স। গৃহদাহ উপন্যাসে শরৎচন্দ্র সমসাময়িক বাঙালির পারিপার্শ্বিক সামাজিক অবস্থা, ব্যক্তিমানসের পারস্পরিক সম্পর্ক, তাদের প্রেম-পরিণয় ও বিশ্বাসকে তুলে ধরতে চেয়েছেন। তবে এই উপন্যাসের মূল উপজীব্যই প্রেম। আর প্রেমের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে রহস্যময়ী এক নারী অচলা। তাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে দুই পুরুষ, সুরেশ এবং মহিম। মহিম একজন দরিদ্র ও শিক্ষিত যুবক। আর সুরেশ একজন শিক্ষিত যুবক, ধনী এবং রক্ষণশীল পরিবারের ছেলে। সুরেশ হলো মহিমের বাল্যবন্ধু। অন্যদিকে অচলা উদারমনা ও প্রগতিশীল পরিবারের মেয়ে। সুরেশ এবং মহিম অন্য দিকে অচলাকে নিয়ে ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনি 'গৃহদাহ' উপন্যাস।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • একটা সত্যকার অপরাধ অনেক মিথ্যা অপরাধের বোঝা বয়ে আনে।
    • বিংশ পরিচ্ছেদ, গৃহদাহ- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, প্রকাশক- কামিনী প্রকাশালয়, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ (১৩৫৯ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১১২
  • লড়াই-ঝগড়া বাদাবাদি করে আর যাকেই পাওয়া যাক না, ধর্ম-বস্তুটিকে পাবার জো নেই।
    • ঊনচত্বারিংশ পরিচ্ছেদ, গৃহদাহ- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, প্রকাশক- কামিনী প্রকাশালয়, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ (১৩৫৯ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২১৩
  • অপরাধ যদি কিছু করিয়াই থাকি ত সে তাঁর কাছে। সে দন্ড তিনিই দিবেন; কিন্তু নির্বিচারে যে-কেহ শাস্তি দিতে আসিবে, তাহাই মাথা পাতিয়া লইব কিসের জন্যে?
    • দ্বাবিংশ পরিচ্ছেদ, গৃহদাহ- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, প্রকাশক- কামিনী প্রকাশালয়, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ (১৩৫৯ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১২০
  • একজনের উচ্ছ্বসিত অকপট প্রশংসার মধ্যে যে আর একজনের কত বড় সুকঠোর আঘাত ও অপমান লুকাইয়া থাকিতে পারে, বক্তা ও শ্রোতা উভয়ের কেহই বোধ করি তাহা মুহূর্তকাল পূর্বেও জানিত না।
    • পঞ্চবিংশ পরিচ্ছেদ, গৃহদাহ- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, প্রকাশক- কামিনী প্রকাশালয়, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ (১৩৫৯ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৩৬
  • অচলা দীপ্তস্বরে কহিল, নেমকহারাম উনি। তাই বটে! কিন্তু যাকে এক সময়ে বাঁচানো যায়, আর এক সময়ে ইচ্ছে করলে বুঝি তাকে খুন করা যায়?
    • একাদশ পরিচ্ছেদ, গৃহদাহ- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, প্রকাশক- কামিনী প্রকাশালয়, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ (১৩৫৯ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৫১-৫২
  • যোগ্য অযোগ্য ত বিচারের কথা বাবা, তাকে ক্ষমা বলা চলে না। তা ছাড়া ক্ষমার ফল কি শুধু অপরাধীই পায়, যে ক্ষমা করে, সে কিছুই পায় না বাবা?
    • ঊনচত্বারিংশ পরিচ্ছেদ, গৃহদাহ- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, প্রকাশক- কামিনী প্রকাশালয়, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ (১৩৫৯ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২১৮
  • যারা মহৎপ্রাণ, তাঁদের যে-কোন অবস্থাতেই, পরের বিপদে নিজের বিপদ মনে থাকে না–
    • দ্বাদশ পরিচ্ছেদ, গৃহদাহ- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, প্রকাশক- কামিনী প্রকাশালয়, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ (১৩৫৯ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৫৮
  • মৃত্যুর শোক যেমন বড়, তার শান্তি, তার মাধুর্য তেমনি বড়।
    • ঊনচত্বারিংশ পরিচ্ছেদ, গৃহদাহ- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, প্রকাশক- কামিনী প্রকাশালয়, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ (১৩৫৯ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২১৭
  • যে তামাশা করিয়া উত্তর দিতে পারেনা, সে ত অন্ততঃ হাসিমুখে সেটা উপভোগ করিতেও পারে।
    • পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ, গৃহদাহ- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, প্রকাশক- কামিনী প্রকাশালয়, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ (১৩৫৯ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৭৭