বিষয়বস্তুতে চলুন

জয় গোস্বামী

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে
জয় গোস্বামী

জয় গোস্বামী (জন্ম: ১০ নভেম্বর ১৯৫৪) বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে আবির্ভূত একজন আধুনিক বাঙ্গালী কবি। ভারতীয় পশ্চিম বাংলার এই কবি বাংলা ভাষার উত্তর-জীবনানন্দ পর্বের অন্যতম জনপ্রিয় কবি হিসাবে পরিগণিত। তার কবিতা চমৎকার চিত্রকল্পে, উপমা এবং উৎপ্রেক্ষায় ঋদ্ধ। তিনি দুবার আনন্দ পুরস্কার লাভ করেছেন। বজ্রবিদ্যুৎ-ভর্তি খাতা কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি পুরস্কার অর্জন করেন। তার কবিতার একটি বিখ্যাত পঙ্‌ক্তি ‘‘অতল তোমার সাক্ষাৎ পেয়ে চিনতে পারিনি বলে / হৃদি ভেসে গেল অলকানন্দা জলে'’’।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • “অতল, তোমার সাক্ষাৎ পেয়ে চিনতে পারিনি বলে
    হৃদি ভেসে গেল অলকানন্দা জলে....”[১]
  • “আমরা তো অল্পে খুশি

    আমরা তো অল্পে খুশি, কী হবে দু:খ করে?
    আমাদের দিন চলে যায় সাধারণ ভাতকাপড়ে।
    চলে যায় দিন আমাদের অসুখে ধারদেনাতে
    রাত্তিরে দুভায়ে মিলে টান দিই গঞ্জিকাতে।
    সবদিন হয়না বাজার, হলে হয় মাত্রাছাড়া -
    বাড়িতে ফেরার পথে কিনে আনি গোলাপচারা।
    কিন্তু পুঁতব কোথায়? ফুল কি হবেই তাতে?
    সে অনেক পরের কথা টান দিই গঞ্জিকাতে।

    আমরা তো অল্পে খুশি, কী হবে দু:খ করে?
    আমাদের দিন চলে যায় সাধারণ ভাতকাপড়ে।
    মাঝে মাঝে চলেও না দিন বাড়ি ফিরি দুপুররাতে ;
    খেতে বসে রাগ চড়ে যায় নুন নেই ঠান্ডা ভাতে।
    রাগ চড়ে মাথায় আমার আমি তার মাথায় চড়ি,
    বাপব্যাটা দুভায়ে মিলে সারা পাড়া মাথায় করি।
    করি তো কার তাতে কী? আমরা তো সামান্য লোক।
    আমাদের ভাতের পাতে লবণের ব্যবস্থা হোক।”[২]
  • “সেদিন সকালে খবর এল বিনয় মজুমদার আর নেই। সেটা ছিল ১১ ডিসেম্বর। এর মাত্র কয়েকদিন আগে, এই ডিসেম্বরেরই এক সকালে বাইশ বছরের এক বিজ্ঞানছাত্রী আমাকে জানিয়েছে, আগের রাত্রে একটি বই সে পড়ে শেষ করেছে। তার আগে কয়েকদিন সারাক্ষণ ব্যাগের মধ্যে এই বইটি নিয়ে ইউনিভার্সিটি যাওয়া-আসা করছিল সে। বাসের জানলার ধারে বসে আবার আর একবার খুলে দেখছিল কোনও কোন বিশেষ পৃষ্ঠা। কী বই ছিল সেটি?
    সে জানায়ঃ ফিরে এসো, চাকা। আছন্নতা কাটছে না তার। সে আজ বাড়িতে বইটি রেখে এসেছে, কিন্ত সারাক্ষণ তার ইচ্ছে করছে বইটির কাছে ফিরে যেতে। এই কবি কোথায় থাকেন? কিছুই প্রায় জানে না এই নতুন পাঠিকা। তাই আমার কাছে জানতে চায় কবির বিষয়ে।
    আমার মনে পড়ল, এই ‘ফিরে এসো,চাকা’র শেষ কবিতাটির তলায় লেখা তারিখটিকে। ২৯ শে জুন ১৯৬২। ৪৪ বছর আগে বইটি লেখা হয়েছিল। অর্থাৎ বইটির বয়স মেয়েটির দিগুণ। তা-ই তো হওয়ার কথা। যেসব বইয়ের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক হয়, তারা তো বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অসমবয়সি সম্পর্কের অংশীদার।”[৩]
  • “কবে কবে কোথায় কোথায়
    এসব কথার কি প্রয়োজন?
    সামলে চলো, সামলে চলো
    বার্তা দিচ্ছে প্রহরীজন।
    সামলে চলার প্রশ্নই নেই
    প্রেমের কাছে শাসন তুচ্ছ,
    এনে দিচ্ছি প্রহরীদের
    মারের মুখের উপর দিয়ে-
    তোমাকে এই ফুলের গুচ্ছ।”[৪]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]