জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
অবয়ব
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় (জন্ম ২৮ জুলাই ১৯৪৬) একজন বাংলাদেশী অভিনেতা এবং আবৃত্তিকার। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রে এবং টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেন। তিনি ২০২৩ সালে একুশে পদকপ্রাপ্ত হিসেবে ভূষিত হন।
উক্তি
[সম্পাদনা]- জীবদ্দশায় অন্তত দেখে যেতে পারছি একুশে পদক প্রাপ্তি, এটাই আনন্দের। অনেকেই তো ৮০ কিংবা ৮৫ বছর বেঁচেও জীবদ্দশায় পান না। এটা হয়ত বা আমাদের ব্যর্থতা। জীবদ্দশায় আমরা মূল্যায়ন করতে পারি না।
- জীবদ্দশায় পাচ্ছি এটাই আনন্দের শাহ আলম সাজু, ১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩, দ্য ডেইলি ষ্টার
- প্রশিক্ষক হতে চাইনি। প্রশিক্ষণে গড়পড়তা পারফর্মার হওয়া যায়। শিল্পী হতে হলে একটি স্তর অতিক্রম করে যেতে হয়। সেটা সকলে পারে না। আমি তো গলা দিয়ে ছবি আঁকি। সেটা আমি আঙুলে নিলে কেন আমি শিল্পী হতে পারব না? আমার কাজ বিভ্রম তৈরি করা, মায়া তৈরি করা যেমন আমরা গান শোনার সময় অন্য জগতে চলে যাই।
- আবৃত্তিকারদের বলি, সুরের ওপর গলাটি রাখতে হয়: জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ১৭ই নভেম্বর ২০১৯, প্রথম আলো
- মানুষের ভালোবাসাই আমাকে আজ এতদূর নিয়ে এসেছে। একজন শিল্পী হিসাবে আমি এখনো অতৃপ্ত। অর্থাৎ আমার মাঝে অতৃপ্তি রয়ে গেছে, যেটা আবৃত্তিতে ও অভিনয়েও। আমি আজীবন একজন শিক্ষার্থী।
- দর্শক হাসানো এত সহজ নয়। বেশিরভাগ নাটকে কমেডির নামে ভাঁড়ামো হচ্ছে। দর্শকও নাটকে ভাঁড়ামোতে বিরক্ত হয়ে পড়েছে। যেজন্য কমেডির নামে ভাঁড়ামো এখন বন্ধ হওয়ার পথে। কমেডি নাটকের সীমারেখাটা এত সূক্ষ্ণ যে, মানদণ্ডের ভেতরে থাকাটা কঠিন।
- বেঁচে থাকার নামই জীবন। আজকের জন্য বাঁচা। আগামীর জন্য বাঁচার চেষ্টা করা।
- দর্শক হাসানো এত সহজ নয় : জয়ন্ত ২৪শে সেপ্টেম্বর ২০১৯, আজকের খুলনা
- আমাকে কেউ মুল্যায়ন করবে বলে কখনও জীবনে আগায় নি। আমার জীবনে সব থেকে গর্বের বিষয় হলো - আমি করো কাছে কখনও কিছু চাই নি। আমি এই যে ৭৫০-৮০০টারও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছি আজ অবধি করো কাছে কোনো অভিনয়ের জন্য কাজ চাই নি। প্রত্যেকের শিল্পের প্রতি এইরকম নির্লোভ মানসিকতা থাকা দরকার।
- আমি মরণোত্তর জীবনের কোনো ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা করি না বা এটা বিশ্বাসও করি না। আমি যতদিন বেঁচে আছি ততদিন অবধি আমি মানুষের সাথে ভালোভাবে মিশে থাকতে পেরেছি কিনা। এটাই বেঁচে থাকার নীতি আমার।
- কিংবদন্তী আবৃত্তিকার ও অভিনয়শিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়-এর মুখোমুখি সাজ্জাদ কাদির, ৯ই ফেব্রুয়ারি, ইউটিউব
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে উক্তি
[সম্পাদনা]- ছোটবেলা থেকেই তিনি বেড়ে উঠেছেন এমন এক পারিবারিক পরিবেশে যেখানে গানবাজনা আর অভিনয় ছিল আলোবাতাসের মতোই। তার বাবা ভালো আবৃত্তি আর পাঠ করতেন, বাড়িতে ছিল নিজস্ব থিয়েটারের দল।
- এ সপ্তাহের সাক্ষাৎকার জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় পুলক গুপ্ত, ৯ অক্টোবর ২০১৩, বিবিসি বাংলা
- অকাজ দিয়েই আসলে মহৎ সৃষ্টি সম্ভব। জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় যে শিক্ষক বা প্রশিক্ষক নন, বরং কথা বলেই মনের ভেতর ঢুকে যেতে পারেন, সে কথা তিনি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন।
- মুস্তাফা মনোয়ার
- রবীন্দ্র-পরবর্তী যুগেও বাংলা ভাষা নিয়ে যে কাজগুলো হচ্ছে, তাতে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় একজন সক্রিয় অংশগ্রহণকারী। রবীন্দ্রনাথকে বাদ দিয়ে হয় না। মাইকেলকে বাদ দিয়ে হয় না। তবে রবীন্দ্রনাথকে শীর্ষে রেখে আমরা বাংলাদেশেও সাহিত্যে নবচর্চা করতে চাইছি। সেটি জোরদার হবে যাঁদের দিয়ে, সেই ধারক ও বাহকদের মধ্যে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় অন্যতম।
- আবৃত্তিশিল্পী হাবীবুল্লাহ সিরাজী
- জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় আসলে আবৃত্তিসম্রাট। তিনি আমাদের ভেতর থেকে নাড়িয়ে দিলেন। আবৃত্তি যে একটি চর্চার ব্যাপার, সেটা বুঝিয়েছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়।
- রূপা চক্রবর্তী
- আবৃত্তিকারদের বলি, সুরের ওপর গলাটি রাখতে হয়: জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ১৭ই নভেম্বর ২০১৯, প্রথম আলো
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।